আলোর দিশা

আলোর দিশা Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আলোর দিশা, Digital creator, Madarsa.

23/06/2025

📌যে মানুষটাকে আপনি আজ খুব বাজে ভাবে ঠ'কালেন! সে মানুষটা আপনাকে অ'ভিশাপ দিক বা না দিক, আপনিও একদিন খুব বাজে ভাবে ঠ'কে যাবেন, হয়তো অন্য কারো কাছে নয়তো অন্য কোনো ভাবে, তবে ঠকে আপনি অবশ্যই যাবেন, কারণ! বাস্তবতা হচ্ছে-- তার থেকে আপনার মুক্তি মিললেও, তার রুহের হায় থেকে কখনোই আপনার মুক্তি মিলবে না;

✅কাউকে বিনা কারণে অ'ন্যায়ভাবে আ'ঘাত করলে, কারো সাথে বে'ঈমানী কিংবা প্র'তারণা করলে সাময়িকভাবে আপনি নিঃসন্দেহে ভালো থাকবেন, তবে বেশি দিন ভালো থাকবেন না, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তো কখনোই নয়, আর ওপারের কথাটা না হয় না-ই বা বললাম;

✅বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় আপনি খুব দক্ষতার সহিত কারো বিশ্বাস ভা'ঙ্গছেন? আপনার দেওয়া দুঃ'খ - ক'ষ্টে প্রার্থনায় বসেও কেউ চোখের জল ফেলছে?
প্রস্তুত থাকুন আজ না হয় কাল আপনার বিশ্বাসও কেউ না কেউ ভা'ঙ্গ'বে, আপনার চোখের জলও কেউ না কেউ ফেলবে, ইচ্ছেকৃত ভাবে আপনি কারো ক্ষ'তিসাধন করলে আপনার ক্ষ'তিও কোনো না কোনো ভাবে হবেই, অন্যের দূ'র্বলতা, সরলতা কিংবা ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে আপনি যা যা অ'ন্যায় করবেন, গোলাকার এই পৃথিবীতে ঘুরে ফিরে তার সবটাই ফিরে পাবেন, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র;

✅আপনার অ'ন্যায়, অ'ত্যাচার, অ'বিচার, ব্য'ভিচার, অ'প'কর্ম, প্র'তারণা, ঠ'কানো, বে'ঈমানী
সব কিছু আপনি ভুলে যেতে পারেন, যার সাথে করেছেন সেও হয়তো কোনো দিন ভুলে যেতে পারে কিন্তু! প্রকৃতি কখনোই কোনো কিছু ভুলে না, তাই আপনার কর্ম ভালো হোক বা মন্দ! প্রকৃতি আপনাকে সেভাবেই সবটা ফিরিয়ে দিবে, ভালো কর্ম করলে ভালো, আর মন্দ কর্ম করলে মন্দ, সে যাইহোক না কেনো, তবে ফিরিয়ে আপনাকে অবশ্যই দিবে;

✅মনে রাখবেন! গোলাকার এই পৃথিবীতে ভালো মন্দ সব কিছুই ঘুরে ফিরে ফিরে আসে, মানুষের হিসাবে ভুল হলেও প্রকৃতির হিসাবে কখনোই ভুল হয় না, প্রকৃতি তার নিজস্বতায় সব কিছুর হিসাব খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবেই রাখে, প্রকৃতি যে হিসাবে বড্ড পাকা, কর্মফল ভোগ না করিয়ে কখনো কাউকে ছাড়ে না;

✅জানেন তো? ইংরেজিতে Revenge of Nature বলে একটা কথা আছে! বাংলায় যাকে প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে, কিন্তু! আমরা যখন ঠকে গিয়ে ঠকবাজ, প্রতারক, বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও চরিত্রহীন মানুষ গুলোকে ভালো থাকতে দেখি, তাও আবার দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কিংবা যুগের পর যুগ ধরে, তখন আমরা বলি-- Revenge of Nature বলে কিচ্ছু হয় না, কিচ্ছু না, ওটা শুধুমাত্র সান্ত্বনার বাণী, কিন্তু না, মোটেও তা ঠিক নয়, এগুলো আসলে আমাদের আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া অশান্ত মনের অশ্রুকণা;

