Radhar Preme Krishna Ami

  • Home
  • Radhar Preme Krishna Ami

Radhar Preme Krishna Ami Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Radhar Preme Krishna Ami, Video Creator, .

প্রিয় ভক্তবৃন্দ,আপনাদের আশীর্বাদে নিয়ে এই ধর্মীয় পেজের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রেম ও ভালোবাসা সঞ্চয় করতে চাই। প্রতিনিয়ত এই পেজে ভক্তিমূলক ও আধ্যাত্নিকমূলক ভিডিও প্রকাশিত করে থাকি। এর মাধ্যমে আপনারা সবাই ভগবান শ্রী হরির নাম গান শ্রবন করুন।
🙏হরে কৃষ্ণ 🙏

আগামীকাল ২১শে জুলাই ২০২৫ইং, সোমবার  পবিত্র কামিকা একাদশী ব্রত।কৃপা করে সবাই একাদশী ব্রত পালন করবেন।
20/07/2025

আগামীকাল ২১শে জুলাই ২০২৫ইং, সোমবার পবিত্র কামিকা একাদশী ব্রত।

কৃপা করে সবাই একাদশী ব্রত পালন করবেন।

একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম ও একাদশী মাহত্ম্য একাদশী কী? কৃষ্ণ ভুলি যেই জীব অনাদি বহির্মুখ। অতএব মায়া তারে দেয় সংসারদুঃখ।।শ্...
06/07/2025

একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম ও একাদশী মাহত্ম্য

একাদশী কী?
কৃষ্ণ ভুলি যেই জীব অনাদি বহির্মুখ।
অতএব মায়া তারে দেয় সংসারদুঃখ।।
শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে জীব অনাদিকাল ধরে জড়া প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট রয়েছে। তাই মায়া তাকে এ জড় জগতে নানা প্রকার দুঃখ প্রদান করছে। পরম করুণাময় ভগবান কৃষ্ণস্মৃতি জাগরিত করতে মায়াগ্রস্ত জীবের কল্যাণে বেদপুরাণ আদি শাস্ত্রগ্রন্থাবলী দান করেছেন। ভক্তি হচ্ছে ভগবানকে জানার ও ভগবৎ প্রীতি সাধনের একমাত্র সহজ উপায়। শাস্ত্রে যে চৌষট্রি প্রকার ভক্ত্যাঙ্গের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে একাদশী ব্রত সর্বোত্তম।

শ্রবণ, কীর্তন, স্মরণ আদি নবধা ভক্তির পরই দশম ভক্ত্যাঙ্গরূপে একাদশীর স্থান। এই তিথিকে হরিবাসর বলা হয়। তাই ভক্তি লাভেচ্ছু সকলেই একাদশী ব্রত পালনের পরম উপযোগীতার কথা বিভিন্ন পুরাণে বর্ণিত হয়েছে। একাদশী তিথি সকলের অভীষ্ট প্রদানকারী। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার পাপ বিনষ্ট, সর্বসৌভাগ্য ও শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধান হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আট থেকে আশি বছর বয়স পর্যন্ত যেকোন ব্যক্তিরই ভক্তিসহকারে পবিত্র একাদশী ব্রত পালন করা কর্তব্য।

সঙ্কটজনক অবস্থা বা জন্মমৃত্যুর অশৌচে কখনও একাদশী পরিত্যাগ করতে নেই। একাদশীতে শ্রাদ্ধ উপস্থিত হলে সেইদিন না করে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা উচিত। শুধু বৈষ্ণবেরাই নয়, শিবের উপাসক, সূর্য-চন্দ্র-ইন্দ্রাদি যেকোন দেবোপাসক, সকলেরই কর্তব্য একাদশী ব্রত পালন করা। দুর্লভ মানবজীবন লাভ করেও এই ব্রত অনুষ্ঠান না করলে বহু দুঃখে-কষ্টে চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতে হয়

অহংকারবশত একাদশী ব্রত ত্যাগ করলে যমযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। যে ব্যাক্তি এই ব্রতকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, জীবিত হয়েও সে মৃতের সমান। কেউ যদি বলে “একাদশী পালনের দরকারটা কি?” সে নিশ্চয় কুন্তিপাক নরকের যাত্রী। যারা একাদশী পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শনির কোপে তারা বিনষ্ট হয়। একাদশীকে উপেক্ষা করে তীর্থ স্থান আদি অন্য ব্রত পালনকারীর অবস্থা গাছের গোড়া কেটে পাতায় জল দানের মতোই।

একাদশী বাদ দিয়ে যারা দেহধর্মে অধিক আগ্রহ দেখায়, ধর্মের নামে পাপরাশিতে তাদের উদর পূর্ণ হয়। কলহ-বিবাদের কারণেও একাদশী দিনে উপবাস করলে অজ্ঞাত সুকৃতি সঞ্চিত হয়। পুণ্যপ্রদায়িনী সর্বশ্রেষ্ঠ এই ব্রত শ্রীহরির অতি প্রিয়। একাদশী ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয়, অশ্বমেধ, রাজসূয় ও বাজপেয় যজ্ঞদ্বারাও তা হয় না। দেবরাজ ইন্দ্রও যথাবিধি একাদশী পালনকারীকে সম্মান করেন। একাদশী ব্রতে ভাগবত শ্রবণে পৃথিবী দানের ফল লাভ হয়। অনাহার থেকে হরিনাম, হরিকথা, রাত্রিজাগরণে একাদশী পালন করা কর্তব্য।

