একাকীত্ব シ

একাকীত্ব シ অসাধারণ কিছু পেতে পেইজে লাইক দিয়ে সাথ?

28/04/2025

ক্যালেন্ডার

ক্যালেন্ডার বরাবরই মানুষের জীবনের জরুরি একটা জিনিস। সময় গুছিয়ে চলা, চাষের কাজ ঠিকমত করা আর ধর্মীয় উৎসবের দিন ঠিক রাখার জন্য এটা দারুণ কাজে লাগে।

এই ক্যালেন্ডারের ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায়—মানুষ সময় মেপে চলার জন্য কতটা বুদ্ধি খাটিয়েছে, আর কতটা নিখুঁত হতে চেয়েছে।

পদ্ধতির দিক থেকে ক্যালেন্ডার অনেক রকম, অনেক জটিল। কিন্তু সবারই লক্ষ্য এক—সূর্য আর চাঁদের ছন্দের সাথে মিলিয়ে আমাদের কাজকর্ম ঠিক রাখা।

ক্যালেন্ডারের অর্থ

‘ক্যালেন্ডার’ শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ ‘ক্যালেন্ডে’ (kalendae) থেকে—যার অর্থ "মাসের প্রথম দিন।"

প্রাচীন রোমে, মাসের প্রথম দিন, অর্থাৎ ক্যালেন্ডের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হত। আসলে, রোমান পুরোহিতরা নতুন চাঁদ পর্যবেক্ষণ করে মাসের শুরু নিশ্চিত করতেন। এরপর তারা জনসমক্ষে ঘোষণা করতেন যে নতুন মাস শুরু হয়েছে এবং এটিই হল মাসের প্রথম দিন বা 'ক্যালেন্ডে'।

এই ঘোষণার মাধ্যমে কেবল মাসের শুরুই জানানো হত না, বরং সেই মাসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলি, যেমন নোনাস (Nones), ইদুস (Ides) কবে পড়বে সেটাও ঠিক করা হত। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, এই ঘোষণা তাদের ঋণ পরিশোধ করার নির্দিষ্ট দিনটি মনে করিয়ে দিত। এই ঋণ ও পরিশোধের হিসাব রাখা হত যে খাতায় রোমানরা সেই খাতাগুলিকে বলত ‘ক্যালেন্ডারিয়া’ (calendaria)।

ক্যালেন্ডার শব্দটির উৎপত্তি আর পেছনের গল্প জানা গেল। কিন্তু সময়কে হিসাবের ফ্রেমে বাঁধার জন্য মানুষ কেবল এক ধরনের ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করেনি। ইতিহাস জুড়ে, মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে—কিছু সূর্য এবং চাঁদের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে, আবার কিছু সংখ্যাপদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে। এখন, আমরা প্রধানত ৩ ধরনের ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি—সৌর (Solar), চান্দ্র (Lunar) এবং চান্দ্রসৌর (Lunisolar)।

সৌর ক্যালেন্ডার—আমাদের চেনা ক্যালেন্ডার

সময় মাপার যত পুরোনো উপায় আছে, সৌর ক্যালেন্ডার তার মধ্যে অন্যতম। আর আজও কিন্তু পৃথিবীর নানা প্রান্তে এর ব্যবহার চলছে! এর মূল ব্যাপারটা হল, আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারপাশে কীভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই হিসাবের ওপর ভিত্তি করেই এই ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছে।

পৃথিবী যে সূর্যের চারপাশে একবার চক্কর দিয়ে আসে, সেটাই হল একটা সৌর বছর। এই বছরে থাকে ১২টি মাস বা ৩৬৫টি দিন। তবে হিসাব মেলানোর জন্য কখনও কখনও একটা বাড়তি দিন, মানে লিপ ডে (Leap Day), যোগ করা হয়। আমরা এখন যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি, সেটাও কিন্তু আসলে এই সৌর ক্যালেন্ডারই।

তবে জানতেন কি, সৌর ক্যালেন্ডারেরও দুটি আলাদা ধরন আছে? একটা হল ট্রপিক্যাল সৌর ক্যালেন্ডার, আরেকটা সাইডেরিয়াল সৌর ক্যালেন্ডার। দুটিই পৃথিবীর সূর্য-প্রদক্ষিণের হিসাব রাখে, কিন্তু মাপার কৌশলটা একটু ভিন্ন। ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার (Tropical Calendar) নজর রাখে ঋতু বদলের ওপর, আর সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডার (Sidereal Calendar) বছর মাপে দূরের স্থির তারাগুলির সাপেক্ষে।

ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার—ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে

ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার এক ধরনের সৌর ক্যালেন্ডার যা আমরা বর্তমানে ব্যবহার করি। এই ক্যালেন্ডার সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

ক্যালেন্ডারটির নাম ‘ট্রপিক্যাল’ কেন হল?

