সবুজ পৃৃথিবী

সবুজ পৃৃথিবী সবুজকে ভালোবাসি তাই সবুজের যতো সৌন্দর্য
গাছ পরিচিতি সবখানে ছড়িয়ে দিতে চাই

20/05/2025

আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আংগুর সীডলেস করা নিয়ে।
জিব্রালিক এসিড প্রয়োগ করার মাধ্যমে আপনার আপনার শখের গাছের আংগুর গুলোকে সীডলেস করতে পারেন।
জিব্রালিক এসিড GA3 নামে পাওয়া যায়।
জিব্রালিক এসিড আমি গতবছর এপ্লাই করেছিলাম আমার ভ্যালেজ এর গাছগুলোতে।
জিব্রালিক এসিড ১ গ্রাম এর প্যাকেট পাওয়া যায়। এটার প্রয়োগ করা টা একটু জটিল কাজ। এবং একটু ভুলের কারনে আপনার পুরো আংগুরের থোকা ঝলসে যেতে পারে।
১ গ্রাম জিব্রালিক এসিড ৩২ লি পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে।
সেই পানি আপনারা একটা মগ বা ওয়ান টাইম কাপে নিয়ে আংগুরের থোকা গুলোকে চুবিয়ে তুলে ফেলতে হবে। বুঝতে অসুবিধা হলে ইউটিউব এ ভিডিও দেখবেন।
কখন কখন এই কাজ করবেন।
৩ ধাপে আপনারা জিব্রালিক এসিড দিবেন।

প্রথম ধাপ হলো আংগুরের ফুল গুলো ফোটার আগে ১ম বার দিতে হবে। এটা বোঝা খুব মুশকিল এর কাজ। আংগুরের ফুল ফুটবে ফুটবে ভাব কিন্তু এখনও ফুটে নাই এই অবস্থায় দিতে হবে।

২য় বার চুবাবেন প্রথম বার এপ্লাই করার ৮ দিন পর।

৩য় বার চুবাবেন ২য় দফা এপ্লাই করার ৮ দিন পর।

আমি অতোটা অভিজ্ঞ নই, যারা বানিজ্যিক ভাবে বাগান করেছেন এবং জিব্রালিক এসিড প্রয়োগ করেছেন ভালো রেসাল্ট পেয়েছেন তারা দয়া করে আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

বাগানের জন্য সাদা ভিনেগারের ১০টি অসাধারণ ব্যবহার১. টেরাকোটা পট পরিষ্কার করাটেরাকোটা পটে জমে থাকা লবণাক্ত দাগ দূর করতে সর...
08/05/2025

বাগানের জন্য সাদা ভিনেগারের ১০টি অসাধারণ ব্যবহার

১. টেরাকোটা পট পরিষ্কার করা
টেরাকোটা পটে জমে থাকা লবণাক্ত দাগ দূর করতে সরাসরি সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন।

২. দেয়াল ও চলার পথে আগাছা দূর করা
বাগানের দেয়াল বা পথের ফাঁক-ফোঁকরে জন্মানো আগাছায় সাদা ভিনেগার স্প্রে করে সহজেই নির্মূল করুন।

৩. পিঁপড়া দূর করা
সমান পরিমাণ পানি ও সাদা ভিনেগার মিশিয়ে পিঁপড়ার বাসায় স্প্রে করুন।

৪. পশুদের দূরে রাখা
সাদা ভিনেগারে ভেজানো পুরনো কাপড় বাগানের চারপাশে রেখে ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল দূরে রাখুন।

৫. কাটা ফুলের আয়ু বাড়ানো
ভেসে রাখা পানিতে প্রতি লিটারে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার ও ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে কাটা ফুলকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখুন।

৬. বাগানের আগাছা ধ্বংস করা
অনাকাঙ্ক্ষিত আগাছার ওপর সরাসরি সাদা ভিনেগার স্প্রে করুন এবং প্রয়োজনে কয়েকদিন ধরে পুনরাবৃত্তি করুন।

৭. পোকামাকড় তাড়ানো
৩ কাপ পানি, ১ কাপ ভিনেগার ও ১ কাপ তরল সাবান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করে পোকামাকড় দূর করুন।