কেউ যদি একাদশী ব্রতে শুধু উপবাস করে তাতে বহু ফল পাওয়া যায়। শুদ্ধ ভক্তেরা এই দিনে একাদশ ইন্দ্রিয়কে শ্রীকৃষ্ণে সমর্পণ করেন। একাদশীতে শস্যমধ্যে সমস্ত পাপ অবস্থান করে। তাই চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, সরিষা আদি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য একাদশী দিনে বর্জন করা উচিত। নির্জলা উপবাসে অসমর্থ ব্যক্তি জল, দুধ, ফল-মূল, এমনকি আলু, পেপে, কলা, ঘিয়ে বা বাদাম তেল অথবা সূর্যমুখী তেলে রান্না অনুকল্প প্রসাদ রূপে গ্রহণ করতে পারেন। রবিশস্য (ধান, গম, ভুট্রা, ডাল ও সরিষা) ও সোয়াবিন তেল অবশ্যই বর্জনীয়। দশমী বিদ্ধা একাদশীর দিন বাদ দিয়ে দ্বাদশী বিদ্ধা একাদশী ব্রত পালন করতে হয়।

একাদশীতে সূর্যোদয়ের পূর্বে বা সুর্যোদয়কালে ( ১ঘন্টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে) যদি দশমী স্পর্শ হয়, তাকে দশমী বিদ্ধা বলে জেনে পরদিন একাদশীব্রত পালন করতে হয়। মহাদ্বাদশীর আগমন হলে একাদশীর উপবাস ব্রতটি মহাদ্বাদশীতেই করতে হয়। একাদশী ব্রত করে পরের দিন উপযুক্ত সময়ে শস্যজাতীয় প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করতে হয়। শাস্ত্রবিধি না মেনে নিজের মনগড়া একাদশী ব্রত করলে কোন ফল লাভ হয় না। দৈববশত যদি কখনও একাদশী ভঙ্গ হয়ে যায়, তবে ক্ষমা ভিক্ষা করে পুনরায় ব্রত পালন করতে হয়।

একাদশী পালনের নিয়মাবলী
ভোরে শয্যা ত্যাগ করে শুচিশুদ্ধ হয়ে শ্রীহরির মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শ্রীহরির পাদপদ্মে প্রার্থনা করতে হয়, “হে শ্রীকৃষ্ণ, আজ যেন এই মঙ্গলময়ী পবিত্র একাদশী সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, আপনি আমাকে কৃপা করুন।” একাদশীতে গায়ে তেল মাখা, সাবান মাখা, পরনিন্দা-পরচর্চা, মিথ্যাভাষণ, ক্রোধ, দিবানিদ্রা, সাংসারিক আলাপাদি বর্জনীয়। এই দিন গঙ্গা আদি তীর্থে স্নান করতে হয়। মন্দির মার্জন, শ্রীহরির পূজার্চনা, স্তবস্তুতি, গীতা-ভাগবত পাঠ আলোচনায় বেশি করে সময় অতিবাহিত করতে হয়।

এই তিথিতে গোবিন্দের লীলা স্মরণ এবং তাঁর দিব্য নাম শ্রবণ করাই হচ্ছে সর্বোত্তম। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীতে পঁশিচ মালা বা যথেষ্ট সময় পেলে আরো বেশি জপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একাদশীর দিন ক্ষৌরকর্মাদি নিষিদ্ধ। একাদশী ব্রত পালনে ধর্ম অর্থ, কাম, মোক্ষ আদি বহু অনিত্য ফলের উল্লেখ শাস্ত্রে থাকলেও শ্রীহরিভক্তি বা কৃষ্ণপ্রেম লাভই এই ব্রত পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য। ভক্তগণ শ্রীহরির সন্তোষ বিধানের জন্যই এই ব্রত পালন করেন। পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, বরাহপুরাণ, স্কন্দপুরাণ ও বৈষ্ণবস্মৃতিরাজ শ্রীহরিভক্তিবিলাস আদি গ্রন্থে এ সকল কথা বর্ণিত আছে।

বছরে ছাব্বিশটি একাদশী আসে। সাধারণত বার মাসে চব্বিশটি একাদশী। এইগুলি হচ্ছে-

১. উৎপন্না একাদশী - ২. মোক্ষদা একাদশী
৩. সফলা একাদশী , - ৪. পুত্রদা একাদশী
৫. ষটতিলা একাদশী - ৬. জয় একাদশী
৭. বিজয়া একাদশী - ৮. আমলকী একাদশী
৯. পাপমোচনী একাদশী - ১০. কামদা একাদশী
১১. বরুথিনী একাদশী - ১২. মোহিনী একাদশী
১৩. অপরা একাদশী - ১৪. নির্জলা একাদশী
১৫. যোগিনী একাদশী - ১৬. শয়ন একাদশী
১৭. কামিকা একাদশী - ১৮. পবিত্রা একাদশী
১৯. অন্নদা একাদশী - ২০. পরিবর্তিনী বা পার্শ্ব একাদশী
২১. ইন্দিরা একাদশী - ২২. পাশাঙ্কুশা একাদশী
২৩. রমা একাদশী - ২৪. উত্থান একাদশী

কিন্তু যে বৎসর পুরুষোত্তমাস, অধিমাস বা মলমাস থাকে, সেই বৎসর পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়। যারা যথাবিধি একাদশী উপবাসে অসমর্থ অথবা ব্রতদিনে সাধুসঙ্গে হরিকথা শ্রবণে অসমর্থ, তারা এই একাদশী মাহাত্ম্য পাঠ বা শ্রবণ করলে অসীম সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন।

একাদশীর আবির্ভাব

পদ্মপুরাণে একাদশী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। একসময় জৈমিনি ঋষি তাঁর গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গুরুদেব! একাদশী কি? একাদশীতে কেন উপবাস করতে হয়? একাদশী ব্রত করলে কি লাভ? একাদশী ব্রত না করলে কি ক্ষতি? এ সব বিষয়ে আপনি দয়া করে বলুন।

