I'm U

I'm U আমিই তুমি 🖋️

22/04/2025

- আব্বা, ঘাস লাগাইলে জ্বলে অইনে।
- ধুর ব্যাটা, পোলা মানুষ না তুই? পোলা মাইনষের এত নরম হইলে হয়? শক্ত হয়া বইসা থাক, এট্টু পরেই ব্যাথা যাইব গা দেহিস। ছুইলা যাওয়া যাগায় ঘাস লাগায়া দিলে ছুলা যাগা তাড়াতাড়ি ভালো হয়।

সোলাইমান আর কিছু বলে না। হাশেমের কথায় শক্ত হওয়ার একটা ভাব ধরে বসে থাকে কিন্তু চোখ বেয়ে পানি পড়তেই থাকে। একে তো অন্য বাচ্চাদের সাথে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে গিয়ে কুনুই এর কাছে ছিলে গেছে তার উপর তার বাবা হাশেম মিয়া ক্ষত যায়গায় দুর্বা-ঘাস চিবিয়ে লাগিয়ে দিচ্ছে। দুর্বা-ঘাসের জন্য আরো জ্বলছে ক্ষত যায়গাটা। সোলাইমানের বয়স কেবল ৫ বছর। সোলাইমান যখন জন্ম নেয় তখন তারা কুড়িল বস্তিতে একটা ছোট খুপরিতে থাকতো। তার বাবা সোলাইমান নবীর নামের সাথে মিলিয়ে তার নাম রাখে। সোলাইমান নবী ছিলেন নবীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। সোলাইমান নবী ছিলেন তার আমলের রাজা। বলা হয় অর্ধেক দুনিয়া শাসন করেছেন তিনি। আর নবী হওয়ার কারণে আল্লাহওয়ালা ছিলেন। হাশেম মিয়ারও ইচ্ছা তার ছেলে একদিন মস্ত ধনী হবে তবে দিলের মধ্যে কোনো অহংকার থাকবে না ছেলের। ছেলে হবে আল্লাহওয়ালা।

- আব্বা, ক্ষিদা লাগছে।
- তোর মা আহুক। মায় আইলেই খাওনের ব্যবস্থা হইব নে। কেবল তো সন্ধ্যার আজান দিবো। এই ভর সন্ধ্যাকাইলে আজানের সময় খাওন লাগে না। পরেই খা এট্টু।
- আইচ্ছা।

সোলাইমান আর কিছু বলল না। সকালের দিকে তার বাবা তাকে ফড়িং ধরে দিয়েছিল একটা। সুতোয় বেঁধে সেই ফড়িং ঝুলিয়ে রেখেছিল ঘরের পিছনে। তারই খোঁজ নিতে লাফাতে লাফাতে ঘরের পিছনের দিকে চলে গেল সে। হাশেম মিয়া কিছুটা উদাস হয়ে পড়লো। বাচ্চা ছেলেটা। ক্ষুধা লেগেছে অথচ ঘরে কোনো খাবারই নেই। ঘরে কিছু মুড়ি ছিল, কিন্তু সেই মুড়িও দুপুরে খেতে দিয়েছিল ছেলেটাকে। খেতে দিয়ে ভেবেছিল ছেলেটা হয়তো তাকে একটু সাধবে। কিন্তু ছেলে একাই সব মুড়ি খেয়ে উঠেছিল। সকালে খায়নি ছেলেটা, দুপুরে ক্ষুধা একটু বেশি লাগবেই স্বাভাবিক । তার উপর খুব বেশি মুড়িও ছিল না। হবে হয়তো ২-৩ মুঠো। তবে সোলাইমান এর বড় বোনটা বেঁচে থাকলে এমনটা হতো না। মেয়েটা বড় আদরের ছিল। বাপ বলতেই পাগল ছিল মেয়েটা। বাবার সাথে ভাগ না করে কোনো কিছু খেত না। সোলাইমানের জন্মের ৬ মাসের মাথায় মেয়েটা মারা গেল। ডেঙ্গুজ্বরে সাত দিন ভুগে আট দিনের দিন সকালে মারা গেল। জমানো টাকা পয়সা যা ছিল সব খরচ করেও মেয়েটাকে বাঁচাতে পারেনি। এরপর থেকেই টানা দুর্দশা তাদের জীবনে। মেয়ে মারা যাওয়ার পরপরই হাশেমের অ্যাক্সিডেন্ট হয়। এক সিএনজি এসে ধাক্কা দেয় পেছন থেকে। হাসপাতালে ভর্তি হয়। অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকেই বাম পা টা প্যারালাইসিস হয়ে পড়ে রয়েছে। যেখানে কাজ করতো সেখান থেকে ছাটাই হলো সে। বস্তির ঘর ভাড়া জমলো ৬ মাসের। ভাড়া বকেয়ার জন্য ঘরের আসবাবপত্র রেখেই বস্তিছাড়া হতে হয় তাদেরকে। বাধ্য হয়ে এখন গাবতলিতে নদীর পাড়ে এখানে এসে উঠেছে। যায়গাটা বড্ড নোংরা। ঘরের পিছনেই এলাকার সব ময়লা এনে ফেলে সবাই। এখানেই মুখোমুখি দুই সিরিয়ালে ২০টা ঘর তোলা। তাদেরই একটায় থাকে হাশেমরা। যায়গাটা হাসেমের পছন্দ না। কিন্তু বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। হাসেমের স্ত্রী মাজেদাই কীভাবে কীভাবে যেন এই যায়গার খোঁজ পেয়েছে। বস্তিছাড়া হবার পর সপ্তাহখানেক কমলাপুর রেলস্টেশনে থেকেছে তারা। কিন্তু খোলা যায়গায় ঘুমানো সমস্যা তাও আবার মেয়েছেলে নিয়ে। বাধ্য হয়ে এখানে এসে উঠেছে৷ তবে এই যায়গার সমস্যাই একটা, এখানে কয়েকটা ঘরে কিছু মেয়েছেলে থাকে, তারা ভালো না। খারাপ কাজ করে বেরায়। আল্লাহ তা'আলা এমন মেয়েছেলের জন্যই হয়তো বলেছেন যে জাহান্নামে মেয়েলোকের সংখ্যা বেশি হবে। এমন একটা যায়গায় থাকাটা নিরাপদ মনে হচ্ছে না হাশেমের। তার উপর ইদানীং তার বউটাও রাত করে বাড়ি ফিরছে। আগে যেখানেই কাজ করুক না কেন সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরতো। বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগছে না হাশেমের। তার অ্যাক্সিডেন্টের পরে থেকেই হন্যে হয়ে কাজ খুঁজে বেরাচ্ছে মাজেদা। যেদিন যেখানে যে কাজ পাচ্ছে তাই করছে। সংসারটা তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তবে রাত করে ফেরাটা হাশেমের পছন্দ না। একদিন রাতে ঘুমানোর সময় জিজ্ঞেস করায় মাজেদা একটু রাগ দেখিয়েই বলেছিল,

