17/06/2025
আপডেট:
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি কিভাবে শুরু হলো এখন কি অবস্থা সংক্ষেপ দেয়া হলো:
🔥 বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি
🇮🇱 ইসরায়েল কী করছে:
১৩ জুন থেকে ইসরায়েল “Operation Rising Lion” নামে একটি বড়সড় হামলা শুরু করেছে।
তারা ইরানের নিউক্লিয়ার কেন্দ্র, সেনা ঘাঁটি, IRGC (ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড) এর হেডকোয়ার্টার ও অনেক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইতিমধ্যে ইরানের প্রায় ১২০+ মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনেও সরাসরি সম্প্রচারের সময় বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
🇮🇷 ইরান কী করছে:
ইরান “Operation True Promise 3” নামে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে।
তারা তেল আবিব, হাইফা, এবং ইসরায়েলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তুতে ছিল।
মিসাইলগুলোর মধ্যে কিছু কাসেম সোলাইমানির নামে নামকরণকৃত ছিল।
☠️ ক্ষয়ক্ষতি
দেশ / এলাকা মৃত্যু আহত
ইরান ২২০–২২৫+ | অসংখ্য
ইসরায়েল ২৪– ২৭+ | ৯০+
গাজা (আংশিক ক্ষয়) ~৪৫ জন |অনেকে
🌍 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র: যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে, ইসরায়েলকে সাহায্য করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প: তেহরানের নাগরিকদের শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ইরানকে পুরোপুরি পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন।
ইউরোপ, জার্মানি, চীন, রাশিয়া, জর্ডান: শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে এবং কিছু দেশ তেহরান থেকে নাগরিকদের অবস্থান ত্যাগ করতে বলেছে।
বিশ্ব অর্থনীতি: যুদ্ধের প্রভাবে তেলবাহী ট্যাংকারে দুর্ঘটনা, স্ট্রেইট অব হরমুজে জিপিএস জ্যামিং হয়েছে, তেলের দামে উঠানামা দেখা গেছে।
⏭ সামনে কী হতে পারে?
যুদ্ধ চলতেই থাকছে; দু’পক্ষই একে অপরের ঘাঁটি ও শহরে হামলা করছে।
সিভিলিয়ান ইভাকুয়েশন শুরু হয়েছে—বিশেষ করে তেহরান শহর থেকে।
এখনো কোনো শান্তিচুক্তি বা যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হয়নি।
গাজা ও লেবানন সীমান্তেও উত্তেজনা বাড়ছে।
🧭 সংক্ষিপ্ত সারাংশ:
বিষয় বর্তমান অবস্থা
ইসরায়েলের হামলা: ইরানের নিউক্লিয়ার ঘাঁটি ও সামরিক টার্গেট.
ইরানের জবাবি হামলা: ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু
নিহত ও আহত: দুই পক্ষেই বহু হতাহত
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: তীব্র উদ্বেগ, শান্তির আহ্বান
ভবিষ্যৎ দিক: পরিস্থিতি জটিল, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেই