Daily Noakhali Somoy

Daily Noakhali Somoy নোয়াখালীর প্রতিচ্ছবি

মাইজদীতে ব্যবসায়ী অপহরণ মামলায় বিএনপি নেতাসহ তিনজন জেল হাজতে  কোর্ট রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালীর সময় ডট নেট:নোয়াখালী জে...
09/10/2025

মাইজদীতে ব্যবসায়ী অপহরণ মামলায় বিএনপি নেতাসহ তিনজন জেল হাজতে
কোর্ট রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালীর সময় ডট নেট:
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ব্যবসায়ী অপহরণ মামলায় সাবেক পৌর বিএনপির সহ-সভাপতিসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল আসামিরা নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। এ সময় শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ড. মোরশেদ ইমতিয়াজ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মাইজদী কোর্ট এলাকার মো. আহসান উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ, লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার হাজী মো. রফিক উল্যাহর ছেলে নাছিম উদ্দিন এবং পূর্ব রামচন্দ্রপুর এলাকার মফিজ মিয়ার ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা বাচ্চু মিয়া সোহেল। জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মাইজদীর হাউজিং এলাকার বাসার সামনে থেকে দ্যা ন্যাশনাল এইচআর লিমিটেড কোম্পানির পরিচালক ও ডা. আবুল হোসেন সরকারের ছেলে হাফেজ মো. রহমত উল্যাহকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে আসামিদের মালিকানাধীন মেহরান ডাইন রেস্টুরেন্ট এর আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ভুক্তভোগীর প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রহমত উল্যাহকে উদ্ধার করে। পরে চিকিৎসা শেষে তিন দিন পর গত ২৯ জানুয়ারি তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করে। প্রায় তিন মাস পর্যন্ত তদন্ত শেষে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।
কোর্ট সূত্রে জানা যায়, আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে আসামিরা আদালতে হাজির না হয়ে হাইকোর্ট থেকে অগ্রিম জামিন নেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত জামিনের জন্য তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

ছোট আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিচ্ছে ৫ ব্যাংক ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট :দেশের সংকটে থাকা ব্যাংকিং খাতে আ...
09/10/2025

ছোট আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিচ্ছে ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট :
দেশের সংকটে থাকা ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করে নতুন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক একীভূত হয়ে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ নামে পরিচালিত হবে। এই সিদ্ধান্তের পর, নতুন একীভূত ব্যাংকটি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা ছোট আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে এক থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতকারীদের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড এরইমধ্যে এই একীভূতকরণে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এর মূল লক্ষ্য আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং সাধারণ আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রশাসক নিয়োগ এবং সরকারি তহবিল বরাদ্দের পর দুই লাখ টাকার কম আমানত রাখা গ্রাহকদের পুরো অর্থ এককালীন পরিশোধ করা হবে। তবে বড় অঙ্কের আমানতকারীদের অর্থ ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের নগদ অর্থের পরিবর্তে নতুন ব্যাংকের শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব করা হতে পারে।
এই উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স আইন’ সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ছোট সঞ্চয়কারীদের সুরক্ষা বাড়াতে আমানত সুরক্ষার সীমা ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, একীভূত হতে যাওয়া এই পাঁচটি ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত নাজুক। ইউনিয়ন ব্যাংকের ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৬ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ৮৬ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৬২ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪৮ শতাংশ ঋণই অনাদায়ী।
সব মিলিয়ে এই পাঁচটি ব্যাংকের প্রায় ৭৭ শতাংশ ঋণ আদায়-অযোগ্য, যা দেশের গোটা আর্থিক খাতের জন্য সম্ভাব্য কাঠামোগত ঝুঁকি তৈরি করছে বলে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন।
আসন্ন ইউনাইটেড ইসলামি ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োজিত একজন পেশাদার প্রশাসক এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন। বিদ্যমান মালিকদের শেয়ার বাতিল করে তাদের ঋণ ও দায় নতুন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হবে।
নতুন ব্যাংকের জন্য মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ফান্ড থেকে আসবে ১২ হাজার কোটি টাকা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আসবে তিন হাজার কোটি টাকা।
আমানতকারীদের বিদ্যমান হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। তবে তারল্য সংকট এড়াতে প্রথমদিকে ধাপে ধাপে টাকা তোলার সুযোগ দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “ছোট আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি। তাদের বিশ্বাস না পেলে নতুন ব্যাংককে টেকসই করা কঠিন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো, এই ব্যাংকগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত নীতিমালার অধীনে পরিচালিত হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে নিজেদের প্রচেষ্টায় শক্তিশালী হতে হবে, নইলে তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো পরিচালিত হতে পারবে না।”
একই সঙ্গে তিনি বড় অঙ্কের ঋণ বিতরণে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেন।

