সালাউদ্দিনের ঘোড়া

সালাউদ্দিনের ঘোড়া 🌺আসসালামু আলাইকুম🌺
আমার ফেসবুক পেজে
আপনাকে স্বাগতম💞
(8)

📌আল্লাহ বলেন,আমি কি তোমার রব নই? তাহলে আমাকে ছেড়ে কোথায় যাও? দুনিয়া কি তোমাকে আমার চেয়ে বেশি মোহিত করে? তুমি কি দেখন...
05/08/2025

📌আল্লাহ বলেন,
আমি কি তোমার রব নই? তাহলে আমাকে ছেড়ে কোথায় যাও? দুনিয়া কি তোমাকে আমার চেয়ে বেশি মোহিত করে? তুমি কি দেখনা প্রতিদিন তোমার গুনাহগুলো আমার কাছে আসে।তাও আমি তোমার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেই ফেরেশতাদের মাধ্যমে। আমি তো প্রতিদিন তোমার জন্য নতুন সকাল করি,যাতে তুমি ফিরে আসো আমার দিকে। তুমি যদি আমাকে কাছে ডাকো, আমি তোমার ডাকের থেকেও কাছে চলে আসি। আমি তো সেই পরম দয়ালু, তোমার এক ফোটা অশ্রু দিয়েই সব গুনাহ মাফ করে দিতে পারি।

যদি তুমি পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে দূরে কোথাও লুকিয়ে যাও বা পিঁপড়ার মতো মাটিতে লুকিয়ে যাও তবুও মনে রেখো তোমার কর্মফল ক...
31/07/2025

যদি তুমি পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে দূরে কোথাও লুকিয়ে যাও বা পিঁপড়ার মতো মাটিতে লুকিয়ে যাও তবুও মনে রেখো তোমার কর্মফল কখনো তোমার পিছু ছাড়বে না।

"কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তার প্রতিফল দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কর্ম করলে তার প্রতিফলও দেখতে পাবে।" (সুরা-৯৯ জিলজাল, আয়াত: ৭-৮)

📌ভাবুন তো একবার...মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়। অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই...
30/07/2025

📌ভাবুন তো একবার...
মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়। অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।
সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!
তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

✔️দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

✔️একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

✔️প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

✔️কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

✔️আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

📌আল্লাহ বলেছেন, তারা তোমাকে ছেড়ে যায় নি, বরং আমিই তাদের তোমার জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছি। কারন, আমি তাদের সেই সব কথা শুনতে...
30/07/2025

📌আল্লাহ বলেছেন,
তারা তোমাকে ছেড়ে যায় নি, বরং আমিই তাদের তোমার জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
কারন,
আমি তাদের সেই সব কথা শুনতে পেরেছি,
যা তুমি শুনতে পাও নি..।

📌রাসূল (সা:) বলেছেন,যে ব্যক্তি জালিমের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তার সাথে থাকল, তাকে সাপোর্ট করল এবং ভরসা দিল সে ব্যক্তি আর...
28/07/2025

📌রাসূল (সা:) বলেছেন,
যে ব্যক্তি জালিমের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তার সাথে থাকল, তাকে সাপোর্ট করল এবং ভরসা দিল সে ব্যক্তি আর মুমিন রইলো না, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল।

📌অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো ১০ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, বাবা দে...
23/07/2025

📌অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো ১০ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, বাবা দেখো, সুমন আজ ব্রাণ্ডেড ঘড়ি পরে এসেছে। বাবা দেখো, রাজুর স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেড। সুন্দর না বাবা!

আমি চুপ করে থাকতাম। আমার ছেলের সাহস হয়নি কখনোই আমার কাছে ওই জিনিসগুলো চাওয়ার। একদিন ও খেলতে খেলতে পায়ে ব্যথা পেল। পরদিন স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে বলল,
-বাবা, আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে করে স্কুলে নামিয়ে দেবে?

