Ahmed Hafiz

Ahmed Hafiz Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ahmed Hafiz, Digital creator, Manikganj.

31/07/2025

আপনি অনেক আমল করলেন, কিন্তু মৃত্যুর পর দেখলেন আপনার সেই আমলগুলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারল না। আপনার এই অনেক আমলের তবে কোন মূল্য নেই।
আপনি কিছু আমল করেছেন, কিন্তু আপনি মৃত্যুর পর দেখলেন আল্লাহ আপনার উপর সন্তুষ্ট। আপনার অল্প আমলই আপনার সফলতার জন্য যথেষ্ট।

আপনি আল্লাহর ইবাদাত করতে পারছেন, এটা আপনার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকার আলামত। আর আপনি আল্লাহর আনুগত্যের ভিতর থাকতে পারছেন না, এটি আপনার প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টির আলামত। আল্লাহ যেই বান্দাকে পছন্দ করেন, তাকে নেক আমলের তাওফিক দান করেন।

আপনি বিপদআপদে সবর করতে পারছেন, এর অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টি আপনার সাথে আছে। কিন্তু আপনি মসিবতের সময় নিজের ভিতর সবর আনতে পারছেন না, তার মানে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

আল্লাহর সন্তুষ্টি হল নেক আমলের প্রধান স্তম্ভ। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের জীবিন বিলিয়ে দেয়, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সালাত আদায় করে, সিয়াম পালন করে, তাদের জন্য এই এই প্রতিদান। কুরআন হাদীসে এরকম অসংখ্য বাণী রয়েছে। এজন্য আমল করাই হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। রক্তপাত সত্তাগতভাবে অপছন্দের জিনিস। কিন্তু এই কাজটাই যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়, তখন এটা মহা সওয়াবের কাজে পরিণত।

আপনার জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আপনার প্রাপ্তিতে আল্লাহর সন্তুষ্ট থাকাটা আপনার জন্য মহাপ্রাপ্তি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার রবের সন্তুষ্টির তালাশে থাকতে হবে। আপনার রব আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকলে দুনিয়াকে পরোয়া করার কোন প্রয়োজন আপনার নেই। রব সন্তুষ্ট থাকলে আপনার দৃষ্টি শক্তি, শ্রবণ শক্তি, বাক শক্তি দেহের প্রতিটি শক্তিই আপনার রবের হয়ে যাবে।

এই উম্মতের সবচেয়ে উত্তম সদস্যরা হলেন সাহাবায়ে কেরাম। সাহাবায়ে কেরামের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা কী? আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন। এজন্যই বাকি উম্মত তাদের নাম উচ্চারণ করলে পাঠ করে, রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ( আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন)। যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন, তারাই হলেন সফল মানব। দুনিয়া এবং আখেরাতের সকল কল্যান ও নেয়ামত তাদের জন্যই বরাদ্দ।

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবকিছুর তাওফিক আমাদের দান করুন। আমিন।
লিখা: ইফতেখার সিফাত

এক মু'জা'হিদ তার স্ত্রীকে বিবাহ করার কিছুদিন পরেই শাহা*দাত বরণ করলেন। অতঃপর তার একটি চিঠি পাওয়া গেলো, যাতে তিনি লিখেছিলে...
30/06/2025

এক মু'জা'হিদ তার স্ত্রীকে বিবাহ করার কিছুদিন পরেই শাহা*দাত বরণ করলেন। অতঃপর তার একটি চিঠি পাওয়া গেলো, যাতে তিনি লিখেছিলেন —

❝কখনোই এমনটি মনে করোনা যে আমি তোমাকে স্বার্থপরের মতো বিবাহ করেছি এটা জানার পরেও যে খুব দ্রুতই আমাকে আল্লাহর রাস্তায় হ*ত্যা করা হবে। বরং আমি তোমাকে বিবাহ করেছি এটা জানার পরে যে একজন শহী'দ তার পরিবারের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। তাই আমি চাই জান্নাতে তুমি আমার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হও।❞

অতঃপর তিনি তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি কবিতা লিখেন —

وخطبتكي قبل النفير
لا لأكسر ذلك القلب الحنون

আর আমি তোমাকে যু'দ্ধের আগে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেই কোমল হৃদয়টি না ভাঙার জন্য!

