MITON

17/07/2025

Joyguru................ 🙏

06/07/2025

#এই ফ্যানটা চালাতো, এবার আপনার গায়ে হাওয়া লাগছে তো (নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে)?

আমরা সবাই হাওয়ার মধ্যেই আছি, কিন্তু হাওয়াটাকে বিশেষভাবে অনুভব করার জন্য ফ্যানটা আমাদের সাহায্য করছে।

ঠিক তেমনি ঈশ্বর সবজায়গায়তেই আছেন, কিন্তু এই মন্দির গুলো ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে আমাদের সাহায্য করে।

আপনারা জানেন আমার স্বপ্ন কি?
আমার স্বপ্ন হল- এই জগতের, এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের অন্তর এক একটা মন্দির হয়ে উঠুক, প্রত্যেকটি মানুষ এক একটা মন্দির হয়ে উঠুক।

আর ইট,কাঠ, পাথরের তৈরি মন্দিরগুলো ভেঙে জায়গা গুলো ফাঁকা হয়ে যাক।
আমাদেরকে এক একটা মন্দির হয়ে উঠতে হবে।

~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিন দাদা

সকাল ৬-১০, অমরধাম,
০৩-০৭-২০২

29/06/2025

#ঐ ফটোর মধ্যে ঠাকুর আছেন, ঐ সিংহাসনে ঠাকুর আছেন, ঐ বাড়ীতে ঠাকুর আছেন, ঐ দেবালয়ে ঠাকুর আছেন, ঐ মানুষের মধ্যে ঠাকুর আছেন এইটাকে খুঁজে যে দেখে সেই অজ্ঞানী।

আর জ্ঞানী সেই যে বলে আমার মধ্যে ঠাকুর আছে।
এটাই হচ্ছে জ্ঞানের কথা,আমার মধ্যে ঠাকুর আছে।

মন্থন করলে যেমন ননীর উত্থান হয়,সেইরকম আমিও জাগিয়ে তুলব তোমাকে। আমার ভিতর থেকে তোমাকে প্রকাশ ঘটাব। আমি যেরকম ভাবি,ভাবার খাঁকতি আছে,সেটা আমারই খাঁকতি।

এরকম করে নিরন্তর প্রকাশ করতে থাকি তাহলে মানুষ একদিন বলবে যে এই মানুষটা ঠাকুরের মানুষ। এর চলা,বলা,করা প্রত‍্যেকটা ঠাকুরের মতন। এর ভাবনা,চিন্তা সমস্ত কিছু।

যা আমি ঠাকুরকে বুঝি সেইরকম আচরণে অভ‍্যাস করতে থাকি বুদ্ধি করে, করতে করতে একদিন সেটা সংস্কারে পরিণত হবে।

এই যে বুদ্ধি করে ঠাকুর কিরকম বলেছেন সেটাকে বুঝে নিয়ে চলার চেষ্টা করি এটাই ঠাকুরত্ব জাগা। এই ঠাকুরত্ব না জাগলে কেউ তোমার কেন্দ্র নয়,ঠাকুরও নয়।”

~~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য‍্যদেব
© Miton Das ❤️🙏

26/06/2025

"সব মন্দিরে কমিটি গঠন নিয়ে এত কথা, কেনো জানেন? আপনারা মন্দির গুলো নিজেদের জন্য, নিজেদের মতো চালাতেন , দয়ালের জন্য নয়। নিজের না ভেবে ওটা দয়ালের জায়গা ভাবুন, দেখবেন এই ঔদ্ধত্য ভরা বড় বড় পদ নিয়ে থাকা মানুষ গুলো ক্ষান্ত হবেন, না-হলে চলুন নিজের মত। নিজের জায়গায় হিরো হলেও দয়ালের কাছে ভিলেন হয়েই থাকবেন এবং পরজন্মে বাকিটা বুঝতে হবে ( মুচকি হাসি )"

~~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদাদা ।।
অমরধাম(৫৭), সৎসঙ্গ মন্দির
কলকাতা, ভারত ।।

