The Liza Stories

The Liza Stories The Liza Stories – A creative space where Liza shares heartwarming stories, delicious recipes, artistic DIYs, and engaging vlogs.
(6)

From everyday moments to inspiring creations, join the journey of storytelling, creativity, and passion. 💖✨ Welcome to The Liza Stories, a creative space where passion meets expression! This platform is dedicated to sharing inspiring stories, delicious recipes, engaging vlogs, artistic creations, and exciting DIY projects. Whether you love cooking, storytelling, crafting, or simply

exploring new ideas, you’ll find something here to spark your imagination. I’m Liza, the heart behind this journey. As a storyteller, artist, and content creator, I believe that every moment holds a story worth sharing. From kitchen adventures and personal reflections to hands-on DIY projects and artistic explorations, The Liza Stories is my way of bringing creativity to life. Join me as we celebrate the joy of storytelling, the magic of homemade creations, and the beauty of self-expression. Let’s embark on this creative adventure together! Stay connected and be part of the journey!

📌 Follow me on social media for updates, inspirations, and behind-the-scenes moments.

তার স্টাইল দেখে আমি অভাক 🫣
13/08/2025

তার স্টাইল দেখে আমি অভাক 🫣

শেষ চিঠিপর্ব ৩: স্মৃতির জানালাচিঠির ছবিটা সারারাত রাফির মাথায় ঘুরেছে। চোখ বুজলেই মনে হচ্ছিল, মায়া যেন ঠিক পাশেই বসে চিঠি...
13/08/2025

শেষ চিঠি

পর্ব ৩: স্মৃতির জানালা
চিঠির ছবিটা সারারাত রাফির মাথায় ঘুরেছে। চোখ বুজলেই মনে হচ্ছিল, মায়া যেন ঠিক পাশেই বসে চিঠির প্রতিটি শব্দ ধীরে ধীরে পড়ে শোনাচ্ছে। ভোরের আলো ফুটে উঠলেও রাফির চোখে ঘুম আসেনি। ফোনের স্ক্রিনে এখনো সেই ইনবক্স খোলা, কিন্তু নতুন কোনো মেসেজ আসেনি।

সকালটা অদ্ভুত নিরবতায় কাটল। অফিসে গিয়েও মন বসছিল না। ফাইলের ওপর চোখ রাখলেও মন চলে যাচ্ছিল বহু বছর আগের সেই দিনগুলিতে—যখন তার আর মায়ার গল্প প্রথম শুরু হয়েছিল।

সেটা ছিল একেবারে সাধারণ এক বিকেল। রাফি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে, আর মায়া দ্বিতীয় বর্ষের। লাইব্রেরিতে বই খুঁজতে গিয়ে প্রথম দেখা। মায়া হাসিমুখে বলেছিল,
—আপনি কি রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প সংকলন খুঁজছেন?
রাফি হকচকিয়ে মাথা নেড়েছিল। মায়া তাক থেকে বই নামিয়ে দিয়ে বলেছিল,
—এখানে আছে, তবে সাবধানে নিন… পাতা খুব পুরনো।

ওই ছোট্ট কথোপকথন থেকেই শুরু হয়েছিল তাদের পরিচয়। লাইব্রেরির সেই শান্ত জায়গা, জানালার বাইরে পাতার নড়াচড়া, আর বইয়ের গন্ধ—সব মিলিয়ে রাফির কাছে যেন একটা নতুন পৃথিবী খুলে গিয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা একসাথে পড়ার অজুহাতে প্রতিদিন দেখা করত।

প্রথম বৃষ্টির দিনটাও রাফির মনে আছে। ক্যাম্পাসের মাঝের বড় গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে মায়া বলেছিল,
—তুমি কি জানো, বৃষ্টিতে দাঁড়ালে মন কেমন হালকা হয়ে যায়?
রাফি মজা করে বলেছিল,
—না, তবে জ্বরে পড়া যায় সেটা জানি।
মায়া হেসে বলেছিল,
—তুমি একদিন বুঝবে, বৃষ্টির ভেতর কিছু উত্তর লুকানো থাকে।

তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে এমন এক জায়গায় পৌঁছেছিল, যেখানে না বলা কথাগুলোও সহজে বোঝা যেত। মায়া তার স্বপ্নের কথা বলত—বিদেশে পড়তে যাবে, নিজের মতো জীবন গড়বে। আর রাফি বলত, সে চাইলে মায়ার জন্য সমুদ্রের ওপার থেকেও অপেক্ষা করতে পারবে।

কিন্তু সব গল্পের মতোই তাদের গল্পেও অদৃশ্য একটা বাঁক এসে পড়েছিল। মায়ার পরিবারের চাপ, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা, আর দূরত্বের ভয়—সব মিলিয়ে একদিন মায়া বলল,
—রাফি, যদি আমি চলে যাই, তুমি কি আমার জন্য অপেক্ষা করবে?
রাফি তখন শুধু বলেছিল,
—যদি চলে যাও, ফিরে আসবে তো?

সেদিন কোনো উত্তর আসেনি। শুধু দূরের আকাশে মেঘ জমছিল।

আজ, এত বছর পরে, সেই সব মুহূর্ত যেন পর্দায় ভেসে উঠছে রাফির চোখের সামনে। অফিসের চেয়ারে বসে থেকেও মনে হচ্ছিল সে যেন আবার সেই লাইব্রেরির কোণে দাঁড়িয়ে আছে, আর মায়া বইয়ের পাতায় আঙুল রেখে হাসছে।

দুপুরে ক্যান্টিনে বসে চা খেতে খেতে রাফি হঠাৎ ফোন বের করল। পুরনো গ্যালারি স্ক্রল করতে করতে কিছু ছবি পেল—যেগুলো আগে কখনো ভালোভাবে খেয়াল করেনি। এক ছবিতে মায়া জানালার পাশে বসে বই পড়ছে, বাইরে বৃষ্টি ঝরছে। আরেকটিতে তারা দু’জন নদীর ধারে, মায়ার হাতের আঙুলে রাফির আঙুল জড়িয়ে আছে।

এই ছবিগুলোই হয়তো এখন প্রমাণ, যে ভালোবাসা একসময় ছিল, তা হারিয়ে গেলেও স্মৃতির জানালা দিয়ে সবসময় দেখা যায়।

হঠাৎ ফোনের স্ক্রিন জ্বলে উঠল। সেই একই অচেনা আইডি থেকে নতুন মেসেজ—
"স্মৃতি কি তোমাকে কাঁদায়, রাফি?"

রাফির বুক ধক করে উঠল। উত্তর দেওয়ার আগে সে কিছুক্ষণ চুপ করে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইল।
তার মনে হচ্ছিল, কেউ যেন ঠিক এই মুহূর্তে তার ভেতরের সব অনুভূতি পড়ে ফেলছে।

আরেকবার বার্তাটি পড়ল, তারপর ধীরে ধীরে টাইপ করল—
"হ্যাঁ… কিন্তু কে তুমি?"

সেন্ড করার পর কোনো উত্তর এল না। শুধু জানালার বাইরে বৃষ্টি আবার শুরু হলো, যেন অতীতের গল্প আবার ডাকছে রাফিকে।

(চলবে…)



#শেষ_ট্রেনের_যাত্রী #রোমাঞ্চকর_গল্প #পর্ব_গল্প #গল্প_সিরিজ #ভয়ংকর_গল্প #মিস্ট্রি #রহস্য #বাংলা_গল্প

🚂 শেষ ট্রেনের যাত্রীপর্ব ২: অপরিচিত সিটমেটরাহাতের চোখ লোকটার দিকে স্থির হয়ে আছে।কালো কোট, ধুলো জমা হ্যাট, মুখটা আধো ছায়া...
13/08/2025

