22/07/2025
প্রিয় রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ,
২২ জুলাই ২০২৫, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক দিন। রাজধানীর আকাশে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ে মাটিতে, প্রাণ হারায় বহু নির্দোষ মানুষ — তাদের মধ্যে মিলস্টোন স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। একজন তরুণ পাইলটের জীবনও অকালে ঝরে গেল। এই দুর্ঘটনার পেছনে যাদের গাফিলতি বা অবহেলা রয়েছে, তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আমরা নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন তুলছি:
---
❗ ১. কেন পুরনো, অব্যবহৃত, বিপজ্জনক বিমান এখনো প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছে?
একজন পাইলট তার জীবন দিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন—তাকে নিরাপদ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য নয় কি?
---
❗ ২. কেন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ানো হয়?
ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে, যেখানে স্কুল, হাসপাতাল, বাসাবাড়ি ঘন ঘন, সেখানে প্রশিক্ষণ কেন?
---
❗ ৩. নিহত শিশুদের দায় রাষ্ট্র নেবে না?
স্কুলে থাকা নিরাপদ শিশুদের প্রাণ হারাতে হলো—এই ক্ষতির দায় কার? শুধু "দুঃখ প্রকাশ" দিয়ে কি পরিবারগুলোর শোক শেষ হবে?
---
❗ ৪. পাইলটের পরিবারকে রাষ্ট্র কী দেবে?
একজন তরুণ পাইলট—যিনি নিজের প্রাণ দিয়ে দুর্ঘটনা ঠেকাতে চেষ্টা করেছেন—তার পরিবারের পাশে কে দাঁড়াবে? তিনি কি শুধুই আরেকটি নামহীন “সাহসিকতা” হবেন?
---
✅ আমরা চাই:
1. স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন।
2. সব পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমান বাতিল করা হোক।
3. প্রশিক্ষণের জন্য নির্জন, নিরাপদ অঞ্চল নির্ধারণ।
4. নিহত শিশু ও পাইলটের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও মানসিক সহায়তা।
5. গাফিলতির দায়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা।
এই দেশ আমাদের সবার। আমাদের সন্তান, আমাদের নিরাপত্তা, আমাদের আকাশ—সব কিছুর দায় রাষ্ট্র ও কর্তৃপক্ষের।
এই চিঠি শুধু কাগজের লেখা নয়, এটা অসংখ্য হৃদয়বিদারক পরিবারের আর্তনাদ।
আমরা জবাব চাই