আমি ওর অবস্থা দেখে বললাম, "ঠিক আছে।"

এরপর সপ্তাহ খানেক ও আমার সাথেই গেল — আমার অফিসের গাড়িতে। আমি ওকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিতাম। এরপর থেকে ছেলের আর স্কুলে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে না!
বাধ্য হয়ে আমি বলেই দিলাম, অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ। স্কুল টাইমের খানিকক্ষণ আগে বের হবে, তাহলে সময়মতো পৌঁছে যাবে।

ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইল। ছেলের মায়েরও মুখ গোমড়া। আমি এমন করি কেন? সবাই তো অফিসের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। তাহলে আমার সমস্যা কোথায়?

সেদিন সন্ধ্যায় ছেলে বাড়িতে এসে বলল, "জানো, আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও.....।"

এর বেশি কিছু বলার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম, "বাবা, প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমাকে সেই স্কুলে দিলাম, কিন্তু তুমি ফেল করলে। তাহলে আমি কি বলব, তুমি ফেল নাকি তোমার স্কুল?"

-ছেলে বলল, "বুঝেছি বাবা!"

আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, "এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। বরাবর তুমিই ফার্স্ট হয়েছ। সুতরাং, তুমি যেখানে পড়বে, সেই স্কুলই শহরের সেরা স্কুল।"

এরপর সে আর কিছু বলেনি।

এক বিকেলে ছেলে বলল, "বাবা, আমার এক্সট্রা টিউটর দরকার। ম্যাথ আর ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে।"

জবাবে আমি বললাম, "রাতে যখন আমি বাড়িতে ফিরব, আমার কাছেই তুমি ম্যাথ আর ইংলিশ শিখবে।"

ছেলে বলল, "বাবা, তুমি অনেক পরিশ্রম করে বাড়িতে আসো, তাইনা?"

আমি হেসে বললাম, "বাবা, আমার এত সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি, কি বলো?"

ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "ঠিক আছে বাবা।"

আমার স্ত্রী রাতে ঘুমাতে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো, তাহলে ছেলেকে ওই কথাগুলো বললে কেন?

আমি বললাম, "আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটা শিখুক।"

আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেল।

মাঝে মাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সম্পর্কে ধারণা দিই। সে জানুক, পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর, বাস্তবে খুব কঠিন! চাওয়া মাত্রই কিছু তাকে আমি কখনও দেই না। একদিন সে বলেছিল, "বাবা, তুমি এরকম কেন?" আমি জবাব দিয়েছিলাম, "সময় হলে বুঝবে!"

একবার সে বায়না ধরল ইলিশ মাছ খাবে। আমি বললাম, "টাকা তো কম! তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে।"

ছেলে আমার হাতে পঞ্চাশটা দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম, "তুমি খরচ করনি!" সে মুচকি হেসে বলল, "না বাবা! জমিয়েছি। আমার এক বন্ধু মাঝে মাঝে স্কুলে না খেয়ে আসে। আসলে ও খুব অসহায়। আমি ওকে ক্ষুধার্ত দেখলেই বুঝতে পারি। তখন ওকে সাথে নিয়ে খাই। অন্যান্য দিন সব টাকা খরচ করি না, জমিয়ে রাখি, কারণ বাড়ি থেকে তোমরা যা দাও তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু মানুষ তো সামান্যটুকুও পায় না!"

আমি ছেলের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সেই জমানো টাকা দিয়ে সেদিন বাজার থেকে ইলিশ এনে ছেলেকে খাওয়ালাম। এভাবে ইচ্ছে করেই মাঝে মাঝে ছেলেকে অভাব অনুভব করাতাম, যাতে সে বোঝে জীবনটা কঠিন, অনেক কঠিন।

একবার মার্কেটে গিয়ে তাকে বললাম সাধ্যের মধ্যে কিনতে। সে একটা প্যান্ট নিল শুধু। আর কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলল, "তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নাও।"

আমি হাসলাম।

সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়। একদিন সন্ধ্যায় আমি চা খাচ্ছিলাম। ও বলল, "বাবা, সায়নটা আর মানুষ হলো না! অথচ আংকেল ওর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে।" আমি ছেলেকে বললাম, "আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি!" ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বলল, "প্রতিটা চাহিদা পূরণ না করে তুমি শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনে যে শিক্ষা দিয়েছ, তা সবকিছুর উর্ধ্বে। তুমি শিখিয়েছ, অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখন জানি, আমার বাবার আমি ছাড়া আর কিছু নেই। বাকিটা আমাকে গড়ে নিতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না। কারণ আমি জানি আমি কে! তোমার দেওয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখব বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিনের টাকা জমালে পাঁচশো টাকা হয়। তুমি ছিলে বলেই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কত কঠিন!"

