12/10/2025
আর্মির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, ডিপ্লোমেটিক জনের ৪ টা এপিসি প্রতিমাসে রোটেট করা হয়। প্রতিটার সাথে দুইটা প্যাট্রোল পিকআপ থাকে। তার মানে আটটা এপিসি আর ষোলটা সৈন্য বোঝাই প্যাট্রোল পিক আপ একসাথে একটা অঞ্চলে মুভ করেছে। রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে। এইটা বড় মুভমেন্ট।
কিন্তু কথা হচ্ছে, এই মুভমেন্টের বিষয়টা সিভিল প্রশাসনকে আর্মির তরফ থেকে জানানো হয়নি। কেন হয় নাই? সিভিল প্রশাসনকে না জানানোটা নিয়মের ব্যত্যয়। এই সেন্সেটিভ সময়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত না করার কারণেই এই মুভমেন্ট সিভিল প্রশাসনের কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে। আমাদের কাছেও লেগেছে।
আমরা অবশ্যই সেনাবাহিনীর জেনারেলদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে শীর্ষ জেনারেলদের গোস্বার কথা জানি। তাই এই সময়ে এতো বড় একটা মুভমেন্ট আমাদের পক্ষে উপেক্ষা করা অসম্ভব। উপেক্ষা করা উচিৎ ও নয়।
এটা ক্যু প্রচেষ্টা হোক বা ক্যু না হোক সিভিল প্রশাসনকে না জানায়ে এই মুভমেন্ট অস্বাভাবিক। এবং যেকোন ক্যু এর চেষ্টা আমরা আমাদের যেটুকু শক্তি আছে, তাই দিয়ে রুখে দেয়ার চেষ্টা করবো। আমরা বসে থাকবো না। কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই প্রি এম্পটিভ মেইজার নিতে হয় এবং আমরা সেটা নেবো। যে যাই বলুক। যে যেভাবেই ট্রল করুক। একটা ক্ষতি হয়ে গেলে সেটাকে রিকোভার করার চাইতে আগে থেকে প্রতিরোধ করা উত্তম।
আমরা যে কোন অস্বাভাবিক মুভমেন্টকে ট্রেস করতে সক্ষম। এইটা আমাদের সক্ষমতা।
এইটা সত্যিকারের ক্যু হইলে আমাদের রাতেই মাঠে নামতে হইতো। এবং আমরা দেখাইতাম, আমরা রাতেই মাঠে নামতে সক্ষম। সত্যি সত্যিই খারাপ কিছু হইলে দেখতেন সকালে সবকিছু পাল্টায়ে গেছে। তখন আমরা ছাপা থাপড়াইতাম আর যারা ট্রল করতেছে তারা রাস্তায় বিজয় মিছিল করতো হাসিনার ছবি গলায় নিয়া।
দড়ি দেইখ্যা সাপ মনে হইলে ক্ষতি নাই। কিন্তু সাপ দেইখ্যা দড়ি মনে হইলে আপনি মরিছেন। আমি এক্সট্রা কেয়ারফুল। এইটাই বিপ্লবীর চিহ্ন।
কারা বিপ্লবকে রক্ষা করতে চায় আর কারা আমাদের আশ্বস্ত করে বিপ্লবের হো মা সা করতে চায় তাদের চিনে নেন। এক মুহুর্ত অসতর্ক হইলে সব ধ্বংস হইতে টাইম নিবে না। তখন এই ট্রল ওয়ালারা দায়িত্ব নিবেনা। লিখে রাখতে পারেন। বিপ্লবকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। অন্তত আমরা যারা বিপ্লবকে ঔন করি। জুলাইকে ঔন করি। আপনারাই দেখে নেন কারা পতিত আওয়ামী লীগের সাথে মিলে আজকে ট্রল করছে। তারাই জুলাইয়ের শত্রু।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।