🚂 শেষ ট্রেনের যাত্রী

পর্ব ২: অপরিচিত সিটমেট

রাহাতের চোখ লোকটার দিকে স্থির হয়ে আছে।
কালো কোট, ধুলো জমা হ্যাট, মুখটা আধো ছায়ায় ঢাকা।
শুধু ঠোঁটের কোণে সেই অদ্ভুত হাসি।
তার হাতে ধরা পুরনো টিকিটে ম্লান কালিতে লেখা—"১৯৮৭ – ঢাকা থেকে অজানা"।

রাহাত গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
— "আপনি… এই ট্রেনে কোথা থেকে উঠলেন?"
লোকটা কোনো উত্তর দিল না। শুধু আস্তে আস্তে টিকিটটা পকেটে রাখলো।
তারপর মাথা ঘুরিয়ে জানালার বাইরে তাকালো।

জানালার বাইরে তখনো কুয়াশা ঘন হয়ে আছে, মাঝে মাঝে অদ্ভুত গাছপালা আর পুরনো বৈদ্যুতিক খুঁটি চোখে পড়ছে।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো—খুঁটির তারগুলো কেটে গেছে, আর তাতে বসে আছে কালো পাখির দল, একদম স্থির হয়ে। যেন জীবন্তও নয়।

রাহাত ধীরে ধীরে তার পাশের সিট থেকে এক সিট দূরে সরে গেল।
সে ভাবলো, হয়তো লোকটা কোনো মানসিক রোগী বা ভবঘুরে।
কিন্তু সেই অদ্ভুত তারিখের টিকিট আর তার নিঃশব্দ উপস্থিতি মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় ঢুকিয়ে দিল।

হঠাৎ লোকটা কথা বললো—গলা ভীষণ কর্কশ, যেন বহুদিন পানি খায়নি।
— "তুমি জানো… এই ট্রেন কোথায় যাবে?"
রাহাত ভ্রু কুঁচকে বললো,
— "হ্যাঁ, পরের স্টেশন আমার গন্তব্য।"
লোকটা ধীরে মাথা নেড়ে বললো,
— "না। তুমি ভুল করছো। এই ট্রেন তার যাত্রীকে কখনো ফিরিয়ে দেয় না।"

রাহাত হেসে উড়িয়ে দিতে চাইল, কিন্তু হাসি জমে গেল ঠোঁটে।
লোকটার চোখের কোণ থেকে হালকা লালচে আলো বের হচ্ছে।
সে আবার বললো,
— "তুমি জানো তো, শেষ ট্রেন কাকে নেয়?"
রাহাত শুকনো গলায় জিজ্ঞেস করলো,
— "কাকে?"
লোকটা কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো,
— "যারা জীবনে এমন একটা ভুল করেছে… যা তারা আর কখনো ঠিক করতে পারবে না।"

রাহাতের বুক কেঁপে উঠলো।
তার মনে পড়লো, গত সপ্তাহের সেই রাতটা… কিন্তু সে মাথা ঝাঁকিয়ে স্মৃতি তাড়ানোর চেষ্টা করলো।
এমন সময় ট্রেনের আলো আবার একবার জ্বলে-নিভে গেল।
আলো ফিরে আসতেই দেখা গেল—লোকটা আর নেই!