৮. মাটির অম্লীয়তা বাড়ানো
রডোডেনড্রন, গার্ডেনিয়া ও অ্যাজেলিয়ার মতো অম্লপ্রিয় গাছের জন্য সেচের পানিতে ১ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে দিন।

৯. যন্ত্রপাতির মরিচা দূর করা
বাগানের মরিচাপড়া যন্ত্রপাতি কয়েক মিনিট সাদা ভিনেগারে ভিজিয়ে পরিষ্কার করুন।

১০. ছত্রাক প্রতিরোধ করা
২ চা চামচ সাদা ভিনেগার ক্যামোমাইল চায়ে মিশিয়ে গাছের সংক্রমিত অংশে স্প্রে করুন।

মরিচ, হলুদ, রসুন ও পেঁয়াজের তৈরী শক্তিশালী বালাইনাশক তৈরী পদ্ধতি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা:✅ একটি শক্তিশালী প্...
07/05/2025

মরিচ, হলুদ, রসুন ও পেঁয়াজের তৈরী শক্তিশালী বালাইনাশক তৈরী পদ্ধতি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা:

✅ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি ও ব্যবহার---

মরিচ, হলুদ, রসুন এবং পেঁয়াজ ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা প্রাকৃতিক বালাইনাশক ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমন করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি সম্পূর্ণ অর্গানিক হওয়ায় পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়।

✅ উপকরণ সমূহ:
১. কাঁচা মরিচ – ১০০ গ্রাম।
২. হলুদ গুঁড়া – ৫০ গ্রাম।
৩. রসুন – ১০০ গ্রাম।
৪. পেঁয়াজ – ১০০ গ্রাম।
৫. পানি – ২ লিটার।
৬. সাবান (অল্প পরিমাণ) – ৫ গ্রাম (ছত্রাকনাশক হিসেবে এবং তরলকে পাতার সাথে আটকে রাখতে)।

✅ তৈরি করার পদ্ধতি:🄲🄰🄹

১. মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজকে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে বা পাটায় বেটে নিতে হবে।
২. এর সাথে ২ লিটার পানি মিশিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
৩. মিশ্রণটিকে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে যাতে সব উপাদান পানিতে ভালোভাবে মিশে যায়।
৪. পরবর্তীতে এটি ছেঁকে নিতে হবে, যাতে কঠিন অংশ ফিল্টার হয়ে যায়।
৫. তারপর এতে হলুদ গুঁড়া ও সামান্য পরিমাণ সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে।

✅ ব্যবহারবিধি:¢αʝ
👉১ লিটার পানির সাথে ৫০ মিলি লিটার মিশ্রণ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
👉সপ্তাহে ২-৩ বার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
👉গাছে সন্ধ্যা বা ভোরবেলায় স্প্রে করা উত্তম, যাতে সূর্যের আলোতে কার্যকারিতা নষ্ট না হয়।
👉নিয়মিত ব্যবহার করলে ক্ষতিকর পোকামাকড় যেমন থ্রিপস, অ্যাফিড, জ্যাসিড, বিটল, লেদা পোকা ও ফাঙ্গাল রোগ দমন করা সম্ভব।

♦️সতর্কতা:𝕮𝕬𝕵
👉অতিরিক্ত ব্যবহার করলে গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে, তাই পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
👉সংরক্ষণ না করে প্রতিবার নতুন মিশ্রণ প্রস্তুত করাই উত্তম।
👉স্প্রে করার সময় মুখ ও হাত ঢেকে নিতে হবে, যাতে ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি না হয়।

🌿এই বালাইনাশক ব্যবহারে রাসায়নিক উপাদানের প্রয়োজন হয় না এবং এটি পরিবেশবান্ধব একটি সমাধান।

✅ এই বালাইনাশক গাছের কি কি রোগের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করে?

