সবুজ পৃৃথিবী

সবুজ পৃৃথিবী সবুজকে ভালোবাসি তাই সবুজের যতো সৌন্দর্য
গাছ পরিচিতি সবখানে ছড়িয়ে দিতে চাই

 #সেপ্টেম্বর_মাসে_বাগানবিলাসের_পরিচর্যা:সামনেই আসছে শীতের মরসুম, বাগানবিলাসের মরসুম, আর এই মরসুমে বাগানবিলাসে গাছভরে ফুল...
03/09/2025

#সেপ্টেম্বর_মাসে_বাগানবিলাসের_পরিচর্যা:

সামনেই আসছে শীতের মরসুম, বাগানবিলাসের মরসুম, আর এই মরসুমে বাগানবিলাসে গাছভরে ফুল পেতে এই সেপ্টেম্বর মাসের পরিচর্যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ :

🔸এই সময়ে গাছের হালকা প্রুনিং(soft prooning) করবেন।এতে গাছের শাখা-প্রশাখা আরো বেশি হবে, যতো বেশি শাখা সৃষ্টি হবে, শীতের সময় তত বেশি পরিমাণে ফুল হবে।

🔸যে গাছ গুলো ২ বছর বা তার বেশি সময় ধরে টবে আছে সেগুলো রিপট করবেন।
বাউন্ড হয়ে যাওয়া রুট গুলো ছাড়িয়ে ফেলতে হবে, সাইডের মাটি ১-২ ইঞ্চি করে ছাড়িয়ে ফেলতে হবে।
ছাদবাগানের বাগানবিলাস রিপট করার জন্য ৮ ইঞ্চি বা ১০ ইঞ্চি টব আদর্শ।
#রিপটিং_মিডিয়া:
20% বালি + 40% ভার্মিকম্পোসড + 40% সাধারণ মাটি (দোঁআশ মাটি হলে ভালো)।
#প্রতিটবের মাটির সাথে #দু-চামচ করে #শিংকুচি, #নিমখোল, #হাড়গুড়ো ও সিউইড মিশিয়ে নেবেন। (SSP অপশনাল, আমি আমার গাছ গুলোই দি না)

এই মিডিয়ায় হল আসল, গাছের ভালো গ্রোথ ও বেশি শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি করে থাকে। তাই ভালো মানের vermicomposed/পুরানো গোবর সার ব্যবহার করবেন।

🔸রিপট করার পর fungicide ও humic অ্যাসিড মেশানো জল দেবেন। টবটি কে ৭ দিন অল্প ছায়া যুক্ত জায়গায় বা সকালের ২-৩ ঘন্টা রোদ পায় সেরকম জায়গায় রাখবেন।

🔸গাছের শেপ ঠিক রাখার জন্য এলোমেলো ডাল এই সময়ে কেটে দিতে হবে, সেক্ষেত্রে দু-একটি ডাল হার্ড প্রুনও করতে হতে পারে।
শুকনো ডাল, অবাঞ্ছিত ছোটো ডাল এই সময়ে কেটে দিয়ে গাছকে পরিষ্কার করে দিতে হবে।

🔸যে গাছ গুলো রিপট করবেন না বা রিপট করার প্রয়োজন নেই, সেগুলোর টবের ওপরের মাটি ১-২ ইঞ্চি খুঁড়ে তুলে নিয়ে তার মধ্যে 50% #ভার্মিকম্পোসড মেশানো বাগানের মাটি ও #মিক্সড জৈব সার দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে।

🔸সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে npk 10:26:26 /
DAP(Di Amino phosphate) প্রতি টবে দেবেন।
(টব অনুযায়ী
১০ ইঞ্চি টবের জন্য ২০-২৫ দানা করে npk 10 26 26 ও DAP
৮ ইঞ্চি টবের জন্য ১৫-২০ দানা করে npk 10 26 26 ও DAP )

২৪-২৫ তারিখ দিকে এপসম সল্ট চা চামচের হাফ চামচ করে প্রতি টবের মাটিতে দিয়ে জল দেবেন।

৩০ তারিখ দিকে আবার npk 10:26:26 / DAP দেবেন।
আগে(১৫-২০ তারিখ) যদি npk 10:26:26 দিয়ে থাকেন তাহলে এখন DAP দেবেন, আর যদি আগে DAP দিয়ে থাকেন তো এখন npk 10:26:26 দেবেন।
গাছে ফুল না আসা পর্যন্ত এগুলো alternate করে দিয়ে যেতে হবে। ফুল চলে এলে এগুলো দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।
পুরো শীতকাল জুড়ে আর কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করবেন না, প্রতিবার ফুল কেটে দেওয়ার পর টবের মাটি খুঁড়ে দিয়ে জৈব মিক্সড সার দেবেন।

বাজারে অনেক রাসায়নিক সার পাওয়া যায় কিন্তু একটা ভালো গাছ করতে জাস্ট এগুলোই লাগে, সাথে ভালো মাটি, ভালো গোবর সার /vermicomposed.