রাহাত চারদিকে তাকালো, সিট খালি।
কিন্তু মেঝেতে পড়ে আছে সেই পুরনো টিকিট।
সে কাঁপা হাতে টিকিটটা তুললো।
হঠাৎই বগির লাউডস্পিকারে ভেসে এলো ভাঙা ভাঙা শব্দ—
"যাত্রীগণ, দৃষ্টি আকর্ষণ… পরবর্তী স্টেশন – নেই… নেই… নেই…"

শব্দটা ক্রমশ ভৌতিক গলায় পরিণত হয়ে গেল, যেন কেউ যন্ত্রের ভেতর থেকে ফিসফিস করছে।
রাহাতের ঘাম ছুটে গেল।
সে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলো—এখন আর কোনো গ্রাম, শহর, আলো নেই।
শুধু কালচে ধূসর কুয়াশা, আর দূরে কোথাও থেকে ভেসে আসছে শিকল টেনে নেওয়ার আওয়াজ।

ট্রেনের গতি একটু কমলো, কিন্তু থামলো না।
রাহাত সিটে চেপে বসল, আর মনে মনে প্রার্থনা করলো—যেন দ্রুত নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
কিন্তু বুকের গভীরে একটা অদ্ভুত অনুভূতি বলছে—এই যাত্রা, স্বাভাবিক কোনো যাত্রা নয়।

(চলবে…)



#শেষ_ট্রেনের_যাত্রী #রোমাঞ্চকর_গল্প #পর্ব_গল্প #গল্প_সিরিজ #ভয়ংকর_গল্প #মিস্ট্রি #রহস্য #বাংলা_গল্প

আলহামদুলিল্লাহ, জীবনে প্রথম এতো মজার ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেলাম।কারণ, ডিম ভাজি করেছে আমার আদরের বড় ছেলে ইয়ামিন। মায়ের জন্য ...
12/08/2025

আলহামদুলিল্লাহ,
জীবনে প্রথম এতো মজার ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেলাম।কারণ, ডিম ভাজি করেছে আমার আদরের বড় ছেলে ইয়ামিন।
মায়ের জন্য খাবার রেডি করে দিয়ে সে নিজেও খুশি। ধন্যবাদ বাবা SpeakUp Yamin ।আরো নতুন নতুন খাবার খাওয়াবে ইনশাআল্লাহ

You can try this at home 👇
12/08/2025

You can try this at home 👇

শেষ চিঠি পর্ব ১: হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসারাফি আজকাল খুব সাধারণভাবে দিন কাটায়—অফিস, বাসা, সামান্য কিছু গান শোনা, আর রাতে ফোন...
12/08/2025

শেষ চিঠি

পর্ব ১: হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা

রাফি আজকাল খুব সাধারণভাবে দিন কাটায়—অফিস, বাসা, সামান্য কিছু গান শোনা, আর রাতে ফোনের স্ক্রল। বাইরে থেকে দেখলে তাকে ঠিকঠাকই মনে হয়। সহকর্মীরা বলে, “রাফি, তোর তো লাইফ সেট!” কিন্তু ভিতরে একটা ফাঁকা শব্দ বাজতেই থাকে। শহরের ট্রাফিকের মতোই সেই শব্দ তাকে ঘিরে রাখে—থেমে থেমে, আবার জোরে।

মায়ার কথা সে এখন আর কাউকে বলে না। বললেই মানুষ নানাভাবে বোঝে—কেউ ভাবে, পুরনো প্রেমে আটকে থাকা বোকামি; কেউ আবার ভাব করে গভীর সহানুভূতির। কিন্তু সহানুভূতি তো ঔষধ নয়, যা খেয়ে ব্যথা সেরে যায়। ব্যথা শুধু একটু নরম হয়, তারপর আবার জেগে ওঠে।

সেদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে বৃষ্টি শুরু হলো। রাফি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে রিকশার টুপটাপ শব্দ দেখছিল। এমন বৃষ্টিতে মায়া চুপ করে থাকত না। বরং ছাদে টেনে নিয়ে গিয়ে বলত, “ভেজো না, ভেতরে ঠাণ্ডা লাগবে”—কথায় যেন আদেশ, কিন্তু চোখে মোটে আদেশ নেই, সেখানেই ছিল স্নেহ। মায়া হেসে বলত, “তোমার ছাতা তো খুব ছোট, আমরা দু’জন কীভাবে ধরব?” তারপর নিজেই ছাতাটা নামিয়ে দিয়ে দু’জন একসাথে দৌড় দিত। সেই দৌড়ের স্মৃতি এখন রাফির বুকের ভেতর ধীর হাঁটা হয়ে বসে আছে।