মরিচ, হলুদ, রসুন ও পেঁয়াজের তৈরি এই প্রাকৃতিক বালাইনাশক বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ ও রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং কিছু ভাইরাসজনিত রোগ দমনে সাহায্য করে।

↗️ যে রোগগুলোর বিরুদ্ধে এটি কার্যকর:

(১) ছত্রাকজনিত রোগ:
✅ ডাউনি মিলডিউ (Downy Mildew) – মূলত শসা, লাউ, করলা ইত্যাদি ফসলের পাতায় হলুদ বা বাদামি দাগ তৈরি করে।
✅ পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) – টমেটো, মরিচ, বেগুন, শশা, কলা ইত্যাদি গাছে সাদা গুড়ার মতো আবরণ তৈরি করে।
✅ অ্যানথ্রাকনোজ (Anthracnose) – মরিচ, পেঁপে, আম, লেবু ইত্যাদিতে কালো দাগ বা পচন ধরে।
✅ ব্লাইট রোগ (Blight) – আলু, টমেটো, ধান ও গম গাছের পাতায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও গাছ শুকিয়ে যায়।

(২) ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
✅ বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট (Bacterial Blight) – ধান, টমেটো, শিম, বেগুন ইত্যাদিতে পাতায় দাগ ও গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
✅ নরম পচা রোগ (Soft Rot) – আলু, গাজর, বাঁধাকপি ইত্যাদি গাছে পচন ধরে।
✅ পাতার দাগ রোগ (Leaf Spot Disease) – শিম, লাউ, ধনে পাতা ইত্যাদি গাছে কালো বা বাদামি দাগ দেখা যায়।

(৩) কীটপতঙ্গ দমন:
✅ অ্যাফিড (Aphids) – ছোট সবুজ বা কালো রঙের পোকা, যা গাছের রস চুষে নেয়।
✅ জ্যাসিড (Jassids) – পাতার নিচের দিকে আক্রমণ করে ও গাছের বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায়।
✅ থ্রিপস (Thrips) – ফুল ও কচি পাতার রস শুষে নেয় এবং বিকৃতি ঘটায়।
✅ লেদা পোকা (Armyworm, Cutworm) – পাতার কাটা দাগ তৈরি করে ও গাছের ক্ষতি করে।
✅ ফলের মাছি (Fruit Fly)🐝 – কুমড়া, পেঁপে, আম, লিচু ইত্যাদির ভেতরে ডিম পাড়ে এবং ফল নষ্ট করে।
✅ বেগুনের ফল ও শিকর ছিদ্রকারী পোকা (Brinjal Fruit and Shoot Borer)।

↗️ কেন এটি কার্যকর?𝖈𝖆𝖏
🌶️ মরিচ – এতে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা পোকামাকড়কে দূরে রাখে।
🥐হলুদ – এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে।🧄রসুন – অ্যালিসিন (Allicin) নামক যৌগ থাকে, যা কীটনাশক হিসেবে কাজ করে।
🧅পেঁয়াজ – এতে থাকা সালফার যৌগ ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দমনে সাহায্য করে।

✅ পরামর্শ:𝖈𝖆𝖏
👉রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করা উচিত।
👉যদি রোগ দেখা দেয়, তাহলে ৩-৫ দিনের ব্যবধানে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

এই প্রাকৃতিক বালাইনাশক রাসায়নিক মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে মাটির উর্বরতা ও গাছের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সকলের জন্য শুভ কামনা-- কালেক্টেট

♦️ ছাদ কৃষি টিপস ♦️ছাদ বাগান বা টবে চাষাবাদ করতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্গানিক সার পদ্ধতি । ...
06/05/2025

♦️ ছাদ কৃষি টিপস ♦️
ছাদ বাগান বা টবে চাষাবাদ করতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্গানিক সার পদ্ধতি ।

🌶️ক্যালসিয়ামের অভাব পুরন করে ডিমের খোসা। ডিমের খোসা গুরো করে দিয়ে দিন। অল্প চুনের পানি ও দিতে পারেন ক্যালসিয়াম অভাব দূর করতে।

🍆নাইট্রোজেনের ঘাটতি পুরন করতে চাল বা ডাল ধোয়া পানি দিন। ভাতের মাড় পানি মিশিয়ে পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিন।

🍅পটাশিয়াম এর ভাল উৎস হচ্ছে কলার ছোলা ও পেয়াজের খোসা। ৩ দিন ভিজিয়ে সেই পানি দিবেন।

🍀চা পাতার ব্যবহৃত লিকার ভাল নাইট্রোজেন এর উৎস।

🥬এছাড়া শাক সবজীর উচ্ছিষ্ট অংশ নিদ্রিষ্ট পাত্রে পানি সহ জমিয়ে ৭ দিন পর তরল স্যার হিসেবে ব্যবহার করলে আলাদা কোন রায়সানিক স্যার ব্যবহার করতে হবে না।