দৈনিক নোয়াখালী সময় ৮/৯/২০২৫ তারিখের সংখ্যা পত্রিকা পড়ুন বিজ্ঞাপন দিন ০১৮১৩৮৬৮৩১০।
08/10/2025

দৈনিক নোয়াখালী সময় ৮/৯/২০২৫ তারিখের সংখ্যা পত্রিকা পড়ুন বিজ্ঞাপন দিন ০১৮১৩৮৬৮৩১০।

নোয়াখালীর সেনবাগে দেশীয় অস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং আটক ২ সেনবাগ প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট :নোয়াখালীর সেনবাগ থা...
08/10/2025

নোয়াখালীর সেনবাগে দেশীয় অস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং আটক ২

সেনবাগ প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট :
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার পুলিশ কিশোর গ্যাং দমনে সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যার দিকে সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেট এলাকায় কয়েকজন কিশোর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত পুলিশে খবর দিলে,সেনবাগ থানা এস আই কৃষ্ণ মোহন এর নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুইজন কিশোরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল ও দুটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,১️ মোঃ শাহাদাত হোসেন (১৮), পিতা:মোঃ সাইফুল, মাতা:নাসরীন আক্তার,২️ মোঃ বাবলু (২০), পিতা:মৃত আবুল কাশেম,
উভয়ের বাড়ি পশ্চিম লালপুর (দই বেপারী বাড়ি), ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন,থানা-সেনবাগ,জেলা-নোয়াখালী।
পুলিশ জানায়,গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছিল। পুলিশের এ অভিযানে এলাকায় স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
এলাকাবাসী জানান, সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সাহসী ও দ্রুত পদক্ষেপের কারণে এই অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁরা ওসি মিজানুর রহমানের প্রশংসা করে বলেন,“তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের তৎপরতায় এলাকায় অপরাধ দমন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। জনগণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত।”
এই সফল অভিযানের জন্য এলাকাবাসী সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান ও তাঁর নেতৃত্বাধীন এস আই কৃষ্ণ মোহন সহ পুরো পুলিশ টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তিন ডিজিসহ   র‌্যাবের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট:শুরুতে সাবেক আ...
08/10/2025

তিন ডিজিসহ র‌্যাবের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট:
শুরুতে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, প্রথম সারিতে র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, হারুন অর রশিদ, আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম। দ্বিতীয় সারিতে ব্রি. জে. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম। তৃতীয় সারিতে ব্রি. জে. কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী দল ও মতের লোকদের গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ অভিযোগ আমলে নেন। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গুম সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই অভিযোগের একটিতে শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ আল মোমেন, সারোয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমন।
র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে অপহরণ-গুম, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে এ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
তারা হলেন— শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক।
এর মধ্যে ৪ জন সেনা কর্মকর্তা এখনো কর্মরত রয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী তারা কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বহু মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক মানুষের এখনো খোঁজ মেলেনি। কাউকে হত্যার পর মরদেহও গুম করে ফেলা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেয়েছেন গুমের শিকার ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যারিস্টার মীর আহমদ বীন কাশেম, আবদুল্লাহিল আমান আযমীসহ আরো অনেকে।
এসব ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুমের এ দুই মামলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

খবর দেখে ঘানি টানা বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর পাশে তারেক রহমান সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট :“গরু ছাড়াই ৩০ বছ...
08/10/2025