মহর্ষি ব্যাসদেব তখন বলতে লাগলেন-সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর ভগবান এই জড় সংসারে স্থাবর জঙ্গম সৃষ্টি করলেন। মর্ত্যলোকবাসী মানুষদের শাসনের জন্য একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করলেন। সেই পাপপুরুষের অঙ্গগুলি বিভিন্ন পাপ দিয়েই নির্মিত হল। পাপপুরুষের মাথাটি ব্রহ্মহত্যা পাপ দিয়ে, চক্ষুদুটি মদ্যপান, মুখ স্বর্ণ অপহরণ, দুই কর্ণ-গুরুপত্নী গমন, দুই নাসিকা-স্ত্রীহত্যা, দুই বাহু-গোহত্যা পাপ, গ্রীবা-ধন অপহরণ, গলদেশ-ভ্রুণহত্যা, বক্ষ-পরস্ত্রী-গমন,উদর-আত্মীয়স্বজন বধ, নাভি-শরণাগত বধ, কোমর-আত্মশ্লাঘা, দুই উরু-গুরুনিন্দা, শিশ্ন-কন্যা বিক্রি, মলদ্বার-গুপ্তকথা প্রকাশ পাপ, দুই পা-পিতৃহত্যা, শরীরের রোম-সমস্ত উপপাতক।

এভাবে বিভিন্ন সমস্ত পাপ দ্বারা ভয়ঙ্কর পাপপুরুষ নির্মিত হল। পাপপুরুষের ভয়ঙ্কর রূপ দর্শন করে ভগবান শ্রীবিষ্ণু মর্ত্যের মানব জাতির দুঃখমোচন করবার কথা চিন্তা করতে লাগলেন। একদিন গরুড়ের পিঠে চড়ে ভগবান চললেন যমরাজের মন্দিরে। ভগবানকে যমরাজ উপযুক্ত স্বর্ণ সিংহাসনে বসিয়ে পাদ্য অর্ঘ্য দিয়ে যথাবিধি তাঁর পূজা করলেন। যমরাজের সঙ্গে কথোপকথনকালে ভগবান শুনতে পেলেন দক্ষিণ দিক থেকে অসংখ্য জিবের আর্তক্রন্দন ধ্বনি। প্রশ্ন করলেন-এ আর্তক্রন্দন কেন?

যমরাজ বললেন, হে প্রভু, মর্ত্যের পাপী মানুষেরা নিজ কর্মদোষে নরকযাতনা ভোগ করছে। সেই যাতনার আর্ত চীৎকার শোনা যাচ্ছে। যন্ত্রণাকাতর পাপাচারী জীবদের দর্শন করে করুণাময় ভগবান চিন্তা করলেন-আমিই সমস্ত প্রজা সৃষ্টি করেছি, আমার সামনেই ওরা কর্মদোষে দুষ্ট হয়ে নরক যাতনা ভোগ করছে, এখন আমিই এদের সদগতির ব্যবস্থা করব। ভগবান শ্রীহরি সেই পাপাচারীদের সামনে একাদশী তিথি রূপে এক দেবীমুর্তিতে প্রকাশিত হলেন। সেই পাপীদেরকে একাদশী ব্রত আচরণ করালেন। একাদশী ব্রতের ফলে তারা সর্বপাপ মুক্ত হয়ে তৎক্ষণাৎ বৈকুন্ঠ ধামে গমন করল।

শ্রীব্যাসদেব বললেন, হে জৈমিনি! শ্রীহরির প্রকাশ এই একাদশী সমস্ত সুকর্মের মধ্যে শ্রেষ্ট এবং সমস্ত ব্রতের মধ্যে উত্তম ব্রত। কিছুদিন পরে ভগবানের সৃষ্ট পাপপুরুষ এসে শ্রীহরির কাছে করজোড়ে কাতর প্রার্থনা জানাতে লাগল-হে ভগবান! আমি আপনার প্রজা! আমাকে যারা আশ্রয় করে থাকে, তাদের কর্ম অনুযায়ী তাদের দুঃখ দান করাই আমার কাজ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি একাদশীর প্রভাবে আমি কিছুই করতে পারছি না, বরং ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি। কেননা একাদশী ব্রতের ফলে প্রায় সব পাপাচারীরা বৈকুন্ঠের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে।

হে ভগবান, এখন আমার কি হবে? আমি কাকে আশ্রয় করে থাকব? সবাই যদি বৈকুন্ঠে চলে যায়, তবে এই মর্ত্য জগতের কি হবে? আপনি বা কার সঙ্গে এই মর্ত্যে ক্রীড়া করবেন? পাপপুরুষ প্রার্থনা করতে লাগল- হে ভগবান, যদি আপনার এই সৃষ্ট বিশ্বে ক্রীড়া করবার ইচ্ছা থাকে তবে, আমার দুঃখ দুর করুন। একাদশী তিথির ভয় থেকে আমাকে রক্ষা করুন। হে কৈটভনাশন, আমি একমাত্র একাদশীর ভয়ে ভীত হয়ে পলায়ন করছি। মানুষ, পশুপাখী, কীট-পতঙ্গ, জল-স্থল, বন-প্রান্তর, পর্বত-সমুদ্র, বৃক্ষ, নদী, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সর্বত্রই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু একাদশীর প্রভাবে কোথাও নির্ভয় স্থান পাচ্ছি না দেখে আজ আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।

