Daily Moulvibazar

Daily Moulvibazar Stay tuned to get all the news of Moulvibazar district

03/09/2025

মৌলভীবাজারে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার, ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি রয়েল এনফিল্ডসহ মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়, যেগুলো বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা হয়েছিল।

চুরির সূচনা ও মামলা

গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের গীর্জাপাড়া এলাকায় জনৈক মাহবুব হাসানের ভাড়াবাসা থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চুরি হয়। ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয় (মামলা নং–৪২(৮)২৫)।

পুলিশের অভিযান ও তদন্ত

চুরির ঘটনার পরপরই মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম–সেবার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খায়েরের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু হয়।

সদর থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরন কুমার বিশ্বাস ও এসআই উৎপল সাহাসহ একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। টিমটি প্রায় ৪৭টি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের মূলহোতাসহ জড়িতদের শনাক্ত করে।

গ্রেফতার অভিযান

২৮ আগস্ট রাতে সদর থানার টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে চক্রের মূলহোতা বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫) কে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই সদস্য তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জল হোসেন এবং মো. বাবুল হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় বাবুল হোসেনের কাছ থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন পটলের ছেলে সোহানের বাড়ি থেকে মামলার চোরাই যাওয়া রয়েল এনফিল্ডসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে এনে আসামিদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই স্থান থেকে আরও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের বক্তব্য
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, “এ পর্যন্ত মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার পলতাকান্দা গ্রামের সোহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়

বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫)
পিতা—ছানা বাবু ওরফে অজিত দাস, মাতা—মিতা রানী দাস।
স্থায়ী ঠিকানা—আগরপুর পূর্বপাড়া, ডাকঘর সরাসচর, থানা কুলিয়ারচর, জেলা কিশোরগঞ্জ।
বর্তমান ঠিকানা—চান্দুরা দাসপাড়া, মহাদেব মন্দিরের পাশে, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জল হোসেন
পিতা—আমির হোসেন, সাং—জালালপুর, থানা—বিজয়নগর, জেলা—ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

মো. বাবুল হোসেন
পিতা—মো. সামসু মিয়া, সাং—সাতগাঁও, চান্দুরা, থানা—বিজয়নগর, জেলা—ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

পুলিশের এই সফল অভিযানে জেলা জুড়ে স্বস্তি নেমে এসেছে এবং জনসাধারণের মাঝে আস্থা আরও বেড়েছে।

01/09/2025

ওরা কারা, আগে কি করতো? আওয়ামী দোসর ফজলুর রহমানের নৌকা জনসভায় বক্তব্য দিয়ে ভোট চাইতো। এখন শহরে এম সাইফুর রহমানের বিলবোর্ডেও তাদের ছবি দেখা যাচ্ছে। নৌকা আর আওয়ামী বন্দনা কারীদের কে বিএনপি পুনর্বাসন করবে?

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতা মতিন বক্সের পদ স্থগিতমৌলভীবাজার প্রতিনিধি:মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন ...
22/08/2025

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতা মতিন বক্সের পদ স্থগিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন বক্সের প্রাথমিক সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
দলীয় নীতি ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
শুক্রবার, ২২ আগস্ট—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মতিন বক্সের বিরুদ্ধে দলীয় নীতি পরিপন্থী এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা ও সাংগঠনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মতিন বক্সের প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে পদ স্থগিতের প্রতিক্রিয়ায় মতিন বক্স জানান—
"আমি টানা ৪২ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ৫ বার জেল খেটেছি। যুব দলের থানা সভাপতি থেকেছি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। কেন্দ্রীয় যুবদলের সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি এবং সর্বশেষ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।"

তিনি আরও বলেন—
"দল হয়তো আমার কিছু কর্মকাণ্ড পছন্দ করেনি, তাই পদ স্থগিত করেছে। তবে আমি কোনো কাজ করিনি যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। আমার কোনো আক্ষেপ নেই—আমি ধানের শীষেই ভোট দেব, অন্য কোনো দলে যাব না।”

রাজনৈতিক দায়িত্ব ও ইতিহাস

রাজনৈতিক জীবনে মতিন বক্স নানা সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন—
১৯৮৮ সালে থানা যুবদলের সভাপতি,
২০০১ সালে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক,
২০১২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ),
এবং ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।

আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাবরণ

আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন—
১৯৯৮ সালে হরতাল চলাকালে প্রথমবার গ্রেপ্তার,
২০১১ সালে খালেদা জিয়ার বাড়ি উচ্ছেদবিরোধী হরতালে দ্বিতীয়বার,
২০১৫ সালে পুলিশ এসল্ট মামলায় তৃতীয়বার,
২০১৭ সালে একই অভিযোগে কোর্ট ওয়ারেন্টে চতুর্থবার,