কারণ এটি ঋতু পরিবর্তনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকলে, ঋতু পরিবর্তিত হয়। ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার এই ঋতু পরিবর্তনের চক্র ট্র্যাক করে।

একটি ট্রপিক্যাল বছর হল পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে একবার পূর্ণ ঘূর্ণন করতে যে সময় লাগে সেটুকু—যা প্রায় ৩৬৫ দিন। এই সময়ের মধ্যে আমরা গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত এবং বসন্ত এই ৬ ঋতু অনুভব করি। ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার ঋতু পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কারণে আমরা কৃষিকাজ, উৎসব এবং অন্যান্য কাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারি।

যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার আমরা ব্যবহার করি তা আসলে ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্যালেন্ডার।

‘ট্রপিক্যাল’ শব্দটি এসেছে ‘ট্রপিক অফ ক্যান্সার’ এবং ‘ট্রপিক অফ ক্যাপ্রিকর্ন’ থেকে, যা পৃথিবীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ অক্ষাংশ। বছরে দুবার এমন সময় আসে যখন সূর্য নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে। এই দিনগুলিকে অয়নান্ত বলে।

একটি অয়নান্ত থেকে পরবর্তী অয়নান্ত পর্যন্ত সময়কে ধরা হয় এক বছর। বছরে দুবার এমন সময় আসে যখন দিন ও রাত সমান হয়। এই দিনগুলিকে বলে বিষুব। একটি বিষুব থেকে পরবর্তী বিষুব পর্যন্ত সময়কেও এক বছর ধরা হয়।

প্রাচীনকালে মানুষের কাছে জ্যোতির্বিদ্যার সরঞ্জাম ছিল না। তবুও তারা অয়নান্ত ও বিষুব চিহ্নিত করতে পারত। সূর্যের অবস্থান দেখে তারা বুঝতে পারত কখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। এইভাবে তারা কৃষিকাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করত।

সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডার—একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ক্যালেন্ডার

একটি সাইডেরিয়াল সৌর ক্যালেন্ডার, অয়নান্ত ও বিষুব উপেক্ষা করে এবং বহুদিন ধরে রাতের আকাশে ১২টি রাশিচক্রের মধ্য দিয়ে সূর্যের যাত্রা পর্যবেক্ষণ করে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথ পরিমাপ করে। সাইডেরিয়াল নামটি লঅতিন শব্দ ‘sideris’ (নক্ষত্রের) থেকে এসেছে।

যেখানে ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার পৃথিবী এবং তার ঋতুগুলির ওপর মনোযোগ দেয়, সেখানে সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডার গুরুত্ব দেয় নক্ষত্র এবং সূর্যকে। কারণ সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডারের জন্য আকাশ, গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দেখা প্রয়োজন—তাই এটি জ্যোতির্বিদ্যার সাথে সম্পর্কিত।

চন্দ্র ক্যালেন্ডার—অসম্পূর্ণ হলেও দরকারি

চান্দ্র ক্যালেন্ডার চাঁদের আবর্তনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ক্যালেন্ডারে মাস শুরু হয় অমাবস্যায়, আর শেষ হয় পরের অমাবস্যায়।

একটা চান্দ্র মাস বা lunation প্রায় ২৯.৫৩ দিন ধরে চলে, যা সৌর ক্যালেন্ডারের মাস (৩০ বা ৩১ দিন) থেকে একটু কম। চান্দ্র ক্যালেন্ডার সাধারণত ১২ বা ১৩ মাসে ভাগ করা হয়—ব্যবহারকারী নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে ঠিক করে থাকে মাসের সংখ্যা কত হবে।