وعشتقي لكن قلبي لم يزل
يرنو لساحات المنون

এবং আমি তোমাকে ভালবাসতাম, কিন্তু আমার হৃদয় এখনও শা'হাদা'তের মৃ'ত্যুর জন্য আকাঙ্ক্ষিত!

وعلمت فضل شهادةٍ
بشفاعةٍ فأردتها لكِ يا فتون

এবং আমি শিখেছি যে শাফাআত হচ্ছে শাহা'দতের একটি গুণ, তাই আমি এটি তোমার জন্য চেয়েছিলাম, হে সুন্দরী!

— সংগৃহীত

19/06/2025

নবীজি (সা.) যখন সাফিয়্যা বিনতে হুওয়াই (রাদি.)-কে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন সাহাবিদের মনে এক স্বাভাবিক দুশ্চিন্তা দেখা দেয়।
এর কারণ ছিল, সম্প্রতি নবীজি (সা.) তাঁর গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, যেখানে সাফিয়্যার বাবা মারা যান।
এই পরিস্থিতিতে সাহাবিদের মনে ভয় ছিল, না জানি প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে সাফিয়্যা (রাদি.) নবীজির কোনো ক্ষতি করে বসেন।
এই আশঙ্কা এতটাই তীব্র ছিল যে, বাসর রাতে সাহাবী আবু আইয়ূব আনসারী (রাদি.) নবীজির কক্ষের বাইরে পাহারা দিতে শুরু করেন।
সকালে নবীজি (সা.) যখন আবু আইয়ূব আনসারী (রাদি.)-কে বাইরে দেখতে পেলেন এবং তাঁর পাহারার কারণ জানতে পারলেন, তখন তিনি হাসলেন।
তাঁর এই হাসি সাহাবিদের সকল আশঙ্কা দূর করে দিল।
কারণ, সাফিয়্যা (রাদি.) সত্যিকার অর্থেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং নবীজির প্রতি তাঁর মনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না।
তিনি তাঁর জীবনের বাকিটা সময় নবীজির অনুগত স্ত্রী হিসেবে কাটান এবং উম্মুল মু'মিনীন উপাধিতে ভূষিত হন।
এই গল্প আমাদের শিক্ষা দেয় যে, প্রকৃত বিশ্বাস এবং রাসূলের ভালোবাসার শক্তি কত গভীর হতে পারে।
উম্মুল মু'মিনীনগণের প্রত্যেকের জীবনীতেই রয়েছে আমাদের জন্য শিক্ষা।

19/06/2025

"সবচেয়ে ভালো আমল হলো, যা সবচেয়ে গোপন রাখা হয়, শয়তান থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত থাকে এবং লোকদেখানো (রিয়া) থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে।"
— ফুদাইল ইবনু ইয়াদ (রহ.)

সূত্র: শুআবুল ঈমান ৯/১৯৩

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করা...
14/01/2025

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করানো হয়। কিন্তু সেই দুধ তার ক্ষত থেকে বের হয়ে আসতে লাগল। এ অবস্থায় চিকিৎসক বললেন, “হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার জীবনসীমা শেষ হয়ে আসছে। আপনি কোনো ইচ্ছা বা ওসিয়ত করে নিন।”

উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে ডেকে বললেন,
“হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে আমার কাছে নিয়ে আসো।”

হুযাইফা (রা.) ছিলেন সেই সাহাবি, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফিকদের নাম জানিয়েছিলেন। এই গোপন বিষয় কেবল আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.), এবং হুযাইফা (রা.)-এর জানা ছিল।

