20/06/2025
মৌলভীবাজারবাসী এর প্রতিকায় চায় :
সিলেট ভ্রমণে মৌলভীবাজারবাসী যেভাবে কষ্টের শিকার:
হবিগঞ্জী বাসের যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও টাইম শিডিউল বেশি রাখা হয়েছে যাতে দাঁড়িয়ে পেসেঞ্জার নেয়া যায়। সময় মতো বাস না আসার কারনে অনেক মানুষ যখন জমা হয় তখন বাস আসে এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো ভালো সিটের আশায় ঠেলাঠেলি করে উঠতে গিয়ে অনেকেই আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছেন । কষ্ট করে উঠেও সিট পাচ্ছেন পিছনে কারন গাড়িতে থাকা লোকগুলো সামনের সিটগুলো দখল করে রাখে। যারা ঠেলাঠেলি করে আগে উঠেন তারা পিছনের দিকে সিট পেলেও পরে যারা উঠেন যেমন: বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশু যাত্রীরা সিট না পেয়ে কেউ দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন আবার অনেকে দুতিনটি বাসে চেষ্টা করেও উঠতে পারছেন না।
আর কোনো বিকল্প বাস না থাকায় বাসের হেলপাররা গাদাগাদি করে লোক নিচ্ছে তবুও তারা টাইম শিডিউল কমাচ্ছে না ।
আবার সিলেট থেকে মৌলভীবাজার আসার সময় লাইনে দাঁড়িয়ে প্রথমে টিকেট করলেও ১৬ নাম্বার সিট থেকে মৌলভীবাজারের যাত্রীদের আসন কিন্তু সামনের দিকে বসতে দেয়না । বসলে গেলে বলে এগুলো শ্রীমঙ্গলের জন্য রিজার্ভ করা। প্রতিদিন এভাবে যেতে আসতে মৌলভীবাজারের মানুষকে ভীষণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় নতুন বাস সার্ভিস চালু হলেও তারা কৌশল করে তখন ৫ মিনিট পরপর তাদের বাস মৌলভীবাজার ছেড়ে যায় এবং আগে পিছে বাস লাইনে দাঁড়িয়ে রাখে যাতে নতুন সার্ভিসটি যাত্রী না পায় । এভাবে লস খেয়ে ঐ বাসটি এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। যেমন: সুপার এক্সপ্রেস, সাগরিকা এক্সপ্রেস, বিআরটিএ প্রভৃতি বাস সার্ভিস । এ সার্বিসগুলো তাদের অত্যাচারে বন্ধ হয়ে গেলে তারা আবার ৫ মিনিটের পরিবর্তে ২০,২৫মিনিট শিডিউলে ফিরে যায় । এটাই হলো তাদের বিমাতা সূলভ আচরণের বাস্তব চিত্র।