✅আসল কথা হচ্ছে -- আপনি সবাইকে ফাঁকি দিতে পারলেও প্রকৃতিকে কখনোই ফাঁকি দিতে পারবেন না, সবাই আপনাকে ছেড়ে দিলেও প্রকৃতি কখনোই আপনাকে ছেড়ে দিবে না, মনে রাখবেন! মানুষ যা পারে না প্রকৃতি তা খুব ভালো ভাবেই পারে, মানুষ যে হিসাব মিলাতে পারে না বলে, হিসাব খানি অপূর্ণ রয়ে যায়, প্রকৃতি সে হিসাব সময় মত কড়ায়গ'ণ্ডায় মিলায়, মানুষ যে বিচারের ভার সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়ে নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে সব সহ্য করে যায়, প্রকৃতি সে বিচারের সাজা এই দুনিয়াতেই ভো'গ করিয়ে নিয়ে যায়;

✅কাউকে অন্যায়ভাবে আ'ঘা'ত করা ছাড়ুন, ঠ'কিয়ে লাভবান হওয়ার চিন্তা বাদ দিন, প্র'তা'র'ণা করার মানসিকতার জলাঞ্জলি দিন, জীবনে এমন ভাবে বাঁচুন যেন আপনার দ্বারা কখনোই কারো ক্ষ'তি না হয়, আপনি যেন কখনো কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ না হন, জানেন তো? মানুষের দী'র্ঘ'শ্বা'স ভীষণ ভ'য়ং'ক'র, কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ হয়েছেন তো আপনার শা'স্তি অনিবার্য, তাই! জীবনে আর কাউকে পরোয়া করুন আর না করুন সৃষ্টিকর্তাকে পরোয়া করুন, মনে রাখবেন! তিনি ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না কখনো।

আহমেদাবাদ বিমান ক্র্যাশ মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে cctv ফটোগুলি যা ক্র্যাশ হতে যাচ্ছে যা ব্ল্যাকবক্স গ্রহণ করেছে 😭😭😭😭😭
20/06/2025

আহমেদাবাদ বিমান ক্র্যাশ মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে cctv ফটোগুলি যা ক্র্যাশ হতে যাচ্ছে যা ব্ল্যাকবক্স গ্রহণ করেছে 😭😭😭😭😭

07/11/2024

একটি পরীক্ষিত আমল।
এর মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। ছোট একটা আমল আপনার সকল নেক আশা পূরণ করে দিবে।

আপনি মন থেকে যা চাইবেন তাই পাবেন,
আমলের নিয়ম হল;

১১ বার দরুদ শরীফ পড়বেন, আগে পরে। নামাজের পর। প্রতি ফরজ নামাজের পর এই দোয়াটা 11 বার পড়বেন। যার যার মনের যে আশা ও আকাঙ্ক্ষা তার সম্পর্কে দোয়া করবেন। সারাদিন জিকির করবেন এই দোয়াটা। ইনশাআল্লাহ সাত দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে কারিশমা দেখতে পাবেন।

দোয়াটি হল।

উচ্চারণ : ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা নিয়মিত বেশি বেশি পাঠ করে ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম পাঠ কর।

তিরমিজি শরীফ।

ইহা হলো ইসমে আজম।

নিয়মিত আমল করুন সাত দিন থেকে ১০ দিনের ভিতরে আপনার দোয়া কবুল হবে ইনশাআল্লাহ।

07/11/2024
07/11/2024

মেহমানের খেয়ে রাখা খাবার বা গ্লাস/প্লেট ধুয়ে রাখার আগে কিছু করনীয়:

