Abdur Rahman Sarker

Abdur Rahman Sarker Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Abdur Rahman Sarker, Digital creator, Lalmonirhat.

27/03/2025

মালিক বিন হাসান বিন মালিক বিন হুয়াইরিস তাঁর পিতা হতে, তিনি (হাসান) তাঁর (মালেকের) পিতামহ (মালিক বিন হুয়াইরিষ) হতে বর্ণনা করে বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে চড়লেন। প্রথম ধাপে চড়েই বললেন, ’’আমীন।’’ অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে চড়ে বললেন, ’’আমীন’’ অনুরূপ তৃতীয় ধাপেও চড়ে বললেন, ’’আমীন।’’ অতঃপর তিনি (এর রহস্য ব্যক্ত করে) বললেন, ’’আমার নিকট জিবরীল উপস্থিত হয়ে বললেন, ’হে মুহাম্মাদ! যে ব্যক্তি রমযান পেল অথচ পাপমুক্ত হতে পারল না আল্লাহ তাকে দূর করেন।’ তখন আমি (প্রথম) ’আ-মীন’ বললাম। তিনি আবার বললেন, ’যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে অথবা তাদের একজনকে জীবিতাবস্থায় পেল অথচ তাকে দোযখে যেতে হবে, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি (দ্বিতীয়) ’আ-মীন’ বললাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’যার নিকট আপনার (নাম) উল্লেখ করা হয় অথচ সে আপনার উপর দরূদ পাঠ করে না, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি (তৃতীয়) ’আমীন’ বললাম।

বিষয়: কোন পীর কে কেবলা বলা যাবে কি না? কোনো পীরকে হুজুর কেবলা বা বাবা বলা যাবে না। কেননা এগুলো কুসংস্কার যা আক্বীদা নষ্...
27/11/2024

বিষয়: কোন পীর কে কেবলা বলা যাবে কি না?

কোনো পীরকে হুজুর কেবলা বা বাবা বলা যাবে না। কেননা এগুলো কুসংস্কার যা আক্বীদা নষ্টকারী ভ্রান্ত লোকদের আবিস্কৃত শব্দ। তারা এসকল শব্দ দ্বারা বিভিন্ন কুফুরি আক্বীদা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে থাকে। কারণ হুজুর কখনো কেবলা হতে পারে না। আর কেবলা বলতে মূলত কাবা ঘরকে বুঝানো হয়। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত হবে, শুধু কেবলাকেই কেবলা মনে করা এবং অন্যকে কেবলা বলা হতে বিরত থাকা।

#হাদীস আনাস ইবনু মালেক রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমাদের মত ছালাত পড়ে, আমাদের কেবলাকে কেবলা হিসাবে গ্রহণ করে এবং আমাদের যবাইকৃত পশু ভক্ষন করে। সেই হলো প্রকৃত মুসলিম। (বুখারী)

#জ্ঞান
নবী এবং সাহাবায়ে কেরাম পবিত্র কাবা ঘরকেই কেবলা বলে সম্বোধন করতো,
সুতরাং হাদীস থেকে বোঝা গেল যারা কাবাঘরকে বাদ দিয়ে কোন ব্যক্তিকে কেবলা ডাকে বা মানে তাঁরা এখনো প্রকৃত মুসলিম হতে পারেনি।

