Alauddin tv

Alauddin tv Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Alauddin tv, Video Creator, khulna, Magura.

🎥 *Alauddin TV* — বাস্তব জীবনের গল্প, অনুপ্রেরণার বার্তা আর সমাজের কথা তুলে ধরি ক্যামেরার ভাষায়।
মানবিকতা, বাস্তবতা আর বিনোদনের সম্মিলন এখানে।

চা নিয়ে কুইজ, জ্ঞানের সাথে স্বাদের মিশেল!     #বাংলা_কুইজ        #চায়েরআড্ডা
05/09/2025

চা নিয়ে কুইজ, জ্ঞানের সাথে স্বাদের মিশেল!
#বাংলা_কুইজ #চায়েরআড্ডা

গল্প: কালরাত্রি এক্সপ্রেসরাত তখন গভীর, কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থিকথিকে ভিড়, কিন্তু এই ভিড় ...
03/09/2025

গল্প: কালরাত্রি এক্সপ্রেস

রাত তখন গভীর, কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থিকথিকে ভিড়, কিন্তু এই ভিড় অন্য দিনের মতো সাধারণ নয়। সবার চোখেমুখে এক অদ্ভুত মিশেলের উত্তেজনা আর ভয়, কারণ আজ সেই রাত, যখন "কালরাত্রি এক্সপ্রেস" দেখা যায়। ট্রেনটি নিয়ে শহরে মুখে মুখে ফেরে অসংখ্য গল্প – ভৌতিক, রোমাঞ্চকর, আর লোমহর্ষক। অনেকেই বলে এটি নাকি এক অতৃপ্ত আত্মার বাহন, আবার কেউ বলে সময় আর স্থানের ফাটল দিয়ে আসা এক রহস্যময় ট্রেন।

এই ভীড়ের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিল আবির। বয়স তিরিশের কোঠায়, চোখে চশমা, পেশায় একজন সাংবাদিক। তার উদ্দেশ্য একটাই – কালরাত্রি এক্সপ্রেসের রহস্য উদঘাটন করা। আবিরের ছোট বোন রিমু বছরখানেক আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। সেদিনও ছিল অমাবস্যার রাত, আর রিমু উঠেছিল 'সেই' ট্রেনে। আবির পুলিশের কাছে গিয়েছিল, কিন্তু সবাই তার কথা উড়িয়ে দিয়েছিল। তাই, নিজের তাগিদেই আজ সে এখানে।

ঘড়িতে রাত বারোটা বাজতেই প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে এক অদ্ভুত শব্দ হতে শুরু করলো। প্রথমে মৃদু, তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো সেই যান্ত্রিক গর্জন। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে হঠাৎ করেই যেন কোথা থেকে উদয় হলো এক পুরনো ট্রেন। ট্রেনটির রঙ কালচে লাল, জানালার কাঁচগুলো ঘোলাটে আর লোহার ফ্রেমে মরিচা ধরা। ইঞ্জিনের ওপর থেকে এক শীতল বাষ্পের কুণ্ডলী পাকিয়ে আকাশে উঠছিল। স্টেশনের ইলেক্ট্রনিক সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল করে উঠলো – "কালরাত্রি এক্সপ্রেস, গন্তব্য: অজানা"।

যাত্রীরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো ট্রেনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। আবিরও তাদের মাঝে মিশে গেল। ট্রেন যখন প্রায় ভরে গেছে, তখন আবির দেখলো, একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক, যার পরনে শতচ্ছিন্ন শাড়ি, ট্রেনের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছে। আবিরের মনটা খচখচ করে উঠলো, কিন্তু রহস্যের হাতছানি তাকে এগিয়ে নিয়ে গেল। আবির ট্রেনে উঠলো এবং একটি ফাঁকা সিটে বসলো। ট্রেনের ভেতরটা বাইরে থেকে যেমনটা জরাজীর্ণ লাগছিল, ভেতরটা ঠিক ততটাই ভুতুড়ে। পুরনো মরচে ধরা বগি, ধূসর রঙের আসন, আর বাতাসে এক অদ্ভুত স্যাঁতসেঁতে গন্ধ।

ট্রেন চলতে শুরু করলো। স্টেশনের আলো দ্রুত মিলিয়ে গেল আঁধারের অতল গহ্বরে। ট্রেনের একমাত্র আলো ছিল হলুদটে বাল্ব, যা এক রহস্যময় আভা ছড়াচ্ছিল। আবির দেখলো, তার পাশের সিটে বসে আছে এক যুবক, যার হাতে একটি পুরনো ডায়েরি। যুবকটি আনমনা হয়ে ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরের অন্ধকারে তাকিয়ে আছে। আবির কথা বলার চেষ্টা করলো। "কোথায় যাচ্ছেন ভাই?"