⭕🟢 নিম তেল ও সাবান পানি প্রতি সপ্তাহে একবার স্প্রে করলে পোকামাকড় দমনে খুবই ভাল কাজ করে। পোকায় ধরুক আর না ধরুক এক বার সমস্ত গাছে স্প্রে করে দিবেন।

🔴🟡টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিতে পারেন।

♦️*ছাদ বাগান টিপস ও কৃষি পরামর্শ পেতে পেইজটি লাইক ফলো দিয়ে যুক্ত হন আমাদের সাথে।

মনে যখন থাকে হাওয়াই মিঠাই
30/04/2025

মনে যখন থাকে হাওয়াই মিঠাই

🔰গ্রীষ্মকালীন টমেটো 🍅কিভাবে আবাদ করবেন? #জলবায়ুঃটমেটো এদেশে শীতকালীন ফসল। উচ্চ তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা টমেটো গাছে...
09/04/2025

🔰গ্রীষ্মকালীন টমেটো 🍅কিভাবে আবাদ করবেন?

#জলবায়ুঃ
টমেটো এদেশে শীতকালীন ফসল। উচ্চ তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা টমেটো গাছের রোগ বিস্তারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। আবার উচ্চ তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ফুল ঝরে যায়। রাতের তাপমাত্রা ২৩° সে. এর নিচে থাকলে ফুল ও ফল ধারণের জন্য বেশী উপযোগী। গড় তাপমাত্রা ২০°-২৫° সে. এ টমেটোর ভাল ফলন হয়।

#মাটিঃ
আলো বাতাসযুক্ত উর্বর দোআঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য সবচেয়ে ভাল। তবে উপযুক্ত পরিচর্যায় বেলে দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ সব মাটিতেই টমেটো ভাল জন্মে। বন্যার সময় পলি জমে এমন জমিতে এর ফলন সবচেয়ে বেশী। মাটির অম্লতা ৬-৭ হলে ভাল হয়। মাটির অম্লতা বেশী হলে চুন প্রয়োগ করা উচিত।

#জাতঃ
টমেটোর জনপ্রিয় জাত সমূহ হল
বারি-৪/বারি-৮/ আনসাল/রেড বিউটি-১/সাকাতা টিম১২২০ /মঙ্গল রাজা/বিলাশ

#বীজ_বপনের_সময়ঃ

#গ্রীষ্ম_বর্ষাকালঃ
এপ্রিল-জুন মাসে (বৈশাখ-আষাঢ় মাসে)

্ধতিঃ
বীজতলায় বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হব। তারপরে মুল জমিতে সারি করে চারা রোপন করতে হবে।

#বীজহার_বীজের_পরিমানঃ

প্রতি শতকে বীজের প্রয়োজন ১ গ্রাম

#জীবনকালঃ ১২০-১৩০ দিন (জাতভেদে)

#চারা_উৎপাদনঃ
টমেটোর চারা উৎপাদনের জন্য ১ মিটার প্রস্থ ৩ মিটার দৈর্ঘ্যের মাপে বেড তৈরি করে সুস্থ সবল ৫০ গ্রাম বীজ ঘন করে বপন করতে হবে।

#হার্ডেনিংঃ
চারা গজানোর ১০-১২ দিন পর চারা দ্বিতীয় বীজতলায় ৪০ সে.মি. দূরত্বে স্থানান্তর করতে হবে। এতে চারা মূত্যহার কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

#বীজতলায়_ছাউনি/ঢাঁকা দেওয়াঃ
বীজতলায় সুস্থ সবল চারা উৎপাদনের জন্য নাইলন নেট দিয়ে ঢেকে চারা উৎপাদন করলে চারা অবস্থায়ই সাদা মাছি পোকার দ্বারা পাতা কোঁকড়ানো ভাইরাস রোগ ছড়ানোর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। এরুপ সুস্থ সবল ও ভাইরাসমুক্ত চারা রোপন করে ভাল ফলন পাওয়া যায়। এর জন্য প্রতি ইঞ্চিতে ৪০-৬০ টি ছিদ্রযুক্ত নেট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

#পলিথিন/চাটাই দেওয়াঃ
অতিরিক্ত বৃষ্টি ও রোদের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পলিথিন ও চাটাই ব্যবহার করতে হবে।