কদিন পর পরই বাসায় এ ও আসে, দাওয়াত দিলে মেহমান আসে, প্রতিবেশিরা আসে, আত্মীয়রা আসে।
এসে আমাদের অনেক কিছুর প্রতিই তারা ইম্প্রেস হয়, তাদের ভাল লাগে, প্রশংসা করে। কেউ আমাদের বাচ্চাদের সুন্দর স্বাস্থ্য দেখে অবাক হয়, বাচ্চাদের খাওয়া অবস্থায় দেখে প্রশংসা করে, কিংবা আমাদের সুন্দর চুল, স্কিন, রূপ এসব দেখে অবাক হয়, প্রশংসা করে সাথে নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়া চুল/রূপ নিয়ে আফসোস করে। আবার অনেকে রান্নার প্রশংসা করে, ফার্নিচারের প্রশংসা করে। অনেকে এসব প্রশংসার আড়ালে নিজের কষ্ট লুকিয়ে রাখে, মা শা আল্লাহ বলে না, বারাকাল্লাহ বলে না।

যার ফলে বদ নজর লেগে যায়, নষ্ট হতে থাকে চুল, রূপ, স্বাস্থ্য, বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি।
এরপর শুরু হয় পেরেশানি, মন খারাপ। দিনের পর দিন অবনতি। হবেই না কেন, বদনজর সত্য এবং বদনজর মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যায়।

আমরা অনেকেই ধরতে পারি না এসব যে বদনজরের কারণে হতে পারে। ডক্টরের পিছু দৌড়াই, মেডিসিনের স্তুপ করি। তাও কোনো সুরাহা মেলেনা। অনেকে একটা পর্যায়ে বুঝতে পারি যে বদনজর লেগেছে, আবার অনেকে কখনওই বুঝতে পারি না। এভাবে সময়ের সাথে সমস্যাগুলো ভালমতো শেকড় মজবুদ করে গেড়ে বসে। তখন সমাধান করতেও লেগে যায় অনেকটুকু সময়।

বদনজর থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব রুকইয়াহ করা। আর সবচেয়ে সহজ রুকইয়াহ হচ্ছে যার নজর লেগেছে বলে মনে হয় তার ওজুর পানি, কিংবা ঝুটা খাবার, কিংবা শরীরের কোনো স্পর্শ, ঘাম বা কাপড় ইত্যাদি। এসবের কোনো একটাও যদি পাওয়া যাওয়া তবে তা দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মুছে দিলে, বা খাওয়ালে ইন শা আল্লাহ নজর কেটে যাবে। আর যদি এসবের কোনোটিই না পাওয়া যায় তবে বদনজরের আয়াত ও দুয়া দিয়ে টানা নিজে নিজেই রুকইয়াহ করে যেতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর।

তো সবচেয়ে সহজ হচ্ছে ব্যক্তির ঝুটা দিয়ে ট্রিটমেন্ট করা। আর এই ঝুটা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ব্যক্তির খেয়ে রাখা গ্লাস, চামচ বা প্লেট।

যখনই ঘরে মেহমান আসবে, মেহমানের খেয়ে রাখা গ্লাস, চামচ, প্লেট, হাত-মুখ মুছে ফেলে রাখা টিস্যু বা টাওয়াল এসব আলাদা করে রাখবেন। ধুয়ে ফেলার জন্য বেসিনে রাখবেন না। মেহমান চলে গেলে সেসব ঝুটা ধুয়ে পানি নিয়ে তা খাওয়া গেলে একটু করে খেয়ে নিবেন, বাচ্চাদেরও খাওয়াবেন, কিংবা গায়ে মাখিয়ে নিবেন, বাচ্চাদেরও মাখিয়ে দিবেন, ঘর বাড়িতেও ছিটিয়ে দিবেন। এতে করে ইন শা আল্লাহ নজর লাগলে তা সহজেই কেটে যাবে।