যখন হুযাইফা (রা.) এলেন, তখন উমর (রা.) রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও তাকে বললেন,
“হে হুযাইফা! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) চুপ করে থাকলেন এবং তার চোখ অশ্রুতে ভরে গেল। উমর (রা.) পুনরায় জোর দিয়ে বললেন,
“আল্লাহর কসম, আমাকে বলো, তিনি কি আমার নাম নিয়েছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“আমি এই গোপন বিষয় কাউকে জানাতে পারি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনার নাম মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বললেন,
“এখন দুনিয়াতে আমার শুধু একটি ইচ্ছা বাকি আছে।”

আব্দুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন,
“তা কী, আব্বা জান?”

উমর (রা.) বললেন,
“আয়েশা (রা.)-এর কাছে যাও এবং তাকে বলো, উমর ইবনে খাত্তাব সালাম পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাকে বলো না যে ‘আমিরুল মুমিনিন’ সালাম পাঠিয়েছেন, কারণ আজ আমি আর মুমিনদের আমির নই। তাকে বলো, উমর অনুরোধ করছেন যেন তাকে তার দুই সঙ্গীর (রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)) পাশে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

আব্দুল্লাহ (রা.) গেলেন এবং আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তখন আয়েশা (রা.) কাঁদছিলেন। কিন্তু তিনি বললেন,
“আমি এই জায়গাটি আমার জন্য রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ আমি এটি উমরের জন্য উৎসর্গ করছি।”

আব্দুল্লাহ (রা.) খুশি মনে ফিরে এসে সংবাদটি জানালেন। কিন্তু উমর (রা.) তখনও মাটিতে মুখ রেখে ছিলেন। আব্দুল্লাহ তার মুখ নিজের হাঁটুর ওপর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) বললেন,
“আমার মুখ মাটিতে থাকতে দাও, যাতে আমি আমার রবের সামনে বিনীতভাবে হাজির হতে পারি। উমরের জন্য আফসোস, যদি তার রব তাকে ক্ষমা না করেন।”

উমর (রা.) তার ওসিয়ত করলেন,
“যখন আমার জানাজা হবে, তখন হুযাইফার প্রতি নজর রাখো। যদি তিনি আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে বুঝে নিও আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন। এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে গিয়ে বলো, ‘হে মা! আপনার ছেলে উমর অনুমতি চাচ্ছে।’ যদি তিনি অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে সেখানে দাফন করো। অন্যথায় আমাকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো।”

অতঃপর যখন হুযাইফা (রা.) জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন, তখন উমর (রা.)-কে আয়েশা (রা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং অনুমতি চাওয়া হলো। তিনি অনুমতি দিলেন। এভাবে উমর (রা.) তার দুই সঙ্গীর পাশে দাফন হলেন।

আল্লাহ উমর (রা.)-এর প্রতি দয়া করুন। যিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আল্লাহর ভয়ে কাঁপতেন। কিন্তু আজ আমরা গাফলত ও নির্ভীকতায় জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের কাজের হিসাব করি না, আমাদের আখিরাতের কথাও ভাবি না।

اللهم احسن خاتمتنا ولا تقبض ارواحنا الا وانت راض عنا
হে আল্লাহ আমাদের শেষ পরিণতি টা সুন্দর করুন এবং আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে আমাদের মৃত্যু দিয়েন না।

এক দ্বীনদার নারী একজন আলেমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।সেই আলেম ছিলেন অল্পবয়সী। তাঁর পরিবার থেকেও তাঁর জন্য বিয়ের কথা বলা হচ...
22/12/2024