- এই ঢাকা শহরে কাম পাওন কী এতো সোজা? রাত হইলে আমি কি করুম? কথা বাদ দিয়া ঘুমান। রাইত ম্যালা হইছে।

হাশেম আর কিছু বলতে পারেনি। মেয়েটা অনেক চেষ্টা করছে সংসারটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য। তার উপর আবার কিছু টাকা জমাচ্ছে কোথায় নাকি একটা দোকান দেখেছে। দোকান নিবে সে। কিন্তু এই যে, কথায় কথায় মাজেদা রাগ দেখায় এটা তো ভালো না। আল্লাহ নারাজ হন। হাজার হোক হাশেম মিয়া তো তার স্বামী। স্বামীর সাথে বেয়াদবি করলে আল্লাহর কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হওয়া লাগে। হাশেম মিয়া অবশ্য এসব নিয়ে কিছু মনে করে না, উলটো আল্লাহর কাছে দু'আ করে, আল্লাহ যেন মাজেদার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেন৷ মেয়েটার মেজাজ ইদানীং গরম থাকে। তবে তার মন পরিষ্কার। আগে মেজাজও ঠান্ডা ছিল। বাইরে কাজ করতে গিয়ে এখন মেজাজ চড়া হচ্ছে। হতেই পারে। হাশরের দিন পেয়ারের নবী (স.) ব্যতিত কেউই শাফায়াত করতে পারবেন না। নইলে হাশেম মিয়া এই মাজেদার জন্য শাফায়াত করতো। মাজেদাকে সে অনেক ভালোবাসে।

এতকিছু ভাবতে ভাবতে হাশেমের পেটেও হয়তো একটু ক্ষুধার ভাব হয়েছে। লুঙ্গি কোচর থেকে বিড়ির প্যাকেটটা বের করলো। আজকে সারাদিনে ৩ টা বিড়ি ছিলো। সকালে আর দুপুরে দুইটা শেষ। শেষ বিড়িটা এখন খাবে নাকি আরেকটু পরে খাবে বুঝতে পারছে না। বিড়ি খেলে ক্ষুধার ভাবটা একটু কমতো। সারাদিন ধরে না খাওয়া সে। মনে মনে ভাবছে মাজেদা যদি আজকেও খালি হাতে ফিরে তাহলে কি হবে? রাতটা তো ক্ষিধে নিয়েই পার করতে হবে। তার চেয়ে বিড়িটা পরে খাওয়াই ভালো হবে ভেবে আবার লুঙ্গির কোচরে গুজে রাখলো প্যাকেটটা।

রাত পৌনে দশটার দিকে মাজেদা ফিরে আসলো। ঘরে ঢুকতেই সোলাইমান দৌড়ে গেল মায়ের দিকে।
- মা, ক্ষিদা লাগছে।
- এট্টু পরেই খাওন দিতাছি বাপ।
হাসিমুখে দুইটা চুমু খেল ছেলের গালে। কিন্তু মাজেদার চোখে অস্থিরতা। কিছুটা শক্তভাবেই কিন্তু কম আওয়াজে হাশেম মিয়াকে বলল,
- সোলাইমানরে নিয়া এট্টু বাইরে যান তো। ঘুইরা আসেন নদীর পাড় থিকা। ঘন্টা খানেক পরে আসেন। আর এই দশ টাকা দিয়া ওরে কিছু কিন্না দেন গা। আমার কাম আছে এট্টু।

হাশেম মিয়া ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছে স্ত্রীর দিকে। গত সপ্তাহেও একইরকম ভাবে এসে একই কথা গুলোই বলেছিল মাজেদা। কিছু বুঝতে না পেরে মজিদ উঠতে যাবে তখনই দেখলো এক মধ্য বয়স্ক লোক, পান চিবুতে চিবুতে ঘরে ঢুকলো মাজেদার পিছন পিছন। লোকটা জিজ্ঞেস করলো মাজেদাকে,

- কি ব্যাপার! হইছে নি?
মাজেদা জবাব দিল,
- খাড়ান একটা মিনিট।

হাশেম মিয়া মাথা নিচু করে বাশের লাঠিটায় ভর দিয়ে অনেক কষ্টে বের হলো ঘর থেকে। বা পায়ের জন্য হাটাচলাও ঝামেলা তার। মাজেদাও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো ঘরের ভেতরেই। সোলাইমানকে ডাক দিলে সেও বাবার পিছন পিছন বের হলো ঘর থেকে। গত সপ্তাহেও একই ঘটনা ঘটেছিল। পার্থক্য শুধু, গত সপ্তাহে বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল আর আজকে বাইরে অনেক চাঁদের আলো। একদম খাঁ খাঁ করছে দুনিয়াটা। পূর্নিমাই নাকি আজকে কে যানে। হাশেম মিয়া মুখ তুলে উপর দিকে চেয়ে রইলো। বিরবির করে কী যেন বলতে লাগলো সে। হয়তো আল্লাহর কাছে মাজেদার জন্য ক্ষমা চাচ্ছে অথবা তার নিজের জন্যই চাচ্ছে। অথবা নিজের অদৃষ্টের দোষ দিচ্ছে। কে যানে?