হে ভগবান, এখন দেখছি, আপনার সৃষ্ট অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডের মধ্যে একাদশীই প্রাধান্য লাভ করেছে, সেইজন্য আমি কোথাও আশ্রয় পেতে পারছি না। আপনি কৃপা করে আমাকে একটি নির্ভয় স্থান প্রদান করুন। পাপপুরুষের প্রার্থনা শুনে ভগবান শ্রীহরি বলতে লাগলেন- হে পাপপুরুষ! তুমি দুঃখ করো না। যখন একাদশী তিথি এই ত্রিভুবনকে পবিত্র করতে আবির্ভুত হবে, তখন তুমি অন্ন ও রবিশস্য মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করবে। তা হলে আমার মূর্তি একাদশী তোমাকে বধ করতে পারবে না।
একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
ভদ্রশীলের কাহিনীঃ পুরাকালে গালব নামে এক মহান মুনি নর্মদা নদীর তীরে বাস করতেন। তাঁর ভদ্রশীল নামে এক বিষ্ণুভক্ত পুত্র ছিল। সে ছোটবেলা থেকে বিষ্ণুমূর্তি বানিয়ে পূজা করত। বালক হয়েও লোককে বিষ্ণুপূজার উপদেশ ও একাদশী পালন করতে নির্দেশ দিত, নিজেও পালন করত। পিতা একাদিন জিজ্ঞাসা করেন। আচ্ছা ভদ্রশীল! তুমি অতি ভাগ্যবান। তুমি বলো তো, রোজ শ্রীহরির পূজা করা, একাদশ তিথি পালন করা- এরূপ ভক্তি কিভাবে তোমার উদয় হল?”

উত্তরে ভদ্রশীল বলতে লাগল- বাবা! আমি পূর্বজন্মের কথা ভুলিনি। আগের জন্মে যমপুরীতে গিয়েছিলাম। সেখানে যমরাজ আমাকে এ বিষয়ে উপদেশ করেছিলেন। পিতা অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে বললেন- ভদ্রশীল, তুমি পূর্বে কে ছিলে? যমরাজ তোমাকে কি বলেছিল, সব কিছুই আমাকে বলো। ভদ্রশীল বলল- বাবা! আমি পূর্বে চন্দ্রবংশের একা রাজা ছিলাম। তখন আমার নাম ছিল ধর্মকীর্তি।

ভগবান দত্তাত্রেয় আমার গুরু ছিলেন। নয় হাজার বছর আমি পৃথিবী শাসন করেছিলাম। বহু ধর্ম-কর্ম করেছিলাম। পরে যখন আমার অনেক ধনসম্পদ হল তখন আমি পাগলের মতো অধর্ম করতে লাগলাম। কতগুলি পাষন্ড ব্যক্তির সেঙ্গ আলাপ করতাম। আর কেবল কথা আলাপের ফলেই আমার বহু দিনের অর্জিত পুণ্য নষ্ট হয়ে গেল। আমিও পাষন্ডী হলে গেলাম। সব প্রজারাও অধর্ম করতে লাগল। প্রজাদের প্রত্যেকের অধর্মের ছয় ভাগের এক ভাগ রাজাকেই গ্রহণ করতে হয়। তারপর একদিন আমি সৈন্যদের সঙ্গে বনে মৃগয়া করতে গেলাম।

বহু পশু বধ করলাম। তারপর আমি ক্ষুধঅ তৃষ্ণায় কাতর ও ক্লান্ত হয়ে রেবা নদীর তীরে গেলাম। প্রখর রোদে তপ্ত হয়ে নদীতে স্নান করলাম। কিন্তু তারপর আমার কোন সেনাকে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত ও অতিশয় ক্ষুধার্ত হলাম। অন্ধকার হয়ে এল। আমি পথ ঠিক করতে পারলাম না। তারপর এক জায়গায় গিয়ে কয়েকজন তীর্থবাসীকে দেখলাম। জানলাম তারা একাদশী ব্রত করেছে। তারা সারাদিন কিছু খায়নি, জলপান পর্যন্তও করেনি। আমি তাদের সঙ্গে পড়ে রাত্রি জাগরণ করলাম। কিন্তু ক্লান্তি ক্ষুধা পিপাসায় কাতর হয়ে রাত্রি জাগরণের পর আমার মৃত্যু হল।

তখন দেখলাম বড় বড় দাঁত বিশিষ্ট দুজন ভয়ংকর যমদুত এসে আমাকে দড়ি দিয়ে বাঁধল। আর ক্লেশময় পথ দিয়ে আমাকে টেনে নিয়ে চলল। তারপর যমপুরীতে পৌছালাম। যমরাজও দেখতে তখন ভয়ংকর। যমরাজ চিত্রগুপ্তকে ডেকে আমাকে দেখিয়ে বললেন-পন্ডিত! এই ব্যক্তির যেরূপ শিক্ষাবিধান তুমি তা বলো। চিত্রগুপ্ত কিছুক্ষণ বিচার করে ধর্মরাজ যমকে বললেন-হে ধর্মপাল! এই ব্যক্তি পাপকর্মেই রত ছিল সত্য, কিন্তু তবুও একাদশীর উপবাসের জন্য সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে।

তীর্থবাস ও রাত্রি-জাগরণও করেছে। তাই ওর সব পাপ নষ্ট হয়েছে। চিত্রগুপ্ত এই কথা বললে যমরাজ খুব চমকে উঠলেন, তিনি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ভুমিতে দন্ডবৎ প্রণাম জানিয়ে আমাকে পূজা করতে লাগলেন। তারপর তাঁর দূতদের আহ্বান করে বলতে লাগলেন- হে দূতগণ! তোমরা ভাল করে আমার কথা শোনো। তোমাদের মঙ্গলজনক কথা আমি বলছি। যে সব মানুষ মর্ধরত, তোমরা তাদেরকে এখানে আনবে না। যাঁরা শ্রীহরির ভক্ত, পবিত্র, একাদশীব্রত পরায়ণ, জিতেন্দ্রিয় এবং যাঁদের মুখে সর্বদা ‘হে নারায়ণ, হে গোবিন্দ, হে কৃষ্ণ, হে হরি, উচ্চারিত হয়, যাঁরা সকল লোকের হিতকারী ও শান্তিপ্রিয়, তাদেরকে তোমরা দূর থেকেই পরিত্যাগ করবে।

