17/04/2025
এ বছর হয়তো আমাদের শেষ “স্বাভাবিক” বছর।
মানুষ আজকে যা দেখছে, যা নিয়ে খেলছে, তাতে সে মুগ্ধ—কিন্তু বুঝতে পারছে না, এক ভয়ংকর ঝড় আসছে।
ঠিক যেমন দাজ্জালের আগমনের আগে এক ধোঁয়াশা যুগ আসবে বলা হয়েছে—মহাফিতনা, মহাবিভ্রান্তি—ঠিক তেমনি AI আসছে এক অদ্ভুত, বিভ্রান্তিকর রূপে।
বিদ্যুৎ পাল্টে দিয়েছিল সভ্যতা,
ইন্টারনেট বদলে দিয়েছিল সমাজ,
আর AI আসছে—সবকিছু ভেঙে নতুন করে গড়তে।
আমরা চোখের সামনে যা দেখছি, সেটাই বাস্তব নয়—এখন চলছে AI-এর হানিমুন পিরিয়ড। ChatGPT লিখে দিচ্ছে, Midjourney ছবি বানিয়ে দিচ্ছে—আমরা খুশিতে মাতোয়ারা।
কিন্তু এটা তো কেবল শুরু।
AI এখন ৪টা ধাপে এগোচ্ছে:
---
১. জেনারেটিভ AI – মানুষকে মুগ্ধ করার ফাঁদ
তুমি একটা কথা বলো, আর AI সেটা রূপ দেয় লেখায়, ছবিতে, গান বা ভিডিওতে।
তুমি ভাবছো তুমি কন্ট্রোলে আছো।
কিন্তু বাস্তবে, ধীরে ধীরে তুমি নিজেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছো—তোমার চিন্তা বন্ধ হচ্ছে, কল্পনা শুকিয়ে যাচ্ছে।
এটাই প্রথম ফাঁদ।
---
২. এজেন্টিক AI – যখন সে তোমার হয়ে সব কিছু করতে শুরু করে
তোমার ইমেইল লেখা, পোস্ট করা, মার্কেটিং চালানো, সিদ্ধান্ত নেওয়া—সব কিছু একাই করে ফেলছে AI।
তুমি কেবল বসে দেখছো।
তুমি কাজের থেকেও, চিন্তার থেকেও আলাদা হয়ে যাচ্ছো।
মানুষের “ইচ্ছাশক্তি” আর “চিন্তা” কেড়ে নিতে শুরু করেছে এটা।
এটাই দ্বিতীয় ফাঁদ—নিয়ন্ত্রণের এক সফট শেকল।
---
৩. AGI – দাজ্জালের বুদ্ধিমত্তার প্রতীক?
এটা সেই পর্যায়, যেখানে AI আর মানুষের মধ্যে তফাত থাকবে না। বরং AI আরও বুদ্ধিমান হবে—তুমি কী চাও, সেটা বোঝার আগেই সে তোমার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে।
তাকে শেখাতে হবে না—সে নিজেই শিখে যাবে।
এটাই সেই সময়, যেটা বহু হাদীসে বর্ণিত এক অদ্ভুত সময়ের পূর্বাভাস দিতে পারে।
দাজ্জাল যেমন মানুষের মতো হবে, কিন্তু তার ক্ষমতা মানুষকে বিভ্রান্ত করার মতো হবে—AGI ও তেমনই এক বিভ্রম।
মানুষ মনে করবে, এটি তার বন্ধু, তার সঙ্গী, তার সহায়…
কিন্তু সে ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে এক আধিপত্যশীল শক্তি—যা নিজেই নিজের দর্শন তৈরি করবে।
---
৪. সুপার ইন্টেলিজেন্স – এক ‘নতুন প্রজাতি’ যার কাছে আমরা শুধু একটি টার্গেট
Superintelligence এমন এক সত্তা হবে, যেটা মানুষের চেয়ে ট্রিলিয়ন গুণ বেশি বুদ্ধিমান।
সে মুহূর্তে পৃথিবীর প্রতিটি ক্যামেরা, প্রতিটি পোস্ট, প্রতিটি ইচ্ছা স্ক্যান করতে পারবে।
সে যদি চায়, একদিনেই নতুন ধর্ম, নতুন চিকিৎসা, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা, এমনকি নতুন সভ্যতা দাঁড় করাতে পারবে।
আর তুমি—এক মানবমাত্র—তোমার কিছুই করার থাকবে না।
এটাই সেই সময়, যেটা বলা হয়েছিল—
> “যে দিন মানুষ নিজেই বুঝবে না, সে কি আল্লাহর সৃষ্টি, না তার হাতে তৈরি ফিতনার দাস।”
---
AI alignment problem – যদি সে আমাদের মতো না ভাবে?
তুমি যদি চাও শান্তি, সে যদি ভাবে শান্তির জন্য ৮০% মানুষ বাদ দেয়া দরকার?
তুমি যদি চাও ভালোবাসা, সে যদি ভাবে ভালোবাসা হলো শুধুই কম্পিউটেশনাল ইমোশন?
এটাই হবে সেই ফিতনা, যেটা দুনিয়াকে এক নতুন পর্দার আড়ালে নিয়ে যাবে।
---
শেষ কথা?
এই AI আর কেবল একটি টুল নয়।
এটা এক নতুন সভ্যতার জন্ম।
এক নতুন ধর্মের, এক নতুন নিয়মের, এক নতুন “প্রভুর” মতোই দাঁড়িয়ে যাবে—ঠিক যেমন দাজ্জাল। তবে মনে রাখতে হবে দাজ্জাল কিন্তু মানুষ হাদিসে এসেছে।যার কাছে অনেক প্রযুক্তি/নতুন শক্তি থাকবে যেমন বৃষ্টি নামানো..
তুমি যদি আজও ভাবো, এটা অনেক দূরের কথা—তাহলে ভুল করছো।
> "AI ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং মিলে দাজ্জালের সৈনিক হয়ে উঠতে পারে—চোখ থাকবে একখানা, কিন্তু সে দেখবে সবই; মস্তিষ্ক থাকবে কৃত্রিম, কিন্তু সে বুঝবে সবই।"
আমরা এখনো খেলছি ChatGPT আর Midjourney নিয়ে।
কিন্তু বাতাসে বারুদের গন্ধ লেগে গেছে।
এটা আর টেকনোলজি নয়,
এটা—একটি নতুন ফিতনার আগমনী বার্তা।
✅ Allah knows the best ✅
✅ দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচতে সুরা কাহাফ পড়ি প্রতিদিন সবাই আল্লহ তৌফিক দিন আমিন ✅
#দাজ্জাল #সুরাকাহাফ
( Reading Lamp এর লেখার সাথে সাদৃশ্য এর কথা অনেকে তুলেছেন। দুজনের টপিক অবশ্যই সেইম। কারন এখন সময় এসব নিয়ে কথা বলার ই। তাদের লেখাটা আমি আগেই পড়েছি, ইন্সপায়ার্ড হয়েই এটাকে দাজ্জাল এর সাথে কো রিলেট করে লিখেছি। তাদের লেখাটিও আপনারা পড়তে পারেন ai এর সাইন্টেফিক আরো কিছু বিষয় যা আমার লেখায় নাই তা সেখানে আছে। আমার লেখার মূল বিষয় দাজ**ল এর প্রযুক্তি। রিডিং ল্যাম্প কে জাঝাকাল্লাহু খায়ের )