প্রাথমিক শিক্ষক সংবাদ

প্রাথমিক শিক্ষক সংবাদ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from প্রাথমিক শিক্ষক সংবাদ, Digital creator, Manikganj.

১১তম গ্রেডের প্রস্তাব কেন পে-কমিশনে; অধমের ভাবনা।**************************************************আমরা এতটাই বুদ্ধিমান ...
12/08/2025

১১তম গ্রেডের প্রস্তাব কেন পে-কমিশনে; অধমের ভাবনা।
**************************************************

আমরা এতটাই বুদ্ধিমান যে, সব বুঝি। কিন্তু আসলে কি বুঝি আর কি বুঝি না, তা-ই বুঝি না। তবে হ্যা, নিজেরমত করে বানিয়ে নিয়ে সব বুঝে ফেলি। যাই হোক মূল কথায় আসি-- গতকাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে নানা ধরনের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া ক'য়েকশত ফোনও রিসিভ করেছি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমার মতো করে বানিয়ে নিয়ে, যা বুঝেছি তাহাই নিম্নে বয়ান করছি।
১. অনেকের প্রশ্ন- সহকারীদের কি ১১তম গ্রেড হচ্ছে?
এটা এই মূহুর্তে বলা যাবে না। কারন, অনেকগুলি স্টেপ বাকি রয়েছে। কেবল মাত্র মহাপরিচালক মহোদয় প্রস্তাব আকারে বাজেটসহ আমাদের মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। আমাদের মন্ত্রণালয় অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিখিত কোন সম্মতি এখনো পাওয়া যায় নি। তবে মৌখিক সম্মতি যেহেতু পাওয়াগিয়েছে, লিখিতও পাওয়া যাবে। অপেক্ষার পালা----
২. অর্থমন্ত্রণালয় কেন বেতন কমিশনকে এই প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে?
আপনারা জানেন পে-কমিশন দ্রুততার সাথে কাজ করছে। তারা দেশের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বিবেচনায় রেখে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করবেন ও প্রস্তাব করবেন। এদিকে বর্তমান বিদ্যমান ২০টা গ্রেড থেকে কমিয়ে ১০-১৫ গ্রেড করার উপর চাপ রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক গ্রেডকে একটা গ্রেডে পরিনত করতে হবে। সেখানে কিভাবে হবে এখনো জানা যায়নি। জানা সম্ভবও নয়। পে-কমিশন নিজেরাই এখন জানে না কি হবে। তারা নিজেরা মিটিং করবে, স্টেক হোল্ডারদের সাথে মিটিং করবে, রাষ্ট্রের সক্ষমতা, জিডিপি/প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি সার্বিক বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়ে তারপর বেতন কাঠামো প্রস্তুত করবেন। এখানে ধরুন ১১তম ও ১০ম এই দুইটা গ্রেডকে একটা গ্রেড করে ৬ষ্ঠ গ্রেডে রুপান্তর করল। সেক্ষেত্রে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা একই গ্রেড হয়ে যাবে। আবার ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেড যদি একটায় রুপান্তর করে এবং ১০ম ও ৯ম যদি একটায় রুপান্তর করে তা হলে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে পার্থক্য হবে ব্যাপক। তাই, সহকারীদের ১১তম দেওয়া হবে একথা কি কমিশনকে জানাবে না। বিষয়গুলি বেশ জটিল। এমনওতো হতে পারে আমাদের স্কেল বৃদ্ধি করাই লাগবে না, যদি পে কমিশন প্রধানদের পরের গ্রেডেই আমাদের সহকারীদের বেতন ফিক্সড করে বা তাদেরও যে গ্রেড আমাদেরও সেই গ্রেড হয়ে যায়। অর্থাৎ ১০, ১১, ১২ ও ১৩ একটা গ্রেডে রুপান্তর করা হয় (এমন হবে না)। তাই অনেক কিছুই নির্ভর করছে পে-কমিশনের হাতে। আসল সত্য হলো এখনও কিছুই বুঝতে পারছি না, কি হবে। তবে আমাদের ১১তমের প্রস্তাব পেকমিশনে পাঠানোর যৌক্তকতা অনেক রয়েছে।
৩. আন্দোলন কি করতে হবে? ৩০ আগস্টের মহাসমাবেশ কি করতে হবে?
শিক্ষক সংগঠনের কাজ সরকারের সাথে বার্গেনিং করা। শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন, পেশাগত উন্নয়ন, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি নানা বিষয়ে সংগঠন কাজ করে থাকে৷ অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ সংগঠন অন্য সংগঠনের পেছনে লেগে সময় পার করে। কাজের নামে ঠনঠনি নিজেদের মধ্যে কামড়া-কামড়ি। আর অফিস অফিসে দালালি। এখান থেকে সরে আসার সময় এসেছে। "দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ।"
যাই হোক, আন্দোলনে থাকতে হবে। ৩০ আগস্টের মহাসমাবেশ করতে হবে। জানিয়ে দিতে হবে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। যদি এর মধ্যে ১১তম গ্রেড বা প্রধানদের পরের ধাপে বা একই ধাপে আমাদের বেতন সরকার/পে-কমিশন ফিক্সড করে তাও ৩০ তারিখের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।
জয় হোক শিক্ষক মর্যাদার।
সংগ্রহীত