🔶 #ফড়িং🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

মন আর মস্তিষ্ক। এক বাক্যে সম্পর্ক জুড়েন তো এদের মধ্যে। কোন লাইনটা মাথায় আসতেছে? দা-কুমড়া? নাকি দহরম-মহরম? আমার কাছে বেশি...
05/10/2024

মন আর মস্তিষ্ক। এক বাক্যে সম্পর্ক জুড়েন তো এদের মধ্যে। কোন লাইনটা মাথায় আসতেছে? দা-কুমড়া? নাকি দহরম-মহরম? আমার কাছে বেশিরভাগ সময়ই এদেরকে দা-কুমড়ার মতোই মনে হয়। এদের কাজটাই যেন বিপরীত। উপরওয়ালা মনে হয় এই দুইটারে দিছেই কোনো কিছু নিয়ে নিজের মধ্যেই দ্বিমত তৈরী হওয়ার জন্য। লাইফের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যান। মনটা ঠাস করে একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে। আর মস্তিষ্ক? মস্তিষ্ক বলবে ভাই ওয়েট। লেট মি হ্যান্ডেল দিজ। আগে দেখে নেই এটার আগে পরে কি আছে। এরপর মস্তিষ্ক গবেষণায় নামবে। বিস্তর গবেষণা চালাবে বিষয়টার উপর। লাভ-লস সব হিসেব করবে। তবে মজার বিষয় হলো এত গবেষণার পর দিনশেষে বলবে তালগাছ আমার। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত জানাবে মনের বিপরীতে। বেশিরভাগ কেসেই এমন হয়। হাতে গোনা কয়েকটা কেসে এরা বেয়াই-বেয়াই সম্পর্ক দেখায়৷

মনের বিপরীতে সিদ্ধান্ত দেওয়াতে মনের কষ্ট হয়। আর মস্তিষ্ক? সে তো নিজের সিদ্ধান্ত জানায়া নিজেরে অনেক বড় ভাবে। শক্তিশালী ভাবে। বাস্তবেও তাই। মস্তিষ্ক শক্তিশালী। ম্যালা শক্তি তার। তবে মনও কম পাওয়ারফুল না। সে কি করে? সে মস্তিষ্করে ঢাইকা ফেলা শুরু করে। একটা সময় ঢাইকাও ফেলে। মস্তিষ্ক তখন আর কাম করতে পারে না। দেহের কন্ট্রোল চইলা আসে মনের কাছে। সে কয় আরে ব্যাটা অরে পাইলেই তুই খুশি। তোর আর অন্য দিকে তাকানের কি কাম? যা ব্যাটা ভাগ। ভাইগা অর কাছে যা।

ওদিকে মস্তিষ্ক তো শক্তিশালী। যতই তাকে মন ঢাকুক না কেন সে তখনো শরীরকে কন্ট্রোল করতে চায়। সে বলে, ভাই নিজের হাতেই পায়ে ধরি তোর। যাস না। গেলেই বাঁশ। অই মন ব্যাটা নিজেও জানে না যে সবচেয়ে বড় বাঁশটা ওরই নেওয়া লাগবে। মাঝখান দিয়া সব ঝামেলা আমার পোহানো লাগবে। যাস না প্লীজ৷

রাখি মন-মস্তিষ্কের কথা বার্তা। এই যে এতক্ষন এত্ত কথা বার্তা লিখলাম। এগুলার কিছু অংশ হয়তো মস্তিষ্ক লেখালো আর কিছু অংশ হইতে পারে মনের ভিত্রে থিকা বাইর হয়া আইছে।
তবে কিছু মানুষ আছে যাগো কন্ট্রোলটা মন-মস্তিষ্ক একত্রে করে থাকে। তারা সাধারণ মানুষ না। অসাধারণ কেউ। আধ্যাত্মিক মানুষ তারা। একচুয়ালি মন-মস্তিষ্ক একত্রে করে কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। কথাটা হবে মন-মস্তিষ্ক আলাদা কিছু করে না। মস্তিষ্ক যা বলে তাদের মন তাই করে। মনরে বানায় রাখছে মস্তিষ্কের গোলাম। সব কন্ট্রোল মস্তিষ্কে। নাকি ভুল কিছু কইলাম? হয়ত ভুল। মনরে যদি মস্তিষ্কই কন্ট্রোল করে তাইলে উপরওয়ালার প্রেমে এরা মিশা যায় কেমনে? প্রেম তো মস্তিষ্কের কাজকাম না। তাইলে তাগো সব কন্ট্রোল কি মনের কাছে? কিজানি.. 🍂


🔶 ্তিষ্ক🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

আজানের আর ৬ মিনিট বাকি আছে। এর মধ্যেই পেপার গুলো ঘাসে বিছিয়ে দেওয়াসহ ফল, ছোলা, শশা ইত্যাদি প্লেটে প্লেটে রেখে  অন্যান্য ...
03/06/2024

আজানের আর ৬ মিনিট বাকি আছে। এর মধ্যেই পেপার গুলো ঘাসে বিছিয়ে দেওয়াসহ ফল, ছোলা, শশা ইত্যাদি প্লেটে প্লেটে রেখে অন্যান্য খুঁটিনাটি কাজগুলো শেষ করে উঠলাম। মাঠে আরো কয়েকটা দল আমাদের মতোই ইফতার করতে এসেছে। একেতো প্রচন্ড গরম তার উপর এই ইফতারের আগ মুহূর্তে পুরো মাঠে কেন যেন এক চিমিটি বাতসেরও ছিটে ফোটা নেই। ঘেমে জবজবে হয়ে গেছি। অযু করা দরকার। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম আসে পাশে মসজিদ কোথায় আছে। বন্ধুর ভাষ্যমতে সবচেয়ে কাছের মসজিদটায়ও হেটে যেতে ৫ মিনিট সময় লাগবে। তার চেয়ে মাঠের পাশের পুকুরের ঘাট থেকে অযু করে আসতে বললো। পুকুরের দিকে চেয়ে দেখি পুকুরের বিশাল বড় ঘাটে অনেক জন মানুষ একসাথে গোসল করছে। এরা মে বি দিনমজুর। সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় গোসল করতে নেমেছে।