🔸গাছকে ভালো করে observation ও সঠিক প্রুনিং সব সময় গাছের সৌন্দর্য্যে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে, সেটা সম্পূর্ণ একজন বাগানের পরিচর্যা কারী মালিক /মালীর ক্রেডিট।

সবার বাগান বাগানবিলাসের ফুলে রঙিন হয়ে উঠুক।

ধন্যবাদ!
✍️প্রীতিরঞ্জন

একজন মায়ের উচিত তাঁর ছেলেকে ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখানো –যা তারা বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগেই জানা উচিত।এখানে এমন ১৩ টি শিক্ষ...
17/08/2025

একজন মায়ের উচিত তাঁর ছেলেকে ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখানো –

যা তারা বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগেই জানা উচিত।

এখানে এমন ১৩ টি শিক্ষা দেওয়া হলো:

১. রান্নাঘর শুধুই মেয়েদের জন্য নয়। ছেলেদেরও চুলা ব্যবহার শিখতে হবে।

২. মেয়েদের সম্মান করতে শেখো। তারা তোমার সমান। তাদের কথা মন দিয়ে শোনো, বোঝার চেষ্টা করো।

৩. পরিচ্ছন্নতা একজন ভদ্রলোকের পরিচয়। নিয়মিত গোসল করো, নখ-চুল পরিষ্কার রাখো, আর নিজেকে সবসময় পরিপাটি রাখার চেষ্টা করো।

৪. অন্যকে অ'স্বস্তিতে ফেলার মতো মজার কিছু কখনোই সত্যিকারের মজা নয়। এটা এড়িয়ে চলো।

৫. কাউকে ফোনে সম্পর্ক ছি'ন্ন করার কথা বলা মোটেও ভদ্রতা নয়।

৬. বেসিক টুলস বা ঘর মেরামতির কাজ শেখো। এগুলো খুব দরকারি।

৭. যখন কোনো মেয়েকে জিজ্ঞেস করো, “কিছু হয়েছে?” আর সে বলে, “না”—তখন বুঝে নিও কিছু একটা হয়েছে।

৮. একজন গৃহিণীর কাজ তোমার কাজের মতোই ক'ষ্টকর ও সম্মানজনক।

৯. টেবিলের আদব-কায়দা শেখো। প্রতিদিন কাজে লাগবে।

১০. বন্ধুরা অনেক সময় খারাপ পথে টানবে—না বলা শিখো। সেটাই তোমাকে শক্তিশালী করবে।

১১. কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য রাগ বা জে'দ নয়—সব সময় শান্ত থেকে কথা বলো।

১২. নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় শেখো। সতর্ক থাকা জীবনের অংশ।

১৩. কাউকে অ'সম্মান করে কোনো শব্দ ব্যবহার করো না। এটি তোমার জ্ঞানের অ'ভাব দেখায়।

একটা ছেলেকে মানুষ করতে শুধু স্কুল-কলেজ যথেষ্ট নয়।

একজন মায়ের শেখানো মূল্যবোধ ও সম্মানবোধই তাকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রকৃত মানুষ করতে পারে।

‼️সতর্ক থাকুন! 🍁✳️এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)১. ...
08/08/2025

‼️সতর্ক থাকুন! 🍁
✳️এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে
(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)

১. ঠেলাগাড়ি মানুষ (Wheelbarrow People)
এরা সেই মানুষ, যারা নিজের জীবনের সমস্যাগুলো নিজেরা সামলাতে চায় না। আপনি যতই সাহায্য করুন না কেন, সব ভারই যেন আপনাকেই বইতে হবে। তারা চায়—আপনি তাদের খাওয়ান, চলার পথ দেখান, আবার পেছন থেকে ঠেলেও নিয়ে যান।
উদাহরণ: ধরো তোমার এক বন্ধু আছে, প্রতিবার প্রজেক্ট শুরু হলে বলে, “তুই তো ভালো জানিস, তুই কর, আমি ফাইনাল প্রেজেন্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকব।” সে ফল পেতে চায়, কিন্তু পরিশ্রম করতে চায় না।

শিক্ষা: যেসব সম্পর্ক শুধু একতরফা দায়িত্বের, সেগুলো সময়মতো চিনে সরে দাঁড়াও।

২. মশা মানুষ (Mosquito People)
এই মানুষরা আসে শুধু তোমার ভালোটা শুষে নিতে। যখন তোমার টাকা, সময়, যোগাযোগ, জনপ্রিয়তা বা সাফল্য দরকার হয়, তখন ওদের দেখা যায়। পরে সুযোগ পেলেই কটূক্তি করে, গুজব ছড়ায়।
উদাহরণ: ভাবো, কেউ তোমার কাছ থেকে রেফারেন্স চায় চাকরির জন্য। তুমি সাহায্য করো। পরে তাকে নিজের প্রয়োজনে ফোন দিলে বলে, “আসলে ব্যস্ত ছিলাম।” অথচ অন্যকে বলছে, “ও তো শুধু নিজ স্বার্থ দেখে!”

শিক্ষা: যাদের উপস্থিতি কেবল নিজের লাভের সময়েই দেখা যায়, তাদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. বাঁধাই কাঠামো মানুষ (Scaffolding People)
তারা এক সময় সাহায্য করেছে, কিন্তু এখন চায় তুমি সব সিদ্ধান্তে তাদের অনুমোদন চাও। তারা তোমার সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—মনে করে, তুমি চিরকাল তাদের ঋণী।
উদাহরণ: যেমন কোনো আত্মীয় তোমার পড়ালেখার খরচে একবার সাহায্য করেছিল। এখন যখন তুমি স্বাধীন হতে চাও, তখন বলে, “আমার মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।”

শিক্ষা: কৃতজ্ঞ হও, কিন্তু কারও ছায়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলো না।