যুবকটি চমকে উঠলো। তার নাম রবিন, সে একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ। রবিন জানালো, সে কালরাত্রি এক্সপ্রেস নিয়ে গবেষণা করছে। তার মতে, এই ট্রেনটি আসলে কোনো ভৌতিক সত্তা নয়, বরং এটি এক প্রাচীন সভ্যতার প্রযুক্তি, যা সময় আর স্থানের মধ্যে যাতায়াত করতে পারে। তার হাতে থাকা ডায়েরিটি ছিল তার দাদার। তার দাদা নাকি এই ট্রেন নিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং তিনিও একদিন এই ট্রেনে চড়েই নিখোঁজ হয়েছিলেন। রবিন তার দাদাকে খুঁজতেই এই ট্রেনে উঠেছে।

আবিরের মনে এক নতুন আশার সঞ্চার হলো। রবিন যদি তার দাদাকে খুঁজে বের করতে পারে, তাহলে হয়তো সে তার বোন রিমুকেও খুঁজে পাবে। তারা দু'জন মিলে ট্রেনের রহস্য উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নিলো।

রাত বাড়তে লাগলো, ট্রেনের গতিও বাড়লো। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে শুধু গাঢ় অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। হঠাৎই ট্রেনের ভেতর নিস্তব্ধতা ভেঙে এক শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে এলো। আবির আর রবিন একে অপরের দিকে তাকালো। এই পরিবেশে এমন একটি শব্দ সত্যিই হাড় হিম করে দিচ্ছিল। শব্দটা অনুসরণ করে তারা ট্রেনের পেছনের বগির দিকে এগোলো।

ট্রেনের একেবারে শেষ বগিতে গিয়ে তারা যা দেখলো, তা তাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। সেখানে শত শত মানুষের কঙ্কাল স্তূপ করে রাখা। কঙ্কালগুলোর গায়ে তখনও পোশাকের ছেঁড়া অংশ লেগে আছে। আর সেই কঙ্কালগুলোর মাঝেই বসে ছিল এক অদ্ভুত শিশু, যার চোখগুলো যেন জ্বলছিল এক অলৌকিক আভায়। শিশুটি অনবরত কাঁদছিল।

আবিরের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে এলো। সে রবিনকে টেনে নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সরে এলো। ভয় আর বিস্ময়ে তাদের শরীর কাঁপছিল। রবিন দ্রুত তার দাদার ডায়েরি খুলে কিছু একটা খুঁজতে লাগলো। ডায়েরির এক পাতায় লেখা ছিল, "কালরাত্রি এক্সপ্রেস, সে শুধু যাত্রী নেয় না, সে তাদের আত্মাকেও গ্রাস করে। এই ট্রেন কোনো গন্তব্যে পৌঁছায় না, এ শুধু অসীম শূন্যতায় পরিভ্রমণ করে।"

হঠাৎই ট্রেনটি এক ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকার। ট্রেনের ভেতরকার সমস্ত আলো নিভে গেল। আবির আর রবিন একে অপরের হাত ধরে ভয়ে কাঁপতে লাগলো। আবির তার ফোন বের করে টর্চ জ্বালালো। আলোয় দেখলো, ট্রেনের সব যাত্রীই যেন কেমন নীরব, নিশ্চল হয়ে বসে আছে। তাদের চোখগুলো অপলক, যেন তারা প্রাণহীন পুতুল।

সেই সময় ট্রেনের স্পিকারে এক গম্ভীর কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, "আপনারা সবাই কালরাত্রি এক্সপ্রেসের অংশ। এই ট্রেন আপনাদের নিয়ে যাবে এক নতুন দিগন্তে, যেখানে জীবনের কোনো অর্থ নেই, শুধু আছে অনন্ত যাত্রা।"

রবিন চিৎকার করে উঠলো, "এটা একটা বিভ্রম! আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে!" সে আবিরকে টেনে নিয়ে ইঞ্জিনের দিকে ছুটতে লাগলো। তাদের বিশ্বাস, ইঞ্জিনের কাছেই এই ট্রেনের রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে।