আর এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে হাটা শুরু করলাম পুকুরের উদ্দেশ্যে। মাঠের গেটের দিকে না গিয়ে চিন্তা করলাম, মাঠের দেয়াল টপকে ওপারে গেলে কিছুটা তাড়াতাড়ি হবে। তাই দেয়ালের ভাঙা অংশটার দিকে এগুলাম। হঠাৎই এক পিচ্চি ছেলে এসে দাড়ালো সামনে। গায়ে কমলা কালারের মলিন একটা স্যান্ডো গেঞ্জি আর ময়লা একটা হাফপ্যান্ট। দুইহাত দিয়ে ধরা একটা দুই লিটারের পানির বোতল আর এক টুকরো ভাজ করা কাগজ নিয়ে দাঁড়িয়ে। পানির বোতল ইনটেক না। পুরোনো বোতলে পানি ভরা। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এইডা অই আফু দিছে আপনারে। ধরেন। বলেই মাঠের গেটের দিকে হেটে যাওয়া একটা মেয়ের দিকে আঙুল তাক করে দেখিয়ে ওদিকেই দৌড় দিলো৷ কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগই পেলাম না। মেয়েটা শাড়ি পড়া। অল্প বয়স্ক। তবে শাড়ি পড়ার ধরন দেখে মনে হলো এই মেয়ে সবসময় শাড়ি পড়েই থাকে। চেহারা একনজর দেখলাম। তবে চেহারার গড়ন টা ভুলে গেছি। কেমন দেখতে ছিল কিছুই মনে আসছে না। লাল পাড়ের কালো জমিনের উপর নীল ফুল ফুল ডিজাইন ওয়ালা একটা শাড়ি পড়া ছিল। কিছু না ভেবে কাগজটা খুললাম। ভেতরে লেখা ছিল, পুকুরের ঘাটে যাবেন না প্লীজ। এখানেই এই বোতলের পানি দিয়ে অযু করুন। ব্যস, এতটুকুই লেখা। লেখা পড়ে আমি পুরো থ বনে গেলাম। কি লিখছে আরেকবার পড়লাম ভালো করে। নাহ। এই কথাই তো লিখেছে। চোখ তুলে তাকালাম মাঠের গেটের দিকে। নাহ, কোথাও অই মেয়ে নেই। এমনকি পিচ্চি ছেলেটাকেও দেখলাম না কোথাও। অথচ ১০সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছিল কাগজের লেখাটা পড়তে।

আবার পুকুরের দিকে তাকালাম। পুকুরঘাট একদম ফাকা। ২-১ মিনিট আগের গোসল করা ৮-৯ জন লোকের একজনও সেখানে নেই। এই গরমের মধ্যেও পুকুরের চারপাশে কুয়াশার মত জমে আছে। অথচ কিছুক্ষন আগেও যায়গাটা পরিষ্কার ছিল। লোকগুলোর জন্য ভীর ভীর লাগছিল পুকুরঘাটটাকে। এখন জন-মানবশূণ্য। আর এগুলাম না পুকুরের দিকে। পিছনে ঘুরলাম। বন্ধুরা মাঠের এক কোনায় বসে আছে ইফতার নিয়ে। ওদের দিকে আবার ফিরে গেলাম। অযু সেই বোতলের পানি দিয়েই করলাম। এর পর মাগরিবের আজান দিলে ইফতার করলাম।

সপ্তাহ খানেক পর খবর শুনলাম, আমাদের ইফতারের ৩ দিন পর ভর সন্ধ্যা বেলায় গোসল করতে এসে দুই জমজ বোনের একজন নাকি ডুবে মারা গেছে অই পুকুরেই।

🔶পুকুরঘাট🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

গেম খেলতেছি, ক্রিটিকাল মুহুর্তে আছি। তার একটা মেসেজ আসলো। কিসের গেম, কিসের কি। আগে রিপ্লাই দে। খেলা যাক জাহান্নামে। কালক...
17/03/2024

গেম খেলতেছি, ক্রিটিকাল মুহুর্তে আছি। তার একটা মেসেজ আসলো। কিসের গেম, কিসের কি। আগে রিপ্লাই দে। খেলা যাক জাহান্নামে।

কালকে এক্সাম, পড়তে বসছি। বিশাল মনোযোগ আসছে পড়ায়। মাথায় ঢুকতেছে পড়াশোনা এতদিন পরে। হঠাৎ তার মেসেজ। আরে কিসের পড়া, কিসের এক্সাম, কিসের মনোযোগ। দে আগে রিপ্লাই।

ক্লাস করতেছি। স্যার ইম্পর্ট্যান্ট টপিক বুঝাচ্ছে। দ্রুত বোর্ডের লেখাগুলো খাতায় উঠাচ্ছি। এমন সময় ফোনটা ভাইব্রেট করলো। মনে মনে শঙ্কা। তার মেসেজ আসলো না তো? দেখি একটু চেক করে। আরেহ তারই তো মেসেজ। কিসের ক্লাস, কিসের লেখা। তার রিপ্লাই আগে।

গান-আড্ডা থেকে শুরু করে পড়াশোনা, ইম্পর্ট্যান্ট কাজ থেকে শুরু করে আনইম্পর্ট্যান্ট কাজ, ক্লাস করা থেকে শুরু করে ক্লাস নেওয়া কোনো কাজই তার চাইতে ইম্পর্ট্যান্ট নয়। তার প্রায়োরিটি সবার উপরে।

অন্যের কাছে 'ভাব নেওয়া মানুষ' তকমা পাওয়া। "এত ভাব দেখান কেন?" টাইপের প্রশ্ন পাওয়া মানুষটাও তোমার কাছে একটু পাত্তা পাওয়ার জন্য, তোমার সাথে এক মুহুর্ত কথা বলার জন্য এতটা হা হুতাস করতেছি। নিজের কাছেই অবাক লাগে মাঝে মাঝে। এই অবাক লাগাটাই ভালবাসা, প্রিয়।