এক দ্বীনদার নারী একজন আলেমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
সেই আলেম ছিলেন অল্পবয়সী। তাঁর পরিবার থেকেও তাঁর জন্য বিয়ের কথা বলা হচ্ছে, তিনি রাজি ছিলেন না।
কিন্তু, সেই নারীর প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিতে পারলেন না। এমন না যে তিনি নারীকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি বিয়ের আগে নারীকে দেখেননি।
কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বিয়ে হয়ে গেলো।
সেই নারী খুব খুশি হলেন।
কিন্তু, বিয়ের পর আলেম হতাশ হলেন। তিনি দেখলেন তাঁর স্ত্রী অন্ধ, খোড়া এবং কুৎসিত। বিয়ের আগে তিনি বুঝতেই পারেননি। তাঁর খুব রাগ হলো, সেই নারীর প্রতি তাঁর মনে ঘৃণা জন্মালো।
কিন্তু, তিনি রাগ প্রকাশ করলেন না। সেই নারীকে কটু কথা বললেন না। খুব ধৈর্যের সাথে সংসার করে গেলেন।
১৫ বছর সংসার করার পর সেই নারী ইন্তেকাল করেন।
একবার সেই আলেমকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, “আপনি আপনার কোন আমলের কারণে জান্নাত লাভের ব্যাপারে সবচেয়ে আশাবাদী?”
সেই আলেম জবাব দিলেন, “আমি আমার স্ত্রীর মন রক্ষার্থে তার সাথে কটু কথা না বলে, তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ১৫ বছর সংসার করেছি। আমি এই আমলটির কারণে জান্নাত লাভের ব্যাপারে আশাবাদী।”
সেই আলেম ছিলেন তৃতীয় হিজরির নিশাপুরের একজন বিখ্যাত ইমাম আবু উসমান নিশাপুরী রাহিমাহুল্লাহ।
আল্লাহর ফয়সালা মেনে নিয়ে সবর করাটা একটি ইবাদত।
ঘটনাটি বাংলায় অনূদিত একটি বই থেকে নেয়া।
মুসলিম ইতিহাসে আলেমগণ স্ত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করেছেন সেটা জানতে পারবেন ‘স্ত্রীদের সাথে নবি ও মনীষীদের আচরণ’ বইয়ে।

03/09/2024

একদিন ঠিকই আফসোস করব!

১. ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম জেনেও আমি ফজরে ঘুমিয়ে ছিলাম।

২. কুরআন তিলাওয়াতে অন্তরে প্রশান্তি আসে, তারপরও আমি কুরআন ত্যাগ করেছিলাম।

৩. আল্লাহর যিকির আমার সারাদিনের কাজেকর্মে বরকত আনে জেনেও, অলসতা করে যিকির ছেড়েছি।

৪. ইস্তেগফারে আমার রিযিক বৃদ্ধি জেনেও, গাফেল থেকেছি।

৫. তাহাজ্জুদ আমার জন্য শান্তি, শৃঙ্খলা, সুস্থিরতাসহ আরো অসংখ্য উপকারিতা নিয়ে আসে জেনেও, আমি এমন মহার্ঘ তাহাজ্জুদও আমি হেলাভরে ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়েছি।

৬. তাওবার দরজা সদা-সর্বদা উন্মুক্ত, আমি আজ করছি, কাল করছি করে শুধু পিছিয়েছি।

৭. গুনাহে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গুনাহ ত্যাগ করলে, আল্লাহ আমার বিপদ দুর করে দিতেন। আমার দুশ্চিন্তা লাঘব করতেন। এটা জেনেও আমি গুনাহে অনঢ় থেকেছি। গুনাহে লিপ্ত থেকেছি।

৮. যে কোনো ভালো কাজ করলেই আমি জান্নাতের আরেকটু কাছে চলে যেতাম। জাহান্নাম থেকে দূরে সরে আসতাম। এটা জেনেও আমি উদাসীন থেকেছি।

একদিন ঠিকই আফসোস করবো।
ইয়া আল্লাহ সুমতি দান করুন। আ-মীন।

- শায়খ আতীক উল্লাহ (হাফি.)