৪. কুমির মানুষ (Crocodile People)
এই মানুষরা মিষ্টি ব্যবহার করে তোমার মন জয় করে, তারপর গোপন তথ্য জেনে রাখে। সুযোগ পেলেই সেই তথ্য দিয়ে তোমার ক্ষতি করে।
উদাহরণ: ধরো, তুমি কাউকে বলেছিলে—তোমার পরিবারে কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। পরে একদিন ওর সঙ্গে ঝামেলা হলে, সে এই কথাই অন্যদের সামনে এনে তোমাকে হেয় করে।

শিক্ষা: কারও মুখের মাধুর্যে বিভ্রান্ত হয়ো না, আগে যাচাই করো—সে মানুষ না মুখোশধারী।

৫. গিরগিটি মানুষ (Chameleon People)
এরা বাইরে থেকে বন্ধুর মতো—তোমার খোঁজও রাখে, পাশে হাঁটেও। কিন্তু আসলে তোমার প্রতিটি সাফল্য ওদের পুড়িয়ে দেয়। তোমার অর্জনে ওদের মুখ বন্ধ, কিন্তু তোমার সামান্য ভুল হলে ওদের মুখে ফেটে পড়ে উপহাস।
উদাহরণ: তুমি একটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেলে—ও মুখে বলে “ভালো হয়েছে”, কিন্তু ফেসবুকে তোমার ভুল বানান তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়।

শিক্ষা: যে মানুষ তোমার আনন্দে মুখ গোমড়া করে, তাকে বন্ধু ভাবলে চলবে না।

৬. না-বলা মানুষ (Naysayer People)
তারা কখনোই তোমার স্বপ্নে বিশ্বাস রাখবে না। বরং তারা এতটাই নেতিবাচক যে, তুমি কিছু শুরু করার আগেই মনোবল হারিয়ে ফেলবে।
উদাহরণ: তুমি যদি বলো, “আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাই”, ও বলবে, “ওসব কেউ দেখে না”, “তুই পারবি না”, “সার্চ রেজাল্টে আসবে না”—অথচ তারা নিজে কোনো চেষ্টা করে না।

শিক্ষা: নিজের স্বপ্নকে বাঁচাতে চাইলে, স্বপ্নহীনদের থেকে নিজেকে বাঁচাও।

৭. আবর্জনা ঠেলা মানুষ (Garbage Pusher People)
তারা সবসময় নেতিবাচক খবর ছড়ায়—কখনো কিছু ভালো বলতে জানে না। তোমার আশেপাশের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে হতাশা আর ভয়ের গল্প ছড়িয়ে।
উদাহরণ: তুমি যদি একটা ভালো উদ্যোগের পরিকল্পনা করো, সে বলবে “বাজার খারাপ”, “সব জিনিস লস”, “এই দেশে কিছু হয় না”—এমন কথা শুনিয়ে চেষ্টার আগেই সাহস কেড়ে নেবে।

শিক্ষা: যাদের চিন্তায় কেবল অন্ধকার, তারা তোমার ভেতরের আলো নিভিয়ে দিতে পারে—তাদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

শেষ কথা:
জীবনের প্রতিটি ধাপে কার সঙ্গে পথ চলছো—এটাই ঠিক করে তুমি কত দূর যেতে পারবে। সম্পর্ক বেছে নাও মাথা ঠাণ্ডা রেখে, হৃদয় উষ্ণ রেখে। সবকিছুতে ভালোবাসা দিও, কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দিও না এমন কাউকে, যে তোমার ডানাকে কেটে নিজের ছায়া বাড়াতে চায়।

তাদের চিনে রাখো—
আমার তালিকাতেও তারা ছিল,
আজ তোমাকেও বললাম।

02/07/2025

আপনি যদি একজন ভয়েস আর্টিস্ট হন, তাহলে বাংলাদেশে ঘরে বসেই বৈধভাবে আয় করার অনেক ভালো সুযোগ রয়েছে। নিচে কিছু জনপ্রিয় ও লাভজনক উপায় দেওয়া হলো....

✅ ভয়েসওভার সেবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে

🛠 প্ল্যাটফর্ম:

Fiverr : আপনার ভয়েস স্যাম্পল দিয়ে গিগ তৈরি করুন।

Upwork: ভয়েসওভার, ন্যারেশন, audiobook, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির প্রজেক্টে বিড করুন।
Voquent / Voices dot com / Voice123: শুধুই ভয়েস ট্যালেন্টদের জন্য প্ল্যাটফর্ম।

✅ ইউটিউব ও ভিডিও নির্মাতাদের ভয়েসওভার দিন

অনেক ইউটিউবার, রিল/শর্ট ভিডিও নির্মাতা ভয়েস আর্টিস্ট খোঁজেন:

* Facebook গ্রুপে পোস্ট দিন (যেমন: “Bangladeshi Content Creator Hub”)
* নিজে থেকে voice sample দিয়ে ইনবক্স করুন
* reels, গল্প বা নাটক ভয়েস দিতে পারেন

✅ অডিওবুক / গল্প পাঠ / কবিতা রেকর্ডিং

* বাংলা বা ইংরেজি ছোট গল্প/উপন্যাস পড়া রেকর্ড করে বিক্রি করতে পারেন
* YouTube Channel, Spotify, or Podcas খুলে প্রচার করতে পারেন
* অনেকে Voice Acting শুনে Sponsorship দেয় বা Buy করে