কারণ, সেই সব ব্যক্তিকে আমার শিক্ষা দেবার অধিকার নেই। যাঁরা সর্বদা হরিনামে আক্ত, সর্বদা হরিকথা শ্রবণে আগ্রহী, যাঁরা পাষন্ডগণের সঙ্গ করে না, ভক্তদের শ্রদ্ধা করে, সাধুসেবা অতিথিসেবা পরায়ণ, তাঁদেরকে পরিত্যাগ করবে।

হে দূতগণ! তোমরা শুধু তাদেরকেই আমার কাছে ধরে আনবে যারা উগ্রস্বভাব, ভক্তদের অনিষ্ট করে, লোকদের সঙ্গে কলহ বাধায়, একাদশী ব্রত পালনে একান্ত পরাঙ্মুখ, পরনিন্দুক, ব্রাহ্মণের ধনে লোভ, পরতন্ত্র, হরিভক্তি বিমূখ, যারা ভগবদ্ বিগ্রহ দেখে শ্রদ্ধাবত হয় না, মন্দির দর্শনে যাদের আগ্রহ নেই, অন্যের অপবাদ করে বেড়ায়, তাদের সবাইকে বেঁধে এখানে নিয়ে আসবে।’

যমরাজের মুখে এসব কথা শুনে আমি পাপকর্মের জন্য অত্যন্ত অনুশোচনা করতে থাকি। তারপর আমি সূর্যের মতো উজ্জ্বল দেহ লাভ করলাম। একটি দিব্য বিমানে চড়িয়ে আমাকে যমরাজ দিব্যলোকে পাঠিয়ে দিলেন। কোটি কল্প সেখানে অবস্থান করার পর এই পৃথিবীতে এসে সদাচারী মহান ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার জাতিস্মরতা হেতু এসব ঘটনা আমার হৃদয়ে জাগ্রত আছে।
আমি পূর্বে একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য জানতাম না। অনিচ্ছাকৃতভাবে যখন একাদশী পালনে এত ফল লাভ করেছি। তাহলে ভক্তি সহকারে একাদশী ব্রত উপবাস করলে কি প্রকার ফল লাভ হয় তা জানি না। তাই বৈকুন্ঠধামে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছায় আমি পবিত্র একাদশীব্রত ও প্রতিদিন বিষ্ণুপূজা করব এবং অন্যদেরও এসব পালন করতে উৎসাহী করব। পুত্রের কথা শুনে গালব মুন অতি সন্তুষ্ট হয়ে ভাবলেন, আমার বংশে এই পরম বিষ্ণুভক্তের জন্ম হয়েছে, তাই আমার জন্ম সফল, আমার বংশও পবিত্র হল।--------হরে কৃষ্ণ-------

আগামী ০৬ই জুলাই ২০২৫ইং, রবিবার  শয়ন একাদশী । সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
01/07/2025

আগামী ০৬ই জুলাই ২০২৫ইং, রবিবার শয়ন একাদশী । সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

রথযাত্রার শুভেচ্ছা সবাইকে 🚩জগতের নাথ জগন্নাথের কৃপায় জগতের মঙ্গল হোক 🙏জয় জগন্নাথ জয় বলরাম জয় সুভদ্রার জয়🙏 এই দিনটায় গত ব...
27/06/2025

রথযাত্রার শুভেচ্ছা সবাইকে 🚩
জগতের নাথ জগন্নাথের কৃপায় জগতের মঙ্গল হোক 🙏
জয় জগন্নাথ জয় বলরাম জয় সুভদ্রার জয়🙏

এই দিনটায় গত বছর ঢাকা ছিলাম🥰🥰শেষবার রথের দড়ি দরার সুযোগ পেয়েছিলাম,,,,,🤩🤩🙏🙏🙏🙏

'   ╔════ஜ۩۞۩ஜ════╗   ❣    *"একাদশী বার্তা"*    ❣    ╚════ஜ۩۞۩ஜ════╝✧══════•❁❀❁•══════✧   •──✺ যোগিনী একাদশী✺──••───✺ যো...
20/06/2025