মোঃ আব্দুর রহমান
27 November 2025
9.44 PM

06/11/2024

স্বামী গরীব হলে
নারী সাহাবিদের রীতি ছিল, যখন তাঁদের কারও স্বামী ঘর থেকে বের হতো, তিনি স্বামীকে বলতেন, ‘হারাম উপার্জন থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকবেন। কারণ, ক্ষুধা লাগলে আমরা তা সহ্য করতে পারব; কিন্তু জাহান্নামের আগুন আমরা সহ্য করতে পারব না।’
কিন্তু বর্তমানে বহু নারী এমন আছে, যে তার স্বামীর আর্থিক সংকটে ধৈর্যধারণ করে না; বরং তার কাছে এমন কিছু চায়, যার সামর্থ্য সে রাখে না। তাহলে স্বামী বেচারা কী করবে? সে কি চুরি করবে বা ঘুষ নেওয়া শুরু করবে? স্ত্রী এটা বোঝে না যে, ধৈর্য ঈমানের অঙ্গ। শুধু তাই নয়, ধৈর্যশীলদের আল্লাহ অফুরন্ত ও বেহিসাব প্রতিদান দেবেন।
কাজেই প্রিয় বোন, তুমি এমন স্ত্রী হও, যে বিপদের বিরুদ্ধে স্বামীকে শক্তি জোগায়; স্বামীর বিরুদ্ধে বিপদকে শক্তি জোগায় না। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণীটি ভালো করে মনে রেখো : ‘আদমসন্তানের সৌভাগ্যের উপকরণ তিনটি, আর দুর্ভাগ্যের উপকরণও তিনটি। সৌভাগ্যেরগুলো : সতী নারী, উত্তম বাসস্থান ও উত্তম বাহন। আর দুর্ভাগ্যেরগুলো : অসতী নারী, নিকৃষ্ট বাসস্থান, নিকৃষ্ট বাহন।’ (আহমাদ)

03/11/2024

বিষয়:
কোন ব্যক্তি, বস্তু এবং সময়কে অশুভ লক্ষণ মনে করা সম্বন্ধে:

রাসূল সাঃ বলেছেন , কুলক্ষণ বা অশুভ ধারণা যে ব্যক্তিকে তার স্বীয় প্রয়োজন দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখলো সে মূলত শিরক করল। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাফ্ফারা কি? রসুল সাঃ বলেন তোমরা এই দোয়া পাঠ কর:

اللهم لا خير الا خيرك ولا طير الا طيرك ولا اله غيرك

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা খইরা ইল্লা খইরুকা ওলা ত্বইরা ইল্লা ত্বইরুকা ওলা ইলাহা গয়রুক।
অর্থ: হে আল্লাহ তোমার মঙ্গল ব্যতীত কোন মঙ্গল নেই, তোমার অশুভ ও ছাড়া কোন অশুভও নেই , এবং তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই।

ইমরান বিন হোসাইন থেকে বর্ণিত,
আল্লাহর রাসূল (সাঃ বলেছেন, “সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি (কোন বস্তু, ব্যক্তি কর্ম বা কালকে) অশুভ লক্ষণ বলে মানে অথবা যার জন্য অশুভ লক্ষণ দেখা (পরীক্ষা) করা হয়, যে ব্যক্তি (ভাগ্য) গণনা করে অথবা যার জন্য (ভাগ্য) গণনা করা হয়। আর যে ব্যক্তি যাদু করে অথবা যার জন্য (বা আদেশে) যাদু করা হয়।”

#বাস্তবতা: আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা বলে,মুহাররমের দিনে মাটি খনন করা যায় না অমঙ্গল হয়। হাত থেকে থালা বাসন পড়লে আত্মীয় আসে,হাতের তালু চুলকালে টাকা আসে।আরো অজানা অনেক বিষয়ে ভবিষ্যতের ভালো মন্দের দিকে ইঙ্গিত করে কথা বলে যা ইসলামের সাথে কোন সম্পর্ক নাই এগুলো শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

(আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন আমীন 🤲)

🌺🥀Abdur Rahman
3 November 2024🌺🥀

পর্দা করো বোন 🧕🥹👍কিয়ামতের মাঠে চুল দেখিয়ে চলা নারীদের। কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। একটা চুল ৭০ টা সাপ হয়ে তাকে দংশন করবে। আ...
24/10/2024

পর্দা করো বোন 🧕🥹👍

কিয়ামতের মাঠে চুল দেখিয়ে চলা নারীদের। কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। একটা চুল ৭০ টা সাপ হয়ে তাকে দংশন করবে। আল্লাহ দুনিয়ার সকল মুসলিম নারীদেরকে। পর্দা করার তৌফিক দান করেন। আমিন সুম্মা আমিন 🤲

16/10/2024

অবিবাহিতদের জন্য (যা জানা দরকার)🥰

সূর্যালোকের মত একথা স্পষ্ট যে, নারী-পুরুষের পারস্পরিক আকর্ষণ ও জৈবিক চাহিদা পূরণের সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, زين للناس حب الشهوات من النساء অর্থাৎ মানুষের জন্য নারীকে সুভোশীত করা হয়েছে।
আর এ চাহিদা পূরণের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হলো বিবাহ।
শুধু জৈবিক চাহিদা পূরণেই নয় বরং মানসিক প্রশান্তি, চারিত্রিক ও জীবনের পরিপূর্ণতা অর্জনে বিবাহের গুরুত্ব অপরিসীম।