08/08/2025

সুখবর আসছে।(শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ছে)
দৈনিক সমকাল, ৮/৮/২০২৫ খ্রি. সাব্বির নেওয়াজ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার বেতন বাড়ছে। শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেড করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে বিভাগীয় উপপরিচালক পর্যন্ত সব কর্মকর্তার বেতন এক গ্রেড করে উন্নীত করার জন্য আগামী সপ্তাহে সুপারিশ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এ নিয়ে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের (এইউইও) মধ্যে। কারণ, বর্তমানে এইউইওদের বেতন স্কেলও ১০ম গ্রেডে। তদারকি কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের একই গ্রেডে অবস্থান প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি করছে।

অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকরা রয়েছেন ১৩তম গ্রেডে। বেতন কাঠামোয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে তিন ধাপ পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। টাকার অঙ্কে এ ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে ইনক্রিমেন্টসহ প্রায় ১৫ হাজার।

পৃষ্ঠা ১৩: কলাম ৪
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ছে
[প্রথম পৃষ্ঠার পর]

এ ব্যবধানকে 'বৈষম্য' হিসেবে দেখছেন সহকারী শিক্ষকরা। এ অসন্তোষ দূর করতে সরকার বেতন গ্রেড উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ও এতে সায় দিয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার সমকালকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদনাম পরিবর্তন করে 'শিক্ষক' করা হয়েছে। তাদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। আর ইউএপিইও, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউপিইও), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) এবং বিভাগীয় উপপরিচালকদের (ডিডি) বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

মহাপরিচালক জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার পর অর্থ উপদেষ্টা, অর্থ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, তিনিসহ বসে বেতন বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরেন। এতে অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সায় দিয়েছে। নতুন পে-কমিশনের কাছে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরা হচ্ছে।

বেতনবৈষম্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

জানা গেছে, ২০১৩ সালে এক যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও দুই ধাপ গ্রেড উন্নীত হন। সহকারী শিক্ষকরা তখন এক ধাপ উন্নীত হন। এর পর থেকে দুই পক্ষ গ্রেড বাড়ানোর দাবিতে আলাদা আন্দোলন শুরু করে।

২০১৯ সালে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক উচ্চ আদালতে রিট করেন। তারা ২০১৪ সাল থেকে গেজেটেড মর্যাদাসহ ১০ম গ্রেড দাবি করেন। আদালতে এটা মঞ্জুর হয়। একই সময় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড দাবিতে আরেকটি রিট করেন। এর শুনানি হয়নি। ফলে গ্রেড ব্যবধান তিন ধাপে পৌঁছেছে।

এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সমকালকে বলেন, প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পাওয়ায় আমরা খুশি। এটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে সময় এসেছে বৈষম্য নিরসনের। এ জন্য সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দিতে হবে।