আমার স্ত্রী এখন নিজে থেকেই অনেক খুশি। সে বুঝতে পেরেছে আমার উদ্দেশ্যটা। ছেলে নিজের রোজগারে প্রাইভেট কার কিনে আমাকে হাসতে হাসতে বলল, "দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে কিনেছি এটা!" তখন বুঝেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। আমার শিক্ষা বৃথা যায়নি।

সেদিন যাবতীয় সম্পত্তি ওকে বুঝিয়ে দিয়ে বললাম, "সামলে রেখো।" ছেলে দলিলগুলো আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলল, "তোমরা সাথে থেকো, আর কিছু লাগবে না।"

ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছেলের মাকে বললাম, "দেখেছ, আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি — যেমনটা আমার বাবা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি ওকে অভাবে লজ্জিত হওয়া নয়, বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি। ওকে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছি, কারো উপর নির্ভর না করে চলতে শিখিয়েছি। ছেলে আমার মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কি হতে পারে!"

(একটি শিক্ষণীয় গল্প)নিজের স্ত্রীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় কোন পুরুষকে চুমু খেতে দেখলে স্বামীর ধারণা এক দরিদ্র লোক  ও তার স্ত...
22/07/2025

(একটি শিক্ষণীয় গল্প)
নিজের স্ত্রীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় কোন পুরুষকে চুমু খেতে দেখলে স্বামীর ধারণা

এক দরিদ্র লোক ও তার স্ত্রী পাহাড়ে বাস করতো।
বেশিরভাগ সময় এই পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। মাঝেমধ্যে না খেয়েও দিনাতিপাত করতে হয়।
একদিন লোকটি রুজি–রোজগারের সন্ধানে পাহাড় ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার সিধান্ত নেয়। যাবার আগে স্ত্রীকে বলে, "আমি দীর্ঘ দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি। তোমার প্রতি আমি সবসময় বিশ্বস্ত ছিলাম এবং থাকব। প্রতিজ্ঞা করতে পারবে যে তুমিও আমার অনুপস্থিতে আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে?" তার স্ত্রী মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানায়।
অনেক দিন পার করে পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে লোকটি শর্ত দিয়ে একটি দোকানে চাকরি নেয়। শর্তটি হচ্ছে,
পুরো উপার্জন বা মজুরি মালিকের কাছে
জমা থাকবে। কাজ ছেড়ে চলে যাবার সময় সমুদয় অর্থ ফেরত নেয়া হবে। মালিক গরিব লোকটির কথায়
রাজি হলেন। বিশ বছর পর লোকটি আর কাজ করবেনা বলে মালিকের কাছে তার প্রাপ্য সব টাকা ফেরত চাইল।

মালিক বললেন , তুমি টাকা নিবে নাও কিন্তু টাকার পরিবর্তে আমার তিনটা উপদেশও গ্রহণ করতে পারো। তুমি স্বাধীন। হয় আমার উপদেশ মানবে নয়তো তোমার বিশ বছরের পারিশ্রমিক ফেরত নেবে, কোনটা?
লোকটি দুদিনের সময় নিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে বলল, আমি আপনার তিনটি উপদেশ চাই, আমার প্রাপ্য অর্থ নয়।

মালিক বললেন তাহলে মনোযোগ দিয়ে শুনো এবং কথাগুলো মাথায় রেখো।
উপদেশ-১ঃ
কখনও সংক্ষিপ্ত রাস্তা বা সর্টকাট বেছে
নেবেনা। আপাতদৃষ্টে ভাল হলেও লম্বা সময় নিয়ে করা কাজ অধিকতর উপকারী।

উপদেশ-২ঃ
কোন কিছুতে হুট করে আগ্রহ দেখাবেনা। ধৈর্য ধরে উপসংহারে উপনীত হবার চেষ্টা করবে।