বালিশের পাশে আজও একটা ছোট্ট কাগজ রাখে রাফি—পুরনো সিনেমার টিকিট। তারিখটা ঝাপসা হয়ে গেছে, কিন্তু তারা যে সিনেমাটা শেষ পর্যন্ত দেখেনি, সেটা খুব পরিষ্কার মনে আছে। মাঝপথে হল থেকে বেরিয়ে এসে দু’জনে নীরব হয়েছে—কেন যেন আজও ঠিক করে বলতে পারে না। হয়তো তখনই বুঝেছিল, নীরবতারও একটা ভাষা আছে, আর সেই ভাষা শিখতে গেলে মানুষকে খুব কাছে যেতে হয়।

মায়ার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল এক বিকেলে, হালকা বাতাস, শহর যেন একটু থমকে গিয়েছিল। রাফি তখন প্রথম চাকরি পেয়েছে, আর মায়ার পরিবার চাইছিল দূরে গিয়ে পড়তে। তারা বুঝে উঠতে পারেনি কোনটা ঠিক—প্রতিশ্রুতি দেবার মতো বয়স কি হয়েছিল? বয়স কম ছিল, কিন্তু অনুভবগুলো ছিল পাকা। তবু সিদ্ধান্তটা এসেছিল হুট করে। মায়া বলেছিল, “যদি না পারি, আমাকে ঘৃণা কোরো না।” রাফি জবাব দিতে পারেনি—কথা আটকায়নি, শুধু সঠিক শব্দ খুঁজে পায়নি। সেই না-পাওয়া শব্দই আজও তার সাথে থাকে।

পরে অনেক চেষ্টা হয়েছে। ফোনকলের ফাঁকে ফাঁকে উভয়ের সময় মিলেনি, ডেলিভারি বয়ের মতো বার্তা পৌঁছুতে পৌঁছুতে ভুল ঠিকানায় গেছে। একদিন খবর এল—মায়ার পরিবার শহর ছেড়ে দিয়েছে। নতুন নম্বর, নতুন ঠিকানা, নতুন জীবন। রাফি ভাবল, “যা চলে গেছে, তাকে আর ফিরিয়ে আনা যায় না।” কিন্তু মানুষ কি এভাবে সত্যিই এগিয়ে যায়? সে কাজ করে, হাসে, ছবি তোলে, স্ট্যাটাস দেয়—তবু রাত নামলে একটা ছোট্ট শূন্যতা এসে কানে বলে, “আমি আছি।”

আজ বৃষ্টির রাতে সেই শূন্যতা আবার একটু বেশি কথা বলছিল। রাফি কফির মগটা হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়াল। ভেজা বাতাসে কফির গন্ধ অদ্ভুতভাবে ভারী হয়ে ওঠে। নিচে এক বাচ্চা ছেলে তার বাবার হাত ধরে পিচ্ছিল রাস্তায় হাঁটছে—ছেলের হাসি, বাবার সতর্কতা—দুটো মিলে একটা নিরাপদ পৃথিবীর ছবি। রাফির মনে হলো, নিরাপত্তা আসলে স্মৃতি দিয়ে তৈরি হয়, আর স্মৃতির দেয়ালে একটু একটু করে শ্যাওলা পড়ে।

রাত বেড়ে গেলে সে বিছানায় শুয়ে ফোনে পুরনো ছবি দেখতে লাগল। এখানে মায়া লাল শাড়িতে, এখানে তারা নদীর ধারে, আর এখানে দু’জন দুই দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে আছে; ছবিতে হাসি নেই, তবু সেই ফ্রেমের ভেতরে যে তাদের দু’জনের নিঃশ্বাস ছিল, সেটা রাফির বুকের ওপর এসে বসে। সে ফোনটা নামিয়ে রাখে। চোখ বন্ধ করলে বৃষ্টির শব্দ নয়, শুনতে পায় মায়ার ফিসফাস—“আচ্ছা রাফি, যদি আবার দেখা হয়, তুমি কি রাগ করবে?”