তিনি আরও জানান, ১১তম গ্রেড, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা এবং শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে আগামী ৩০

আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহকারী শিক্ষকদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দেন তিনি।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরে আলম সিদ্দিকী রবিউল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গঠিত পরামর্শক কমিটি প্রস্তাব দিয়েছিল চাকরির শুরুতে ১২তম ও চার বছর পূর্তিতে ১১তম গ্রেড দেওয়ার। কিন্তু আমরা চাই শুরুতে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন হোক।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর (পশ্চিম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা ফেরদৌস বলেন, প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে একসময় আমাদের বেতন ব্যবধান ছিল ১০ টাকা। আর এখন হবে তিন ধাপে কয়েক হাজর টাকা। এই বৈষম্যের অবসান চাই।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মকরধ্বজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, বিগত সরকার আমাদের মূল্যায়ন করেনি। বর্তমান সরকারপ্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দিয়েছে। এই সরকারের আমলেই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের বাস্তবায়ন চাই।

কর্মকর্তারা হতাশ

এদিকে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড কার্যকর হওয়ার পর একই গ্রেডে থাকা এইউইওরা ৯ম গ্রেড চাইছেন। তাদের মতে, প্রশাসনিক কাঠামোর ভারসাম্য বজায় রাখতে এইউইওদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা জরুরি। তা না হলে প্রাথমিক শিক্ষার তদারকি ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

জানা গেছে, ইউএপিইও পদটি ১৯৭৮ সালে সৃষ্টি হয়। ১৯৯৪ সালে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী পদটি ১০০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। সে সময়ের অধস্তন প্রধান শিক্ষক পদটি ১৭তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষক পদটি ১৮তম গ্রেডে ছিল। পরে প্রধান শিক্ষক পদটি কয়েক দফায় উন্নীত করায় ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেডভুক্ত হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট পদটি ৯ম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে এবং পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদটি ৩য় শ্রেণি থেকে ১ম শ্রেণি (৯ম গ্রেড) উন্নীতকরণ করা হয়েছে। অথচ ৩০ বছর ধরে ইউএপিইও পদটি ১০ম গ্রেডে রয়ে গেছে।

রাজধানীর ডেমরার সহকারী থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা

কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মিলন মিয়া সমকালকে বলেন, ইউএপিইওরা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক ও একাডেমিক তত্ত্বাবধায়ক, মেন্টর, মনিটর, এসিআর ও ছুটি প্রদানকারী কর্মকর্তা। এ ক্ষেত্রে ইউএপিইও, প্রধান শিক্ষক একই গ্রেড হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মূল কাজের পাশাপাশি সরকারের অর্পিত বিভিন্ন দায়িত্ব যেমন ভোটার রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত কাজে সহকারী রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা, নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ভিজিএফ ও ভিজিডি-সংক্রান্ত কাজে তদারককারী কর্মকর্তা, সমাজসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যসেবা ও নকলমুক্ত পরিবেশে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সহায়তাসহ নানা কাজ করে থাকি।

গুলশানের সহকারী থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আল আমিন হাওলাদার বলেন, সরকারের নন-ক্যাডার ১ম শ্রেণির (৯ম গ্রেড) কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইউএপিইওদের নিয়োগবিধিতে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগ প্রত্রিয়া ও অন্যান্য শর্তাবলি একই। অথচ বেতন কেন দুই রকম হবে?

নতুন প্রস্তাবে কার বেতন কত হবে

সরকারের কাছে দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাবে শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডের (১১ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ১১তম গ্রেড (১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) করার কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন সাড়ে তিন লাখের বেশি। ইউএপিইওদের ১০ম গ্রেডের (১৬ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ৯ম গ্রেড (২২ হাজার টাকা স্কেল) দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে এই পদের সংখ্যা দুই হাজার ৬০৭টি। ইউপিইওদের দেওয়া হবে ৯ম গ্রেডের (২২ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ৮ম গ্রেড (২৩ হাজার টাকা স্কেল)। এ পদে কর্মরত ৫১৬ জন কর্মকর্তা। ডিপিইও আছেন ৬৮ জন, তাদের বেতন সপ্তম গ্রেডের (২৯ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ষষ্ঠ গ্রেড (৩৫ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) দিতে সুপারিশ করা হচ্ছে। এর বাইরে বিভাগীয় উপপরিচালকদের পঞ্চম গ্রেডের (৪৩ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে চতুর্থ গ্রেডে (৫০ হাজার টাকার স্কেল) বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হচ্ছে।