সংগৃহীত

শ্বশুর বাড়িতে পা রেখেই বুঝতে পারলাম, এই বাড়িতে সবকিছুই শাশুড়ী মায়ের ইশারায় চলে। নতুন বউ বরণ করার সময়ে, যারা ই আমাকে কিছু...
04/11/2024

শ্বশুর বাড়িতে পা রেখেই বুঝতে পারলাম, এই বাড়িতে সবকিছুই শাশুড়ী মায়ের ইশারায় চলে। নতুন বউ বরণ করার সময়ে, যারা ই আমাকে কিছু খাওয়াতে আসছেন, সবাই একনজর শাশুড়ী মায়ের দিকে তাকাচ্ছিলেন।

বিয়ের আগে উনাকে মাত্র একবার দেখেছি, যথেষ্ট রুচিশীল মহিলা, যেমন কথা বার্তা তেমন পোশাক আশাক।

সেদিন রাতে আমার স্বামী আমাকে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, দেখো এ বাসায় কখনো একটা কাজ করার চেষ্টাও করবেনা। মা যা বলবে, সেটাই মেনে নিবে। কোনও জিজ্ঞাসা করা যাবেনা। শুধু এটুকুই চাওয়া তোমার কাছে। সেদিন রাতেই আমার মনে হচ্ছিলো কত বড় নরকে পড়তে যাচ্ছি আমি!!!

সারাজীবন নাটক সিনেমাতে, কাছের ভাইবোনদের কাছে শুনতাম শাশুড়ি শাশুড়িই হয়!!!! ঝগড়াঝাটি ঝামেলা সারাক্ষণই লেগে থাকে। আমি ভীষন শান্তিপ্রিয় মানুষ, শ্বশুড়বাড়িতে প্রথম দিনেই এমন আভাস পাওয়ায় আমি বেশ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লাম।

সমস্ত অনুষ্ঠানাদী শেষ হওয়ার পর, পুরো বাড়িতে তখন কেবল আমি, আমার স্বামী সৌর, আর আমার শাশুড়ী মা।

অফিসের ছুটিও ততদিনে শেষ হয়ে আসলো। শাশুড়ী মা তখনও গুরুগম্ভীর, কাজের বাইরে খুব একটা কথা বলেন না।

উনার কাছে বেশ ভয়ে ভয়েই বলতে গেলাম,
- মা আমার ছুটি শেষ হয়ে এসেছে, আমাকে কালকে থেকে অফিসে জয়েন করতে হবে।

তিনি সেরকম কোনও কথা না বলে বললেন,

- তোমার অফিসে কি লাঞ্চ দেয়? নাকি আগে বাসা থেকে নিয়ে যেতে?
- না মা, অফিসেই দেয়।
- ঠিক আছে সাবধানে যাও, পৌঁছে আমাকে জানিও, আর শোনো তোমার অফিসের ঠিকানা টা, বিছানার পাশে রাখা, আমার ডায়েরী তে লিখে দিয়ে যাও।

রাতে বাসায় ফিরে তড়িঘড়ি করে রান্নাঘরে ঢুকতেই মা বলে উঠলেন, "টেবিলে বসো তোমরা, খাবার দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়বে,তাহলে একটা লম্বা ঘুম হবে, না হয় অফিস গিয়ে তো ঝিমুবে। "

- মা আমি অফিস থেকে ফিরে রান্না করবো, আপনি রেস্ট করবেন। শুধু শুধু কষ্ট হবে আপনার।

- চাকরী করছো, পুরো মনোযোগ ওখানেই দাও। সব কিছু সামলে নিতে চাইলে কোনও টাই খুব ভালো হবেনা। তুমি মাঝেমধ্যে এটা ওটা করে খাওয়াতে চাইলে, ছুটির দিনে করিও। যতদিন বেঁচে আছি এদিক টা তোমার ভাবতে হবে না।

আমি যারপরনাই অবাক হলাম, শাশুড়ী মায়ের কথা শুনে। আমি ভাবলাম হয়তো নতুন তাই মা আমায় কিছু করতে দিচ্ছেন না!