সে উত্তর দেয় না। কারও প্রশ্নের জবাব নিজের কাছে দিলে তো প্রশ্নটা বদলে যায়। অনেকক্ষণ পরে, প্রায় রাত বারোটা বাজতে চলেছে, তখন ফোনটা আবার হাতে নেয়। নোটিফিকেশন নেই—শুধু নিস্তব্ধ নীল আলো। রাফি একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলতে যায়, এমন সময় মেসেঞ্জারের ছোট্ট টং শব্দ।

অচেনা আইডি থেকে একটাই লাইন—“এটাই আমার শেষ চিঠি…”

রাফি থমকে যায়। বুকের ভেতর যেন কেউ আলতো করে দরজায় কড়া নেড়ে বলল, “খুলবে?”
সে স্ক্রিনে আঙুল রাখে। বৃষ্টির শব্দ থেমে নেই, কিন্তু রাফির পৃথিবীতে ঠিক এখনই কিছু একটা শুরু হলো।

(চলবে…)

#পর্ব_গল্প #গল্প_সিরিজ #ভয়ংকর_গল্প #মিস্ট্রি #রহস্য #বাংলা_গল্প

মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো কিছু ছবি 🥰
12/08/2025

মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো কিছু ছবি 🥰

🚂 শেষ ট্রেনের যাত্রীপর্ব ১: ফাঁকা বগিরাত ১১:৪৫। শহরের শেষ ট্রেনটা ধীরগতিতে প্ল্যাটফর্মে ঢুকলো। শীতের কুয়াশা গা ঘেঁষে ঘুর...
11/08/2025

🚂 শেষ ট্রেনের যাত্রী

পর্ব ১: ফাঁকা বগি

রাত ১১:৪৫। শহরের শেষ ট্রেনটা ধীরগতিতে প্ল্যাটফর্মে ঢুকলো। শীতের কুয়াশা গা ঘেঁষে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেন ট্রেনের ধোঁয়ার সাথে মিশে গেছে।
রাহাত দ্রুত পা চালিয়ে ট্রেনে উঠে পড়লো। সারাদিনের ক্লান্তি আর ঠান্ডা হাওয়া মিলে শরীরটাকে কেমন জমাট বেঁধে দিয়েছে। সে ভাবলো, “একবার সিটে বসতে পারলেই আরাম হবে।”

কিন্তু ভিতরে ঢুকেই সে থমকে গেল।
পুরো বগি ফাঁকা।
না, শুধু ফাঁকা না—এমন এক শূন্যতা, যেন এখানে বহুদিন কেউ বসেইনি।
বেঞ্চির ধুলো, জানালার কাচে জমে থাকা কুয়াশা, আর সেই সাথে এক অদ্ভুত নীরবতা।
কোনো কথাবার্তার শব্দ নেই, এমনকি চাকার সাথে লোহার ঘর্ষণের সেই চেনা আওয়াজটাও যেন অনেক দূরে।

রাহাত জানালার পাশে গিয়ে বসল। ব্যাগটা পাশে রেখে মোবাইল বের করলো, কিন্তু কোনো নেটওয়ার্ক নেই।
সে একটু বিরক্ত হয়ে ভাবলো, “আরে, শহরের মাঝখানে নেটওয়ার্ক থাকবে না মানে?”
তখনই চোখে পড়লো—ট্রেনের ভিতরের আলো খুবই ম্লান, যেন আলোটা আসছে বহু বছরের পুরনো বাল্ব থেকে।

