26/08/2025
সম্ভব হলে ল পড়েন, জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট হতে পারলে যোগদান ৬ষ্ঠ গ্রেডে। প্রথম প্রমোশনে যাবেন চতুর্থ গ্রেডে।
বিচারক হিসেবে জীবনযাপনে মর্যাদা ত রয়েছেই।
এতোদূর না যেতে পারলে শুরু করে দেন ডিপ্লোমা, সাব-এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নামে একটা পদ আছে ১০ম গ্রেডে। পাওয়ার সেক্টর যেমন নেসকো,ডেসকো,ডিপিডিসি, রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, কোল পাওয়ারে আপনার বেসিক শুরু হবে ৪০০০০ টাকা দিয়ে, মাস শেষে ৭০০০০+ টাকা পকেটে দেদারসে ঢুকবে!
মোটামুটি ২২-২৩ বছর বয়সেই দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরীজীবী হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতোকিছু মন না চাইলে ভর্তি হয়ে যান নার্সিং-এ, এই পদের চাহিদা কভু শেষ হবেনা। বর্তমানে সরকারি চাকুরীজীবি হিসেবে নার্সের মর্যাদাও দ্বিতীয় শ্রেণিতে (১০ম গ্রেড)! তা মন না চাইলেও কৃষি ডিপ্লোমা করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে ১০ম গ্রেডে আরামে চাকরি করবেন।
এর কিছুই সম্ভব না হলে এসএসসি/ইন্টারমেডিয়েট শেষ করে লেবার ভিসায় পারি দেন বিদেশে, হারভাঙ্গা পরিশ্রম করে হলেও যৌবন থাকতে টাকা-পয়সার মালিক হতে পারবেন। ১০ বছর পর দেখবেন হয়ত আপনার মাস্টার্স পাশ করা বন্ধু এখনো ১৪ গ্রেডের উচ্চমান সহকারীর জন্য পেছনের পকেটে একটা প্রবেশপথ আর একটা কলম নিয়ে আজ মিরপুর কলেজ তো কাল ইডেন কলেজ দৌড়াদৌড়ি করছে, আর আপনি বিদেশ খেটে এসে গ্রামে বেশ ভালো একটা ব্যবসা দাড় করিয়েছেন।
অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে জেনারেল পড়াশোনা করবেন তো মরবেন, জীবন-যৌবনের রস-কষ সব বের করে কখনো ২০ তম গ্রেডের অফিস সহায়ক, কখনো ১৪তম গ্রেডের উচ্চমান সহকারী; কেউ কেউ ১৩তম গ্রেডে সহকারী শিক্ষক (খুব কমের কপালেই লাগতে পারে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণী।) কেউবা এনটিআরসির প্রিলি-রিটেন-ভাইভা শেষ করে স্রেফ ১২,৫০০ টাকার মোট বেতনের সহকারী শিক্ষক। জীবন আর চলেনা তখন, বয়সও পেরিয়ে যায় ৩ বাচ্চার বাপ-মা হওয়ার।
উচ্চশিক্ষার কোনো মর্যাদাই বাস্তবিকপক্ষে থাকেনা, যদি না আপনার নামের পিছনে চাকুরীর পদমর্যাদা ভারী হয়। এদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়াটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটা মারাত্মক রকমের স্ক্যাম, আর যদি অনার্স করতেই হয় তাহলে জব ফিল্ডে ঐ সাবজেক্টের ডিমান্ড আছে এরকম বিষয়ে করিয়েন যেমন "কৃষি"
#মূল_লেখা_আদনান_সোহাগ_বাকিটা_আমি_সংযুক্ত_করেছি_বাস্তবতার_নিরীখে।