আর সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে লেখালেখির কারণে গ্রেপ্তার হন। পরে নির্বাহী আদেশে ৬ আগস্ট মুক্তি পান।

দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাবাসের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও—
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে মতিন বক্সের পদ স্থগিত হওয়ায় মৌলভীবাজারের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আলোচনা।

মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী রুবেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামি গ্রেপ্তার, আলামত উদ্ধার১৮ আগস্ট, ২০২৫জেলা পুলিশ, মৌলভীবাজারঘটনাঃ...
18/08/2025

মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী রুবেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামি গ্রেপ্তার, আলামত উদ্ধার

১৮ আগস্ট, ২০২৫

জেলা পুলিশ, মৌলভীবাজার

ঘটনাঃ

গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৩৫ মিনিট থেকে ৭টা ০৫ মিনিটের মধ্যে মৌলভীবাজার শহরের শমসেরনগর রোডে সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন এফ রহমান ট্রেডিং নামে একটি হার্ডওয়্যার ও স্টেশনারি দোকানে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা প্রবেশ করে দোকান মালিক শাহ ফয়জুর রহমান ওরফে রুবেল (৫৫)-কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে।

ঘটনার পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। (মামলা নম্বর-১৮, তারিখ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)।

ভিকটিমঃ-

শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল (৫৫), পিতা-মৃত শাহ আঃ গফুর, মাতা-মৃত মালেকা বেগম, সাং-গোবিন্দপুর, কাদিপুর ইউপি, থানা-কুলাউড়া, বর্তমান ঠিকানা-শ্যামলী আবাসিক এলাকা, থানা ও জেলা-মৌলভীবাজার। তিনি শমসেরনগর রোডস্থ সিএনজি স্ট্যান্ডে এফ রহমান ট্রেডিং নামীয় হার্ডওয়ার ও ষ্টেশনারী দোকানের মালিক।

আসামিঃ

জুহেল মিয়া ওরফে জুয়েল ওরফে আলিফ (২২), পিতা-সুহেল মিয়া, সাং-লইয়ারকুল, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার।

পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম ও আসামি গ্রেফতারঃ

ঘটনার পর পরই মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার জনাব এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খয়ের, সদর থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মিনহাজ উদ্দিন এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসির সমন্বয়ে একাধিক টিম গঠন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থল এবং এর আশেপাশের পুরো এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার সংক্রান্ত সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করে এবং ভিকটিমের পরিবার, স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় ব্যবহৃত একটি অটোরিকশার চালককে শনাক্ত করে এবং তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করা হয়। সন্দিগ্ধ ব্যক্তিতে শনাক্ত করার উদ্দেশ্যে মৌলভীবাজার সদরসহ পুরো জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ ও সিলেটেও পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করে। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের টিম শ্রীমঙ্গল থানা এলাকায় সেই সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে জুহেল মিয়া ওরফে জুয়েল ওরফে আলিফ হিসেবে শনাক্ত করেন। জুহেল মিয়ার হাতে একটি ব্যান্ডেজ তাকে শনাক্ত করতে আমাদের সাহায্য করে। সে শ্রীমঙ্গল উপজেলার লইয়ারকুল গ্রামের সুহেল মিয়ার ছেলে। শনাক্তমতে তাকে ১৭ আগস্ট দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যঃ

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জুহেল মিয়া আগে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতো। বর্তমানে বেকার এবং হতাশাগ্রস্ত। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থাও শোচনীয়। বাবা সুহেল মিয়া দিনমজুর হিসেবে কাজ করে। মূলত আর্থিক কষ্ট মেটানোর জন্য ছিনতাইয়ের মত অপরাধের পথ বেছে নেয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুহেল মিয়া স্বীকার করে যে, সে চুরি বা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ৬ আগস্ট মৌলভীবাজার শহরে আসে, পুরো শহর ঘুরে কিন্তু সুবিধাজনক পরিস্থিতি না পেয়ে ফিরে যায়। পরদিন ৭ আগস্ট বিকেলে আবার শহরে ফিরে আসে এবং কুসুমবাগ এলাকায় নেমে সাইফুর রহমান রোড হয়ে শমসেরনগর রোডের দিকে হেঁটে যায়। সে মূলত একটু নিরিবিলি এলাকায় লোকজন কম এমন দোকান খুঁজছিল। পথিমধ্যে দোকানগুলো লক্ষ্য করতে থাকে এবং "দি নিউ আরপি হার্ডওয়্যার" নামের দোকান থেকে ২টি এলবো ও একটি সাসপেনশন গ্লু কিনে সুযোগের জন্য কিছুক্ষণ অবস্থান করে। সেখানে লোকজন বেশী থাকায় সুয়োগ না পেয়ে সে চলে যায়। পরে পাশের "এফ রহমান ট্রেডিং" দোকানে দোকান মালিক রুবেলকে একা দেখে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সেসময় রুবেল মিয়া নামাজে থাকায় জুহেল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। নামাজ শেষ হলে সে ক্রেতা সেজে দোকানে প্রবেশ করে এবং রঙ কেনার কথা বলে দোকানের ক্যাশ থেকে রুবেল মিয়াকে দোকানের ভিতরের অংশে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। রুবেল মিয়া তাকে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করলে সে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ১.১০০ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
উদ্ধার।
১। হত্যাকান্ডের সময় আসামি কর্তৃক ব্যবহৃত মাস্ক ও জুতা
২। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি (আসামির দেখানো মতে)
৩। রিকশাচালককে রিকশা ভাড়ার জন্য আসামি কর্তৃক প্রদত্ত রক্তমাখা ২০ টাকার নোট