✅ রেডিও বা অনলাইন মিডিয়ার জন্য কাজ

* Community FM Radio বা Online Radio (Radio Dhoni, Colours FM, etc)
* News Reading, Voice Tagline, RJ voice, Promo voice

✅বিজ্ঞাপন (Commercial Voiceover)

* Local দোকান বা পেইজের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করুন
* Fiverr বা Local Facebook Group থেকে client পান

✅ ভয়েস দিয়ে page/YouTube Channel চালানো

* নিজেই গল্প বলার চ্যানেল বানান
* ভয়েসে ইসলামিক গল্প, হেলথ টিপস, ইতিহাস, রান্না ইত্যাদি তৈরি করুন
* AdSense / Sponsorship / Affiliate Marketing করে আয়

✅ শিক্ষামূলক ভয়েস ক্লাস বা কোর্স

* Spoken English, Quran Recitation, Motivation, Bangla Learning ইত্যাদি ভয়েস কোর্স বানিয়ে বিক্রি করুন।
* Udemy / page / YouTube / Google Drive Sell করা যায়

✅ ভয়েস কনটেন্ট ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে বিক্রি

* নিজস্ব ভয়েস প্যাক / ভয়েস অ্যাক্টিং ক্লিপ বানিয়ে Gumroad, Etsy বা Website এ বিক্রি

🎧 প্রয়োজনীয় টুলস:

* একটি ভালো microphone (e.g. Boya M1, Fifine, Maono)
* Noise-free environment
* Audio Editing Software (Audacity, Adobe Audition


এই মেয়েটাকে চিনে রাখুন। মেয়েটার নাম মনজিলা শাহরিয়ার এলোরা। পড়াশোনা করে কুয়েটে। তাঁকে নিয়ে কিছু বলার আগে তাঁর লাইফের গল্প...
01/07/2025

এই মেয়েটাকে চিনে রাখুন। মেয়েটার নাম মনজিলা শাহরিয়ার এলোরা। পড়াশোনা করে কুয়েটে। তাঁকে নিয়ে কিছু বলার আগে তাঁর লাইফের গল্পটা তাঁর নিজের ভাষায় পড়া যাক-

"আমার ফ্যামিলি অনেক কনজারভেটিভ। আমার জন্মের আগে আমার একটা ভাই হয়েছিল,হওয়ার কয়েকমাসের মাথায় সে মা&%রা যায়।এরপর আমি যখন গর্ভে এলাম,আমার আব্বু ধরেই নিয়েছিল আমি ছেলে হব।যখন আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করেই বুঝতে পারল তার মেয়ে হবে,তখন থেকেই সে আমাকে মেনে নিতে পারে নি।আপু,আমার মায়ের নাকি অনেক প্রসব ব্যথা উঠত,আব্বু কখনো আম্মুকে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যায় নি।আমি আস্তে আস্তে বড় হলাম,আব্বু আমার সাথে কখনো ভাল করে কথাও বলত না,কখনোই না।

আমার ছোট একটা ভাই হল,দেখতাম তার প্রয়োজন ছাড়াও তার সব সাধ আহ্লাদ আব্বু এমনিতেই পূরণ করে দিত।অথচ আমার একটা ফ্রক দরকার,কিংবা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু দরকার,সেটাও কোনদিন দেয় নি আমাকে।আপু,আমার বাসা নীলফামারীর ভবানীগঞ্জ।আমার পরিবার মধ্যবিত্তই বলা যায়।আমি যখন ক্লাস ফাইভে উঠলাম,আমার মনে হল একটা প্রাইভেট বোধ হয় পড়া দরকার।আব্বু ক্ষেতে কাজ করছিল,উনি কৃষি কাজ করেন।ওই সময় আমি আব্বুর কাছে প্রাইভেটের জন্য টাকা চাইতে গেলাম।জানেন আপু,আব্বু তার হাতের কোদালটা নিয়ে আমাকে মা&%রতে আসল!..আমি ছোট থেকেই অনেক জেদি ছিলাম।আমার ঠিক ওই মুহূর্তে মনে হল, আমি কোন একদিন আমার বাবার মেয়ে হব,জীবনে কিছু একটা করব যাতে বাবা গর্ব করতে পারে তার মেয়েকে নিয়ে।

ফাইভে পরীক্ষা দেয়ার পর বাসা থেকে বলল আমাদের গ্রামেরই একটা হাইস্কুলে ভর্তি করাবে...কোনভাবে পড়তে থাকুক যতদিন পড়ানো যায়,তারপর তো বিয়েই,মেয়েদের আবার এত পড়ে কি হবে!কিন্তু আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমি নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হব,শুনতাম স্কুলটা নাকি অনেক ভাল।স্কুল বাসা থেকে ১৪কি.মি দূরে।কোনভাবেই দিবে না ওখানে পড়তে।আমার জেদ চেপেছিল খুব।কিন্তু ওই বয়সে আমি ফরম কেনার টাকা কই পাবো!...এক আংকেল কে বলে ফরম ফিলাম করালাম।বাসায় না জানাতে অনুরোধ করলাম খুব।তারপর একদিন বাইরে যাওয়ার কথা বলে যে কাপড়ে ছিলাম,সেভাবেই বাসে উঠে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেলাম।বাসের ভাড়াটাও দিতে পারি নি।চান্স হল।ভর্তি করাবে না।মামাকে ফোন দিয়ে অনেক কান্নাকাটি করার পর মামা ভর্তির টাকা দিলেন।আপু জানেন,যেদিন আমি এইটে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলাম,সেদিন থেকে প্রথম আমার আব্বু আমার সাথে একটু করে কথা বলতে শুরু করলেন।আমার খরচ দেয়া শুরু করলেন একটু আধটু।কি যে ভাল লাগত আপু!...