অনেক কষ্টে তারা ইঞ্জিনের কাছে পৌঁছালো। সেখানে ছিল একটি বিশাল কক্ষ। কক্ষের মাঝখানে একটি অদ্ভুত যন্ত্র, যা থেকে নীলচে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল। যন্ত্রটির চারপাশে অনেকগুলো লিভার আর বোতাম। রবিন তার দাদার ডায়েরিতে লেখা নির্দেশাবলী অনুসরণ করে যন্ত্রটি বন্ধ করার চেষ্টা করলো। আবির তাকে সাহায্য করলো।

যখন তারা যন্ত্রটি বন্ধ করতে যাচ্ছিল, তখন তাদের সামনে এসে দাঁড়ালো একটি ছায়ামূর্তি। মূর্তিটি দেখতে হুবহু আবিরের বোন রিমুর মতো। আবির হতবাক হয়ে গেল। "রিমু!"

ছায়ামূর্তিটি হাসলো। সেই হাসিটা ছিল বিভীষিকাময়। "আমি রিমু নই, আবির। আমি এই ট্রেনের আত্মা। এই ট্রেনই রিমুকে গ্রাস করেছে, যেমনটা সে গ্রাস করেছে আরো হাজারো মানুষকে। তোমরাও এর অংশ হতে যাচ্ছ।"

আবিরের হৃদয় ভেঙে গেল। সে রিমুকে বাঁচাতে পারলো না। কিন্তু সে হাল ছাড়লো না। রবিনকে ইশারা করলো যন্ত্রটি চালু রাখার জন্য। আবির সেই ছায়ামূর্তির দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লো, তাকে বাধা দেওয়ার জন্য। রবিন এই সুযোগে যন্ত্রের একটি লিভার টেনে দিলো।

এক তীব্র আলোয় ঝলসে উঠলো পুরো ইঞ্জিন কক্ষ। আবির চোখ বন্ধ করলো। যখন সে চোখ খুললো, তখন দেখলো, সে একটি জনশূন্য প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। কালরাত্রি এক্সপ্রেস সেখানে নেই। রবিনও নেই। আবির একা, সম্পূর্ণ একা। তার হাতে একটি ভাঙা ডায়েরি।

আবির তার হাতে থাকা ডায়েরিটি দেখলো। সেটি ছিল রিমুর ডায়েরি। তার ভেতর এক পাতায় রিমুর হাতের লেখায় লেখা ছিল – "দাদা, তুমিও এখানে এসেছো? আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাকে ফেরাতে পারবো না।"

চমকে উঠলো আবির। তাহলে কি রিমু নিজেই এই ট্রেনের অংশ হয়ে গিয়েছিল? আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় সেও কি কোনো এক ফাঁদে পা দিয়েছে? এই যাত্রার কি কোনো শেষ নেই? প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকাতেই আবির দেখলো, দূরে একটা লাইনে আবার সেই কালচে লাল আলোর আভা দেখা যাচ্ছে। ট্রেনটি আবার আসছে... তার দিকে। আবির কি সত্যিই ফিরে এসেছে, নাকি সে এখন কালরাত্রি এক্সপ্রেসের এক অনন্ত যাত্রী?

অমাবস্যার রাত তখনো শেষ হয়নি, আর কালরাত্রি এক্সপ্রেসের রহস্যও অমীমাংসিতই রয়ে গেল।

গল্পের শিরোনাম: "দৃষ্টির অতীত ফ্লাইট"১৯৮৭ সালের এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যা, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কল...
03/09/2025