' ╔════ஜ۩۞۩ஜ════╗
❣ *"একাদশী বার্তা"* ❣
╚════ஜ۩۞۩ஜ════╝
✧══════•❁❀❁•══════✧
•──✺ যোগিনী একাদশী✺──•
•───✺ যোগিনী একাদশী✺───•
≪━━━━━━◆❃◆━━━━━━≫
২২শে জুন ২০২৫
৭ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার যোগিনী একাদশী
❏❖❏❖❏❖❏❖❏❖❏❖❏
*━─✤পারন✤─━*
°°°°°°°°°°°°°°°
পরের দিন সোমবার সকাল
*পশ্চিমবঙ্গঃ* পূর্বাহ্ন ৯ঃ২৫মিঃ মধ্যে
*বাংলাদেশঃ* ৫ঃ১২মিঃ-৯ঃ৪৪মিঃ
*দিল্লিঃ* ৫ঃ২৪মিঃ-১০ঃ০৩মিঃ
*বৃন্দাবনঃ* ৫ঃ২৪মিঃ-১০ঃ০২মিঃ
*সিঙ্গাপুরঃ-* ৭ঃ০০মিঃ-১০ঃ৪মিঃ
•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸
*•─⊱✦পারণ মন্ত্র✦⊰─•*
"একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ ঙ্গানদৃষ্টিপ্রদো ভব"।।
*_━─────⊱❉✸❉⊰──────━_*
*যোগিনী একাদশী মাহাত্ম্য*
⊰᯽⊱┈───◑❊◑┈───┈⊰᯽⊱
🍎🍊🍏 ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে বর্ণিত আছে।
🍎🍊🍏 যুধিষ্ঠির বললেন--হে বাসুদেব! আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য কৃপাপূর্বক আমার কাছে বর্ণনা করুন।
🍎🍊🍏 শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে মহারাজ! সকল পাপবিনাশিনী ও মুক্তিপ্রদ এই উত্তম ব্রতের কথা বলছি, আপনি শ্রবণ করুন। আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী 'যোগিনী' নামে পরিচিত। মহাপাপ বিনাশকারী এই তিথি ভবসাগরে পতিত মানুষের উদ্ধারলাভের একমাত্র নৌকাস্বরূপ। ব্রত পালনকারীদের পক্ষে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত বলে প্রসিদ্ধ। এই প্রসঙ্গে আপনাকে একটি পবিত্র পৌরাণিক কাহিনী বলছি।
🍎🍊🍏 অলকা নগরে শিবভক্ত পরায়ণ কুবের নামে এক রাজা ছিল। তিনি প্রত্যহ শিবপূজা করতেন। তার হেমমালী নামে একজন মালী ছিল। প্রতিদিন শিব পূজার জন্য মানস সরোবর থেকে সে ফুল তুলে যক্ষরাজ কুবেরকে দিত। বিশালাক্ষী নামে হেমমালীর এক পরমা রূপবতী পত্নী ছিল। সে তার সুন্দরী পত্নীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিল। একদিন সে তার স্ত্রীর প্রতি কামাসক্ত হয়ে পড়ল। রাজভবনে যাওয়ার কথাও ভুলে গেল। বেলা দুই প্রহর অতীত হল। অর্চনের সময় চলে যাচ্ছে দেখে রাজা ক্রুদ্ধ হলেন। মালীর বিলম্বের কারণ অনুসন্ধানে এক দূত প্রেরণ করলেন।
🍎🍊🍏 দূত এসে রাজাকে বলল--'সে গৃহে স্ত্রীর সাথে আনন্দে মত্ত।' দূতের কথা শুনে কুবের রেগে তখনই মালীকে তার সামনে হাজির করতে আদেশ দিল। এদিকে মালী পূজার সময় অতিবাহিত হয়েছে বুঝতে পেরে অত্যন্ত ভয় পেল। তাই স্নান না করেই সে রাজার কাছে উপস্থিত হল।
🍎🍊🍏 তাকে দেখামাত্র রাজা ক্রোধবশে চোখ রাঙিয়ে বললেন--রে পাপিষ্ঠ, দুরাচার! তুই দেবপূজার পুষ্প আনতে অবজ্ঞা করেছিস তাই আমি তোকে অভিশাপ দিচ্ছি তুই শ্বেতকুষ্ঠগ্রস্ত হয়ে যা এবং তোর প্রিয়তমা ভার্যার সাথে তোর চিরবিয়োগ সংগঠিত হোক। রে নীচ, তুই এখনি এই স্থান থেকে ভ্রষ্ট হয়ে অধোগতি লাভ কর।
🍎🍊🍏 কুবেরের এই অভিশাপে হেমমালী তার পত্নীর সাথে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে দীর্ঘকাল যাবৎ কুষ্ঠরোগ ভোগ করতে লাগল। রোগের যন্ত্রণায় দিন অথবা রাত্রে কখনই সে সুখ পেত না। এভাবে শীত গ্রীষ্মে প্রচন্ড বেদনায় বহু কষ্টে সে জীবন যাপন করতে লাগল। কিন্তু দীর্ঘদিন মহাদেবের অর্চনের ফুল সংগ্রহের সুকৃতির ফলে সে শাপগ্রস্ত হয়েও বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শিবের বিস্মরণ কখনও হয়নি।
🍎🍊🍏 একদিন হেমমালী ভ্রমণ করতে করতে হিমালয়ে শ্রী মার্কণ্ডেয় ঋষির আশ্রমে উপস্থিত হল। কুষ্ঠরোগে পীড়িত সপত্নী হেমমালীকে দর্শন করে শ্রী মার্কণ্ডেয় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন--'তুমি কার অভিশাপে এই রকম নিন্দনীয় কুষ্ঠরোগগ্রস্ত হয়েছ?'
🍎🍊🍏 সে উত্তর দিল--'হে মুনিবর! রাজা ধনকুবেরের আমি ভৃত্য ছিলাম। আমার নাম হেমমালী। আমি প্রত্যহ মানস সরোবর থেকে ফুল তুলে শিব পূজার জন্য রাজাকে দিতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একদিন স্ত্রীর মনোরঞ্জন হেতু কামাসক্ত হওয়ায় সেই ফুল দিতে বিলম্ব হয়। রাজার অভিশাপে এই রকম দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছি। পরোপকারই সাধুগণের স্বাভাবিক কর্ম। হে ঋষিশ্রেষ্ঠ! আমি অত্যন্ত অপরাধী। কৃপা করে আমার প্রতি প্রসন্ন হন।
তখন দয়ার্দ্র চিত্ত মার্কণ্ডেয় মুনি বললেন--'হে মালী! তোমার মঙ্গলের জন্য শুভফল প্রদানকারী এক ব্রতের উপদেশ করছি। তুমি আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের 'যোগিনী' নামক একাদশী পালন কর। এই ব্রতের পুণ্য প্রভাবে তুমি অবশ্যই কুষ্ঠব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
🍎🍊🍏 শ্রীকৃষ্ণ বললেন--ঋষির উপদেশ শ্রবণ করে হেমমালী তাকে প্রণাম জানাল। পরে অত্যন্ত আনন্দে ঋষির আদেশ মতো নিষ্ঠার সঙ্গে যোগিনী একাদশী ব্রত পালন করল। এই ভাবে হেমমালী সমস্ত রোগ থেকে মুক্ত হল ও পত্নীসহ সুখে জীবন যাপন করতে লাগল।
🍎🍊🍏 হে মহারাজ যুধিষ্ঠির! আমি আপনার কাছে এই ব্রত উপবাসের মহিমা কীর্তন করলাম। এই ব্রত পালনে অষ্টাশি হাজার ব্রাহ্মণকে ভোজন করানোর ফল লাভ হয়। যে ব্যক্তি এই মহাপাপ বিনাশকারী ও পুণ্য ফল প্রদায়ী যোগিনী একাদশীর কথা পাঠ ও শ্রবণ করে সে অচিরেই সর্বপাপ থেকে মুক্ত হবে।
*🌸জয় যোগিনী একাদশী🌸*
*🌸জয় শ্রীরাধাকৃষ্ণ🌸*
●●●●●●●●●●●●●
┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈
✧══════•❁❀❁•══════✧
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"
"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে।"
"হরে"রাম"হরে"রাম"
"রাম"রাম"হরে"হরে।।"
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
╲\ | / /╭━━ " ҉♥️" ҉-━━╮╲\ | / /
" ҉♥️" ҉ কৃষ্ণময় জীবন " ҉♥️" ҉-
╱/ | \╲╰━━ " ҉♥️" ҉-"━━╯╱/| \╲"