যখন ক্লাস ১০ এ উঠলাম,কি জানি হল আমার।আমার অজান্তেই সেইম ক্লাসেরই একটা ছেলের সাথে যোগাযোগ বেড়ে যাচ্ছিল,মনে হচ্ছিল লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছি।আপু,গ্রাম তো,কিছু হওয়ার আগেই অনেক কিছু ছড়িয়ে পড়ল আশেপাশে। আব্বু অনেক চিল্লাপাল্লা করল।আমাকে বিয়ে দিয়েই দিবেন।আমি অনেক কাঁদলাম।আমার সাথে আবার আগের মত ব্যবহার শুরু করলেন।কোনভাবে আমি এসএসসি দিলাম।গোল্ডেন আসল।কিন্তু কলেজে ভর্তি নিয়ে সেই আগের অবস্থা।মেয়েকে আর পড়াবে না।আমি আমার জমানো বৃত্তির টাকা দিয়ে ভর্তি হলাম। বাসায় তো ঝামেলা হতই।আমি সব পরীক্ষায়ই একা একা যেতাম।এইচএসসি জীববিজ্ঞান পরীক্ষার আগে সেই ছেলেটাকে আমি একটা প্রশ্নের উত্তর বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম।আমাদের মধ্যে কখনোই কিছু ছিল না।বাবা কোত্থেকে আমাকে দেখতে পেলেন।এরপর সে আমাকে আর পরীক্ষা দিতেই দিবে না।আমি অনেক কান্নাকাটি করলাম।কাজ হল না।এরপর এক বড় সিদ্ধান্ত নিলাম।এক আন্টির বাসায় পালিয়ে উঠলাম।অনেক অনুরোধ করলাম বাসায় না জানাতে।সবাই ধরে নিয়েছিল কোন ছেলের সাথে পালিয়ে গেছি।জানেন আপু,আমি বোরখা পড়ে বাকি পরীক্ষাগুলো দিয়েছি।সব শেষ হলে বাসায় ফিরে যাই,অন্যের বাড়িতে আর কয়দিন!তারপর সবার আচরণ যেমন হওয়ার তেমনই হয়েছিল।

যাইহোক,আমার মনে হল,ভর্তি কোচিং করাটা খুব জরুরি, আমি তো হারতে চাই না।আব্বু বলল পড়লে জাতীয় তে পড়বে।পরের বাড়িতেই তো যাবে!...যখন দেখছিলাম কোনভাবেই কিচ্ছু হবে না,তখন জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলাম।ঢাকার বর্ণ কোচিং থেকে কয়েকজন ভাইয়া এসে একটা পরীক্ষা নিয়েছিল,সেখানে আমি ফ্রি কোচিং এর স্কলারশিপ পাই।আমার হাতে পাঁচশ টাকা আর মায়ের ফোনটা নিয়ে আমি এক কাপড়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই।ঢাকা কই,কিভাবে যায় কিচ্ছু জানি না।শুধু জানি আমাকে কোনভাবে ঢাকায় মোহাম্মদপুর বর্ণ কোচিং এ যেতে হবে।অনেক কষ্টে যখন ঢাকা পৌঁছালাম, আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না।রাস্তার পাশে বসে অনেকক্ষণ একা একা উচিত চিৎকার করে কাঁদলাম।নাম্বার ছিল একটা ভাইয়ার।উনি ফোনে যাওয়ার রাস্তা বলে দিলেন।গিয়ে জানলাম,ওখানে থাকা খাওয়ার খরচ দেয়া হয় না।আমার সব কথা শুনে উনারা ব্যবস্থা করলেন।কিন্তু এক সপ্তাহ হওয়ার আগেই আমার খুব আত্মসম্মানে লাগল,কেন উনাদের টাকায় আমি চলব।

আমি ভাইয়াদের বলে বাসায় ফিরে গেলাম।গ্রামের মানুষ জন আবার আমার নামে যা ইচ্ছা তাই রটিয়ে চলছে।আমি অবশ্য যাওয়ার সময় বাবাকে ফোনে বলেছিলাম,আমাকে তো কোচিং করাবা না,আমি নিজেই চেষ্টা করি।ফিরে এসে তিনটা মাস আমি আব্বুর সাথে কথা বলি নি।একটা রুমে একা একা থাকতাম।আপু,ফরম ফিলাপের সময় চলে আসল,আমার কাছে টাকা নাই।কেউ টাকা দিবেও না।কি করব বুঝতে পারছিলাম না।সেসময় আমার এসএসসির সাধারণ বৃত্তি আর উপবৃত্তির টাকা দিল।বুয়েট, কুয়েট আর রুয়েটের ফরম তুললাম।ঢাকা ভার্সিটির টা তুলতে পারি নি দুবার কিভাবে ঢাকা আসব এজন্য।সব জায়গায় একা যেতাম।কুয়েটে সিএসই আসার পর অনেকেই বলল ভর্তি হয়ে যেতে।কেউ আমাকে ভর্তির টাকা দিচ্ছিল না।বিশ্বাস করেন আপু,আমার কোন উপায় ছিল না।