গল্পের শিরোনাম: "দৃষ্টির অতীত ফ্লাইট"১৯৮৭ সালের এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যা, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট BG207। যাত্রী বোঝাই বিমান, প্রায় ১৫০ জন যাত্রী তাদের প্রিয়জনদের সাথে দেখা করার জন্য অথবা ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে ছিল এক তরুণ দম্পতি, রফিক ও সালমা, যারা তাদের প্রথম সন্তানের জন্মের খবর দিতে যাচ্ছিল সালমার বাবা-মাকে। এছাড়াও ছিলেন একজন বয়স্ক অধ্যাপক, যিনি কলকাতায় একটি সেমিনারে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, এবং একজন উচ্ছল কিশোরী, যে তার খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে যাবে বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল।উড্ডয়নের প্রায় ৩০ মিনিট পর, যখন বিমানটি সুন্দরবনের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাডার থেকে সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যায় BG207। শুরু হয় এক বিশাল অনুসন্ধান অভিযান। বাংলাদেশ ও ভারতের নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড সুন্দরবনের খাঁড়ি ও বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকা চষে ফেলে। কিন্তু কোনো চিহ্নই পাওয়া যায় না। না বিমানের ধ্বংসাবশেষ, না যাত্রীদের কোনো দেহাবশেষ। যেন বিমানটি কর্পূরের মতো বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিল।কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস পেরিয়ে যায়। আশা ক্ষীণ হতে হতে একসময় নিভে যায়। যাত্রীদের পরিবারগুলোতে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। রফিকের বাবা-মা তাদের পুত্রবধূ ও অনাগত নাতি-নাতনির শোকে পাথর হয়ে যান। সালমার বাবা-মা তাদের একমাত্র মেয়ের ছবি বুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদতেন। অধ্যাপক ও কিশোরীর পরিবারও একই রকম দুর্ভোগের শিকার হয়। BG207 ফ্লাইটটি "লস্ট ফ্লাইট" হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেয়, এক অমীমাংসিত রহস্য হিসেবে যা দশকের পর দশক ধরে মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।সময় গড়িয়ে যায়। নতুন শতাব্দী আসে, প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, দ্রুতগতির যানবাহন—সবকিছুই বদলে যায়। কিন্তু BG207 এর স্মৃতি রয়ে যায় ইতিহাসের পাতায়।২০২৩ সালের এক অদ্ভুত দিনে, কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের রাডারে একটি পুরনো মডেলের বিমান দেখা যায়। বিমানটি অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেমে একটি ভুতুড়ে সিগন্যাল দিচ্ছিল। কন্ট্রোলাররা হতবাক হয়ে যায় যখন বিমানটি থেকে একটি পুরনো ফ্রিকোয়েন্সিতে বার্তা আসে: "কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, এটি বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট BG207। আমরা আপনাদের ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি চাচ্ছি।"প্রথমে কন্ট্রোলাররা এটিকে একটি নিছক কৌতুক বা বিভ্রান্তি ভেবেছিল। কিন্তু যখন তারা বিমানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিশ্চিত করে, তখন তাদের বুকে হিমশীতল স্রোত বয়ে যায়। এটি সত্যিই BG207 ছিল! সেই ফ্লাইট যা ৩৩ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল!বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। রানওয়েতে নামার পর নিরাপত্তা বাহিনী, মেডিকেল টিম এবং বিশেষজ্ঞরা বিমানটিকে ঘিরে ফেলে। বিমানের দরজা খোলার পর যাত্রীরা একে একে নেমে আসে। তাদের পোশাক, তাদের চুলের স্টাইল—সবকিছুই ১৯৮০-এর দশকের। তাদের চোখে বিভ্রান্তি এবং ক্লান্তি স্পষ্ট। তারা যেন ঘুম থেকে জেগে উঠেছে।তাদের একজন, বৃদ্ধ অধ্যাপক, যিনি এখন অনেক বেশি বয়ষ্ক, চারপাশের সবকিছু দেখে বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলেন। রফিক ও সালমা, এখন তাদের চোখে বয়সের ছাপ, একে অপরের হাত ধরে নেমে আসে। তাদের প্রথম প্রশ্ন ছিল, "আমরা কোথায়?"কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিল না। এটি একটি টাইম ওয়ার্প? একটি সমান্তরাল মহাবিশ্ব থেকে আসা বিমান? যাত্রীদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, তাদের শারীরিক অবস্থা ৩৩ বছর আগের মতোই ছিল। তাদের ঘড়িতেও ১৯৮৭ সালের সময় দেখাচ্ছিল।খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ ও ভারতে। উভয় দেশের সরকার এবং জনসাধারণ হতবাক হয়ে যায়। এটি শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রহস্য। যাত্রীদের পরিবারগুলো, যারা এত বছর ধরে শোক পালন করছিল, তারা হঠাৎ করে আশা ও অবিশ্বাস উভয়ই অনুভব করে। রফিকের বাবা-মা, যারা এখন প্রায় বৃদ্ধ, তাদের ছেলেকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সালমার বাবা-মা, যারা জীবিত ছিলেন না, তাদের আত্মীয়-স্বজনরা সালমাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।חקিকত অন্বেষণের জন্য একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিজ্ঞানীরা, বিমান বিশেষজ্ঞরা, এমনকি আধ্যাত্মিক গবেষকরাও এই রহস্যের সমাধানের চেষ্টা করেন। বিমানের ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তাতে কেবল উড্ডয়নের ৩০ মিনিটের ডেটা ছিল, এর পরে যেন সময় থেমে গিয়েছিল। যাত্রীদের স্মৃতিতে, তারা কেবল একটি তীব্র আলোর ঝলকানি এবং একটি ঝাঁকুনি মনে করতে পারছিল, তারপরই তারা কলকাতার আকাশে নিজেদের দেখতে পায়। তাদের জন্য যেন কোনো সময় পার হয়নি।এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেয়। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও, এই রহস্য দুই দেশকে একত্রিত করে। তারা একসাথে এই অমীমাংসিত ঘটনার পেছনের সত্য উন্মোচনের চেষ্টা করে। BG207 ফ্লাইটটি শুধু একটি বিমান ছিল না, এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং মানবিক সম্পর্কের এক জীবন্ত প্রতীক।গল্পের শেষে, রহস্যের কোনো সমাধান হয় না। BG207 ফ্লাইটটি কেন, কীভাবে এবং কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল এবং কীভাবে আবার ফিরে এসেছিল, তা কেউ জানতে পারেনি। কিন্তু এটি মানুষকে শিখিয়েছিল যে জীবন কতটা অনিশ্চিত, এবং সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে গেলেও কিছু সম্পর্ক এবং স্মৃতি চিরকাল অমলিন থাকে। ফ্লাইট BG207 শুধু একটি হারিয়ে যাওয়া এবং ফিরে আসা ফ্লাইট ছিল না, এটি ছিল আশা এবং রহস্যের এক অবিস্মরণীয় উপাখ্যান।