কিন্তু ভাবনার ছেদ পড়লো, যখন বিয়ের একবছর পার হয়ে গেছে, এখনও রোজ অফিস থেকে ফিরলে মা খাবার রেডী করে টেবিলে সাজিয়ে রাখেন। উনাকে আমি বুঝতে পারিনা। ভীষণ শক্তপোক্ত মানুষ, খুব কম কথা বলেন, কিন্তু সবকিছু নিজ হাতে করেন! আমার বোঝার কোনও উপায় নেই আমি এ বাড়ির, বউ না মেয়ে!

বেশ কদিন হল অফিসে বেশ ঝামেলা চলছে, একদিন রাত ৯ টা বেজে গেলো, আমিও কাজের চাপে বাসায় ফোন করে জানাতে ভুলে গেছি যে বাসায় যেতে দেরী হবে। হঠাৎ রিসিপশন থেকে একটা ফোন আসলো,
-"ম্যাডাম নিচে ওয়েটিং রুমে আপনার জন্য একজন অপেক্ষা করছেন।"

আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না এই সময়ে আমার কাছে কে আসবে! সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে ওয়েটিং রুমে যেয়ে দেখি শাশুড়ী মা বসে আছেন! বেশ গম্ভীর মুখ।

-মা আপনি এখানে!
-তোমার কাজ শেষ নাকি আরেকটু লেট হবে?
- না মা, হয়ে এসেছে, আমি এই বের হবো।
- ঠিক আছে, ব্যাগ নিয়ে আসো, আমি অপেক্ষা করছি।

পুরোটা রাস্তা তিনি গুরুগম্ভীর ছিলেন, বাসায় ফিরতেই মা বললেন,
-কতগুলো ফোন দিয়েছি তোমাকে? ফোন দিয়ে তো জানাতে পারতে তোমার দেরী হবে!
-মা স্যরি দেখি নি।
-তোমার না দেখার কারণে যে, আমার কি পরিমান চিন্তা করতে হয়েছে সেটা তুমি বোঝ? এখন থেকে দেরী হলে আগে জানাবে আমায়।
-জ্বি মা।
-এরকম ওভারটাইমে অফিসে সন্ধ্যায় নাস্তা দেয় তো?
-জ্বি মা।
এরপর কখনো অফিসে রাত হলে, সবদিন ই বাসায় ফিরে দেখতাম মা আর সৌর আমার জন্য না খেয়ে অপেক্ষা করতেন।

বিয়ের প্রায় দু'বছর হয়ে যাচ্ছে, এমন এক দিন আমরা তিনজন মিলে আমার ফুপু শাশুড়ীর বাসায় দাওয়াত খেতে গেলাম। গল্পের একফাঁকে ফুপু শাশুড়ী একটু খোঁচা মেরেই বললেন,
-বউ খালি বাইরে কাম করলে চলবে? বাচ্চা নিবে কবে?

আমি ইতস্তত করতে করতে কিছু একটা বলবো, তখনই শাশুড়ী মা বলে উঠলেন,

- দেখো রাহেলা, ওদের প্ল্যান অনুযায়ী যখন ইচ্ছে নিবে, আর সবচে বড় কথা উপরওয়ালা যখন চাইবে তখনই হবে। যেচে যেচে এতো গোপন কথা কাওকে জিগ্যেস করো না, ভালো দেখায় না। আমরা না হয় নিজের মানুষ অন্য কাউকে বললে আবার লজ্জায় পড়তে পারো।