আগামী ২২শে জুন ২০২৫ইং খ্রিস্টাব্দ, রবিবার যোগিনী একাদশী । সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
13/06/2025

আগামী ২২শে জুন ২০২৫ইং খ্রিস্টাব্দ, রবিবার যোগিনী একাদশী ।

সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

আগামী ০৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার শ্রীশ্রী পাণ্ডবা  নির্জলা একাদশী। সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
04/06/2025

আগামী ০৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার শ্রীশ্রী পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী।

সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

'   *✤শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের লীলা✤*         *•──  পর্ব - ১৩  ──•*    *❝জগন্নাথ মহাপ্রসাদ ইতিকথা❞*   ꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂🍃🌸 জ...
25/05/2025

' *✤শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের লীলা✤*
*•── পর্ব - ১৩ ──•*
*❝জগন্নাথ মহাপ্রসাদ ইতিকথা❞*
꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂

🍃🌸 জগন্নাথের মহাপ্রসাদ কেন আনন্দবাজারে বিক্রি হয়। অন্য কোনো মন্দিরে তো তা হয় না।

🍃🌸নারদজী একবার বৈকুন্ঠে এমন সময় গেলেন সেসময় কৃষ্ণ ভোগ গ্রহন করছিলেন। নারদজী কৃষ্ণের প্রসাদ পেয়ে পুলকিত হয়ে গেলেন। এইরকম প্রসাদ তিনি কোন দিন পান নি। প্রসাদ পেয়ে নারদজী আনন্দে হরিধ্বনি করতে লাগলেন। এখন তিনি ভাবছেন এই
আনন্দ কাকে দেয়া যায় ভাগ করে।

🌷🍃এই ভাবে তিনি এলেন কৈলাসে, এসময় মহাদেবের সামনে আনন্দে নৃত্য করতে লাগলেন। শিব বললেন, "নারদ তোমার এ অবস্থা তো আগে কখনো দেখেনি। জানি হরিগুণ গাও এবং তা গেয়ে আনন্দ পাও। কিন্তু আজ এ কি অবস্থা।"

🌸🌷 নারদ বললেন, "প্রভু, আমি এই মাত্র এলাম বৈকুন্ঠ থেকে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ঠাকুর শয়ন করছেন আর মা লক্ষ্মী প্রসাদ পাচ্ছেন। তিনি হাত না ধুয়েই আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন।

🍃🌸 আমি মার হাত থেকে একটু প্রসাদ চেয়ে নিলাম। প্রসাদের যে কি মাহাত্ম্য! প্রসাদ হাতে নিয়ে আমার আনন্দ আর ধরে না।"

☘️🌷️শিব "আমায় দাও" বলে নারদের হাত খানি চেটে পুটে খেলেন। আর নেই। সব শেষ। খেয়ে শিবেরও আনন্দ। শিব পরম বৈষ্ণব। মূলতঃ ভগবানই বিভিন্ন রূপে নিজ লীলা নিজে আস্বাদন করেন।

☘️🌸 শিব ও নারদ প্রসাদের মাহাত্ম্যে নৃত্য করছেন এমন সময় মা পার্বতী আসলেন। এসে বললেন; "এ কি আজ তোমাদের কী হল!"

🍃🌸 শিবকে দেখিয়ে বললেন, "উনি তো নিজের ভাবেই থাকেন, তুমি এসে জুটলে কোথা থেকে?"

🍃🌸নারদ বললেন, "মা আজ স্বয়ং ঠাকুরের প্রসাদ মা লক্ষ্মীর হাত থেকে পেয়েছি। তাই খেয়ে আনন্দে নৃত্য করতে করতে এখানে এলাম। হাতে বাকি যা লেগে ছিল মহাদেব সব চেটে খেলেন। আর তার পরেই এই অবস্থা। "

🍃🌸পার্বতী বললেন, "আর আমার অংশ ? সেই বৈকুন্ঠ থেকে লক্ষ্মীর দেওয়া ঠাকুরের প্রসাদ আনলে শিবকে দিলে, আমায় দিলে না! একটুও নেই?"

নারদ বললেন, " না মা, একটু নেই।"
পার্বতী রেগে গিয়ে বললেন, " এই মহাপ্রসাদ আমি আচন্ডালে খাওয়াব। পশু পক্ষীও খাবে। কোন ভেদ বিচার থাকবে না। কিন্তু কোথায় প্রচার কবরো?"