---  🕊️ *মানুষের আসার সিরিয়াল আছে, কিন্তু যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই।* 🕊️  গত শনিবার একটি অকাল মৃত্যু আমাদের হৃদয় ভেঙে ...
27/08/2025

---

🕊️ *মানুষের আসার সিরিয়াল আছে, কিন্তু যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই।* 🕊️

গত শনিবার একটি অকাল মৃত্যু আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। 💔
এক তরুণী মা, যিনি মাত্র গত বছরের জুন মাসে বিয়ে করেছিলেন, রেখে গেলেন মাত্র পাঁচ মাসের নিষ্পাপ সন্তানকে 👶।

সন্তানের চোখে আর কখনো মায়ের স্নেহমাখা দৃষ্টি ফিরবে না। এই শোক কোনো ভাষায় পূরণ করা যায় না। একটি পরিবার ভেঙে পড়েছে, একটি শিশু বঞ্চিত হলো মায়ের অনন্ত ভালোবাসা থেকে।

আমরা সবাই সেই শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই 🤲।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন পরিবারকে শক্তি দেন এবং শিশুটির সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করেন 🌸।

---

18/08/2025
16/08/2025

Mithu Official

শ্রাবণের ২৯তম দিন। দুপুরের নিঃশব্দতা আর বাতাসে ভেজা শ্রাবণ-গন্ধ। চারপাশটা যেন একটা পুরনো প্রেমপত্র, যা কেউ আজও মন থেকে ম...
13/08/2025

শ্রাবণের ২৯তম দিন। দুপুরের নিঃশব্দতা আর বাতাসে ভেজা শ্রাবণ-গন্ধ। চারপাশটা যেন একটা পুরনো প্রেমপত্র, যা কেউ আজও মন থেকে মুছতে পারেনি।

মেঘের ভেতর লুকানো রোদটা যেমন, ঠিক তেমনই কিছু অনুভব—লুকিয়ে থাকে, বলে না কিছু, তবুও থেকে যায়... বুকের গভীরে। এই শ্রাবণী দুপুরে হঠাৎ করে সেই মানুষটার কথা মনে পড়ে, যার চোখের দিকে তাকিয়ে একদিন সময় থেমে গিয়েছিল।

শ্রাবণ এমনই—হঠাৎ এক ফোঁটা বৃষ্টি, আর এক বুক ভালোবাসার আর্দ্রতা।
হয়তো কেউ এখনো কারও জন্য চুপচাপ ভালোবাসা হয়ে ভিজছে, কোনো শব্দ না করেই।

আজকের এই ভেজা দুপুরে, যদি কারও চোখে জল টলে ওঠে—
তবে জেনে নিও, শ্রাবণ এখনো প্রেমে আছে।

শুভ শ্রাবণের দুপুর...
ভালোবাসা ভেজা হোক আজ...☁️💙🌧️

সন্তানদের নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি
08/08/2025

সন্তানদের নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি

Address

Khulna
Magura
7630

Telephone

+8801903933442

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alauddin tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Alauddin tv:

Share

Category