বিবাহ বা نكاح (আরবি) যার অর্থ:
১. বন্ধন
২. সহবাস
৩. একত্রীকরণ
৪.মিলানো
৫. Relationship

শরয়ী অর্থ:
১. যৌনাঙ্গ উপভোগ করার উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত বন্ধন কে নিকাহ বা বিবাহ বলে।

২. বিবাহ হলো স্বামী স্ত্রীর মাঝে এমন বন্ধন যার দ্বারা পরস্পর সঙ্গম হালাল হয়।

#আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থবান ব্যক্তির উপর বিবাহ নামাজ রোজার মতোই ফরজে আইন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বিবাহ করা আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত মুতাবিক কাজ করলো না সে আমার নয়। তোমরা বিবাহ কর, কেননা আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের সামনে গর্ব করবো। অতএব যার সামর্থ্য আছে সে যেন বিবাহ করে এবং যার সামর্থ্য নেই সে যেন সিয়াম রাখে। কারন সাওম তার জন্য জৈবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী। (ইবনে মাজাহ-১৮৪৬)

#বিবাহ করবেন কাকে?
বিয়ে কাকে করবেন রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।বিয়ে করতে হলে চারটি জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রী নির্বাচন করা উচিত। যথা:
১.সম্পদ
২.বংশ
৩. সৌন্দর্য
৪.দ্বীনদার
রাসূল সাঃ বলেন এই চারটির মধ্যে তুমি দ্বীনদারীকে বেশি প্রাধান্য দিবে, অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(বুখারী ও মুসলিম)

#শর্তাবলী
বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য চারটি শর্ত পাওয়া আবশ্যক। যথা:
১. মৌখিক সম্মতি
২. মহর নির্ধারণ করা
৩. পর্দা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য বিবাহ করা, ব্যভিচারের জন্য নয়।
৪.সাক্ষী উপস্থিত থাকা(দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ এবং দুইজন মহিলা)
সাক্ষী ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয় না । কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, لا نكاح الا بالشهود
অন্য জায়গায় বলেছেন, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ হয় না।
অপর বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলা বিবাহ করলে, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। কিন্তু যার কোন অভিভাবক নেই তার ওয়ালী হবে দেশের শাসক। (তিরমিজি-১১০২)

মা বাবা বেঁচে থাকার পরও আজকে দেখছি ভাড়া করে অভিভাবক বানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করছে অনেক ছেলে মেয়ে।
ইসলামী শরীয়ত সম্মত বিয়ে না হলে বিবাহ শুদ্ধ হয় না আর শুদ্ধ না হলে যতদিন তারা দুজন স্বামী স্ত্রী মনে করে মেলামেশা করবে ততদিন তাদের আমলনামায় জেনার গুনাহ লেখা হবে।(নাউজুবিল্লাহ)

আল্লাহ আমাদের নেককার স্ত্রী/স্বামী দান করুন আমীন 🤲

মোঃ আব্দুর রহমান
১৬- অক্টোবর -২০২৪ ইং

01/10/2024

বেদআত সম্পর্কে আলোচনা,,,!!

ইসলামে শিরকের পর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল বিদআত ।

*বেদায়াতের আভিধানিক অর্থ: পূর্ব নমুনা বিহীন কোন জিনিস তৈরি করা, আবিষ্কার করা, ইত্যাদি।

*বেদায়াতের পারিভাষিক সংজ্ঞা:
১. শরীয়তের পরিভাষায় বেদাত বলা হয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের জামানায় যা ছিল না, এমন বিষয়ে প্রবর্তন করা।
২. বেদাত হলো: এমন বিষয় প্রবর্তন করা, যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের জামানায় ছিল না।
৩.দ্বীনের মধ্যে এমন প্রবর্তিত পদ্ধতি যা শরীয়ত বিরোধী, যে পদ্ধতি চলার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন উদ্দেশ্য হয়। তাই বিদআত।

*বেদআত সম্পর্কে রাসূল সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি এমন কোন কর্ম করলো যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (মুসলিম -৪৩৮৫)

জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে, এমন কোন কাজ নাই যে রাসূলুল্লাহ সাঃ বর্ণনা করেন নাই ।
অন্যস্থানে ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে শীঘ্রই তারা অনেক মতানৈক্য দেখতে পাবে, তোমাদের উপর আবশ্যক হলো। আমার সুন্নত ও খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরা, তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয় চালু করা থেকে বিরত থাকো কেননা নতুন বিষয় চালু করা বেদআত।আরكل بدعة ضلالة অর্থ: প্রত্যেক বেদায়াত গুমরাহী বা পথভ্রষ্টতা।(আবু দাউদ -৪৬০৭)

উপরোক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায় সকল বিদআত পরিত্যাজ্য ,, অথচ কেউ কেউ বিদআতকে ভাগ করেছেন ১. বিদআতে হাসানা(উত্তম বেদাত) ২. বিদআতে সায়্যিয়াহ(খারাপ বেদাত)

হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাঃ সকল বিদাআতকে অনিষ্ঠ বলেছেন । এমন কোন শব্দ হাদিসে খুঁজে পাওয়া যায় না, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বেদায়াতের কোন বিষয় এমন আছে যে গোমরাহী বা অনিষ্ঠ নয়। এমন কথা কোথাও পাওয়া যাবে না। (ইংশাআল্লাহ)

আল্লাহ তাআলা আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন, যেমন তিনি বলেন, اليوم اكملت لكم دينكم ،অর্থ: আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম।(মায়েদা -৩)

সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতে বলেন, রসুল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ করো, আর তোমাদের যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।

তাহলে যেখানে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন, সেখানে বেদআতে হাসানাহ বলার অর্থ হলো শরীয়ত এখনো পরিপূর্ণ হয়নি।(নাউজুবিল্লাহ)।
আর কোনটা বেদআতে হাসানা কোনটা বেদাতে সায়্যিয়াহ তার নির্ণয় করাও অসম্ভব।
কেননা প্রবর্তিত বিষয়টা হয়তো দলিল নির্ভর হবে, অর্থাৎ, তার পক্ষে সুন্নতে রাসুল, সুন্নতে সাহাবা, অন্যদের খোলাফায়ে রাশেদীন থাকবে অথবা তার বিপক্ষে থাকবে। তখন তো আর সেটা বেদাতের অন্তর্ভুক্তই থাকবে না । বরং শরয়ী হুকুম ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত,মোস্তাহাব, হারাম মাকরুহ বা মুবাহ এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আর যখন তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোন দলিল থাকবে না তখন সেটা বেদআত হয়ে যাবে।
তাহলে কিভাবে আমরা মাপকাঠি করি কোন টা বেদআতে হাসানাহ আর কোনটা বেদআতে সায়্যিয়াহ?

আর যদি বলেন, বাহ্যিক দৃষ্টিতে যেটা ভালো সেটা বেদাতে হাসানা আর যেটা খারাপ সেটা বেদাতে সায়্যিয়াহ ।
তাহলে বলব এমনো বিষয় আছে যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভালো হলেও বাস্তবে তা মন্দ। যেমন নামাজ পড়া ভালো কাজ কিন্তু নিষিদ্ধ সময় নামাজ পড়া কি ভালো? (এরকম বহু আছে)

*সম্মানিত দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আসেন আমরা বেদআতকে বন্ধ করে সুন্নতকে আঁকড়ে ধরি,,
কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত বেদআত বর্জন না করবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের তৌবা কবুল হবে না।

একটা বিষয় দেখেন আমরা তো সবাই অজু করি তিনবার করে অঙ্গ গুলো ধৌত করি,,কেউ যদি চারবার করে ধৌত করে সেটা যদি অন্যায়, সীমা লঙ্ঘন,যুলুম হয়। তাহলে দেখেন শুধু এই ক্ষুদ্র বিষয় নয় আরো কত যে বড় বড় কাজ করি যা শরীয়তে প্রমাণিত নয়। তাহলে সেগুলোর জন্য কত বড় অপরাধ করতেছি একটাবার ভেবেছি কি?