৪। ২টি এলবো ও একটি সাসপেনশন গ্লু, যা "দি নিউ আরপি হার্ডওয়্যার দোকান থেকে আসামি ক্রয় করেছিল।

৫। দোকানের ক্যাশ কাউন্টার থেকে একটি রক্তমাখা ফাইল

মর্মান্তিক এক গল্পতার বয়স ১৬ বছর।তার বাবা মারা যান ৪ বছর আগে তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর।তার বাবার স্বপ্ন ছিল সে কোরআনে হাফেজ...
11/08/2025

মর্মান্তিক এক গল্প

তার বয়স ১৬ বছর।তার বাবা মারা যান ৪ বছর আগে তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর।তার বাবার স্বপ্ন ছিল সে কোরআনে হাফেজ হবে।বাবার স্বপ্ন অনুযায়ী সে কোরআনে হাফেজ হয়।বর্তমানে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে।
তার ভাই নিহত রাফি রিলেশন করে বিয়ে করে।ওর শশুরবাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নে।এই বিয়ে তার পরিবার মেনে নেই নি।রাফির ছোট ভাই ও এই বিয়ে মন থেকে মেনে নিতে পারে নি।তাই পরিবারে ছোট খাট ঝামেলা মাঝে মধ্যে হতো।

রাফি নিহত হওয়ার আগের দিন রাফির স্ত্রী ওর বাবার বাড়িতে যায়।ওইদিন রাতে রাফির ভাই ওর কাছে ৫০০ টাকা খুজেছিল মাদ্রাসার পরীক্ষার ফ্রি দেওয়ার জন্য।কিন্তু রাফি তাকে টাকা দেয় নি বলেছে তুই মাদ্রাসায় ঠিক মতো লেখাপড়া করছ না আমি তর মাদ্রাসার হুজুরের সাথে দেখা করে টাকা দিব।এই কথা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি তার ভাই। পরের দিন সকাল অনুমানিক ৭ টার সময় রাফির রুমে ডুকে ব্যবহৃত বটি দা দিয়ে হত্যা করে তার ছোট ভাই।
তারপর সে বটি দা কিচেনে নিয়ে ধৌত করে বিছানার নিচে রাখে।তার পরনে লুঙ্গি ছিল সেই লুঙ্গিতে রক্ত লেগেছিল সেই লুঙ্গি ঘরের এক জায়গায় রাখে সে। তারপর সকাল ৯:৩০ মিনিটের সময় পরীক্ষার জন্য মাদ্রাসার উদেশ্য রওয়ানা দেয় সে।রাফি ইলেকট্রিক কাজ করত এবং যেদিন কাজ থাকত না সেদিন দুপুর ১২-১ টা পযন্ত ঘুমাত সে।তাই তার মা ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজে মনযোগ দেন এবং উনি মনে করেন সে রুমে ঘুমেই আছে কিন্তু ১২ টার সময় আরেকজন এসে বলে রাফি ভাই কোথায়? তার মা বলেন রুমে ঘুমে আছে তখন সেই ব্যাক্তি রুমে গিয়ে দেখে অন্ধকার।

যখন বাতি জ্বালালো তখন সে ব্যাক্তি চিৎকার দিয়ে উঠে এবং রাফির মা এবং চাচা-চাচিরা দৌড়ে আসেন।প্রথমে রাফির ভাই স্বীকার করেনি কিন্তু যখন রাফির জানাজায় এত মানুষের কান্না দেখে সে তখন নিজে আবেগাপ্লুত হয়ে সেখানকার সাবেক চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে স্বীকারোক্তী দেয় সে কিভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছে।রাফির ভাই মাদকাসক্ত ছিল না/সিগারেট ও খেত না সে শুধু গুল ব্যবহার করত।
©️

24/07/2025

জেলার একমাত্র অরাজনৈতিক ও মানবিক উন্নয়নমূলক সংগঠন মৌলভীবাজার ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর দুই বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্....