তারিখঃ- ২৫/০৬/২০২৫ ইং
সময় রাত্রিঃ- ১০:১০ -- ১০:২০ মিনিট।

24/06/2025

"প্রত্যেকের বাড়ী --- বাড়ী গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা লাগবে।রোজ বিকেলে বা সন্ধায় নিজের বাড়িতে বসে কি দোকানে গিয়ে চা -- জলখাবার না খেয়ে পাশের গুরুভাইয়ের বাড়ি চলে যান।তাদের ভালোমন্দের খোঁজখবর নিয়ে কথার ফাঁকে -- ফাঁকে যাজন করেন,ঠাকুরের কথা শোনান।সেখানেই চা --- টা খান এবং Dp works --- এর কাজকে ত্বরান্বিত করেন।

কতগুলি বাড়িতে যাওয়া হলো,কতজন গুরুভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো,এবং আর কারা বাকি রইলো ---- সবকিছুর তালিকা তৈরি করেন।পিন কোড ধরে --- ধরে কতটা কাজ হয়েছে এবং আর কতটা বাকি আছে,তার হিসাব রাখবেন।এবং নিরন্তর নিজেদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে চলবেন।

এখনো আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। কারও কথা না শুনে ----- ' আমি ' যেমন বলছি, তাইই করবেন।আর জানবেন,ঠাকুরের কাজ করতে গেলে যেখানে যেখানে যা--যা
করণীয় --- তাইই করতে হবে।।"

-------- পরমপূজ্যপাদ অবিনদাদা
◾️সূত্র --- (পূজ্যপাদ অবিনদাদার পরিক্রমা)
◾️স্বস্তিসেবক (ফাল্গুন ----- ১৪২৯ /১১ তম সংখ্যা)/পৃষ্ঠা ------ ৬৬৫

16/06/2025

14/06/2025

আহ্ কি আনন্দ পরমানন্দ জয়গুরু......

12/06/2025

ঠাকুরের সময়ও কেউ গীটার বাজাচ্ছিল, ঠাকুর নাকি পছন্দ করেননি।”

দেওঘরে এক ভদ্রলোক এলেন, বয়স ৫০-এর উপরে, থাকেন লন্ডনে।

তিনি এসে পূজ্যপাদ অবিনদাদাকে বললেন— “আপনাদের সৎসঙ্গের গান-কীর্তনের প্যাটার্ন ভক্তির জগতে মানানসই না। ডাম, গীটার, প্যাড, অর্গান— এসব বাজান কেন? এগুলো ভক্তির সাথে মানায় না, আমার ভালো লাগে না। ঠাকুরের সময়ও কেউ গীটার বাজাচ্ছিল, ঠাকুর নাকি পছন্দ করেননি।”

অবিনদাদা জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কী বুঝলেন?”
ভদ্রলোক বললেন, “ঠাকুর আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে গান পছন্দ করতেন না।”

অবিনদাদা বললেন, “তখন হয়তো লোকটি বেসুরে গীটার বাজাচ্ছিল, তাই ঠাকুর বলেছিলেন বন্ধ করতে। আসল কথা, আপনি আধুনিকতাকে মেনে নিতে পারছেন না।

উদ্ধৃতি ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার বাবা ‘আচার্য্যদেব’ ভুল নন। তিনি যেমন বলেন, সেটাই ঠাকুরের কথা। আপনি মানলেও যায় আসে না, না মানলেও যায় আসে না।”

ভদ্রলোক বললেন, “তাহলে কি এইভাবেই চলবে?”

অবিনদাদা বললেন, “শোনেন, আপনাদের জন্য সৎসঙ্গ মানুষের কাছে কুয়োর ব্যাঙ হয়ে আছে। আমি চাই না সৎসঙ্গ কুয়োর ব্যাঙ হয়ে থাকুক। আমি চাই সৎসঙ্গ সমুদ্রের ব্যাঙ হোক।”

— কলমে: নিখিল দাস

09/06/2025

#ঠাকুরবাড়ি_আসা, তাঁর কাছে বারবার আসা,যারা আসতে চায় তাদের সবাইকে নিয়ে আসা, তাঁকে নিয়ে আনন্দ করা-এর মধ্যেই জীবনের সার্থকতা।

আমি ঠাকুরের দিকে চলি, তাঁতে যুক্ত হই, তাঁতে যুক্ত হয়ে অনন্তকাল তাঁর সাথে এক হয়ে থাকার অভিসারে নিত্যানন্দে মগ্ন হয়ে ঘুরি জীবনের সাধনা এই, তাঁকে পরমপ্রিয় ক'রে পরম আদর করে অন্তরের মধ্যে রেখে দেওয়া।