যাই হোক,
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআন হাদীস অনুযায়ী সহিহ আমল করার তৌফিক দান করুন,আর বেদআতি আমল থেকে দূরে রাখুন আমীন 🤲

বিঃদ্রঃ কোন বিষয়ে ভুল হলে অবশ্যই ভুল টা ধরিয়ে দিবেন, ইংশাআল্লাহ সংশোধন হয়ে যাবো।

লেখক, মোঃ আব্দুর রহমান
তারিখ:01- October -2024

28/09/2024

Abdur Rahman Sarker
রাসূলুল্লাহ সাঃ আল্লাহকে দেখছেন কিনা?

*নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা,
আল্লাহ তাআলা এক ও একাকী, আল্লাহ তাআলার কোনো শরীক নাই।

*আল্লাহ রাব্বুল আছেন সাত আসমানের উর্ধ্বে আরশের উপরে । তিনি বলেছেন, الرحمن على العرش استوى অর্থাৎ, পরম দয়াময় আরশে সমাসীন । (সূরা তহা-৫)
তিনি স্রষ্টা সৃষ্টির থেকে ঊর্ধ্বে থাকেন । তবুও তিনি বান্দার নিকটবর্তী। কার জ্ঞান ও দৃষ্টি সর্বত্র আছে।

*জান্নাতে আল্লাহ তায়ালাকে সবাই আমরা দেখতে পারবো ইনশাআল্লাহ,, বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ তাআলার আকার আছে কারণ আকার ছাড়া তো কোন কিছু দেখা যায় না।
তবে আল্লাহ তাআলার আকার কেমন তা কেউ জানে না। কোন কিছুই তার সমকক্ষ নয়। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ليس كمثله شيء وهو السميع البصير অর্থ, কোন কিছুই তার সাদৃশ্য নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।( শূরা -১১)

*মুসা আঃ যখন তুর পাহাড় থেকে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত কিতাব নিয়ে আসেন,, তখন বনী ইসরাইল বলেছিল এই কিতাব যে আল্লাহতালার পক্ষ থেকে এসেছে আমরা কিভাবে বিশ্বাস করব? আমরা আল্লাহতায়ালাকে না দেখা পর্যন্ত তাওরাত কিতাব বিশ্বাস করব না। এজন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের উপর বজ্রপাত হয়। (তাফসির বাকারা -৫৬)

*মুসা আঃ আল্লাহকে বললেন,, হে আমার প্রতিপালক আপনাকে দেখতে চাই আল্লাহ তাআলা বললেন আমাকে দেখতে পাবেনা।(আরাফ-১৪৩)

*এখন প্রশ্ন হল নবীজী সাঃ আল্লাহকে দেখছেন কি না?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,رايت ربي في احسن صوره অর্থাৎ, আমি আমার প্রতিপালককে সুন্দর আকৃতিতে দর্শন করেছি ,,
#হাদীস
হযরত মুআজ ইবনে জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, একদিন প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হন। এমনকি আমরা সূর্য উদিত হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম। তিনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলে সালাতের জন্য ইক্বামাত দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংক্ষেপে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরানোর পর উচ্চৈঃস্বরে আমাদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা যেভাবে সারিবদ্ধ অবস্থায় আছ সেভাবেই থাক। তারপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বসলেন অতঃপর বললেনঃ সকালে তোমাদের নিকট আসতে আমাকে কিসে বাধাগ্রস্ত করেছে তা এখনই তোমাদেরকে বলছি। আমি রাত্রে উঠে উযূ করলাম এবং সামর্থ্যমত নামায পড়লাম। নামাযের মধ্যে আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পরলাম। অতঃপর আমি ঘুমিয়ে পরলাম, এমন সময় আমি আমার বারাকাতময় প্রভুকে খুব সুন্দর অবস্থায় (স্বপ্নে) দেখতে পেলাম। ( তিরমিজি-৩২৩৫)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন আমীন 🤲

27/09/2024

আজ থেকে প্রায় ৩-৪ বছর আগে একজন বড় হুজুরের(নিজে দাবি করেন) সাথে একটা বিষয় নিয়ে আমার তর্ক হইছিলো। উপযুক্ত প্রমাণ আমার কাছে না থাকায় তেমন কিছু বলতে পারি নাই। আজকে সে বিষয়ে কিছু কথা বলবো ইংশাআল্লাহ।