মুহূর্তেই ফুপু শাশুড়ীর মুখ চুপসে গেলো, তৎক্ষনাৎ তিনি বলে উঠলেন,

- ভাবি বউরে এতো মাথায় তুইলো না, পরে যখন দেখবে না, মুখ ঝামটা দিবে তখন বুঝবা।

- আমার বাড়ির বউ কি, তোমাদের বাড়ির বৌয়ের মতো ঘরের কাজের লোক নাকি যে আমায় দেখে রাখবে? তোমরা তো আজীবন আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছো, পায়ে ঠেলে রেখেছো পুরো বাড়ির লোক মিলে। আমি না হয় আমার বৌ রে আদর দিয়ে মাথায় তুলেই রাখি। দেখবে কি না দেখবে সেই আশা তো আমি করি না।

বাড়ি ফিরে আমি ভাবছিলাম, এত শক্ত সমর্থ মানুষ, কি দারুণ ব্যক্তিত্ব তার সাথে আবার কেউ খারাপ ব্যবহার করতে পারে! তাকে আবার কেউ কমান্ড দিতে জানে!

ভীষণ কৌতুহল বোধ থেকে, বেশ সাহস সঞ্চয় করে, মায়ের সাথে গল্প করতে করতে জিজ্ঞেস করলাম,
- মা আপনার সংসার জীবন কেমন ছিলো?

মা তখন বেশ দৃঢ় কন্ঠে বললেন,

- শোনো মা, দুনিয়া টা শক্তের ভক্ত নরমের যম। আমি সবসময় চুপ থাকতাম, তাই সবাই পেয়ে বসতো। সরকারি চাকরী হয়েছিলো, শাশুড়ী মা আমায় চাকরী করতে দেন নি, পেটে তখন আমার সৌর। সে কি তুলকালাম কান্ড! তোমার শশুরও যাচ্ছে তাই ব্যবহার ই করতেন! ওদের এহেন ব্যবহারে আমার ঘেন্না চলে এসেছিলো। পরের জীবনটুকু দায়বদ্ধতা থেকে শুধু ওদের জন্য করেই গেছি, কোনও শ্রদ্ধা কিংবা কোন ভালোবাসার ছিটেফোঁটা ছিলো না। বলতে বলতেই তার দু'চোখ বেয়ে পানি পড়ছিলো।

আমি কেবল অবাক হয়ে দেখছিলাম, এত কঠোর মানুষ কিভাবে কাঁদছে!

মা তখনো বলছিলেন,
- শুধু মন থেকে চাইতাম আমার ছেলেটা যাতে মানুষ হয়, ছেলেটা ও বড় হলো, আমিও বল পেলাম। সবসময় চেয়েছি এ বাড়িতে সৌরে র বউ যাতে আমার মেয়ে হয়েই থাকে। নিজে যা পাইনি, আমার ছেলের বৌ যাতে সে বিভীষিকার মুখোমুখি না হয়।

শাশুড়ী তো সবাই হয় রে মা, কয় জন অন্যের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা মেয়েটার মা হয়ে উঠতে পারে বলো!

অবাক চোখে আর ভীষণ শ্রদ্ধাভরে আমি আমার শাশুড়ী মা কে দেখছিলাম! কি উন্নত একজন মানুষ।

04/11/2024

কদিন আগে আমার এক বন্ধুর মায়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। দুনিয়ার যাবতীয় ফ্রাস্ট্রেশন ঝেড়ে আন্টিকে বললাম "আন্টি, আমার জন্য দোয়া করেন আল্লাহ যেন আমাকে ধৈর্য দেন"

উনি বললেন "আল্লাহর কাছে কখনো ধৈর্য চাইবা না। আল্লাহর কাছে তুমি যেটাই চাবা আল্লাহ তোমাকে সেইটাই দিবে। ধৈর্য চাইলে ধৈর্য দিবে, ধৈর্যের পরীক্ষাও নিবে। অনেক কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তোমার ধৈর্য বাড়াবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করবা আল্লাহ যেন সবকিছু তোমার জন্য সহজ করে দেন"।