খবর দেখে ঘানি টানা বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর পাশে তারেক রহমান
সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট :
“গরু ছাড়াই ৩০ বছর ধরে ঘানি টানছেন স্বামী-স্ত্রী” শিরোনামে এনটিভি অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তা দৃষ্টিগোচর হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের। এরপর ওই বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার (৮ অক্টােবর) ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এনটিভি’ “গরু ছাড়াই ৩০ বছর ধরে ঘানি টানছেন স্বামী-স্ত্রী” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনটি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়।
অতঃপর তিনি ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনকে নির্দেশ দেন— মোস্তাকিন আলী (তেলী)-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টােবর) বেলা ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর পক্ষে মোস্তাকিন আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল।
মোস্তাকিন আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন— বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার'-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে সংগঠনটির উপদেষ্টাবৃন্দ, সদস্য সচিব ও সদস্য বৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
গত ৩ অক্টােবর এনটিভি অনলাইনে “গরু ছাড়াই ৩০ বছর ধরে ঘানি টানছেন স্বামী-স্ত্রী” শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাগাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি (পাগলাটারী) গ্রামের মোস্তাকিন আলী (তেলী) এবং তার স্ত্রী সখিনা বেগমের মানবেতর জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি সারা দেশের মানুষের নজরে আসে।

নোয়াখালী নিঝুমদ্বীপের দেশ কেন বিভাগ হওয়ার দাবিদার?বিভাগ আমাদের প্রাণের দাবি। নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি প্রাচীন, ঐতিহ্য...
08/10/2025

নোয়াখালী নিঝুমদ্বীপের দেশ কেন বিভাগ হওয়ার দাবিদার?

বিভাগ আমাদের প্রাণের দাবি।
নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চল শুধুমাত্র ভৌগলিকভাবে নয়। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা ও অর্থনীতির দিক থেকেও স্বতন্ত্র। নোয়াখালী কারো উপশাখা নয় তাই নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবি কোনো আবেগনির্ভর নয়; এটি একটি বাস্তব, যৌক্তিক এবং সময়ের দাবি।
প্রথমত, নোয়াখালী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ অঞ্চল। এর রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস, গৌরবময় ঐতিহ্য, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। একসময় এটি ছিল একক প্রশাসনিক অঞ্চল, যা পরে কালের বিবর্তনে বিভক্ত হয়েছে। তবুও নোয়াখালীর মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি আজও অটুট রয়েছে। এই ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক একতা বজায় রাখতে নোয়াখালী বিভাগ অপরিহার্য।
দ্বিতীয়ত, নোয়াখালী ভৌগলিক ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই অঞ্চল "ব্লু ইকোনমির" এক বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব, যা কেবল নোয়াখালী বিভাগ গঠন করলেই বাস্তবায়নযোগ্য হবে। সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে নোয়াখালী হতে পারে বাংলাদেশের নতুন প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু।
তৃতীয়ত, অনেকের ধারণা নোয়াখালীর জনসংখ্যা কম, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। নোয়াখালীর মানুষ দেশজুড়ে এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। নদীভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেকেই অন্যত্র স্থানান্তরিত হলেও তারা নিজ নিজ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অভিবাসী নোয়াখালীবাসীরাই আজ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
চতুর্থত, বৃহত্তর নোয়াখালী দেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী, প্রকাশনা শিল্প, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্ট, ইস্পাত, চামড়া ও অন্যান্য শিল্পের অধিকাংশ কর্ণধার এই অঞ্চল থেকেই উঠে এসেছেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী নোয়াখালীবাসীরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। রেমিট্যান্স আয়ে নোয়াখালী অঞ্চলের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নোয়াখালী অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী আছে এবং আরও শক্তিশালী হলে তা সরাসরি দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
পঞ্চমত, কেউ কেউ বলে থাকেন নোয়াখালীতে বিভাগীয় শহরের অবকাঠামো নেই। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, কোনো নতুন বিভাগ গঠনের পর ধীরে ধীরে বিভাগীয় সুবিধা ও অবকাঠামো গড়ে ওঠে। নোয়াখালী বিভাগ হলে এখানেও প্রশাসনিক, শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক কাঠামো স্বাভাবিকভাবেই উন্নত হবে।
ষষ্ঠত, বঙ্গোপসাগরের নতুন নতুন ভূমি উদ্ধার হচ্ছে যা নোয়াখালীর আওতাধীন। ভবিষ্যতে এই ভূমি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতিমধ্যেই নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে সেনাবাহিনীর বৃহত্তম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রকল্প চালু হয়েছে। এসবই ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য নোয়াখালীর ভূমিকার প্রমাণ বহন করে।
সপ্তমত, নিঝুমদ্বীপ! যা নোয়াখালীর গর্ব। আগামী দিনের সেন্টমার্টিন, মালদ্বীপ বা সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে এই নিঝুমদ্বীপ। নোয়াখালী বিভাগ হলে নিঝুমদ্বীপসহ পুরো উপকূলীয় অঞ্চল পর্যটন, মৎস্য ও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির মাধ্যমে বিকশিত হবে। বিমানবন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে প্রবাসী ও দেশি-বিদেশি পর্যটক উভয়েই সুবিধা পাবে।

