
13/05/2025
অতিরিক্ত মা ভক্ত পুরুষ, আর অতিরিক্ত বাবার বাড়ি ভক্ত নারী কখনোই সংসারী হয় না। সঙ্গীর প্রতি অসম্মান, সঙ্গীকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে এরা। এরা শুধু সংসারটা না, পুরো ঘরটাকেই নরক বানিয়ে রাখে!
বিয়ের পরে সংসারের প্রতি যার টান না থাকে, তার সাথে সংসার করাটাই সবচেয়ে বড়ো মানসিক যন্ত্রণার ব্যাপার! যে তার সঙ্গীর চাইতে অন্য কাউকে গুরুত্ব দেয়, তার কাছ থেকে অসম্মান ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।
বিয়ের পর যে পুরুষ মা ভক্ত হয়, সেই পুরুষ তার স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান দেয় না। মায়ের তুলনা কারো সাথে হয় না। কিন্তু তাই বলে বউকে অসম্মান করাটাও সঠিক পুরুষের কাজ হতে পারে না। বউয়ের জন্য মাকে কিংবা মায়ের জন্য বউকে বিচ্ছিন্ন রাখার কোনো মানে নেই। দুটো পক্ষের সাথে ব্যালেন্স করে চলতে পারাটাই একজন পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড়ো চ্যালেন্স।
পক্ষান্তরে, একজন নারী যদি বিয়ের পর তার স্বামীর চাইতে বাবার বাড়ির প্রতি বেশি টান দেখায়, সে স্ত্রী হিসাবে কখনোই তার স্বামীকে মানসিক শান্তি দিতে পারে না। উল্টো স্বামীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে দ্বিতীয়বার ভাবে না। স্বামীর কষ্ট, স্বামীর দিকটা সে কখনোই ভাবে না।
অতিরিক্ত সবকিছুই বিষ!
আপনি যদি নিজের সঙ্গীর গুরুত্ব না বোঝেন, তবে তার অসহায়ত্ব আর যন্ত্রণার শেষ থাকবে না। একটা মানুষ ঠিক তখনই মানসিক অশান্তি আর হতাশায় ভোগে, যখন তার সঙ্গী তাকে বোঝে না, সম্মান করে না, এমনকি তার কষ্টকে অবজ্ঞা করে।