12/06/2024
গ্লোবাল জিহাদের জনক ড. আব্দুল্লাহ আযযাম রহিঃ।জন্ম ১৯৪১ সালে ফিলিস্তিনের জেনিনের ছোট এক গ্রামে।পরবর্তীতে তিনি আফগানে হিজর...
12/05/2024

গ্লোবাল জিহাদের জনক ড. আব্দুল্লাহ আযযাম রহিঃ।জন্ম ১৯৪১ সালে ফিলিস্তিনের জেনিনের ছোট এক গ্রামে।পরবর্তীতে তিনি আফগানে হিজরত করেন।যার হাত ধরে এক পতাকার ছায়াতলে একত্রিত হতে শুরু করেছিলো সকল আরব অনারব মুজাহিদীন।ওনার হাতে গড়া সংগঠন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগান থেকে পলায়ন করার পর আল কায়েদা নামে আত্মপ্রকাশ করে।বর্ণার্ঢ্য জীবনে শায়েখ ছিলেন একাধারে ইসলামি চিন্তাবিদ,শিক্ষক,সংগঠক,আহ্বায়ক,লেখক ও মুজাহিদ।ওনার হাত ধরেই গড়ে ওঠেন উম্মাহর গৌরব বীর সেনানি শায়েখ ওসামা বিন লাদিন রহিঃ।শায়েখ যখন ওনার উদ্দেশ্য পূরণের একবারে দ্বার প্রান্তে ছিলেন (অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগান থেকে পলায়ন করার পর তিনি সকল মুজাহিদীনেরকে একত্র করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তিনি সফলতার দ্বার প্রান্তে ছিলেন) ঠিক এমন মুহূর্তে মুরতাদ জর্ডান প্রসাশন ও আমেরিকার বিশ্বাসঘাতকতায় ১৯৮৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর শুক্রবার পেশোয়ারে এক জুম্মার খুতবা দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে দুই ছেলেসহ শহীদ হন।আল্লাহ উম্মাহ দরদী শায়েখকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।আমাদেরকে শায়েখের পদাঙ্ক অনুসরণ করার তৌফিক দিন।আমিন।

23/04/2024

আমরা রুকু এবং সিজদায় যা যা বলি সেটা নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন কি?

আমরা রুকুতে বলি "সুবহানা রব্বিয়াল আযীম"। অর্থঃ "আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনি সবচেয়ে শক্তিধর।"

আমরা সিজদায় বলি, "সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’. অর্থঃ ''আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনার মাকাম সবচেয়ে উঁচু"।

নামাজের মধ্যে শারীরিক দিক থেকে সবচেয়ে নড়বড়ে এবং দুর্বল অবস্থানটা হচ্ছে "রুকু"। রুকুতে থাকা অবস্থায় কেউ যদি নামাজরত বান্দাকে হালকা করেও একটা ধাক্কা দেয়, সে ধপাস্‌ করে মাটিতে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। চমৎকার ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা যখন নামাজে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকি, তখন বলি "আল্লাহ আপনি সবচেয়ে শক্তিশালী!" আবার, আমরা যখন নামাজের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে থাকি, তখন আল্লাহকে বলি যে, "আল্লাহ আপনি সবচেয়ে উঁচু!"

সুবহানাল্লাহ! কেবলমাত্র এই কনসেপ্টটা আমাদের নামাজকে অন্য আরেক ডাইমেনশানে নিয়ে যায়! নামাজ পড়তে পড়তে যেখানেই মন চলে যাক না কেন, রুকু আর সিজদাহ দেওয়ার সময় মনে পড়ে যায় যে, "আল্লাহ সবচেয়ে শক্তিধর এবং আল্লাহই সর্বোচ্চ!"

তারপর রুকু থেকে উঠতে উঠতে আমরা বলি - "সামি আল্লাহু লিমান হামিদা" অর্থ: "আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করে।"

তারপর পরই দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি এবং বলিঃ "রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ অর্থ, "হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।" অনেকটা যেন আমাদের কথাগুলি যে আল্লাহ সুবহানাতা'আলা শুনবেন, সেটা নিশ্চিত করে রাখলাম।

বলুন তো ঠিক সিজদায় যাবার আগে কেন এটা নিশ্চিন্ত করে নিলাম যে, আল্লাহ আমার সব কথা শুনবেন?