আমি মায়ের গয়না চু&%রি করলাম। চিঠি লিখে রেখেছিলাম,'মা,আমার কিছু করার ছিল না'।কোন জুয়েলার আমার কাছ থেকে কিনে নি।কিছু আন্দাজ করেছিল বোধ হয়।কোন পথ না পেয়ে আমি ডিসিশন নিয়ে নিলাম সু&%ইসা&%ইডের।এভাবে আমি শেষ হতে পারব না।খুব কাঁদলাম।হুট করে আমার মায়ের কথা মনে হল,এমন পরিবারে আমার মায়ের টিকে থাকতে না জানি তাহলে কত কষ্ট করতে হয়েছে।মা কে জড়িয়ে ধরে আমার জীবনের প্রথম আর শেষ চাওয়াটা চাইলাম,আমাকে ভর্তি করায়া দাও।মা তখন নিজের গয়না বিক্রি করে আমাকে টাকা দিলেন।

এর পর বাবা একদিন বাজারে গেলেন।সেখানে সবাই ডেকে ডেকে উনাকে আমাকে নিয়ে এলাকার সবার গর্বের কথা বললেন।তারপর আপু,কিভাবে বলব....বাবা হুট করে আমার রুমে এসে...আপু,আব্বু আমার পা ধরে কান্না শুরু করলেন।আমি ছাড়াতেই পারছিলাম না।বাবা আমাকে নিয়ে প্রথমবারের মত গর্ব করলেন।আমাকে বললেন,আমার সাথে প্রথম ক্লাসের সময় সাথে যাবেন।আমি খুশিতে সবাইকে ফোন দিই।আমি সার্থক,আমি আমার বাবার মেয়ে হতে পেরেছি।বাবা আমাকে ভালভাবে পড়ালেখা করতে বলেছেন...."

মেয়েটা কোন ভাবে কান্না চেপে রাখছিল।তারপর বলল,"সিএসই তে পড়লে যে শুরু থেকেই ল্যাপটপ লাগে,আমি জানতাম না।বাবা অবশ্য বলেছেন কষ্ট হলেও কিনে দিবেন।আমি ডিপার্টমেন্ট এ ল্যাপটপ এর জন্য আবেদন করেছি।সারাজীবন নিজের পড়ালেখার সব নিজেই চালিয়েছি,এখন আর আব্বুকে প্রেশার দিতে চাই না...ফোনেই কোডের কাজ টা চালিয়ে নিচ্ছি।"

লেখাটি প্রোফাইলে সেইভ করে, কিংবা শেয়ার করে রেখে দেন। আজ থেকে মোটিভেশন চাইলে এটা পড়বেন, দেখবেন আপনার লাইফটা কতটা Blessed

আমাদের কাছে এই মেয়ে হচ্ছে Real Hero. এই Hero কে শ্রদ্ধা ও শুভকামনা

-Massura Mayasir Madhurja

20/05/2025

আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আংগুর সীডলেস করা নিয়ে।
জিব্রালিক এসিড প্রয়োগ করার মাধ্যমে আপনার আপনার শখের গাছের আংগুর গুলোকে সীডলেস করতে পারেন।
জিব্রালিক এসিড GA3 নামে পাওয়া যায়।
জিব্রালিক এসিড আমি গতবছর এপ্লাই করেছিলাম আমার ভ্যালেজ এর গাছগুলোতে।
জিব্রালিক এসিড ১ গ্রাম এর প্যাকেট পাওয়া যায়। এটার প্রয়োগ করা টা একটু জটিল কাজ। এবং একটু ভুলের কারনে আপনার পুরো আংগুরের থোকা ঝলসে যেতে পারে।
১ গ্রাম জিব্রালিক এসিড ৩২ লি পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে।
সেই পানি আপনারা একটা মগ বা ওয়ান টাইম কাপে নিয়ে আংগুরের থোকা গুলোকে চুবিয়ে তুলে ফেলতে হবে। বুঝতে অসুবিধা হলে ইউটিউব এ ভিডিও দেখবেন।
কখন কখন এই কাজ করবেন।
৩ ধাপে আপনারা জিব্রালিক এসিড দিবেন।

প্রথম ধাপ হলো আংগুরের ফুল গুলো ফোটার আগে ১ম বার দিতে হবে। এটা বোঝা খুব মুশকিল এর কাজ। আংগুরের ফুল ফুটবে ফুটবে ভাব কিন্তু এখনও ফুটে নাই এই অবস্থায় দিতে হবে।

২য় বার চুবাবেন প্রথম বার এপ্লাই করার ৮ দিন পর।

৩য় বার চুবাবেন ২য় দফা এপ্লাই করার ৮ দিন পর।

আমি অতোটা অভিজ্ঞ নই, যারা বানিজ্যিক ভাবে বাগান করেছেন এবং জিব্রালিক এসিড প্রয়োগ করেছেন ভালো রেসাল্ট পেয়েছেন তারা দয়া করে আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

বাগানের জন্য সাদা ভিনেগারের ১০টি অসাধারণ ব্যবহার১. টেরাকোটা পট পরিষ্কার করাটেরাকোটা পটে জমে থাকা লবণাক্ত দাগ দূর করতে সর...
08/05/2025

বাগানের জন্য সাদা ভিনেগারের ১০টি অসাধারণ ব্যবহার

১. টেরাকোটা পট পরিষ্কার করা
টেরাকোটা পটে জমে থাকা লবণাক্ত দাগ দূর করতে সরাসরি সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন।