🔶 #প্রায়োরিটি🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

হাড়কাপানো শীতের সকালে ঘন কুয়াশা আর শরতের কৃষ্ণপক্ষের মধ্যরাতের জোৎস্নার মাঝে কোনোটা যদি বাইছা নিতে বলা হয় আমি এগুলা বাদ ...
29/12/2023

হাড়কাপানো শীতের সকালে ঘন কুয়াশা আর শরতের কৃষ্ণপক্ষের মধ্যরাতের জোৎস্নার মাঝে কোনোটা যদি বাইছা নিতে বলা হয় আমি এগুলা বাদ দিয়া তোমারে বাইছা নিমু, প্রিয়৷

কর্সিকা আইল্যান্ডের উৎসবমূখর সারাদিন আর নিয়ন লাইটের আলোয় ঘেরা রাতের টোকিও শহরের মাঝে কোনোটা বাইছা নিতে বললেও আমি তোমার অই অতল গভীর চোখ দুইটারেই বাইছা নিমু যেইখানে তাকায়া থাইকা পুরা একটা জীবন পার কইরা দেওন যাইব।

যদি জিগায় মাঝরাতে ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা আর কালবৈশাখী ঝড়ের মতো দমকা বাতাসে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা, কোনটায় বেশি ঘোর লাগা সৃষ্টি হয়? আমি কমু তোমার হাত ধইরা আমি যদি তপ্ত মরুভূমিতেও হাটি তাতেও যে ঘোর লাগা সৃষ্টি হইব ওমন ঘোর লাগা দুনিয়ার আর কিছুতেই সৃষ্টি হইব না, প্রিয়।

যদি কয় শরতের সকালে মাটিতে বিছায়া থাকা শিউলী ফুল আর গ্রীষ্মের দুপুরে বকুলের তীব্র গন্ধ কোনটায় মায়া বেশি থাকে? আমি কমু প্রিয়, তোমার মায়ায় একবার যে বান্ধা পড়ছে, দুনিয়ার অন্য কোনো মায়াতে সে আর বান্ধা পরবো না।

শেষমেশ যদি জীবন আর মৃত্যুর মাঝে একটা বাইছা নিতে বলে আমি সেখানেও বলুম জন্ম থিকা মৃত্যু পর্যন্ত পুরাটা জুইরাই তুমি আছো। তাই এইখানেও আমি তোমারেই বাইছা নিমু, প্রিয়।

🔶 #প্রিয়🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ কি? এই প্রশ্নের জবাবে অনেকেই অনেক কিছু বলবে। কেউ বলবে বাপ্পী চৌধুরীর অভিনয় দেখা । কেউ বা বলবে হ...
27/12/2023

পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ কি? এই প্রশ্নের জবাবে অনেকেই অনেক কিছু বলবে। কেউ বলবে বাপ্পী চৌধুরীর অভিনয় দেখা । কেউ বা বলবে হাই সিজিপিএ পাওয়া। কেউ বলবে বিটিভি দেখা, আবার কেউ বলবে টিকটকের ভিডিও দেখা। হা হা হা… মজা করছিলাম। এসব উত্তর হয়তো অনেকেই দিবে। এদের বাইরেও একদল মানুষ আছে যারা বলবে, রাগ সংবরণ করা। কেউ বলবে দুঃখ জিনিসটা মনে চেপে ধরে রাখা। কেউ কেউ আবার বলবে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো মৃত্যু। আরে ভাই.. মৃত্যুর মতো সহজ জিনিশ দুনিয়ায় আর একটাই আছে সেটা হলো পানি। অর্থাৎ মৃত্যু পানির মতই সহজ৷ শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা আপনাকে অনুমতি দেন নি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার, তাই আপনার কাছে মৃত্যু কঠিন বিষয় মনে হয়। যদি একবার সৃষ্টিকর্তা স্বেচ্ছা মৃত্যুকে বৈধ করে দিতেন তবে যে লোকটা কবর খোড়ার জন্য টাকা পায়, সেই লোকটা আজকে বিল গেটস এর যায়গায় থাকতো…

আচ্ছা.. মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে আসিনি। বাদ দেই এই বিষয় টা। যা নিয়ে কথা বলতে এসেছি সেটা নিয়ে কথা বলি৷ আমাকে যদি বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ কি? তবে আমি অনেক গুলো উত্তরের মাঝে এটাও বলব যে নিজের আমিত্ব টাকে টিকিয়ে রাখা সবচেয়ে বেশি কঠিন কাজ। আপনি, আমি, আমরা সবাই… পদে পদে এই আমিত্ব টা কে হারাচ্ছি। কাজে কর্মে সব যায়গায় খালি আমিত্ব হারানোর ভয়। আপনি সবচেয়ে বেশি কখন আপনার আমিত্বটা হারানোর ভয়ে থাকেন, জানেন? যখন আপনি কাউকে ভালোবাসবেন৷ ভালবাসা মানেই নিজের আমিত্বটা কে বিসর্জন দেওয়া ভালবাসার মানুষটার জন্য। আমিত্ব জিনিসটাকে ছোট করে দেখবেন না। ভালবাসাতে যদি কিছু হারায় তবে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হারায় সেটা হলো আমিত্ব। এখন আপনারা বলতেই পারেন যে ভালবাসা কি তবে খারাপ কিছু? এখানে তো আমার এত্ত বড় একটা জিনিসই হারিয়ে ফেলছি। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করুন, এই আমিত্বটা আপনি হারাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু বিনিময়ে পাচ্ছেন একটা "তুমি"। আর এই " তুমি" টা আপনার আমিত্ব হারানোর ব্যাথাকে হার মানিয়ে দেয়। আপনি তখন বুঝতেই পারেন না যে আপনি আদৌ আপনার বড় একটি জিনিস হারিয়ে ফেলেছেন।