উপদেশ ৩ঃ
কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে
পূঙ্খানুপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে।

এই বলে মালিক লোকটিকে তিনটা পাউরুটি দিয়ে
বললেন, এই দুটি খাবে রাস্তায় ভ্রমণকালে আর এই বড় রুটিটা খাবে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর সাথে শেয়ার করে।

মালিকের উপদেশ মনে গেঁথে লোকটি তার দীর্ঘ ও ক্লান্তিময় সফর শুরু করে। পথিমধ্যে একজনের সাক্ষাতে জানতে পারে যে এই পথে যেতে যা সময় লাগবে, বিকল্প পথে লাগবে তার চেয়ে অনেক
কম সময়। আর যেহেতু বিশ বছর ধরে সে স্ত্রীকে দেখেনা তাই এমনভাবে সময় নষ্ট করা ঠিক না।

লোকটি প্রথমে রাজি হোল কিন্তু পরক্ষনে মালিকের উপদেশ -১ স্মরণ করে দীর্ঘ পথই বেছে নিলো। পরে জানতে পারে যে সংক্ষিপ্ত পথে একটা ভয়ংকর প্রাণী ছিল যা তার প্রাণ নিয়ে নিতে পারতো।

সফরের এক সময় রাত্রি যাপনের জন্য লোকটি একজন মহানুভব মানুষের সাহায্য গ্রহণ করল। অনেক রাতে একটা গোংরানির শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে খুব আগ্রহ নিয়ে কি ঘটেছে দেখার
জন্য দরজা খুলতে যায়। হটাৎ তার মনে পড়ে মালিকের উপদেশ -২ অর্থাৎ হুট করে আগ্রহ দেখানো ভাল ফল নাও দিতে পারে। সত্যি তাই ।
সকালে আশ্রয়দাতা জানালো যে রাতে এই বাড়িতে একটা বাঘ ঢুকেছিল ।

অবশেষে দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণ শেষে একরাশ ক্লান্তি ও হাতে একটা পাউরুটি নিয়ে লোকটা বাড়ি পৌঁছায়। ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে তার স্ত্রী আলিঙ্গনরত একজন পুরুষের গালে চুমু খাচ্ছে। রাগে, ক্ষোভে আর ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি চরম ঘৃণা ভরে চিরতরে বাড়ি ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনি হটাৎ তার মনে পড়ে মালিকের উপদেশ -৩।

কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে পুঙ্খনাপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে । তাই লোকটি বাড়ি ছাড়ার আগে সে জানতে চায় কেন তার স্ত্রী তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিজ্ঞা করেও বিশ্বাসঘাতকতা করল। অথচ সেতো সেই আগের মতই বউকে ভালবাসে।

দরজায় কড়া নাড়তেই সহাস্যে তার স্ত্রী
দরজা খুলে দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে এগিয়ে আসে। লোকটি তাকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না -"আমি শুধু জানতে চাই তুমি আমাকে রেখে আমার অনুপস্থিতে অন্য একজন পুরুষের গালে চুমু খেয়ে
বিশ্বাসঘাতকতা করলে কেন?
কই আমি তো ওইরকম নই বরং বিশটা বছর তোমার কথা ভেবে ভেবে কাটিয়েছি"
– লোকটি বলল।

"ঘরে এসো সব খুলে বলছি"
– তার স্ত্রী বিনীতভাবে আমন্ত্রন জানাল।‘না, তার আগে আমার নিজ চোখে দেখা এই মাত্র ঘটে যাওয়া
অপকর্মের ব্যাখ্যা চাই’। "আচ্ছা ঠিক আছে, বলছি। তুমি যখন বাড়ি ছেড়ে চলে
গেলে তখন আমি সন্তানসম্ভবা। এখন আমাদের বিশ বছর বয়সের একটা ছেলে আছে। দূরে পাহাড়ে
কাজে যাবে বলে দুইগালে চুমু খেয়ে দোয়া
করছিলাম।"

আনন্দাশ্রু নিয়ে উভয়ে পাউরুটিটা ভাগ করে খেতে বসলো। রুটি ছিড়তেই লোকটি দেখে তার মালিক তার
পাওনা সম্পূর্ণ অর্থ রুটির ভেতর গুঁজে দিয়েছিল।