*বিষয় টা হলো, উনি বলেন,কেউ যদি মনে মনে ভালো কাজ করার ইচ্ছা করে তাকে সাওয়াব দেওয়া হয় পক্ষান্তরে মনে মনে খারাপ কাজ করার ইচ্ছা করলেও তার গুনাহ লেখা হয়। আমি উনার কাছে দ্বিতীয় বিষয়টি আপত্তি করেছি।( খারাপ কাজের গুনাহ)

তো তিনি দলিল হিসেবে সূরা বাকারার ২৮৪ নং আয়াত وان تبدوا ما في انفسكم أو تخفوه يحاسبكم به الله
অর্থ: তোমাদের অন্তরে যা আছে, তা তোমরা প্রকাশ করো কিংবা গোপন করো, আল্লাহ তার হিসাব তোমাদের নিকট হতে গ্রহণ করবেন।
এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম অত্যন্ত ভয় পেলেন। যাই হোক এই আয়াত রহিত হয়ে গেছে পরবর্তী আয়াত দ্বারা ,, আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেন। (বিস্তারিত আলোচনা)

* এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, ان الله تجاوز عن امتي ما وسوسه به صدرها ما لم تعمل به او تتكلم অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের অন্তরে আবর্তিত কুচিন্তা ও ওয়াসওয়াসার বিষয়টা মাফ করে দিয়েছেন। যে পর্যন্ত এগুলো কার্যে পরিণত অথবা মুখে উচ্চারণ না করা হয়। (বুখারী মুসলিম)
মানুষের মনে অনেক সময় খুবই খারাপ চিন্তা ও ভাব জাগ্রত হয়। এবং কোন কোন সময় অবিশ্বাসী ও নাস্তিক মূলক প্রশ্ন মানুষের মস্তিষ্কে অস্থির করে ফেলে। এই হাদিসে আশ্বস্ত করা হয়েছে তাদের এরকম পাপ ক্ষমা করা হবে। তবে হ্যাঁ এসব কোচিংটা যদি কথা এবং কার্যে পরিণত হয় তখন এর শাস্তি দেওয়া হবে।

অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরও স্পষ্ট করে বলেন, আল্লাহ্ বলেন, আমার বান্দা কোন গুনাহ্‌র কাজ করতে চাইলে তা না করা পর্যন্ত তার গুনাহ্ লেখো না। আর যদি তা করেই ফেলে, তাহলে তা সমপরিমাণ লেখো। আর যদি আমার (মাহাত্ন্যের) কারণে তা ত্যাগ করে, তাহলে তার পক্ষে একটি নেকী লেখো এবং যদি বান্দা কোন ভাল কাজের ইচ্ছা করল কিন্তু তা না করে, তবুও তোমরা তার জন্য একটি নেকী লেখো। তারপর যদি তা করে, তবে তোমরা তার জন্য কাজটির দশ গুণ থেকে সাত'শ গুণ পর্যন্ত লেখো। (বুখারী)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন
আমীন 🤲

27/09/2024

🥀দোয়া সম্পর্কে 🥀

*আমরা অনেকে হতাশ হয়ে বলি এত নামাজ আদায় করি, রোজা করি, আল্লাহর কাছে এত দোয়া করি একটাও কবুল হয় না।

🥀 #মূলত আমাদের কৃতকর্মের জন্যই আমরা হতাশ হই
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, পক্ষান্তরে তাদের ওই কৃতকর্মের কারণে যখন তাদের কোন অনিষ্ট সাধিত হয়, তারা হতাশ হয়ে পড়ে।(আর রুম -৩৬)
অন্য জায়গায় বলেছেন, لا يايئس من روح الله الا القوم الكافرون অর্থাৎ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, কেননা কাফের সম্প্রদায় ছাড়া আল্লাহর রহমত থেকে কেউ নিরাশ হয় না। (ইউসুফ -৮৭)

শুধু তাই নয় দোয়া করলে সে দোয়া বিফলে যায় না, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম দু‘আ করার সময় কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দু‘আ না করলে অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা তাকে এ তিনটির একটি দান করেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং (৩) অথবা তার মতো কোন অকল্যাণ বা বিপদাপদকে তার থেকে দূরে করে দেন। (আল হাদিস)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বেশি বেশি করে দোয়া করার তৌফিক দান করুন। আমীন 🤲

Address

Lalmonirhat

Telephone

+8801836624914

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdur Rahman Sarker posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share