দেখলেন তো, ভালবাসা জিনিসটা অতটাও খারাপ না, যতটা আপনি ভেবেছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। ধরুন আপনি কাউকে ভালবাসেন। মনে-প্রাণে ভালবাসেন। এতটাই ভালবাসেন যে আপনি অলরেডি আপনার আমিত্বটাকে খুঁইয়ে ফেলেছেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারলেন আপনি যাকে ভালবাসেন তাকে আপনার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। অন্য কারো জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ আমিত্ব এর বদলে এবার আর "তুমি" জিনিস টা পাচ্ছেন না। কি করবেন তখন? কি হবে তখন? ভাবুন তো একবার? আচ্ছা.. একবার না.. ভাবতেই থাকুন.. ভাবুন। আমি ততক্ষণে দেখি অন্য কিছু লেখা যায় কিনা…

(এডিট করে কথা খানা জুরে দিচ্ছি )... টুইস্ট আরো একটা আছে.. এই আমিত্ব হারানো আর "তুমি" পাওয়ার অনুপাত টা সমান না.. আমিত্ব হারানোর ভাগটাই বেশি.. অনেক বেশি। খুব কম মানুষই এই "তুমি" টাকে পায় তার আমিত্ব বিসর্জন দেবার পর। কারণ আমি তোমার জন্য আমার আমিত্ব বিসর্জন দেই, তুমি অন্য কারো জন্য দিচ্ছো, সে আবার অন্য কারোর জন্য দিচ্ছে। আবার আমার জন্যেও কেউ আমিত্ব বিসর্জন দিচ্ছে কিন্তু আমি তাকে "তুমি" টা দিচ্ছি না... কি এক আজব চেইন। এই শহরে মানুষের তুলনায় এই চেইনের সংখ্যাটাই মনে হয় বেশি..


#আমিত্ব_এর_লড়াই
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

অগোছালো কিছু শব্দের মাঝে একফালি চাঁদ আর নির্ঘুম চোখ হয়ে থাকবে কি? আমি না হয় শব্দগুলো গুছাই। নিকষ কালো রাতের আঁধারে বিস্ত...
21/12/2023

অগোছালো কিছু শব্দের মাঝে একফালি চাঁদ আর নির্ঘুম চোখ হয়ে থাকবে কি?
আমি না হয় শব্দগুলো গুছাই।
নিকষ কালো রাতের আঁধারে বিস্তৃত ধানক্ষেত আর কবিতার বই হয়ে থাকবে কি?
আমি না হয় আধার সরাই।
কাঠফাটা রৌদ্রের দুপুরে ধুধু মরুভূমি আর হলুদ খামের নীল চিঠি হয়ে থাকবে কি?
আমি না হয় ক্ষানিকটা বৃষ্টি নামাই।
শীতের সকালে কুয়াশার ঘন চাদর আর তীব্র অনুভূতির কম্পিত ঠোঁট হবে কি?
আমি না হয় একটু উষ্ণতা বাড়াই।
বেদনা ভরা সময়ের ভেজা কপোল আর মোমবাতির নিভু নিভু আলো হবে কি?
আমি না হয় গালের জলগুলো শুকাই।
আচ্ছা, শেষ বারের মত বলছি, তুমি কি তুমি আর শুধুই তুমি হয়ে থাকবে কি?
আমি না হয় শুধু তোমাতেই হারাই।

. .

🔶 #সমস্ত_ইচ্ছাতে_তুমি🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনি দুনিয়ার সবার লাইফে হিরো হয়ে থাকবেন, তাহলে আমাকে বলতেই হচ্ছে, ভাই রে ভাই…  কে আপনি?  দুনিয়...
14/11/2023

আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনি দুনিয়ার সবার লাইফে হিরো হয়ে থাকবেন, তাহলে আমাকে বলতেই হচ্ছে, ভাই রে ভাই… কে আপনি?

দুনিয়ায় মানুষ আছে ৭০০ কোটির আশে পাশে। সবার লাইফে হিরো হওয়া তো দূরে থাক। সবার লাইফে যাওয়াটাই তো পসিবল না। আচ্ছা, ৭০০ কোটির হিসেব বাদ দিই। মনে করুন আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়-স্বজন দের জীবনে হিরো হবেন। সেটাও পসিবল না। হ্যাঁ.. হয়তবা সামগ্রিকভাবে পসিবল। কিন্তু প্রত্যেকের লাইফের গভীরে প্রবেশ করে তাদের লাইফের হিরো হওয়া পসিবল না।

বাদ দিলাম আপনার সকল বন্ধু ও আত্মীয় স্বজন দের লিস্ট। শুধু হিসেবে রাখলাম আপনার ক্লোজ কিছু ফ্রেন্ডস, আপনার ফ্যামিলি মেম্বারস আর ক্লোজ কিছু রিলেটিভস দের। বিশ্বাস করেন ভাই, এদের প্রত্যেকের লাইফেও আপনি হিরো হতে পারবেন না। তবে হ্যা.. হিরো হতে না পারলেই গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হয়তো আপনি হতেই পারবেন। কারো লাইফে হিরো, কারো লাইফে ভিলেন, কারো লাইফে পার্শ্ব চরিত্রে কিংবা কারো লাইফে ফানি ক্যারেক্টার হিসেবে।

এবার আসি মজার একটা বিষয়ে। আপনি হয়তো কারো লাইফের হিরো। যেন তেন বাংলা সিনেমার নায়ক বাপ্পীর মত হিরো না। হিরো.. অন্য রকম এক হিরো। তার লাইফটা তে এই একটা হিরোই আছে যেটা কিনা আপনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস বলুন আর সৃষ্টিকর্তার খেলা বলুন দেখা যাবে সেই মানুষটা আপনার লাইফের সাইড ক্যারেক্টারও না… । ঠিক এর বিপরীতটাও ঘটতে পারে। দেখা যাবে আপনি এমন মানুষকে নিজের লাইফের হিরো বানিয়ে ফেলেছেন যে কিনা আপনাকে তার লাইফের ফানি ক্যারেক্টার হিসেবেও গুনে না। ব্যাপারটা ঠিক ওই কথাটার মত যে "আমি যাকে আমার দুনিয়া মনে করি, সে আমাকে তার মহল্লাও মনে করে না।" তবে সত্যি কথা বলতে এই জিনিস টাই জীবনের মজা। জীবনের রঙ। আমাদের সবার লাইফেই এমন একজন থাকে যাদের লাইফে আমরা ছোট্ট একটা ক্যারেক্টার পাবার জন্য হা-হুতাশ করি।