18/07/2025
29/06/2025

সাবলীল পড়ার দক্ষতা অর্জনের কৌশল :
আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় যে, অনেক শিক্ষার্থী বাংলা সাবলীলভাবে পড়তে পারে না। বর্তমানে শতভাগ শিক্ষার্থীর সাবলীল ভাবে বাংলা পড়ার দক্ষতা অর্জন করানোর জন্য সকল স্তরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।নিম্নলিখিত কৌশলগুলো অনুসরণ করে সাবলীল ভাবে পড়ার দক্ষিতা অর্জন করানো সম্ভব।

(১) বর্ন চিনাতে হবে: পঠন দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথমে ভালো করে বর্ণ চিনাতে হবে।

(২) কার চিহ্নও ফলা চিহ্ন ভালো করে শিখাতে হবেঃ অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে তারা সাবলীল ভাবে কার চিহ্ন ও ফলা চিহ্ন চেনে না। তাদেরকে বানান শিখানোর আগে কার চিহ্ন ও ফলা চিহ্ন ভালো করে শিখাতে হবে।

(৩) শব্দ গঠন শেখাতে হবে :শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বর্ণের সমন্বয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ গঠন শেখাতে হবে।

(৪) একাধিক শব্দ যোগে বাক্য তৈরিঃ যে সকল শিক্ষার্থী এলোমেলো শব্দ বলতে পারবে তাদেরকে একাধিক শব্দ দিয়ে বাক্য শেখাতে হবে।

(৫) বর্ণ,শব্দ ও বাক্য চর্চা করাঃ বাংলা রিডিং এ যে সকল শিক্ষার্থী দূর্বল তাদেরকে প্রথমে বর্ণ তারপর শব্দ তারপর বাক্য এভাবে শিখন শেখানো কার্যাবলী পরিচালনা করতে হবে।

(৬) যুক্ত বর্ণ, সমার্থক শব্দ ও কঠিন শব্দ চর্চা করাঃ শিক্ষার্থীদের শ্রেনীকক্ষের বোর্ডে বা খাতায় যুক্তবর্ণ, সমার্থক শব্দ ও কঠিন শব্দ লিখতে দিয়ে শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করাতে হবে।

(৭) বিরাম চিহ্নের ব্যবহার শেখাতে হবে:শিক্ষার্থীদের পঠনে ভালো করতে হলে তাদের অবশ্যই বিরাম চিনহের ব্যবহার শেখাতে হবে।

৮)বিভিন্ন উপকরনের ব্যবহারঃ শ্রেনিকক্ষে শিক্ষককে প্রচুর পরিমানে রিডিং দক্ষতার উপর উপকরন ব্যবহার করতে হবে যেমনঃশব্দ কার্ড, বর্ণ কার্ড, বাক্য কার্ড, বিভিন্ন অডিও ইত্যাদি।

,৯) সাবলীল পাঠকদের সহযোগিতাগ্রহণ করা ; শ্রেনিতে যেসকল শিক্ষার্থী সাবলীল ভাবে পড়তে পারে তাদেরকে দলনেতা বানিয়ে পড়তে দিতে হবে আর বাকিদের অনুসরন করতে দিতে হবে,।

১০)সবল ও দুর্বল শিক্ষার্থীর জোড়া তৈরি করতে হবে :শ্রেণিকক্ষে সবল শিক্ষার্থীর সাথে একজন দুর্বল শিক্ষার্থীর জোড়া তৈরি করে দিতে হবে। ।
১১)শুধু পড়ার জন্য আলাদা সময় বের করে পড়াঃপঠন দক্ষতা বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো আলাদা সময় বের করে পড়া। শুধু পড়ার জন্য আলাদা করে প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট উচ্চারন করে পড়তে হবে। তাহলে পঠন দক্ষতার উন্নতি হবে।