🎗️রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিদ্ধস্তের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সকলের প্রতি শোক ও সমবে...
22/07/2025

🎗️রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিদ্ধস্তের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সকলের প্রতি শোক ও সমবেদনা😢

📌আজ একটু রাগের মাথায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।মাথায় ঘুরছিল—এই সংসার, এই ঝগড়া, এই প্রতিদিনের কষ্ট।মন বলছিল, এই ঝগড...
21/07/2025

📌আজ একটু রাগের মাথায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
মাথায় ঘুরছিল—এই সংসার, এই ঝগড়া, এই প্রতিদিনের কষ্ট।
মন বলছিল, এই ঝগড়াবাজ মানুষটার সাথে আর এক মুহূর্ত কথা বলব না।

চুপচাপ হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে উঠলাম মোড়ের এক চায়ের দোকানে।
এক কাপ চা অর্ডার দিয়ে বসে আছি—অভিমান, রাগ আর গুমোট ভাব নিয়ে।

হঠাৎ পাশ থেকে কেউ জিজ্ঞেস করল—
এই ঠান্ডায় বাইরে বসে চা খাচ্ছো?
চোখ ফিরিয়ে দেখি এক বৃদ্ধ মানুষ বসে আছেন, মুখে একরাশ শান্ত হাসি।

বললাম, আপনিও তো এসেছেন, এই বয়সে, এত ঠান্ডায়?
উনি হেসে বললেন, -আমার তো কেউ নেই...
না সংসার, না সঙ্গী। তুমি তো দেখছি বিবাহিত।

আমি যেন তখন ঝড়ে ভেসে যাচ্ছিলাম।
বললাম, স্ত্রী তো শান্তিতে থাকতে দেয় না!
সকাল সন্ধ্যায় ঝগড়া।
এইজন্যই তো বাইরে ছুটে এসেছি।

বৃদ্ধ মানুষটা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন।
তারপর বললেন,
-আমার স্ত্রী নেই আজ আট বছর হলো।
যখন ছিল, তখন ওর কদর বুঝিনি।
সেই ঝগড়া, সেই আদর, সেই ছোট ছোট রাগ আজ ভীষণ মিস করি।
এই বাড়ি, এই টাকা, এই শহর… সবই আছে, কিন্তু সে নেই।
সত্যি বলি, তার অনুপস্থিতিতেই বুঝেছি, সে ছিল আমার জীবন, আমার প্রাণ।
যখন বেঁচে ছিল, তখন শুধু অভিযোগ করেছি,
আজ ওর একটুখানি শব্দও শুনতে মন কাঁদে।

আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
চা শেষ করে উঠে দাঁড়ালাম।
চোখের কোনে জল, কিন্তু মুখে নিশ্চুপ সিদ্ধান্ত।

বাড়ি ফিরে আসতে আসতেই দেখলাম, সে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।
ভয় আর অভিমান মেশানো চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে—
এতক্ষণ কোথায় ছিলে? জ্যাকেটও পরোনি, ঠান্ডা লেগে যাবে!

আমি আস্তে করে বললাম,
তুমিও তো ঠান্ডায় দরজায় দাঁড়িয়ে আছো…

আর কিছু না বলে শুধু তাকিয়ে রইলাম একে অপরের চোখে।
সেই চাহনিতে ঝগড়া ছিল না, অভিমান ছিল না, ছিল শুধুই ভালোবাসা।

জীবনে এমন অনেক সময় আসে,
যখন রাগ করে চলে যাই,
কিন্তু ফিরতে শেখা উচিত।
একটা জীবন, খুব বেশি বড় নয়।
ক্ষমা চাইতে আর ক্ষমা করতে শিখলে জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

☘️বাবা নিজের ছেলের সাথে দেখা করতে শহরে এল। গিয়ে দেখলো, তার ছেলের সাথে একটা খুব সুন্দরী মেয়েও থাকে..!রাতে তিন জন যখন এক...
20/07/2025

☘️বাবা নিজের ছেলের সাথে দেখা করতে শহরে এল। গিয়ে দেখলো, তার ছেলের সাথে একটা খুব সুন্দরী মেয়েও থাকে..!
রাতে তিন জন যখন এক সাথে ডিনার টেবিলে বসলো, বাবা জিজ্ঞেস করলো- তোর সাথে এই মেয়েটি কে রে?