আমার প্রত্যেকটা কোষ যেন বলে-'আমি ঠাকুরের,আমি ঠাকুরের,আমি শুধু ঠাকুরের।

'বাছাই করার যখন সময় হয় ঠাকুরকে কিংবা আর কিছুকে,তখন বলি 'আমার কিছু লাগে না,শুধু ঠাকুরের লাগে। আমি ঠাকুরকেই চাই।ঠাকুর থাকলে সব থাকে।ঠাকুর না থাকলে সব থেকেও কিছু নেই--আমি অনাথ,কাঙাল।' এই অভিসার, প্রিয়পরমের সাথে এক হওয়া--এই হচ্ছে জীবন-সাধনা।

আমরা যারা কর্মী, আমরা এই করি। এই যুক্ত থাকা প্রতি মুহূর্তে,জীবনের প্রতিটি শ্বাসে-প্রশ্বাসে তাঁর হয়ে থাকা; তার জন্যই মানুষ এত নাম-ধ্যান করে, এত পড়াশুনা করে। যা-কিছু করণীয় করে তাঁর সাথে এক হয়ে থাকার জন্য।

কারণ-পুরুষ ঠাকুর। সৃষ্টি হচ্ছে তাঁরই একটা লীলা। আমরা সৃষ্টি-তাঁরই লীলার অঙ্গ। স্রষ্টাকে যদি ভুলি,তাহলে আমাদের জীবনের আসল জিনিসটাই শেষ হয়ে যায়। stand (দাঁড়া) বলে কিছু থাকে না।

আপনারা কখনও ঠাকুরকে ভুলবেন না,কখনও কাউকে ভুলতেও দেবেন না। যখন ঠাকুরের হই,তখন আমার কোন প্রশ্ন থাকে না। বাণীর মধ্যে যেমন বলেছেন তেমন হই---

"প্রশ্ন আমার অস্তে যাউক
রহুক যক্তি সরে,
তোমার ব্রত করব পালন
মরণ স্তব্ধ ক'রে।"

কোন প্রশ্ন নেই,কোন যক্তি-বুদ্ধির ধার ধারি না। ঠাকুর বলেছেন--করে যাই। এইই সাধনা। যজন,যাজন, ইষ্টভৃতি-এই না করলে দীক্ষা বাঁচে না।।)

~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদা
(৩০৯তম ঋত্বিক সম্মেলন, সৎসঙ্গ দেওঘর)

09/06/2025

#প্রসঙ্গঃ_ধর্ম্ম_সংগঠনের_নেতৃত্বের_প্রধান_কাজ_কি?

#শ্রীশ্রীঠাকুর_মানুষকে_একাদর্শে_ঐক্যবদ্ধ_করা,educated ও integrated (শিক্ষিত ও সংহত) করাই প্রধান কাজ।
ধর্মকে কেন্দ্র ক'রে বিরাট সংহতি। সংহতি না হলে শক্তি হয় না। সৎলোকগুলি যদি বিচ্ছিন্ন থাকে, তাতে কাজ হয় না। তাই চাই একাদর্শে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। তাতে ব্যষ্টি, সমষ্টি দুই-ই জাগে। যেখানে যা-ই হোক, এই line-এ (পন্থায়) working (কাজ) না হ'লে হবে না। Passionate crave (প্রবৃত্তি-লালসা) নিয়ে যারা চলে, তারা যতই লোকের ভাল করার কথা বলুক না কেন, আদতে ভাল করতে পারে না। ভাল'র দাড়া হলো ঐ ধৰ্ম্ম, ইষ্ট, কৃষ্টি, ঐতিহ্য। সেই দিকে মানুষকে mould (নিয়ন্ত্রণ) করতে হবে। Popularity (জনপ্রিয়তা)-র খাতিরে মানুষকে mould (নিয়ন্ত্রণ) না করে, তাদের যাচ্ছ চলনের কাছে yield (বশ্যতা স্বীকার) করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।
তাই সত্তাপোষণী সঙ্কল্প নিয়ে মানুষকে educated ও integrated (শিক্ষিত ও সংহত) করাই প্রধান কাজ।
[আ. এ. ৬/২৪.১২.১৯৪৫]
🖊️ Miton Das 🙏