#জমি_তৈরীঃ
টমেটোর ভাল ফলন অনেকাংশেই জমি তৈরীর উপর নির্ভর করে। তাই ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।

#বেড_তৈরিঃ
মাটির প্রকৃতি ও স্থানভেদে ১ মি. চওড়া ও ১৫-২০ সে.মি. উঁচু বেড তৈরী করতে হবে। দুটি বেডের মাঝখানে ৩০ সে.মি. নালা করতে হবে যাতে পানি সেচ ও নিষ্কাশনের জন্য সুবিধা হয়।

#সার_প্রয়োগঃ (প্রতি শতাংশ জমিতে)
গোবর ৪০ কেজি
ইউরিয়া ১২০০ গ্রাম
টিএসপি ৮০০ গ্রাম
পটাশ ৭৫০ গ্রাম
জিপসাম ২২০ গ্রাম
জিংক ২০ গ্রাম
বোরন ২৫ গ্রাম

#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ
জমি তৈরির সময় সমস্ত গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক বোরন, ও এক তৃতীয়াংশ পটাশ প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপনের ১৫ দিনে ইউরিয়া ৪০০ গ্রাম হারে এবং
চারা রোপনের ২৫ দিনে ইউরিয়া ৪০০ গ্রামও পটাশ ২৫০ গ্রাম এবং।
চারা রোপনের ৪০ দিনে ইউরিয়া ৪০০ গ্রাম ও পটাশ ২৫০ গ্রাম হারে গাছের গোড়া হতে ১০-১৫ সে: মি: দুরত্বে প্রয়োগ করতে হবে।

#চারার_বয়স
চারার বয়স ৩০-৩৫ দিন অথবা ৪-৬ পাতা বিশিষ্ট হলে জমিতে রোপন করতে হবে।

#চারা_রোপনের_দুরত্বঃ
সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সে.মি. চারা থেকে চারা ৪০ সে.মি. দূরত্বে লাগাতে হবে।

#চারা_উত্তোলনঃ
বীজতলা থেকে চারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে তুলতে হবে যেন চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। এ জন্য চারা তোলার আগে বীজতলার মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে।

#চারা_রোপনের_সময়ঃ
বিকেলের পড়ন্ত রোদে চারা রোপণ করাই উত্তম এবং লাগানোর পর গোড়ায় হালকা সেচ প্রদান করতে হবে।

#সেচঃ
চারা রোপণের ৩-৪ দিন পর পর্যন্ত হালকা সেচ ও পরবর্তীতে প্রতি কিস্তি সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হয়। গ্রীষ্ম মৌসুমে টমেটো চাষের জন্য ঘন ঘন সেচের প্রয়োজন হয়। বর্ষা মৌসুমে তেমন একটা সেচের প্রয়োজন হয় না।

#নিষ্কাশনঃ
টমেটো গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারেনা। সেচ অথবা বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য নালা পরিমিত চওড়া (৩০-৪০ সে.মি.) এবং এক দিকে সামান্য ঢালু হওয়া বাঞ্ছনীয়।

#মালচিংঃ
প্রতিটি সেচের পরে মাটির উপরিভাগের চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।

#আগাছা_দমনঃ
টমেটোর জমিতে প্রয়োজন মত নিড়ানী দিয়ে আগাছামুক্ত রাখতে হবে।

#হরমোন_প্রয়োগঃ
গ্রীষ্মকালীন টমেটোতে অতিরিক্ত ও উচ্চ তাপমাত্রায় পরাগায়নের বিঘ্ন ঘটে ফলে ফুল ও ফল ঝরে পরে তাই ফুটা অবস্থায় সকাল ৯ টা হতে ১১ টায় ৪সিপিএ জাতীয় ভেজিমেক্স/প্রোটোজিম/বলবান/এস্টার যে কোন একটি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করে দিতে পারেন।

#বিশেষ_পরিচর্যাঃ
১ম ফুলের গোড়ার ঠিক নিচের কুশিটি ছাড়া নিচের সব পার্শ্ব কুশি ছাটাই করতে হবে। গাছ বাঁশের খুটি দিয়ে ঠেকনা দিতে হবে।