পাশের কোচে যাওয়ার দরজা আধখোলা, সেখান থেকে হঠাৎ হালকা ধাতব আওয়াজ এল।
রাহাত কাঁপা গলায় ডাক দিল,
— “হ্যালো? কেউ আছেন?”
কোনো উত্তর নেই।
আওয়াজটা মিলিয়ে গেল, কিন্তু তার পরেই আবার শোনা গেল—মেঝেতে ভারি কিছু টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো শব্দ।

একটু ভয় পেয়ে সে উঠে দাঁড়ালো, কিন্তু কৌতূহলও তাকে ধরে রাখলো। সে আস্তে আস্তে দরজার দিকে এগোল।
দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলো, পুরো পরের বগিটাও ফাঁকা।
শুধু শেষ প্রান্তে এক লম্বা ছায়া, যা ধীরে ধীরে নড়ছে।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো—ছায়াটা নড়ছে, অথচ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছে না!

তার বুকের ভেতর ধুকপুকানি বেড়ে গেল। সে দ্রুত নিজের সিটে ফিরে এলো।
কিছুক্ষণ জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করলো, যেন মনটা অন্যদিকে যায়। কিন্তু বাইরেও কেমন অদ্ভুত দৃশ্য—
রাস্তাঘাট, আলো, ঘরবাড়ি কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু ঘন কুয়াশা, আর মাঝে মাঝে অচেনা গাছের ছায়া।

এমন সময় ট্রেনের মেঝে কেঁপে উঠলো।
রাহাত অনুভব করলো, কেউ তার পাশের সিটে বসেছে।
হঠাৎ গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেল—কারণ ঠিক এক সেকেন্ড আগেও সেই সিট একদম ফাঁকা ছিল!
সে ধীরে ধীরে মাথা ঘুরিয়ে তাকালো…

এবং দেখলো—
একজন মানুষ বসে আছে, কালো লম্বা কোট, মাথায় পুরনো ধুলোমাখা হ্যাট।
তার মুখটা ছায়ায় ঢাকা, চোখ দেখা যাচ্ছে না।
শুধু ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত এক হাসি।
আর তার হাতে ধরা একটি পুরনো টিকিট—যার তারিখ ১৯৮৭!

রাহাত শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গেল। সে কিছু বলতে চাইলো, কিন্তু গলা শুকিয়ে গেছে।
ঠিক তখনই লোকটা ধীরে ধীরে মাথা তুলে বললো,
— “শেষ ট্রেনে স্বাগতম।”

ট্রেনের আলো হঠাৎ একবার জ্বলে নিভে গেল।
পরের মুহূর্তে, পুরো বগিতে আবার নীরবতা নেমে এলো।
শুধু চাকার শব্দ—টক… টক… টক… যেন প্রতিটা আওয়াজের সাথে রাহাতের বুক ধপধপ করছে।

(চলবে…)


#শেষ_ট্রেনের_যাত্রী #রোমাঞ্চকর_গল্প #পর্ব_গল্প #গল্প_সিরিজ #ভয়ংকর_গল্প #মিস্ট্রি #রহস্য #বাংলা_গল্প

প্রতিটা পরিবারেই একজন করে থাকে ☺️আপনার পরিবারের জনকে মেনশন করতে পারেন 🤭
10/08/2025

প্রতিটা পরিবারেই একজন করে থাকে ☺️
আপনার পরিবারের জনকে মেনশন করতে পারেন 🤭

Alhamdulillah,  Yamin Ahamed Sowad selected for- Abacus speedmaster season 3 competition,  round 1...Congratulations bab...
10/08/2025

Alhamdulillah, Yamin Ahamed Sowad selected for- Abacus speedmaster season 3 competition, round 1...
Congratulations baba

My  scientists 🧑‍🔬
10/08/2025

My scientists 🧑‍🔬

Good night 😴
09/08/2025

Good night 😴

Address

Mirpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Liza Stories posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share