(১২)) বার বার অনুশীলন করাঃপঠন দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে বারবার পড়ার অনুশীলন করতে হবে।অনুশীলন করা ছাড়া কোন শিক্ষার্থী পঠনে উন্নতি করতে পারে না।
ধন্যবাদ সবাই কে।

23/06/2025

কাব কার্নিভাল, সাটুরিয়া মানিকগঞ্জ।
সাপে কাটা রুগীর চিকিৎসা!!!!

৩য় দিনের মতো চলছে কর্মবিরতী@ #চাকরির শুরুতে ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সর...
28/05/2025

৩য় দিনের মতো চলছে কর্মবিরতী@ #
চাকরির শুরুতে ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সোমবার থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে এক কোটিরও বেশি শিশু শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও কিছুটা দেরিতে পাঠ্যবই পেয়েছে। পুরোদমে ক্লাস শুরু করতেও এক-দেড়মাস দেরি হয়েছে। মে মাসের শুরু থেকে কখনও এক ঘণ্টা, কখনও দুই ঘণ্টা, আবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছেন শিক্ষকরা। সামনে ঈদুল আজহার ছুটি। ৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ঈদ ও গরমের বন্ধ থাকবে। ফলে বছরের অর্ধেক সময় পার হলেও পর্যাপ্ত ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

বর্তমান গ্রেড ১৩ তে মুল বেতন ১১,০০০/= টাকা।দাবি ১১ তম গ্রেডে মূল বেতন হবে ১২,৫০০ /= টাকা।মাত্র ১৫০০ টাকা বৃ‌দ্ধির জন্য প...
26/05/2025

বর্তমান গ্রেড ১৩ তে মুল বেতন ১১,০০০/= টাকা।
দাবি ১১ তম গ্রেডে মূল বেতন হবে ১২,৫০০ /= টাকা।

মাত্র ১৫০০ টাকা বৃ‌দ্ধির জন্য প্রাথ‌মিক শিক্ষক‌রা পূর্ণ‌দিবস কর্মবির‌তি করছে অর্থ্যাৎ ১১০০০ টাকা থে‌কে ১২৫০০ টাকা বৃ‌দ্ধির জন্য।

অথচ প্রাথমিক শিক্ষকদের চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই ১০ গ্রেডে চাকুরি করছে।

অর্থাৎ ১১ তম গ্রেড দিলেও প্রাথমিকে বৈষম্য দূর হবে না।তবুও পরিস্হিতী বিবেচনায় আমরা ১১ তম গ্রেড চাই।

22/05/2025

১১তম গ্রেডের প্রস্তাবনা ও ডিজি মহোদয়ের সাথে আলোচনার বিস্তারিত...
১.সংগঠন ঐক্য পরিষদের চলমান কর্মসূচির ইতিবাচক অবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এন্ট্রি পদে ১১ তম গ্রেডের প্রস্তাবনা এবং অতিরিক্ত ব্যয়ের বাজেট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

২. শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ৮০% চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। তবে সংগঠন ঐক্য পরিষদের দাবি শতভাগই থাকবে।
৩. উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা কর্তৃপক্ষের সক্রিয় বিবেচনায় কার্যক্রম চলমান।
৪. শিক্ষকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী শুক্র-শনিবার ছুটি বহাল রেখে নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্টের ঘোষণা করার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে শ্রান্তি-বিনোদন বিনোদন ভাতা প্রাপ্তির জটিলতা দূর হবে।

৫.পদোন্নতির মামলা ০/০৭/ ২০২৫ শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে ইনশাল্লাহ। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।
৬.পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়েছে। এখানে প্রাইভেট বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

আজহারীর এ বক্তব্যকে আপনি কতটুকু সমর্থন করেন???
04/01/2025

আজহারীর এ বক্তব্যকে আপনি কতটুকু সমর্থন করেন???

Address

Manikganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রাথমিক শিক্ষক সংবাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share