ছেলে বলল- বাবা, ও আমার রুম পার্টনার, আমার সাথে থাকে...
তুমি এটা নিয়ে কী ভাবছ,সেটা আমি জানি। কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্যে সে রকম কোন সম্পর্কই নেই। আমাদের দুজনের আলাদা আলাদা কামরা, আলাদা আলাদা বেড। আমরা দু'জন শুধু খুব ভাল বন্ধু..
বাপ বলল- ঠিক আছে..!

পরের দিন বাপ নিজের গ্রামে চলে গেল..!
এক সপ্তাহ পর...!

মেয়েটি ছেলেটিকে বলল -শোনো, গত রবিবার তোমার বাবা যে প্লেটে ডিনার করেছিলেন, ওই প্লেট টা খুঁজে পাচ্ছি না, আমার সন্দেহ তোমার বাবাই এটা নিয়ে গেছেন..

ছেলেটি রেগে গিয়ে বলল- চুপ থাক... এসব কী কথা, তুমি কি আমার বাবাকে চোর বলছো?

মেয়েটি বলল- তা না। কিন্তু, তুমি একবার তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেই দেখো না, জিজ্ঞেস করতে আপত্তি কিসের?
ছেলেটি বলল- ওকে, আমি জিজ্ঞেস করব..!

পরদিন ছেলে বাপকে একটা ই-মেল পাঠালো..তাতে লিখলো -আমি এটা বলছি না যে আপনি আমাদের প্লেট টা চুরি করে নিয়ে গেছেন, অথবা এটাও বলছি না যে আপনি প্লেট টা নিয়ে যাননি ... মানে, যদি ভুলবশতঃ আপনি প্লেটটা নিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে ওটা ফেরত দিয়ে দেবেন কারণ, ওটা ওই মেয়েটির খুব পছন্দের প্লেট।

ইতি,
আপনার ছেলে..!

এক ঘন্টা পরই বাবার জবাব এলো-
আমি এটা বলছি না যে তোর রুম পার্টনার রাতে তোর সাথে ঘুমায় আবার এটাও বলছি না যে ওই মেয়েটি রাতে তোর সাথে ঘুমায় না।
তবে ওই মেয়েটি যদি পুরো সপ্তাহের মধ্যে একবারও তার নিজের রুমে, নিজের বেডে শুতে যেত, তাহলে ওর বালিশের নিচেই সে তার প্লেট টা পেয়ে যেত, কারণ প্লেটটা আমি ওখানেই লুকিয়ে রেখে এসেছিলাম।

ইতি
তোর বাপ..!

📌এত বড় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে,কিন্তু বক্তব্যের জন্য স্পিকার নিয়ে কোন টানাটানি নেই, নেতার ওজনের ঝাড়ি এবং মারামার...
19/07/2025

📌এত বড় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে,কিন্তু বক্তব্যের জন্য স্পিকার নিয়ে কোন টানাটানি নেই, নেতার ওজনের ঝাড়ি এবং মারামারি নেই, মঞ্চে নেতার পিছনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য ঠেলাঠেলি নেই, নাই কোন চেয়ার নিয়ে মারামারি, বিরানির প্যাকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি নেই, মঞ্চে বসা নিয়ে হাতাহাতি নেই। কার আগে কে বক্তব্য দিবে, এটা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি নাই।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে কোন বিশৃঙ্খলা নাই এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

✅এটাই জামাতে ইসলামি...তাদের পরিকল্পনা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধতা যতই দেখছি ততোই অবাক হচ্ছি।
19/07/2025

✅এটাই জামাতে ইসলামি...
তাদের পরিকল্পনা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধতা যতই দেখছি ততোই অবাক হচ্ছি।

Address

Maona, Dhaka
Maona

Telephone

+8801746210187

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সালাউদ্দিনের ঘোড়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সালাউদ্দিনের ঘোড়া:

Share

Category