হাতিয়ায় যুবদল, ও ছাত্রদলের মিছিল, হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার,  হাতিয়া প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেটঃ...
07/10/2025

হাতিয়ায় যুবদল, ও ছাত্রদলের মিছিল, হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার,
হাতিয়া প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেটঃ নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন। সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এ সময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।

চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা সহ তিনজন জেল হাজতেকবিরহাট প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেটঃন...
07/10/2025

চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা সহ তিনজন জেল হাজতে
কবিরহাট প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেটঃ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।গ্রেফতারকৃতরা হলেন— কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাবেক আব্দুল কাদের জসিম, তাঁর সহযোগী জাহাঙ্গীর ও সুজন।আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতে হাজিরা দিতে গেলে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। উল্লেখ্য, উক্ত চাঁদাবাজির মামলাটি বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির আরেক নেতা মহিউদ্দিন মহি দায়ের করেছিলেন।

নোয়াখালীতে টোলের নামে চাঁদা, শাস্তি ৫ জনেরকোট রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট:নোয়াখালী সদরের বিভিন্ন স্থানে চলন্ত...
07/10/2025

নোয়াখালীতে টোলের নামে চাঁদা, শাস্তি ৫ জনের
কোট রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট নেট:
নোয়াখালী সদরের বিভিন্ন স্থানে চলন্ত যানবাহন থামিয়ে অবৈধভাবে টোল আদায়ের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করে মোবাইল কোর্টে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে যানবাহন থামিয়ে জোরপূর্বক টোল আদায় করছিলেন তারা। অভিযানের সময় হাতেনাতে আটক হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
তাদের স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে, আধুনিক পৌর বাস টার্মিনালের ইজারাদার মো. জহিরুল ইসলাম (তারেক) এর ইন্ধনে এ কাজ করে আসছিলেন তারা।
পরে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৮ ও ২৯০ ধারায় প্রত্যেককে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড ও ৮ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় অভিযুক্তরা ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে আর জড়াবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান, জাহিদ হাসান অপু এবং মো. মুকসুদুস সালেহীন।

সুধারামে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে পেটের ভেতর লুকিয়ে থাকা ৩ হাজার ২শত ইয়াবা মাহমুদ রকি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.নেটঃমাদক ব্যবস...
07/10/2025

সুধারামে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে পেটের ভেতর লুকিয়ে থাকা ৩ হাজার ২শত ইয়াবা

মাহমুদ রকি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.নেটঃ
মাদক ব্যবসার জগতে প্রতিনিয়তই দেখা যায় নতুন নতুন কৌশল। কেউ প্যাকেটে, কেউ গাড়ির ভেতরে, কেউবা মালপত্রের নিচে লুকিয়ে রাখে ভয়ঙ্কর নেশার এই নীলচে ট্যাবলেট। তবে এবার পুলিশও অবাক- কারণ, মাদক কারবারি লুকিয়েছিল ইয়াবা নিজের পেটের ভেতর৷ নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এক অভিনব কৌশলের মাদক কারবারি। তার নাম মো. মতিউর রহমান (৪৫)। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার দোহাজারি এলাকা থেকে নোয়াখালীতে বিক্রির উদ্দেশ্যে আসছিল সে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জেলা স্কুলের মেইন গেটের সামনে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মতিউরকে আটক করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, বিশেষ কৌশলে পেটের ভেতর ইয়াবা বহন করে নিয়ে আসে নোয়াখালীতে। পুলিশ পরে চিকিৎসকের সহায়তায় তার শরীর থেকে ৩,২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহীম দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন নিউজ পোর্টালকে জানান, মাদক পাচারকারীরা এখন নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছে। কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। মতিউরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।এই ঘটনার পর স্থানীয়রা বলছেন,নোয়াখালী হয়ে মাদকের রুট ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার।একই সঙ্গে তারা অভিভাবক ও সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ পরিবারে যেন কেউ মাদকের ছোঁয়া না পায়,সে বিষয়ে সজাগ থাকতে।মতিউরের এই কৌশল হয়তো সিনেমার দৃশ্যের মতো শোনায়, কিন্তু এটি আমাদের বাস্তবতার নির্মম প্রতিচ্ছবি- একজন মানুষ যখন নেশার টাকায় জীবন বাজি রাখে,তখন সমাজেরও কোথাও না কোথাও ব্যর্থতা লুকিয়ে থাকে।