োলাঃ
ফলের নিচে ফুল ঝরে যাওয়ার পর যে দাগ থাকে ঐ স্থান থেকে লালচে ভাব শুরু হলেই বাজারজাত করণের জন্য ফল সংগ্রহ করতে হবে। এতে ফল অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।অপরিপক্ক অবস্থায় ফল উত্তোলন করে হরমোণ প্রয়োগের মাধ্যমে ফল পাকানো হলে ফলের স্বাভাবিক স্বাদ ও পুষ্টি গুন নষ্ট হয় এবং ফলনও কম হয়। তাই এভাবে ফসল সংগ্রহ ও পাকানো মোটেই সমীচীন নয়।

#ফলনঃ
জাত ভেদে ৫০-৯০ টন/হেক্টর (২০০-৩৫০ কেজি/শতাংশ)
গ্রীষ্মকালীন টমেটো এর বীজ লাগলে যোগাযোগ করতে পারেন।

Md Biplob Hossain

05/04/2025

Courtesy : Md Mahfuz sheikh

উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু ব্যয়বহুল শিক্ষা ব্যবস্থা সেই স্বপ্নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে, যা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এই স্কলারশিপগুলো শুধু টিউশন ফি-ই নয়, বরং যাতায়াত, আবাসন এবং অন্যান্য খরচও কভার করতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এসব স্কলারশিপ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া এবং সময়মতো আবেদন করা সফলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সঠিক পরিকল্পনা ও দৃঢ় মনোবল থাকলে, যেকোনো শিক্ষার্থী তার স্বপ্নের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে!

ফুলব্রাইট স্কলারশিপ (যুক্তরাষ্ট্র)
https://foreign.fulbrightonline.org/

চেভেনিং স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য) 🇬🇧
https://www.chevening.org/

DAAD স্কলারশিপ (জার্মানি) 🇩🇪
https://www.daad.de/en/

ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ (ইউরোপ) 🇪🇺
https://www.eacea.ec.europa.eu/scholarships/erasmus-mundus-catalogue_en

MEXT স্কলারশিপ (জাপান)🇯🇵
https://www.studyinjapan.go.jp/en/

CSC স্কলারশিপ (চীন) 🇨🇳
https://www.csc.edu.cn/

কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ দেশসমূহ)
https://cscuk.fcdo.gov.uk/

গেটস কেমব্রিজ স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য)
https://www.gatescambridge.org/

রোডস স্কলারশিপ (অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য)
https://www.rhodeshouse.ox.ac.uk/

সুইস এক্সিলেন্স স্কলারশিপ (সুইজারল্যান্ড) 🇨🇭
https://www.sbfi.admin.ch/sbfi/en/home/education/scholarships-and-grants.html

নেদারল্যান্ডস স্কলারশিপ (হল্যান্ড) 🇳🇱
https://www.studyinnl.org/finances/scholarships

অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ 🇦🇺
https://www.dfat.gov.au/people-to-people/australia-awards

নিউজিল্যান্ড স্কলারশিপ 🇳🇿
https://www.studywithnewzealand.govt.nz/scholarships

অক্সফোর্ড ক্ল্যারেনডন স্কলারশিপ 🇬🇧
https://www.ox.ac.uk/clarendon

সিঙ্গাপুর সরকারী স্কলারশিপ (SGUS) 🇸🇬
https://www.moe.gov.sg/financial-matters/awards-scholarships

কানাডা ভ্যানিয়ার স্কলারশিপ 🇨🇦
https://vanier.gc.ca/

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ
https://www.gatesfoundation.org/

এডা লাভলেস স্কলারশিপ (মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য)
https://www.adalovelaceinstitute.org/

গুগল অ্যানা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
https://buildyourfuture.withgoogle.com/scholarships

মাইক্রোসফট রিসার্চ স্কলারশিপ
https://www.microsoft.com/en-us/research/academic-programs/

সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ 🇸🇪
https://si.se/en/apply/scholarships/

ডেনমার্ক সরকারী স্কলারশিপ 🇩🇰
https://ufm.dk/en/education/admission-and-guidance

ফিনল্যান্ড সরকারী স্কলারশিপ 🇫🇮
https://www.studyinfinland.fi/scholarships

নরওয়ে আর্কটিক স্কলারশিপ 🇳🇴
https://www.studyinnorway.no/scholarships

অস্ট্রিয়ান সরকারী স্কলারশিপ 🇦🇹
https://grants.at/en/

কোরিয়া গ্লোবাল স্কলারশিপ (KGSP) 🇰🇷
https://www.studyinkorea.go.kr/

তাইওয়ান স্কলারশিপ 🇹🇼
https://www.taiwanembassy.org/

হংকং PhD ফেলোশিপ 🇭🇰
https://www.polyu.edu.hk/hkpf/

মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ 🇲🇾
https://educationmalaysia.gov.my/scholarships/