24/07/2025

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক।

আজ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত এ সংক্রান্ত ৪ টি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।

30/06/2025

মৌলভীবাজার জেলার কাওছারকে ধরে নিয়ে গিয়ে যেভাবে ‘জ*ঙ্গী সাজানো’ হয় |

কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডা পালালেন মানব পাচারকারী রেজাউল করিম ওরফে বেলাল।দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এক ভয়...
22/06/2025

কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডা পালালেন মানব পাচারকারী রেজাউল করিম ওরফে বেলাল।

দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এক ভয়াবহ মানব পাচার ও প্রতারণার অভিযোগ। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন রেজাউল করিম (ছদ্মনাম: বেলাল) নামের এক ব্যক্তি, যিনি লিথুয়ানিয়া, গ্রীস, সার্বিয়া ও আলবেনিয়ায় পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভুয়া TRC কার্ড ও জাল ভিসা সরবরাহ করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তিনি কানাডায় পালিয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।

অভিযুক্তের পরিচয়:
নাম: রেজাউল করিম (ছদ্মনাম: বেলাল)
পিতা: মৃত ফজলুল করিম ওরফে আয়না
মাতা: রোকেয়া বেগম
স্ত্রী: ফাতেমা বেগম
স্থায়ী ঠিকানা: কাগাবলা ইউনিয়ন, মৌলভীবাজার সদর
বর্তমান ঠিকানা: পূর্ব গির্জাপাড়া, ফাটাবিল, মৌলভীবাজার
পাসপোর্ট নম্বর: A05191809
অফিস: Waltex International, সোলায়মান প্লাজা, পুরাতন পল্টন, ঢাকা (বর্তমানে বন্ধ)

অভিযোগের বিবরণ:

দেশের অন্তত ৫০টিরও বেশি ট্রাভেলস এজেন্সি এবং কয়েক শতাধিক যাত্রী এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ট্রাভেল ভিসার আশ্বাসে দালালের সঙ্গে চুক্তি করে টাকা জমা দেন তারা। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট বৈধ নয় বলে ধরা পড়ে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি মোবাইল নম্বর ও অফিস বন্ধ রেখে আত্মগোপনে চলে যান।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন। কিছু ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি কয়েকজন যাত্রী আত্মহত্যাও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আইনগত অগ্রগতি:

ভুক্তভোগীরা দেশের বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত রেজাউল করিম বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে তথ্য মিলেছে। বিষয়টি কানাডার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ইমিগ্রেশন বিভাগকে জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের আহ্বান:

ভুক্তভোগীরা রেজাউল করিমকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছেন। একইসাথে মানব পাচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণের দাবি তুলেছেন।

এক ট্রাভেলস মালিক বলেন,
“শুধু টাকা নয়, আমাদের সম্মান, পরিবার, স্বপ্ন—সব কিছুই শেষ করে দিয়েছে সে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরণের দালালরা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।”

📌 সতর্কতা:
সাধারণ জনগণকে অচেনা এজেন্সি বা ব্যক্তির প্রলোভনে না পড়ে যাচাই-বাছাই করে বৈধ কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।

📣 সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদ:
এই ঘটনার প্রতিবাদে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা , ্রতারক এবং #মানবপাচারকারী_রেজাউল

15/06/2025

📢 চৌমুহনায় কিশোর গ্যাং-এর হানা!

মৌলভীবাজার জেলার প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনা এলাকায় একটি নিরীহ পরিবারের বাসায় হঠাৎ করে দলবল নিয়ে হানা দেয় কিছু কিশোর। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়—এরা কোনো কিশোর গ্যাং-এর সদস্য, যারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

❓ তাদের পরিচয় কি? ❓ এরা কী চায়? ❓ কার বাসায় কখন হানা দেবে, বা দেবেনা তার নিশ্চয়তা কি?

এই ধরণের দুঃসাহসিক কাজের পেছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে—তা দ্রুত খুঁজে বের করা জরুরি। কাদের ইশারায়, কাদের প্রশ্রয়ে এমন অপরাধ করার সাহস পেয়েছে তারা?

📞 আপনার জানা কোনো তথ্য থাকলে, দয়া করে শেয়ার করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করুন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগে সদ্য নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন  ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী সাগর কে গ্রেফতার করেছে, মৌলভ...
12/06/2025

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগে সদ্য নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী সাগর কে গ্রেফতার করেছে, মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১২জুন) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মোড় এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই গৌতম জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগে থাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Address

Maulvi Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Moulvibazar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Moulvibazar:

Share

ডেইলি মৌলভীবাজার

ডেইলি মৌলভীবাজার ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজার জেলার জনপ্রিয়, সর্বাধিক পঠিত, পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। মা, মাটি, মানুষের কন্ঠস্বর হয়ে পথ চলেছে dmb.news ।

সত্যের জয়ের অন্যতম স্বপ্ন সারথি। সবার আগে সঠিক সংবাদ প্রদানে অন্যতম অগ্রপথিক।