30/03/2025
হযরত মুসা (আ.) ছিলেন একজন মহান নবী, যিনি বনী ইসরাইলকে ফিরাউনের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেন এবং তাদেরকে তাওরাত প্রদান করেন। তাঁর জীবন কাহিনীতে রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়, যা মানবজাতিকে সঠিক পথে চলতে উৎসাহিত করে।
হযরত মুসা (আ.)-এর জন্ম ও শৈশব:
কুরআন অনুসারে, মুসা (আ.) একটি ইস্রায়েলীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
শৈশবে, ফিরাউনের নির্দেশে বনী ইসরাইলের সকল পুত্র সন্তানকে হত্যা করা হতো, তাই মুসা (আ.) কে একটি ঝুড়িতে করে নীল নদে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
ফিরাউনের স্ত্রী মুসা (আ.) কে খুঁজে পান এবং তাকে দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন।
হযরত মুসা (আ.)-এর نبوة ও使命:
হযরত মুসা (আ.) আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে نبوة লাভ করেন এবং বনী ইসরাইলকে ফিরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত করার জন্য আল্লাহ কর্তৃক বিশেষভাবে নির্বাচিত হন।
ফিরাউনের কাছে তিনি আল্লাহর একত্ব ও সত্য পথের দাওয়াত নিয়ে যান, কিন্তু ফিরাউন তা প্রত্যাখ্যান করে।
মুসা (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বনী ইসরাইলকে নিয়ে ফিরাউনের হাত থেকে মুক্তি লাভ করেন এবং লোহিত সাগরের উপর দিয়ে পথ করে বনী ইসরাইলকে নিয়ে যান।
আল্লাহর ইচ্ছায় মুসা (আ.) বনী ইসরাইলকে তাওরাত প্রদান করেন।
হযরত মুসা (আ.)-এর শিক্ষা:
হযরত মুসা (আ.)-এর জীবন কাহিনী থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে হলে অনেক প্রতিকূলতা ও কষ্টের সম্মুখীন হতে হতে পারে, কিন্তু সত্যের প্রতি অবিচল থাকলে আল্লাহ তাআলা সাহায্য করেন।
মুসা (আ.)-এর ঘটনা আমাদের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে এবং সত্যের পথে অবিচল থাকতে উৎসাহিত করে।
হযরত মুসা (আ.)-এর মৃত্যু:
হযরত মুসা (আ.)-এর মৃত্যুর স্থান এবং সময় সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে, তবে ধারণা করা হয় যে, তিনি মিসর ও শাম-এর মধ্যবর্তী তীহ্ প্রান্তরে বনু ইস্রাঈলের ৪০ বছর আটক থাকাকালীন সময়ে মারা যান।