23/05/2025
হ্ক কথা......
"কথা বললে গ্রেফতার , প্রতিবাদ করলে গুম আর রাজপথে নামলে গুলি - এই নিয়মে মিশরে ৩০ বছর স্বৈরশাসন চালাইছিল "হোসনি মোবারক"।
২০১১ সালে গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় মোবারকের। তার কয়েক মাস পর ক্ষমতায় আসেন "মোহাম্মদ মুরসি"।
প্রথমবারের মতো গণতন্ত্র পেয়ে এটা চাই, ওটা চাই, এরকম সংবিধান চাই, ওরকম সংবিধান চাই, ডানপন্থি নিপাত যাক, বামপন্থি নিপাত যাক - এসব আন্দোলন করতে করতে এক পর্যায়ে বামপন্থিরা দাবি তুললো মুরসিকেই চাই না।
এদাবিতে প্রতিবেশী ইসরায়েল, সৌদি আরবসহ মুরসি বিরোধী অভ্যন্তরীণ শক্তি সমর্থনও দিয়েছিল। ফলে ২০১৩ সালে আবার রক্তপাত হয়।
সরকার অচল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশে কাজকর্ম সব বন্ধের অবস্থা। অস্থিরতার সুযোগে ক্ষমতা দখল করলেন "জেনারেল সিসি"। এরপর থেকে মিশরে আন্দোলন তো দূরে থাক, টু শব্দও নাই! কোন বেডার সাহস নাই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার!
মুরসি সমর্থকদের হত্যার পর, মুরসি বিরোধী বামদের আদর্শের সঙ্গে পাছাও লাল করে দেন "জেনারেল সিসি"। স্বৈরাচার "হোসনি মোবারকরেও" জেল থেকে ছেড়ে দেন। বেচারা আয়েশে বাকি জীবন কাটিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হয়েছেন।
"মোবারকের " আমলের নিপীড়করা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন সম্মানিত ব্যক্তি। কেউ বড় পদে, কেউ আবার অবসরে। ডান, বাম, মধ্যপন্থীসহ সব ধারার অভ্যুত্থানকারীরা হয় জেলে, নয়তো বিদেশ কিংবা দৌড়ের ওপরে আছে।
কথা বললে গ্রেফতার, প্রতিবাদ করলে গুম আর রাজপথে নামলে গুলি - এই নিয়মে বিগত ১২ বছর মিশর চালাচ্ছেন "জেনারেল সিসি"।(মনসূর আলী স্যার)
এবার আসেন ইতিহাস দিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের ও ভবিষ্যত কল্পনা করি:
বিগত ১৬ বছর হাসিনার কার্যক্রম ছিলো ঠিক ৩০ বছরের স্বৈরশাসক "হোসনি মোবারকের "মতো অবস্থা।
বিএনপি ,ডান ,বাম,জামাত কাউকে ছাড় দেয়নি গ্রেফতার ,গুম ,খুন,মামলার কথা সবাই জানেন!
তারপর হয় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন , ক্ষমতায় আসে ঠিক "মোহাম্মদ মুরসির" মতো "ড.ইউনূস"।
তারপর পূর্ণ গণতন্ত্র পাইলো বাংলাদেশ!
ক্ষমতা নেয়ার ১০ মাস, সবার এই চাই ,সেই চাই ,অবরোধ ,ব্লকেড ,মার্চ টু যমুনা এরকম সংবিধান চাই, ঐরকম সংবিধান চাই, ক্ষমতা চাই,এদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রেশার,লীগের কথা তো বাদই দিলাম।
বিএনপি ইউনূসকে একটা কাজও ঠিক মতো করতে দিচ্ছেনা ,দৌড়ের উপরে রাখছে সবসময়। ঐদিকে ভারত ইউনূস বিরোধী , নারী সংস্কার ও করিডোর ইস্যুতে ইনূসের বিরুদ্ধে জনগণকে লেলিয়ে দিতে চাচ্ছে। যেটা মূলত রাজনৈতিক দলগুলো কোন ধরনের সমালোচনা ছাড়াই সমাধান করতে পারতো। কেন নির্বাচনের প্রেশারে রাখতে তারা সেই সহযোগিতাটুকু করছেনা।
একদিন হুট করে শুনবেন , ড.ইউনূস আউট। মানে "মিশরের মুরসির" মতো অবস্থা! হয়তো পরবর্তী নির্বাচিত সরকার কিংবা তৃতীয় একটা শক্তি "জেনারেল সিসি" এর মতো কেউ ক্ষমতায় আসবে। যার পরিচয় হবে নতুন স্বৈরাচার মানে শক্তি হবে স্বৈরাচার হাসিনার থেকে দ্বিগুণ।
তারপর এই অভাগা জাতি কঠোর স্বৈরাচারী আচরণে স্বীকার হবে। ২৪ এর আন্দোলনকারীরা জেল ,গুম, খুনের স্বীকার হবে। যারা সরকারের কাছে ন্যায্য অধিকার চাইতে যাবে তাদেরকেও ইচ্ছেমতো ঠেঙ্গাইবে। সরকারের বিরোধিতা করলে তো দেশ ছাড়া করবেই।
এই জাতির ক্ষমতার লোভ বেশি। গোমালী করার স্বভাবের কারণে কখনো ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেনা।
এই অভাগা প্রজম্মের ভবিষ্যত অন্ধকার, কেউ পরবর্তী প্রজম্মের ভবিষ্যত কিংবা দেশ নিয়ে ভাবেনা। সামনে ভয়ংকর বিপদ অপেক্ষা করছে। দেশপ্রেমিক হইলেই কারো বিরুদ্ধে কিছু বললেই বিপদে পড়বে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলছে ,আমাদের কপালে সুখ বলতে কিছু আসবে বলে মনে হচ্ছেনা। সামনের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
(সংগৃহীত)