চাঁদের কক্ষপথ একটু উপবৃত্তাকার হওয়ায়, চান্দ্র মাসের দৈর্ঘ্য প্রতি মাসে কিছুটা বদলায়। এর সঙ্গে ক্যালেন্ডারের দিনের সংখ্যা মিলিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়, বিশেষত কৃষিকাজের মত ক্ষেত্রে যখন নির্ভুল হিসাবের দরকার পড়ে। তাই শুধু চাঁদকে কেন্দ্র করে একটা ঠিকঠাক ক্যালেন্ডার বানানো বেশ ঝামেলার।

এত সমস্যা সত্ত্বেও, চন্দ্র ক্যালেন্ডার হাজার বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, আর এখনও অনেক কাজে লাগে। কীভাবে? কারণ সব ক্ষেত্রে যে খুব বেশি নিখুঁত হিসাব দরকার হয়, তা নয়। অনেক সময় প্রাকৃতিক চক্র আর প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল রাখাটাই জরুরি।

ধর্মীয় উৎসব আর ঘটনাগুলি প্রায় সব সময় চাঁদের চক্রের সঙ্গে মিলে যায়। এজন্যই চান্দ্র ক্যালেন্ডার এখনও রমজান, দিওয়াল, ইস্টার, রোশ হাশানাহ, চীনা নববর্ষের মত উৎসবের তারিখ ঠিক করতে ব্যবহৃত হয়।

লুনিসোলার ক্যালেন্ডার

লুনিসোলার ক্যালেন্ডার হল এমন ক্যালেন্ডার, যেটা চাঁদ (luni) আর সূর্য (solar) দুয়েরই গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এতে বছরে ১২ মাস থাকে, প্রতিটি ২৯ বা ৩০ দিনের, যা চাঁদের দশা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তবে বছরের দৈর্ঘ্য ঠিক রাখা হয় সূর্যের হিসাব মেনে, সৌর ক্যালেন্ডারের মত।

সৌর আর চন্দ্র চক্রকে মিলিয়ে রাখতে লুনিসোলার ক্যালেন্ডারে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত দিন বা মাস যোগ করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে intercalation। একে বলা যায় ‘লিপ বছর’—যখন বছরের শেষে এক মাস বা কয়েকটি দিন যোগ করা হয়।

কারণ চান্দ্র মাস সৌর মাসের চেয়ে ছোট, তাই ১২টা চন্দ্র মাস দিয়ে ৩৬৫ দিন পূর্ণ হয় না। যেমন, প্রাচীন রোমান ক্যালেন্ডারে বছরে মাত্র ৩৫৫ দিন ছিল, যা সৌর বছরের চেয়ে ১০ দিন কম। ফলে রোমানদের ‘ইন্টারকালারিস’ নামে একটা অতিরিক্ত মাস যোগ করে এই ঘাটতি পূরণ করতে হত।

আজও লুনিসোলার ক্যালেন্ডার অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যেসব সংস্কৃতি ধর্মীয় উৎসব আর বিশেষ দিন ঠিক করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। চীনা ক্যালেন্ডার আর ইহুদি ক্যালেন্ডার লুনিসোলার ক্যালেন্ডারের ভাল উদাহরণ।

আজকের যুগে ব্যবহৃত ৩টি জনপ্রিয় ক্যালেন্ডার

১. গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার

বর্তমানের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্যালেন্ডার হল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার, যা একটি সৌর ক্যালেন্ডার। এটি খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অফিসিয়াল ক্যালেন্ডার হিসাবে তৈরি হলেও, সিভিল ক্যালেন্ডার হিসাবে‌ই সারা বিশ্বে ব্যবহার করা হয়।

২০২১ সালের হিসাবে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ১৬৮টি দেশে অফিসিয়াল ক্যালেন্ডার হিসাবে গৃহীত হয়েছে। মাত্র ৪টি দেশ এখনও এটি গ্রহণ করেনি—আফগানিস্তান, ইরান, ইথিওপিয়া ও নেপাল।

এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বর্তমান বছর—২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।

২. ইসলামিক ক্যালেন্ডার

ইসলামিক ক্যালেন্ডার বা হিজরি ক্যালেন্ডার একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার, যেখানে ১২টি চান্দ্র মাস এবং ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিন রয়েছে। হিজরি ক্যালেন্ডার ইসলামী উৎসব এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ঈদুল আজহা ও রমজানের তারিখ নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।