"লাগবে না আমার হিরো হওয়া। আমাকে না হয় তোমার জীবনের খলনায়ক হিসেবেই রাখো। ঘৃণা করো আজীবন। সমস্যা নেই, আমি খুশি। তোমার জীবনের অংশ তো হতে পারবো ।" এই লাইনগুলো একটা ভালবাসা। সবার জীবনে ভালাবাসা গুলো থাকুক। ভাল থাকুক ভালবাসার মানুষগুলো।


🔶 #পার্শ্ব_চরিত্রের_নাম_হিরো🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

Depression, mood bouncing অথবা mood sewing, ইত্যাদি শব্দ গুলোর মতই আমাদের মত ইয়াং জেনারেশন এর কাছে আরেকটি পরিচিত শব্দ হচ...
08/11/2023

Depression, mood bouncing অথবা mood sewing, ইত্যাদি শব্দ গুলোর মতই আমাদের মত ইয়াং জেনারেশন এর কাছে আরেকটি পরিচিত শব্দ হচ্ছে ego বা egoism যার বাংলা অর্থ করলে দাড়ায় অহং বা অহংকার। এই ego এর কাছাকাছি আরো একটি শব্দ আছে। Self-respect বা আত্মসম্মানবোধ। আত্মসম্মানবোধ নির্দ্বিধায় একটি ভাল গুন যেখানে নির্দ্বিধায় বলা যায় ego শব্দটি, এর উল্টো। তবে মজার বিষয় বা দুঃখের বিষয় যেটাই বলেন না কেনো আজকাল আমরাই আত্মসম্মান এর নাম করে ego দেখাচ্ছি। সবার সাথেই দেখাচ্ছি। কারনে দেখাচ্ছি। অকারনে দেখাচ্ছি। আর শেষে এসে বলে দিচ্ছি "মুড সুইং ব্যাপার টা তুমি বুঝবে না, যার টা সেইই বোঝে।" আমার মাথায় ব্যাপার টা ঢোকে না যে মুড সুইং এর সাথে এই ইগো বা আত্মসম্মানবোধ এর কি সম্পর্ক? কেউ কেউ তো আবার স্বঘোষিত কমপ্লেক্স মানব বা মানবী বনে যান। আমার তো ভাই এখনো ক্লাস টেনের কমপ্লেক্স-কম্পাউন্ড নিয়া ভেজাল লাগে। এখনো ওগুলা বুঝি না মাঝে মাঝে, আর তুমি কাকে এসে কি শোনাও? এ যেন অন্ধের সামনে ম্যাজিক দেখাচ্ছো তুমি।

যাই হোক কমপ্লেক্সসিটি তোমার থাকতেই পারে। সিম্পল হবার রাস্তা খোঁজো। না পারলে তোমার সেল্ফ-রেসপেক্ট নামক ইগো টা সরাও। দেখবে জটিলতা বলতে দুনিয়ায় কিছুই নেই। পুরোনো বন্ধু, যার সাথে ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে আজো কথা বলাই বন্ধ, তার কাছে ফিরে যেতে পারবে। ভালবাসার মানুষ টার কাছে ফিরে যেতে পারবে। হয়ে উঠবে পারবে সজীব।

হ্যা, এখন অনেকেই হয়তো বলবে আমার মানে ইমু সাহেবের কি ডিপ্রেশন হয় নাই কোনোদিন? ইগো কাজ করে নাই কোনো দিন? মুড সুইং কি এট্টুও হয় না? আরে ভাই হয়, হবে না কেনো? তবে ২-৩ সেকেন্ডের জন্য হয়। তারপরেই একটা কথা মনে পড়ে। আর সাথে সাথে সব ভ্যানিশ। কি কথা মনে পড়ে সেটা বলি।

একদিন বাইরে থেকে ঘুরে এসে মা কে জিজ্ঞেস করলাম, মা, তুমিতো সারাজীবন আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করছো। তুমি কোনো সময় ডিপ্রেশনে ভোগো নাই? মা আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়ে ছিল কিছুক্ষন। কিছু সময় পর মা বলেছিল, যা গোসল করে আয়, বিরিয়ানি রান্না করছি। বিরিয়ানি খা। আর এই ডিপ্রেশনটা জিনিশটা কি রে বাবা?


🔶 #মনস্তাত্ত্বিক 🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

আচ্ছা বলেন তো লাইফে বেশি অপশন থাকলে ভাল নাকি কম থাকলে ভাল?  জানি ভাবতেছেন অপশন থাকাই তো ভাল, একটা থিকা আরেকটায় মুভ হওয়া ...
06/11/2023

আচ্ছা বলেন তো লাইফে বেশি অপশন থাকলে ভাল নাকি কম থাকলে ভাল? জানি ভাবতেছেন অপশন থাকাই তো ভাল, একটা থিকা আরেকটায় মুভ হওয়া যায়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে অপশন যত কম থাকে তত ভাল। অপশন না থাকলে সবচেয়ে ভাল। এই অপশন যত বেশি থাকবো আপনার জীবনে তত বেশি আপনি ককনফিউশানে ভুগবেন। ভুগতে ভুগতে এক সময় পাগল হইয়া মহাখালী ফ্লাইঅভারের নিচে ব্যাঙের মত হাত পা ছড়ায়া পইড়া থাকবেন।

শোনেন ভাই আপনারে বলি, লাইফে বেশি অপশন থাকলেই মনে হইবো। ধুরু বাল এইটার লিগা এত্ত করতে যামু ক্যান? এইটা গেলে আমার ওইটা আছে। বা এমন হয় যে, আরেহ এইটার থিকা তো অইটা ভাল। তাইলে এইটারে ছাইড়া দিয়া অইটাই যাই। আবার, আরে ওইটার থিকা তো অমুকটা আরো ভাল। যাই অমুকটায় যাই। এই যাওয়া যাওয়ি আর কোনটা থিকা কোনটা ভাল এইটা ভাবতে গিয়ায় আপনার ব্রেনের মেইন তারটা টুইং কইরা ছিড়া যাইব একদিন।
আর এদিকে, একটা অপশন থাকার মানে হইলো জান যাক, মান যাক এইটারে আমার লাগবোই।