২. দেয়াল ও চলার পথে আগাছা দূর করা
বাগানের দেয়াল বা পথের ফাঁক-ফোঁকরে জন্মানো আগাছায় সাদা ভিনেগার স্প্রে করে সহজেই নির্মূল করুন।

৩. পিঁপড়া দূর করা
সমান পরিমাণ পানি ও সাদা ভিনেগার মিশিয়ে পিঁপড়ার বাসায় স্প্রে করুন।

৪. পশুদের দূরে রাখা
সাদা ভিনেগারে ভেজানো পুরনো কাপড় বাগানের চারপাশে রেখে ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল দূরে রাখুন।

৫. কাটা ফুলের আয়ু বাড়ানো
ভেসে রাখা পানিতে প্রতি লিটারে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার ও ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে কাটা ফুলকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখুন।

৬. বাগানের আগাছা ধ্বংস করা
অনাকাঙ্ক্ষিত আগাছার ওপর সরাসরি সাদা ভিনেগার স্প্রে করুন এবং প্রয়োজনে কয়েকদিন ধরে পুনরাবৃত্তি করুন।

৭. পোকামাকড় তাড়ানো
৩ কাপ পানি, ১ কাপ ভিনেগার ও ১ কাপ তরল সাবান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করে পোকামাকড় দূর করুন।

৮. মাটির অম্লীয়তা বাড়ানো
রডোডেনড্রন, গার্ডেনিয়া ও অ্যাজেলিয়ার মতো অম্লপ্রিয় গাছের জন্য সেচের পানিতে ১ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে দিন।

৯. যন্ত্রপাতির মরিচা দূর করা
বাগানের মরিচাপড়া যন্ত্রপাতি কয়েক মিনিট সাদা ভিনেগারে ভিজিয়ে পরিষ্কার করুন।

১০. ছত্রাক প্রতিরোধ করা
২ চা চামচ সাদা ভিনেগার ক্যামোমাইল চায়ে মিশিয়ে গাছের সংক্রমিত অংশে স্প্রে করুন।

মরিচ, হলুদ, রসুন ও পেঁয়াজের তৈরী শক্তিশালী বালাইনাশক তৈরী পদ্ধতি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা:✅ একটি শক্তিশালী প্...
07/05/2025

মরিচ, হলুদ, রসুন ও পেঁয়াজের তৈরী শক্তিশালী বালাইনাশক তৈরী পদ্ধতি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা:

✅ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি ও ব্যবহার---

মরিচ, হলুদ, রসুন এবং পেঁয়াজ ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা প্রাকৃতিক বালাইনাশক ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমন করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি সম্পূর্ণ অর্গানিক হওয়ায় পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়।

✅ উপকরণ সমূহ:
১. কাঁচা মরিচ – ১০০ গ্রাম।
২. হলুদ গুঁড়া – ৫০ গ্রাম।
৩. রসুন – ১০০ গ্রাম।
৪. পেঁয়াজ – ১০০ গ্রাম।
৫. পানি – ২ লিটার।
৬. সাবান (অল্প পরিমাণ) – ৫ গ্রাম (ছত্রাকনাশক হিসেবে এবং তরলকে পাতার সাথে আটকে রাখতে)।

✅ তৈরি করার পদ্ধতি:🄲🄰🄹

১. মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজকে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে বা পাটায় বেটে নিতে হবে।
২. এর সাথে ২ লিটার পানি মিশিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
৩. মিশ্রণটিকে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে যাতে সব উপাদান পানিতে ভালোভাবে মিশে যায়।
৪. পরবর্তীতে এটি ছেঁকে নিতে হবে, যাতে কঠিন অংশ ফিল্টার হয়ে যায়।
৫. তারপর এতে হলুদ গুঁড়া ও সামান্য পরিমাণ সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে।

✅ ব্যবহারবিধি:¢αʝ
👉১ লিটার পানির সাথে ৫০ মিলি লিটার মিশ্রণ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
👉সপ্তাহে ২-৩ বার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
👉গাছে সন্ধ্যা বা ভোরবেলায় স্প্রে করা উত্তম, যাতে সূর্যের আলোতে কার্যকারিতা নষ্ট না হয়।
👉নিয়মিত ব্যবহার করলে ক্ষতিকর পোকামাকড় যেমন থ্রিপস, অ্যাফিড, জ্যাসিড, বিটল, লেদা পোকা ও ফাঙ্গাল রোগ দমন করা সম্ভব।

♦️সতর্কতা:𝕮𝕬𝕵
👉অতিরিক্ত ব্যবহার করলে গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে, তাই পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
👉সংরক্ষণ না করে প্রতিবার নতুন মিশ্রণ প্রস্তুত করাই উত্তম।
👉স্প্রে করার সময় মুখ ও হাত ঢেকে নিতে হবে, যাতে ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি না হয়।

🌿এই বালাইনাশক ব্যবহারে রাসায়নিক উপাদানের প্রয়োজন হয় না এবং এটি পরিবেশবান্ধব একটি সমাধান।

✅ এই বালাইনাশক গাছের কি কি রোগের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করে?