চৌমুহনীতে নোয়াখালী জাতীয় হকার্স সমবায় সমিতির সংবাদ সম্মেলনে পৌর প্রশাসকের বিরুদ্ধে দখল ও হয়রানির অভিযোগবিশেষ প্রতিনিধি,দ...
07/10/2025

চৌমুহনীতে নোয়াখালী জাতীয় হকার্স সমবায় সমিতির সংবাদ সম্মেলনে পৌর প্রশাসকের বিরুদ্ধে দখল ও হয়রানির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.নেটঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে অবস্থিত নোয়াখালী জাতীয় হকার্স সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) চৌমুহনীতে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউছুপ।তিনি জানান, ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ৮ একর ৪০ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত নোয়াখালী জাতীয় হকার্স সমবায় সমিতি লিমিটেড নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এ সমিতির সদস্যরা মূলত উচ্ছেদ হওয়া হকার ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সদস্যদের সহযোগিতা ও পরিচালকদের আন্তরিকতায় সমিতির উন্নয়ন অব্যাহত ছিল।কিন্তু আওয়ামী সরকার আমলে একটি কুচক্রী মহল সমিতির কার্যক্রম দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ৫ আগস্টের পর থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।পরে চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম-এর নেতৃত্বে পুনরায় সমিতির নেতৃত্ব গ্রহণ করা হয় এবং নিয়ম অনুযায়ী কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। বর্তমানে তারা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।হাজী ইউছুপ অভিযোগ করে বলেন,সমিতি প্রতি বছর চৌমুহনী পৌরসভাকে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে। অথচ পৌর প্রশাসক মার্কেটের রাস্তায় পৌরসভার লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন,সুইপারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মার্কেটে ছয় মাস ধরে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে আছে,যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে।তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,আমাদের সমিতিকে বাঁচান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিন।তিনি আরও বলেন,মার্কেটের সামনে ইউ-টার্ন দেওয়ার কারণে বড় গাড়িগুলো মালামাল আনতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইউ-টার্নটি অপসারণের দাবি জানাই।
ভাইস চেয়ারম্যান হাজী ইউছুপ দুঃখের সঙ্গে আরও বলেন, মার্কেটের পানের আড়তের দক্ষিণ পাশে থাকা টয়লেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন উত্তর পাশে নতুন টয়লেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এটি ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন,৬ অক্টোবর বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চৌমুহনী পৌর প্রশাসক মোঃ আরিফুর রহমান-এর নেতৃত্বে একটি দল সমিতির অফিসে এসে সচিব আবুল খায়ের রাসেল ও পিয়ন মমিন উল্যাহ সুমনকে মারধর করেন। অফিসের আলমারি ভেঙে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যান এবং বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।তিনি বলেন,সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ডাস্টবিন ভেঙে দেওয়া হয়,দুই সদস্যের দোকানের সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি অস্থায়ী খুঁটি ভেঙে সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব জায়গায় জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণের অপচেষ্টা চলছে। সমিতির অনুমোদিত ময়লা পরিস্কারের বক্স ও ব্যবসায়ীদের ৩০টি ভ্যান গাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।তিনি আরও অভিযোগ করেন,হাইকোর্ট ও জজকোর্ট কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ মুখে হাইকোর্টকে ‘হইরা কোর্ট’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং অকথ্য ভাষায় সমিতির পরিচালকদের গালিগালাজ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে ভাইস চেয়ারম্যান হাজী ইউছুপ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সমিতির অপূরণীয় ক্ষতির বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি,বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ নোয়াখালী জাতীয় হকার্স সমবায় সমিতি লিমিটেডের কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Address

Maijdee Court
Maijdee Court

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Noakhali Somoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Noakhali Somoy:

Share

Category