☘️🌷 এই শ্রীক্ষেত্র পুরী ধামেই প্রচার করলেন। যেখানে এত জাতিভেদ আমাদের ভারতবর্ষে,কিন্তু প্রসাদের ক্ষেত্রে পুরীধাম একেবারেই ভেদশূন্য।

🍃🌸 ️এখানে যে 'আনন্দবাজার' সেখানে একজন এসে খেয়ে যায়, ফেলে যায়, সেখান থেকে আবার কেউ খায়। কেউ হাত মুছল কেউ আবার মাথায় মুছল। সেখানে কত যে রান্না হয় তার ইয়ত্তা করা যায় না। রথ উৎসবে তো লক্ষ লক্ষ লোক আসে। সেখানে লোককে দেখা যায় না রান্না করে খেতে। সবাই জগন্নাথের প্রসাদ পায়।

🍃🌸️পার্বতী দেবী ধ্যান করতে লাগলেন তারপর বিষ্ণু প্রকটিত হলো কি চাও মাতা বললেন প্রসাদ চাই, আপনার প্রসাদ শুধু আমার জন্য নয় এই জগত জীবের জন্য বিষ্ণু বললেন তথাস্তু আমি কলি যুগে জগন্নাথ মহাপ্রসাদ রূপে আসছি।

🍃🌸️ সেখানে তুমি বিমলা রূপে আমার মন্দিরের পাশেই থাকবে আমার নিবেদিত প্রসাদ তোমাকে নিবেদন করার পর জগতবাসী পাবে। সেখানে মানুষ,পশু,পাখি,কীট-পতঙ্গ মহাপ্রসাদে ভেদাভেদ থাকবে না। জয় জগন্নাথ মহাপ্রসাদ।

*"নীলাচলে নীল মাধব প্রভু জগন্নাথ,*
*ভক্ত জনে কৃপা করো দওগো আশীর্বাদ।"*

' •──✦ রথযাত্রা মহোৎসব ✦──•
*🔴 জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা─* ১৭ই জৈষ্ঠ (১১.৬.২০২৫) বুধবার
*🟠 শ্রীগুন্ডিচা মন্দির মার্জন─* ১১ই আষাঢ় (২৬.৬.২০২৫) বৃহস্পতিবার
*🟡 জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা─* ১২ই আষাঢ় (২৭.৬.২০২৫)
*🟢 উল্টো রথযাত্রা─* ২০ই‌ আষাঢ় (৫.৭.২০২৫)
Radhe Radhe 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻

*হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,*
*হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।*

┏━━━━━◆✿◆━━━━━┓    🌿🙏হরেকৃষ্ণ 🙏🌿┗━━━━━◆✿◆━━━━━┛অপরা : একাদশীর উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই উপবাস পালন ...
23/05/2025

┏━━━━━◆✿◆━━━━━┓
🌿🙏হরেকৃষ্ণ 🙏🌿
┗━━━━━◆✿◆━━━━━┛
অপরা : একাদশীর উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই উপবাস পালন করলে একজন ব্যক্তি সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পান। এছাড়াও, অপরা একাদশীর দিনে, ভগবান বিষ্ণুর পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজো করা হয়। পদ্মপুরাণে অপরা একাদশীর উপবাসের সম্পূর্ণ কাহিনি উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বছর ২৩ মে অপরা একাদশীর উপবাস পালিত হবে। অপরা একাদশীর উপবাস ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। মহাভারতে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অপরা একাদশী উপবাসের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন।

২৪ মে উপবাস ভাঙা হবে। উদয়তিথির নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনে সূর্যোদয়ের সময় যে তিথি বিরাজ করে, সেই তিথিই বৈধ বলে বিবেচিত হয়। অতএব, অপরা একাদশী ২৩ মে পালিত হবে।

মহাভারতের : যুগে, একবার যুধিষ্ঠির ভগবান কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে প্রভু! জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণ একাদশীর নাম কী এবং এর তাৎপর্য কী, দয়া করে আমাকে বলুন? তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন, হে রাজা! এই একাদশী দুটি নামে পরিচিত 'অচলা' এবং 'অপরা'। পুরাণ অনুসারে, জ্যৈষ্ঠ কৃষ্ণপক্ষের একাদশী হল অপরা একাদশী, কারণ এটি প্রচুর সম্পদ দেয়। যারা এই উপবাস পালন করেন তারা বিশ্বে বিখ্যাত হন। অপরা একাদশী উপবাস পালন করলে অশুভ আত্মা, ব্রহ্মাহত্যা এবং পাপ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জনপ্রিয় : কাহিনি অনুসারে, প্রাচীনকালে মাহিধ্বজ নামে একজন ধার্মিক রাজা ছিলেন। তার ছোট ভাই বজ্রধ্বজ অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অধার্মিক এবং অন্যায়কারী ছিল। সে তার বড় ভাইকে ঘৃণা করত। এক রাতে, সেই পাপী তার বড় ভাইকে হত্যা করে এবং তার দেহ একটি বুনো অশ্বত্থ গাছের নীচে পুঁতে দেয়। এই অকাল মৃত্যুর কারণে, রাজা ভূতের আকারে একই গাছে বসবাস শুরু করেন এবং অনেক ঝামেলা সৃষ্টি করতে শুরু করেন।

একদিন : হঠাৎ ধৌম্য নামে এক ঋষি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ভূত দেখতে পেলেন এবং তার আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে তার অতীত সম্পর্কে জানতে পারল। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির সাহায্যে কারণ বুঝতে পেরেছিলেন।

আগামী ২৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার  অপরা একাদশী।সবাই দয়া করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
15/05/2025

আগামী ২৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার অপরা একাদশী।

সবাই দয়া করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

আগামী ০৮ই মে ২০২৫ইং খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার পবিত্র মোহিনী একাদশী। সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
01/05/2025

আগামী ০৮ই মে ২০২৫ইং খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার পবিত্র মোহিনী একাদশী।

সবাই কৃপা করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

আসছে, আগামী ০৯ই এপ্রিল ২০২৫ইং খ্রিস্টাব্দ, বুধবার পবিত্র কামদা একাদশী। সবাই দয়া করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।
05/04/2025

আসছে, আগামী ০৯ই এপ্রিল ২০২৫ইং খ্রিস্টাব্দ, বুধবার পবিত্র কামদা একাদশী। সবাই দয়া করে একাদশী ব্রত পালন করবেন।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Radhar Preme Krishna Ami posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Radhar Preme Krishna Ami:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share