29/05/2025
তোফায়েল সাহেব অস্বীকার করার কিছু নেই,আপনি একজন পরিপক্ব অভিজ্ঞ ঝানু রাজনীতিবিদ।
জীবনের এক নির্মম দিন অতিবাহিত করতেছেন,
মৃত্যুশয্যায় দাড়িয়ে একটু মালেক ভাইকে ফিল করেনতো।
ভেবে দেখুনতো মালেক ভাইয়ের কি অপরাধ ছিল?
বন্ধুরা, ইতিহাসে ভয়াবহ এক ইতিহাস শুনেন
১৯৬৯ সাল,তোফায়েল আহমেদ তখন ডাকসুর ভিপি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা কি হবে এই বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী জনপ্রিয় ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র নেতা আব্দুল মালেক ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থার পক্ষে বক্তব্য দেন।
উক্ত সেমিনারের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের করতালির মাধ্যমে আব্দুল মালেকের বক্তব্যকে সমর্থন করে। উক্ত সেমিনারে মালেক ভাইয়ের বক্তব্যেরববিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন ইসলাম বিদ্বেষী তৎকালীন ছাত্রলীগ, বাম সংগঠনের নেতারা।তারা ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থার বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন।
তাদের দুর্বল যুক্তি মালেকের যুক্তির কাছে হেরে যায়। তখন তারা নতুন ফন্দি আটল।১২ আগস্ট ১৯৬৯ সালে তারা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরেকটা সেমিনারের আয়োজন করে।
উক্ত সেমিনারে আবার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত উপস্থাপন করা হয়। আব্দুল মালেকের যুক্তির কাছে আবার ইসলাম বিদ্বেষী রা হেরে যায়।
তারা তখন মারাত্মক চক্রান্ত করে। শহিদ আব্দুল মালেক যখন সেমিনার শেষ করে বের হন। তখন এই তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শহিদ আব্দুল মালেকের উপর আক্রমণ করে। তারা শহীদ আব্দুল মালেককে লাঠি,হটিস্টিক, এবং ইট দিয়ে তার মাথা থ্যাথলিয়ে দেয়। তারপর তারা আব্দুল মালেককে মৃত ভেবে রেখে চলে যায়। তখন তার অন্য সাথীরা এ খবর শুনে দৌড়ে আসে।তাকে তাৎক্ষণিক ভাবে হসপিটাল নেওয়া হয়। ডাঃ তাকে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। সেখানে আব্দুল মালেক ১৫ ই আগস্ট ১৯৬৯ সালে শাহাদাত বরনকরেন। তারা শহীদ মালেককে শেষ করার মাধ্যমে ইসলামকে ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থা কে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এমন হাজারো মেধাবি মালেকের হত্যার পেছনে লুকিয়ে ছিলেন এই তোফায়েল গং এর মত সন্ত্রাসীরা।
এই খুনী তোফায়েল অনেকের গুরু, অনেকের আদর্শ, অনেকের বাহুবল ছিলেন।
আজ তিনি নিজেই জীর্নশীর্ন , বলহীন, হতভম্ভ।
শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মত্র !
মহাজগতিক সময়ের কাছে এই পৃথবীর সময়, মহসাগরের জলরাশির তুলনায় একটা সুচের আগায় জলের থকেও নগন্য। অথচ এই অতি ক্ষুদ্র সময়ের নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্য কত কিছুই না করে চলেছি। কতজনের হক নষ্ট করেছি , কতজনের গোটা জীবন টাই নষ্ট করে দিয়েছি।
আজ ! পড়ন্ত বিকেলে হয়তো একে একে সবকিছু মনে পড়বে যখন সামনে শুধু অসীম একাকিত্ব আর সীমাহীন অন্ধকার !!!!
সবাইকে একবাব হলেও তা ভাবা দরকার।
"মৃত্যু অবধারিত " ।
তখন কি একাত্তর ইস্যু আছিল। আসলে ওরা হলো ইসলাম বিদ্বেষী।
© Ashraf Uddin Chowdhury
লেখার সাথে সংযোজন: তাকে পাকিস্তানে নেওয়া হয় নাই, শহীদ আব্দুল মালেক ঢাকা মেডিকেলে ইন্তেকাল করেন