কারণ, সিজদায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায় এবং সিজদা হচ্ছে দুয়া করার মোক্ষম সময়।

রসূল (সা.) বলেছেন, ‘সিজদারত বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং সে সময় তোমরা বেশি বেশি দুয়া করো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)।

তাই আল্লাহর সাথে বান্দার এই মহামিলনের ঠিক আগ মুহূর্তে "সামি আল্লাহু লিমান হামিদা" reminder দিচ্ছে যে, আল্লাহর কাছে যা চাওয়ার সিজদায় গিয়ে উজাড় করে চেয়ে নাও। তিনি তোমার সব আকুতি-মিনতি শুনছেন। একটাও মাটিতে পড়বেনা। প্রতিটা দুয়া রব্বুল আলামিনের দরবারে মেহমান হয়ে পৌঁছাবে।

17/04/2024

নফলে বেড়ে যায় দু'আ কবুলের চান্স
ফরজের পর অধিক নফল আমল করা দুআ কবুলের সহায়ক। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত—রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে আমার কোনো বন্ধুর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। বান্দা যে সকল উসিলায় আমার নৈকট্য অর্জন করে, তার মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ফরজ আমলসমূহ। অন্যদিকে নফল আমলের মাধ্যমে বান্দা আমার এত নিকটবর্তী হয় যে, আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। যখন আমি তাকে ভালোবাসি, তখন আমি হয়ে যাই তার কান, যা দিয়ে সে শোনে; তার চোখ, যা দিয়ে সে দেখে; তার হাত, যা দিয়ে সে ধরে; তার পা, যা দিয়ে সে চলে। সে কিছু চাইলে আমি অবশ্যই দান করি, সাহায্য চাইলে সাহায্য করি। এমন মুমিন বান্দাকে মৃত্যু দিতে আমি সবচেয়ে বেশি দ্বিধাবোধ করি; কারণ সে মৃত্যু অপছন্দ করে আর আমি অপছন্দ করি তাকে অসন্তুষ্ট করতে।"
আমরা যত বেশি ফর‍য আদায়ে যত্নবান হবো, তত বেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবো। আর ফরযের পর নফলের কম বা বেশির কারণেই এই নৈকট্যের পরিমাণেও হবে বেশি বা কম। ফরয তো আবশ্যিক, সবাই-ই সেটা করেন। কিন্তু যত্নের সাথে ফরয আদায় করি আমরা কজন? আর এরপরে নফলেই বা যত্নবান থাকে কজন? কিন্তু যারা থাকে, তারাই হতে পারেন রবের কাছের মানুষ। যারা দু'আয় হাত তুললে সেই দু'আ দ্রুতই পৌঁছে যায় আরশের দরবারে।
Collected

18/01/2024

ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন, "নিঃসন্দেহে আমাদের অন্তরে এমন একটি অতৃপ্ত অংশ রয়েছে যা আল্লাহর সান্নিধ্য ছাড়া কখনো তৃপ্ত হবার নয়। আর এই অংশে এমন এক বিষণ্ণতা বিরাজ করে যা আল্লাহকে জানা এবং তাঁর প্রতি হক্ব সমূহের আদায় ছাড়া দূর হবার নয়।

আর সেখানে এমন এক শূন্যতা রয়েছে যা আল্লাহর ভালোবাসা, তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন, তাঁর স্মরণ ছাড়া পূর্ণ করা যায় না। কোনো বান্দাকে যদি এ পৃথিবী এবং এতে যা কিছু আছে সব দিয়ে দেয়া হয়, তবুও তার অন্তরের ঐ শূন্যস্থান পূরণ হবে না।"

আর আল্লাহ্ বলেনঃ জেনে রেখো আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তর প্রশান্ত হয়। [সূরা আর রদঃ২৮]

©Dawah

Address

Manikganj
1800

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahmed Hafiz posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share