প্রায় সব ইসলামিক দেশ (যেখানে ইসলাম প্রধান ধর্ম) ধর্মীয় উদ্দেশ্যে হিজরি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে, তবে নাগরিক পরিকল্পনার জন্য গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। ব্যতিক্রম হল ইরান ও আফগানিস্তান, যারা নিজস্ব সিভিল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে।

এই ক্যালেন্ডার অনুসারে বর্তমান সাল: ১৪৪৬ হিজরি।

৩. চীনা ক্যালেন্ডার

চীনা ক্যালেন্ডার একটি লুনিসোলার ক্যালেন্ডার, যেখানে সাধারণ বছরে ১২ মাস (প্রায় ৩৫৪ দিন) এবং লিপ বছরে ১৩ মাস (প্রায় ৩৮৪ দিন) থাকে। এটি চীন এবং বিশ্বের বিভিন্ন চীনা কমিউনিটিতে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব যেমন লুনার নিউ ইয়ার নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। সিভিল উদ্দেশ্যে চীন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে।

চীনা ক্যালেন্ডারে বছর গণনা গ্রেগরিয়ান, ইহুদি এবং ইসলামিক ক্যালেন্ডারের মত অনন্ত সংখ্যা ধরে চলে না, এটি ৬০ বছরের চক্রে গণনা করা হয়। প্রতিটি বছরের নাম একটি উপাদান (যেমন গুই বা “স্থির পানি”) এবং একটি রাশিচক্র প্রাণীর (যেমন মাও বা “খরগোশ”) সংমিশ্রণে নির্ধারিত হয়।

বর্তমান বছর: চীনা নববর্ষ ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল, এবং সেদিন থেকে সাপের বছর শুরু হয়েছে। চীনা রাশিচক্রে সাপকে জ্ঞানী, রহস্যময় এবং প্রজ্ঞাবান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২০২৫ সাল কাঠের সাপের বছর হবে, যা প্রতি ৬০ বছরে একবার আসে। সর্বশেষ কাঠের সাপের বছর ছিল ১৯৬৫ সাল।

ক্যালেন্ডার আবিষ্কারের সম্ভাব্য কারণ

এই প্রশ্নের সহজ কোনো উত্তর নেই। অনেক ঐতিহাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং দার্শনিক এই বিষয়ে ভেবেছেন। মানুষের ক্যালেন্ডার আবিষ্কারের সম্ভাব্য কারণগুলি হতে পারে:

• কৃষিকাজ: মানুষ স্থায়ীভাবে কোনো অঞ্চলে বসবাস শুরু করার পর কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়ে। তখন ফসল বোনা এবং ওঠানোর জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। এমন একটি ক্যালেন্ডার, যা সঠিকভাবে বলবে ঋতুর শুরু এবং শেষ কখন, ফসল উৎপাদন এবং জমির ফলন বাড়াতে সাহায্য করবে।

• ধর্ম: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং উৎসব নিয়মিতভাবে পালন করতে সময়ের নির্দিষ্ট পয়েন্ট দরকার। এক উপায় ছিল প্রাকৃতিক চক্রগুলি অনুসরণ করা, যেমন চাঁদের দশা বা একটি নদীর বদ্বীপে বার্ষিক বন্যা।

• ক্ষমতা: বন্যা, মৌসুমি বৃষ্টিপাত বা রাতের আকাশে সাইরিয়াস নক্ষত্রের অবস্থান পূর্বাভাস দিতে পারা একজন ব্যক্তি সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এমন ব্যক্তিকে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণকারী হিসাবে দেখা হত—সে হতে পারে জ্ঞানী, শামান বা সরাসরি একজন নেতা বা গোত্রপ্রধান।

জ্যোতির্বিদ্যা আর ক্যালেন্ডার—একসঙ্গেই শুরু

ক্যালেন্ডার দিয়ে মানুষ সময় গুনে রাখা আর ভবিষ্যতের প্ল্যান করার আগে, তাদের তারার গতিবিধি জানতে হয়েছিল। কিন্তু জ্যোতির্বিদ্যা আর ক্যালেন্ডার—কোনটা আগে এসেছে?

জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক আর জনপ্রিয় ব্লগার ড. ফিলিপ প্লাইট মনে করেন, এই দুইয়ের শুরুটা একসঙ্গেই হয়েছে। ড. প্লাইট তার ‘ব্যাড অ্যাস্ট্রোনমি’ (Bad Astronomy) বই আর ব্লগের জন্য বিখ্যাত। তিনি সহজ ভাষায় বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করেন।

ড. প্লাইট বলেন, “আমাদের ব্রেন প্যাটার্ন ধরার ক্ষেত্রে খুব ভাল। আপনি যদি এমন জায়গায় থাকেন, যেখানে আকাশ অন্ধকার আর তারা স্পষ্ট দেখা যায়, তাহলে দেখবেন কিছু নির্দিষ্ট নক্ষত্রমণ্ডল সূর্যাস্তের পর আকাশে ওঠে—যেমন যখন ঋতু বদলায়।”

তিনি আরও বলেন, “উত্তর গোলার্ধে, বসন্ত আসার সময় ওরিয়ন নক্ষত্রমণ্ডল দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে উঁচুতে থাকে। এটা খুব সহজেই চোখে পড়ে। তখন মানুষ ওই প্যাটার্নগুলি খেয়াল করতে শুরু করে। আর কিছুদিন পর বোঝা যায় যে এই প্যাটার্ন প্রতি ৩৬৫ দিনে একবার করে আসে। তাই আমার মতে, ক্যালেন্ডার আর আকাশের দিকে তাকানোটা হাতধরাধরি করেই শুরু হয়েছিল।”

#ক্যালেন্ডার #সময় #গণনা

09/01/2025
08/01/2025

দুঃখ কেবল সময়ের একটি অধ্যায়, যা কখনোই চিরকাল থাকে না। জাস্ট শুধু খারাপ সময় গুলো সহ্য করে কাটিয়ে দিতে পারলেই সফলতা।😊🌸

পাঁচ দশবছর কোনো মেটার না! তোমার চেয়ে বেটার কাউকে পেলে অবশ্যই তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেই, তোমাকে ছেড়ে যাবেইইই!অসুস্থ ক...
08/01/2025

পাঁচ দশবছর কোনো মেটার না!
তোমার চেয়ে বেটার কাউকে পেলে অবশ্যই তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেই, তোমাকে ছেড়ে যাবেইইই!
অসুস্থ কিংবা অতি আবেগীরাই শুধু থেকে যায়!
সুস্থ স্বার্থপর বাস্তববাদী মানুষগুলো শুধু সময় সুযোগ আর বেটার অপশনের জন্যে অপেক্ষা করে!! কারণ এরা জানে, "অল্পতে সুখ কম, আবেগে পৃথিবী অচল!❤️

—কখনো দুঃখ ভালোবাসিনি, ভালবেসেছি মানুষকে। অথচ আজীবন মানুষ নয় দুঃখই সঙ্গ দিল!😄🖤
08/01/2025

—কখনো দুঃখ ভালোবাসিনি, ভালবেসেছি মানুষকে। অথচ আজীবন মানুষ নয় দুঃখই সঙ্গ দিল!😄🖤

তুমি ভেবে নিও না ভুলে যাবো , তুমি থাকবে আমার কাছে ফুলের মতো। 🤍🌼
08/01/2025

তুমি ভেবে নিও না ভুলে যাবো , তুমি থাকবে আমার কাছে ফুলের মতো। 🤍🌼

30/12/2024

Echoes of 2024, a year without music⌛
একাকীত্ব シ

সফলতার ১৫ সূত্রঃ১. আজ থেকে পাঁচ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর করবে এখন আপনি কী ধরনের বই পড়ছেন, কোন ধরনের মানুষের স...
22/12/2024