মরিচ, হলুদ, রসুন ও পেঁয়াজের তৈরি এই প্রাকৃতিক বালাইনাশক বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ ও রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং কিছু ভাইরাসজনিত রোগ দমনে সাহায্য করে।

↗️ যে রোগগুলোর বিরুদ্ধে এটি কার্যকর:

(১) ছত্রাকজনিত রোগ:
✅ ডাউনি মিলডিউ (Downy Mildew) – মূলত শসা, লাউ, করলা ইত্যাদি ফসলের পাতায় হলুদ বা বাদামি দাগ তৈরি করে।
✅ পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) – টমেটো, মরিচ, বেগুন, শশা, কলা ইত্যাদি গাছে সাদা গুড়ার মতো আবরণ তৈরি করে।
✅ অ্যানথ্রাকনোজ (Anthracnose) – মরিচ, পেঁপে, আম, লেবু ইত্যাদিতে কালো দাগ বা পচন ধরে।
✅ ব্লাইট রোগ (Blight) – আলু, টমেটো, ধান ও গম গাছের পাতায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও গাছ শুকিয়ে যায়।

(২) ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
✅ বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট (Bacterial Blight) – ধান, টমেটো, শিম, বেগুন ইত্যাদিতে পাতায় দাগ ও গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
✅ নরম পচা রোগ (Soft Rot) – আলু, গাজর, বাঁধাকপি ইত্যাদি গাছে পচন ধরে।
✅ পাতার দাগ রোগ (Leaf Spot Disease) – শিম, লাউ, ধনে পাতা ইত্যাদি গাছে কালো বা বাদামি দাগ দেখা যায়।

(৩) কীটপতঙ্গ দমন:
✅ অ্যাফিড (Aphids) – ছোট সবুজ বা কালো রঙের পোকা, যা গাছের রস চুষে নেয়।
✅ জ্যাসিড (Jassids) – পাতার নিচের দিকে আক্রমণ করে ও গাছের বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায়।
✅ থ্রিপস (Thrips) – ফুল ও কচি পাতার রস শুষে নেয় এবং বিকৃতি ঘটায়।
✅ লেদা পোকা (Armyworm, Cutworm) – পাতার কাটা দাগ তৈরি করে ও গাছের ক্ষতি করে।
✅ ফলের মাছি (Fruit Fly)🐝 – কুমড়া, পেঁপে, আম, লিচু ইত্যাদির ভেতরে ডিম পাড়ে এবং ফল নষ্ট করে।
✅ বেগুনের ফল ও শিকর ছিদ্রকারী পোকা (Brinjal Fruit and Shoot Borer)।

↗️ কেন এটি কার্যকর?𝖈𝖆𝖏
🌶️ মরিচ – এতে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা পোকামাকড়কে দূরে রাখে।
🥐হলুদ – এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে।🧄রসুন – অ্যালিসিন (Allicin) নামক যৌগ থাকে, যা কীটনাশক হিসেবে কাজ করে।
🧅পেঁয়াজ – এতে থাকা সালফার যৌগ ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দমনে সাহায্য করে।

✅ পরামর্শ:𝖈𝖆𝖏
👉রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করা উচিত।
👉যদি রোগ দেখা দেয়, তাহলে ৩-৫ দিনের ব্যবধানে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

এই প্রাকৃতিক বালাইনাশক রাসায়নিক মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে মাটির উর্বরতা ও গাছের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সকলের জন্য শুভ কামনা-- কালেক্টেট

♦️ ছাদ কৃষি টিপস ♦️ছাদ বাগান বা টবে চাষাবাদ করতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্গানিক সার পদ্ধতি । ...
06/05/2025

♦️ ছাদ কৃষি টিপস ♦️
ছাদ বাগান বা টবে চাষাবাদ করতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্গানিক সার পদ্ধতি ।

🌶️ক্যালসিয়ামের অভাব পুরন করে ডিমের খোসা। ডিমের খোসা গুরো করে দিয়ে দিন। অল্প চুনের পানি ও দিতে পারেন ক্যালসিয়াম অভাব দূর করতে।

🍆নাইট্রোজেনের ঘাটতি পুরন করতে চাল বা ডাল ধোয়া পানি দিন। ভাতের মাড় পানি মিশিয়ে পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিন।

🍅পটাশিয়াম এর ভাল উৎস হচ্ছে কলার ছোলা ও পেয়াজের খোসা। ৩ দিন ভিজিয়ে সেই পানি দিবেন।

🍀চা পাতার ব্যবহৃত লিকার ভাল নাইট্রোজেন এর উৎস।

🥬এছাড়া শাক সবজীর উচ্ছিষ্ট অংশ নিদ্রিষ্ট পাত্রে পানি সহ জমিয়ে ৭ দিন পর তরল স্যার হিসেবে ব্যবহার করলে আলাদা কোন রায়সানিক স্যার ব্যবহার করতে হবে না।

⭕🟢 নিম তেল ও সাবান পানি প্রতি সপ্তাহে একবার স্প্রে করলে পোকামাকড় দমনে খুবই ভাল কাজ করে। পোকায় ধরুক আর না ধরুক এক বার সমস্ত গাছে স্প্রে করে দিবেন।

🔴🟡টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিতে পারেন।

♦️*ছাদ বাগান টিপস ও কৃষি পরামর্শ পেতে পেইজটি লাইক ফলো দিয়ে যুক্ত হন আমাদের সাথে।

মনে যখন থাকে হাওয়াই মিঠাই
30/04/2025

মনে যখন থাকে হাওয়াই মিঠাই

এডেনিয়াম
18/10/2023

এডেনিয়াম

চকলেট কেন্ডি
06/10/2023

চকলেট কেন্ডি

Address

Mirpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সবুজ পৃৃথিবী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share