আমি কথাটা শুনে খানিক্ষণ চুপ করে ছিলাম যে আসলেই তো। ধৈর্য কেন চাই আমরা আল্লাহর আছে। ধৈর্য মানেই তো কঠিন সময় এক্সেপ্ট করে নেওয়া, অথচ চাইলেই তো আল্লাহ সব সহজ করে দিতেন।

এইটা মনে হয় আমার জীবনে শোনা সুন্দরতম মোটিভেশন। আমি আর আল্লাহর কাছে ধৈর্য চাই না। আল্লাহ যেন আমাকে এমন পরিস্থিতি না দেন যেখানে ধৈর্য লাগে। আল্লাহ আমার জন্য, আমাদের জন্য যেন সবকিছু সহজ করে দেন।

05/10/2024

☘️ দোয়া কবুলের গল্প!

ইস্তিগফার একটা মিরাকেল। আমি একজন মহিলাকে চিনি যার বয়স ৪০ হয়ে গেছিলো এবং তার বিয়ে হচ্ছিলো না। সে অসুস্থ ছিলো এমনকি অন্ধ ছিলো। সে ৪ বছর ধরে একটানা ইস্তিগফার করেছিলো। এতো বেশি পরিমানে করেছিলো যে সংখ্যাটা বললে অসম্ভব ভাববেন। ভাববেন যে সে কি সারাদিন শুধু ইস্তিগফারই করতো!
আলহামদুলিল্লাহ সে সুস্থ হয়ে যায় আর তার চোখ ভালো হয়ে যায়। সে তার বয়সী একজন বড়লোক লোককে বিয়ে করে। তার জীবন পুরো ১৮০° বদলে যায়।

05/10/2024

পছন্দের মানুষকে হালালভাবে জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনী হিসেবে পেতে যে আমল করবেন।

যদি আপনি কাউকে হালালভাবে জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসাবে পেতে চান। অনেক প্রস্তাব দিচ্ছেন কিন্তু সে প্রত্যাখ্যান করছে কোনভাবেই কাজ হচ্ছে না। তার সাথে আপনার কোন রকমের হারাম সম্পর্কও নেই।

যদি আপনার এমন অবস্থা হয়ে থাকে, তাহলে আজকে আপনাকে হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া কথা বলব ওই দোয়ার আমল যদি আপনি করতে পারেন আশাবাদী আল্লাহ তায়ালা আপনার পছন্দের ব্যক্তি কে আপনার জীবনসঙ্গী বা সঙ্গীনি হিসেবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।

আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যখন কোন কিছু পছন্দ হতো তখন তিনি এই দোয়া পড়তেন, এবং আল্লাহ তাআলার কাছে এভাবে দোয়া করতেন হে আল্লাহ যদি এই জিনিসের মধ্যে আমার কল্যাণ থাকে তা আপনি আমাকে দান করুন। সাথে সাথেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তা অর্জিত হয়ে যেত।

(ইবনে মাজাহ ৩০৬৮)

দোয়াটি হলো।

الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات

উচ্চারণ ; আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি বিনিমাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত।

আমলটি করার নিয়ম হলো।

আপনি যাকে পছন্দ করেন তার দিকে তাকিয়ে ৩ বার এই দোয়া পাঠ করুন। ১১ দিন পর্যন্ত আমলটি করুন।
যদি সে আপনার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আল্লাহ তাআলা ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।

আর যদি আপনার জন্য কল্যাণকর না হয়। তাহলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও ধোঁকা থেকে আল্লাহতালা আপনাকে হেফাজত করবেন। এবং উত্তম জীবনসঙ্গী সঙ্গিনীর ব্যবস্থা করে দিবেন।

ইনশা আল্লহ।

Mizan Bin Hafiz

05/10/2024

#একটি_আমল_শিখি

সুরা আরাফ আয়াত ১০ প্রতিদিন মাগ্রিবের পর ১০০ বার পড়লে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়।

Address

Madarsa

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোর দিশা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share