সফলতার ১৫ সূত্রঃ

১. আজ থেকে পাঁচ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর করবে এখন আপনি কী ধরনের বই পড়ছেন, কোন ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করছেন সেটার উপর।
২. এডিসন বলেন, সাফল্য হলো ৯৫% কঠোর পরিশ্রম আর ৫% অনুপ্রেরণার ফল।
৩. যে ব্যক্তি পড়তে পারে কিন্তু পড়ে না আর যে ব্যক্তি পড়তে পারে না দুই-ই সমান।
৪. ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কথা বলার আগেই একজনের সাথে সাক্ষাত হওয়ার তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই তার সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যায়। We never get a 2nd chance to make the first impression.
৫. আপনি কী অর্জন করেছেন, সাফল্য মাপার মানদন্ড সেটা নয় বরং আপনি পরে যাওয়ার পর কতবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটা।
৬. পরাজয়ের ভয়, পরাজয়ের চেয়েও খারাপ।
৭. একটা পরাজয় আরো পরাজয়ের জন্ম দেয়। কারণ প্রত্যেকটা পরাজয়ের সাথে ব্যক্তি তার আত্ম-মূল্য হারিয়ে ফেলে যেটা পরবর্তী পরাজয়ের কারণ।
৮. পরাজিতরা কোন কিছু ঘটার অপেক্ষায় থাকে। তারা কখনই কোন কিছু ঘটাতে পারে না।
৯. যে সবকিছু তৈরি পেতে চায়, সে জীবনে কিছু করতে পারে না। সফল ও ব্যর্থ উভয়ের দিনই ২৪ ঘন্টায়।
১০. NO মানে একেবারে না নয়। NO = Next Opportunity.
১১. বাহ্যিক সাফল্য আচরণের উপর নির্ভর করে। যদি আপনি নিজেকে চরিত্রবান, সাহসী, সৎ বলে বিশ্বাস করেন তাহলে এগুলো আপনার আচরণে প্রতিফলিত হবে।
১২. জয়ী হতে হলে কী কী করতে হবে বিজয়ীরা সেটার উপর গুরুত্ব দেয়। আর বিজিতরা যা যা পারে সেটার উপর গুরুত্ব দেয়।
১৩. আপনি সবসময় যা করে এসেছেন, এখনও যদি সেটাই করেন তাহলে সবসময় যা পেয়েছেন, এখনও তাই পাবেন।
১৪. সম্পর্ক তৈরি করা একটা প্রক্রিয়া, প্রচেষ্টার ফলাফল। কোন আকষ্মিক ঘটনা না।
১৫. আপনার ইচ্ছা শক্তি আপনার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
চেষ্টাই নিয়তি পাল্টে দিতে পারে। স্বপ্নপুরণে শুধু আবেগ নয় বেগ দরকার। সাথে বিনয়ী মনোভাব, শেখার তাড়না ও প্রেরণা দরকার।

সংগৃহীত

Ten Unknown Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germa...
23/11/2024

Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.

4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.

5. Global Presence: BMW is a global automotive Company

6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.

7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.

8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.

9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.



The history of
began with the discovery of two critical principles: The first is camera obscura image projection, the second is the discovery that some substances are visibly altered by exposure to light[2]. There are no artifacts or descriptions that indicate any attempt to capture images with light sensitive materials prior to the 18th century.
View from the Window at Le Gras 1826 or 1827, believed to be the earliest surviving camera photograph.[1] Original (left) and colorized reoriented enhancement (right).
Around 1717, Johann Heinrich Schulze used a light-sensitive slurry to capture images of cut-out letters on a bottle. However, he did not pursue making these results permanent. Around 1800, Thomas Wedgwood made the first reliably documented, although unsuccessful attempt at capturing camera images in permanent form. His experiments did produce detailed photograms, but Wedgwood and his associate Humphry Davy found no way to fix these images.
In 1826, Nicéphore Niépce first managed to fix an image that was captured with a camera, but at least eight hours or even several days of exposure in the camera were required and the earliest results were very crude. Niépce's associate Louis Daguerre went on to develop the daguerreotype process, the first publicly announced and commercially viable photographic process. The daguerreotype required only minutes of exposure in the camera, and produced clear, finely detailed results. On August 2, 1839 Daguerre demonstrated the details of the process to the Chamber of Peers in Paris. On August 19 the technical details were made public in a meeting of the Academy of Sciences and the Academy of Fine Arts in the Palace of Institute. (For granting the rights of the inventions to the public, Daguerre and Niépce were awarded generous annuities for life.)[3][4][5] When the metal based daguerreotype process was demonstrated formally to the public, the competitor approach of paper-based calotype negative and salt print proce

Address

Sylhet
Maulvi Bazar
3253

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when একাকীত্ব シ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share