এই অপশনের কথা গুলা যে কইলাম, লাইফের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই এগুলা খাটে। প্রেমের কথা ধরি। মাইয়া গো এই অপশন গুলা বেশি থাকে। মানে অনেক পোলারা মাইয়ার পিছে পইড়া থাকে। পোলাগো ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা হয়। বাট কম। মাইয়াগো টাই কই যেহেতু মাইয়া গো ক্ষেত্রে বেশি হয়। ধরেন এক মাইয়া বিশাল সুন্দরী। আচরণও ভালা। মাইয়ার পিছে পোলাগো লম্বা একটা লাইন লাইগা যায়। হিসাবের সুবিধার লিগা কমায়া ধরি। মনে করি ১০ টা পোলা এই মাইয়ারে পছন্দ করে। এখন এই ১০ টা পোলা এই মাইয়ার জন্য ১০ রকম কাম করা পারে। কেউ জান প্রান দিয়া উষ্ঠায়া পড়ে মাইয়ার পায়ে। আবার কেউ ভালবাসে সবার চেয়ে বেশি। তবে কাজে কামে প্রকাশ করা পারে না। বাট মাইয়া ভাববো এই পোলার চেয়ে ওই পোলা বেশি ভালবাসে আমারে। সো ওইটারেই আমি চুজ করুম। কতক্ষন পর দেখবো আরেকটা পোলা আরো বেশি করতাছে বা করতে চাইতেছে। মাইয়া ততক্ষনে বাকি ৭টার প্রতি পুরা কনফিউজড। আগেরটা বেশি ভালবাসে নাকি এইটা?

মুটামুটি মনে হয় বুঝাইতে পারছি ব্যাপারটা। নাকি? পোলাগো ক্ষেত্রেও এমন হয় তবে সব পোলার কপালে জোটে না এমনটা। হাজারে একটা এমন কেইস।

এখন কথা হইল এমন যদি ১০ টা অপশন না থাইকা খালি একটা অপশন থাকতো তাইলে কি হইতো? নিজেরে মাঝ দরিয়ায় সাতার না জানা এক মানুষ মনে হইতো আর সেই একটা অপশনরে মনে হইতো, এইটা একটা গাছের গুড়ি। এইটারে জান, প্রান, মান দিয়া হইলেও ধইরা থাকা লাগবো। লাইফের এইটাই সব। এইটা ছুইটা গেলেই এই অতল দরিয়ায় ডুইবা মরা ছাড়া আর গতি নাই।

কথা গুলা আমি প্রেমের ক্ষেত্রে কইলেও লাইফের প্রতিটা ক্ষেত্রেই কথা গুলা যায় রে ভাই। এট্টু চিন্তা কইরা দেখেন৷ অই একটা মরণ-বাচন অপশন রে ধইরা বাইচা থাকা কি যে সুখের সেইটা কেবল সেইই বলতে পারবো যার কাছে অপশন সেই একটাই। ভাই আর যাই করেন ১০টা অপশনের দিকে না তাকায়া একটা অপশনের দিকে তাকায়া বাঁচেন, বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, মানসিক টর্চারের হাত থিকা রেহাই পাইবেন।



🔶 #অপশন🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

- বাইয়া, বাইয়া..  একটা কবিতা শুনাই? - কবিতা শুনাইবা? কার কবিতা? রবীন্দ্রনাথ নাকি নজরুল? - না বাইয়া। তাগো না। আমার নিজের ...
03/11/2023

- বাইয়া, বাইয়া.. একটা কবিতা শুনাই?
- কবিতা শুনাইবা? কার কবিতা? রবীন্দ্রনাথ নাকি নজরুল?
- না বাইয়া। তাগো না। আমার নিজের লেখা কবিতা। শুনাই?
- অ বাবা.. নিজে লেখছো? শুনাও তাইলে।
-...
তুমি স্বপ্নে আসো রোজ
বাস্তবেও আমার নিও একটু খোঁজ

তুমি কল্পনার রংতুলি
দিনের এক সেকেন্ডও না তোমারে ভুলি

জানো না, তোমায় কত যে ভালবাসি
তাও দিনে একটাবারও দেখি না তোমার মুখের হাসি

তুমি আমার রাতের আকাশের তারা
এদিকে সারাদিনে আমার * #@&"- #$℅.. সারা 🥴🥴

- চুপ হারামজাদা.. চুপ, চুপ। পাবলিক প্লেসে মান ইজ্জত শেষ কইরা দিলি।

🔶 #কবিতা🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী

তুই তো আমার রসায়ণের "পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইড আর ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইডের তুমুল বিক্রিয়া "তুই তো আমার পদার্থবিজ্ঞানের "বিগ ...
03/11/2023

তুই তো আমার রসায়ণের "পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইড আর ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইডের তুমুল বিক্রিয়া "

তুই তো আমার পদার্থবিজ্ঞানের "বিগ ব্যাং থিওরি আর কার্নো ইঞ্জিন চক্র"

তুই তো আমার জীববিজ্ঞানের " আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের বিশাল সম্ভার"

তুই তো আমার উচ্চতর গণিতের "ত্রিকোণমিতির জটিল ১টা সূত্র"

তুই তো আমার বাংলার "সমাস আর বাক্য প্রকরণের জটিলতা"

তুই তো আমার ইংরেজীর "ট্রান্সফরমেশন অব সেন্টেন্সের সিম্পল টু কমপ্লেক্স"

তুই তো আমার ICT এর "সি প্রোগ্রামিং এর কাঠিন্য আর বাইনারি টু অকটাল এর সরলতা"

বিশ্বাস কর..... এগুলা ছাড়া তুই আমার কাছে আর কিছুই না।

🔶 #তুই_তো_আমার🔶
#সাড়ে_সায়ত্রিশ_ডিগ্রী।

Address


1800

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when I'm U posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share