19/09/2025
বি এন পি কি কাহকে রাজাকার কিংবা স্বাধীনতা বিরোধী কিংবা পাকিস্তানি বলার সুযোগ আছে? দয়া করে পড়লে উপকৃত হওয়া যাবে।......................................................….......
জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া সততা, যোগ্যতা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার কারনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের কে বি এন পি সরকারে রেখেছেন। রাজনৈতিক অবস্থানগত কারনে উনাদেরকে রাজাকার বলা হলেও তারা স্বাধীনতাকালীন কাহারো কোন ক্ষতি করেননি। তাদের সততাও ছিল প্রশ্নাতীত। শহীদ জিয়া এবং খালেদা জিয়া মিমাংসীত বিষয়ে দেশে অনৈক্য সৃষ্টি করতে চাননি। চেয়েছিলেন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়তে।বি এন পিতে রাজাকার যা আছে বা ছিল তার থেকে শতগুণ বেশী ছিল মুক্তি যোদ্ধা। আমাদের আদর্শিক নেতা শহীদ জিয়া এবং খালেদা জিয়া রাজাকারদেরকে সাথে নিয়ে দেশ গড়েছেন। বর্তমানে আমাদের কিছু নব্য শ্রীশীল এবং কিছু ভারতপন্থী নেতা রাজাকারদের বিরোধিতা করতে করতে মুখের ফেনা বের করে ফেলার পাশাপাশি দলকে শেষ করে দিচ্ছে এবং দেশে অনৈক্য সৃস্টি করছে।যেগুলো হাসিনা এবং ভারত বলত সেগুলো শ্রীশীল এবং আমাদের কিছু ভারতের শালসা খাওয়া নেতা বলছেন। যার কারনে অনেক রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের অনৈক্য সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি দলের জনসমর্থন আগের থেকে অনেক হ্রাস পেয়েছে।
হাসিনার আমলে এগুলো শুনতে শুনতে মানুষের শ্রবন শক্তি হ্রাস পেয়েছে । যেটুকু শ্রবন শক্তি আছে তা মানুষ নষ্ট করতে চাচ্ছেনা। আওয়ামী লীগ এবং ভারতের নেরেটিভ প্রচারকারি হাম্বুইল্লাদের কথা শুনলে মনে হয়, যেন শহীদ জিয়া এবং খালেদা জিয়া যে মহাভুল করেছেন সেটা সংশোধন করার মহাদায়িত্ব তাদের কাঁধে এসে পড়েছে।
আমাদের ভারত পন্থি শ্রীশীল এবং নেতাদেরকে একদিকে যেতে হবে। হয়ত তাদেরকে বলতে হবে শহীদ জিয়া রাজাকারদের নিজ দলের মন্ত্রী বানিয়ে ভুল করেছেন। নয়তোবা রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী এসব আওয়ামী বয়ান বন্ধ করতে হবে।নচেৎ নেতাদের কোনরূপ ক্ষতি নাহলেও শহীদ জিয়ার সৃষ্ট এবং খালেদা জিয়ার লালিত দলটির অপূরনীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।
**** রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান । জিয়াউর রহমান ছিলেন রাষ্ট্রপতি আর রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন তার প্রধানমন্ত্রী।
***** রাজাকার আবদুর রহমান বিশ্বাস (বাংলাদেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি)। তিনি রাষ্ট্রপতিউনের মন্ত্রীসভায় পাট মন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৮১-৮২ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস্ সাত্তারের মন্ত্রী সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি
******রাজাকার মশিউর রহমান যাদু মিয়া। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমানের সাথে বিএনপি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তিনি বিএনপির প্রথম আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
****** রাজাকার মোশাররফ হোসেন শাহজাহান। রাষ্ট্রপতি জিয়া তাকে উপমন্ত্রীর মর্যাদায় বৃহত্তর বরিশালের জেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারী মনোনীত করেন। ১৯৯১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রথম মন্ত্রিসভায় তাকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী করা হয় এবং ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
****** রাজাকার আহসানুল হক মোল্লা দীর্ঘদিন বিএনপির সাথে রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়ার সময়ে ১৯৯১ সালের ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
****** রাজাকার চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি সংসদে নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে তিনি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সাধারণ নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও তার দল বিএনপি আওয়ামী লীগের কাছে হেরে ক্ষমতায় হারায়। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন, তারপরে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
***** রাজাকার চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ। তিনি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এর ভাই। তিনি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
***** রাজাকার আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা। বগুড়া-৩ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য। বিএনপি থেকে তিনি ২০০১ ও ২০০৮ এই ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
****** রাজাকার আব্দুল মজিদ তালুকদার। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও ১৯৭৯ সালে বিএনপি যোগ দেন, এর পর তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে বগুড়া-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তার ছেলে আব্দুল মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তবে আব্দুল মজিদ তালুকদার ২০০২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
****** রাজাকার কাজী ফারুক কাদের বিএনপির হয়ে নীলফামারী-৩ সাবেক সংসদ সদস্য হয়েছেন। কাজী ফারুক কাদেরের পিতা কাজী আব্দুল কাদের তৎকালীন পাকিস্তান সরকার মন্ত্রী ছিলেন।
****** রাজাকার মির্জা রুহুল আমিন। তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর পিতা। তিনি
১৯৭৯ সালে তিনি দিনাজপুর-৪ ও ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভার কৃষিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মির্জা রুহুল আমিন একজন "যুদ্ধাপরাধী" এবং যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ৭১০ নাম্বরে আছে। মির্জা রুহুল আমিন ১৯৯৭ সালের ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
******* রাজাকার ড. ওসমান ফারুক। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন । বিএনপির হয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া সরকারের মন্ত্রীসভায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ।
১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ড. ওসমানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে তদন্ত করা হয়েছিলো।
****** রাজাকার আব্দলু আলিম। ১৯৭৮ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারে প্রথমে বস্ত্রমন্ত্রী এবং পরে যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন আলীম।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির জয়পুরহাট জেলা শাখার চেয়ারম্যান ছিলেন।
****** রাজাকার মাহমুদুন্নবী চৌধুরী। তিনি বিএনপির মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পিতা। তিনি চট্টগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রথমে গণ-যোগাযোগ মন্ত্রী এর পর ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটির (ডাক) হয়ে তিনি ভূমিকা রাখেন। পিডিপি’র প্রার্থী হিসেবে এম এন এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। তিনি রাজনৈতিক ভাবে অখণ্ড পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রাম জেলা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন।
****** রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যিনি সাকা চৌধুরী নামেও পরিচিত। তার পিতা রাজাকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর। জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে বিএনপির হয়ে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য।