18/05/2025
ভোলা বোরহানউদ্দিন গার্লস স্কুলের শিক্ষক, নাম রক্তিম শর্মা। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একটা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। সেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেন এবং গণিত পড়ান। তার ভাষ্যমতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১২-১৫ জন।
বিগত দুই-তিন মাস ধরে তার কোচিং সেন্টারে প্রায়ই একটা মেয়ে আসে, পরনে থাকে বোরকা, মুখে থাকে মাস্ক। সেই ব্যাচে মেয়েটা একমাত্র ছাত্রী, এসে প্রত্যেকবার ২-৩ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করে।
বিষয়টা পাশে থাকা এক সিএনজি স্টেশনের দায়িত্বরত লোকের নজরে পড়ে।
মেয়েটা আসার পর কোচিং সেন্টারের দরজা লকড থাকে। রক্তিম শর্মা কোনো কাজে বের হলেও ফিরে গিয়ে লক করতে ভুলে না। সবকিছু অবজার্ভ করে স্থানীয় কিছু মানুষ তার কোচিং সেন্টারে নক করে।
দরজা খোলার পর দেখা যায় রুম সম্পূর্ণ ফাঁকা।
ভেতরে থাকা আরেক রুমে মেয়েটা বসে আছে, বসে বসে বিরিয়ানি খাচ্ছে। মেয়েটা ভোলা পলিটেকনিকের ছাত্রী। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেনি। তার ড্রয়ার থেকে জন্মনিরোধক এবং অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়। মেয়ের অভিভাবককে খবর দেয়া হয়, তাকে পরবর্তীতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ক্ষিপ্ত জনতা।
কোচিং সেন্টারের বাহ্যিক পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছিল এটা পরিত্যক্ত কোনো জায়গা। হয়তো এই মেয়ের মতো আরো অনেক মুসলিম মেয়ে দিনের পর দিন এই লম্পটের ভোগের বস্তু ছিল। এই মেয়ের পরিবার মেয়েকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়েছে, মেয়ে ভাগওয়া লাভ ট্র্যাপের শিকার হয়ে মান-ইজ্জত সব বিসর্জন দিয়েছে।
এই মেয়ের এমন পরিণতির জন্য কে দায়ী? একটা মেয়ে কীভাবে দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক মু [শ] রিকের সাথে সময় কাটায়? আপনার সন্তানকে শিক্ষিত করতে গিয়ে হি [ন্দু] শিক্ষকদের কাছে পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।
মেয়েদেরকে বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষক দ্বারা টিউশন করানো বন্ধ করুন, সহশিক্ষায় পাঠানো বন্ধ করুন।
নাহয় আফসোস করবেন, যা হারাবেন তা আর ফিরে আসবে না। কী হবে সার্টিফিকেট দিয়ে যদি আপনার মেয়ে মু [শ] রিকদের বিনোদনের খোরাকে পরিণত হয়?