Schwarzman Scholars Program (China) 🇨🇳
https://www.schwarzmanscholars.org/

স্ট্যানফোর্ড নাইট-হেনেসি স্কলারশিপ 🇺🇸
https://knight-hennessy.stanford.edu/

কানাডা ট্রুডো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ 🇨🇦
https://www.trudeaufoundation.ca/

কেমব্রিজ ট্রাস্ট স্কলারশিপ 🇬🇧
https://www.cambridgetrust.org/

রোটারি ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ
https://www.rotary.org/en/our-programs/scholarships

NASA ইন্টার্নশিপ ও স্কলারশিপ
https://intern.nasa.gov/

ইউনেস্কো স্কলারশিপ
https://en.unesco.org/fellowships

গুগল ল্যান্স স্কলারশিপ
https://buildyourfuture.withgoogle.com/scholarships

মেটা রিসার্চ স্কলারশিপ
https://research.fb.com/programs/fellowship/

টেসলা STEM স্কলারশিপ
https://www.tesla.com/careers/university

ETH Zurich Excellence Scholarship (Switzerland) 🇨🇭
https://ethz.ch/en.html

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি স্কলারশিপ
https://www.olympic.org/scholarships

ব্রিটিশ কাউন্সিল উইমেন ইন STEM স্কলারশিপ
https://www.britishcouncil.org/education/women-in-stem

University of Toronto Lester B. Pearson Scholarship (Canada) 🇨🇦
https://future.utoronto.ca/pearson/

আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী স্কলারশিপ নির্বাচন করুন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও আবেদনপত্র প্রস্তুত করুন। সবশেষে, অপেক্ষা করুন এবং সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন!

তথ্যবহুল পোস্টটি টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখতে পারেন।

Courtesy: Md Mahfuz Sheikh

♦️কোন সারের কি কাজ♦️আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে...
01/04/2025

♦️কোন সারের কি কাজ♦️
আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে জানি আবার জানি না, এমনকি জানার চেষ্টাও করিনা। কিন্তু ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। নিচে কোন প্রকার রাসায়নিক সারের কি কাজ তা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।

#ইউরিয়াঃ 🌿
ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

#টিএসপিঃ 🌿
টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে।

#পটাশঃ 🌿
এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা করে। এই সার গাছের খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে।

#জিপসামঃ 🌿
জিপসাম সারের মধ্যে থাকা সালফার নাইট্রোজেন আত্মকরণে সহায়তা করে। এই সার প্রোটিন প্রস্তুতিতে অংশ গ্রহণ করে, তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সালফার ভিটামিন ও কো-এনজাইমের উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

#জিংক_সালফেটঃ🌿
জিংক সালফেটের জিংক প্রোটিন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং হরমোনের কার্যকারিতার জন্য সহায়তা করে।

#বোরাক্সঃ 🌿
বোরাক্সের বোরন ফলের বিকৃতি রোধ করে এবং ফুল ফল ধারণে সাহায্য করে।

♦️*ছাদ বাগান টিপস ও কৃষি পরামর্শ পেতে পেইজটি লাইক ফলো দিয়ে যুক্ত হন আমাদের সাথে।




🟢🟡ছাদকৃষির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ ।ছাদ বাগানীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টবে, ড্রামে গাছ লাগানো হয়। কেউ ফল আবার কেউবা...
01/04/2025

🟢🟡ছাদকৃষির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ ।

ছাদ বাগানীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টবে, ড্রামে গাছ লাগানো হয়। কেউ ফল আবার কেউবা শাক সবজির গাছ লাগান। কেউ সফল হন, কেউ সফল হন না। শুরুতেই ছোট ছোট কিছু ভুল বাগানীরা করে থাকেন। সে কারণে পরে যত্ন নিলেও ফল আসে না। এখানে ছাদ বাগানীদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হলো, যা মানলে সফলতা পাওয়া সহজ হতে পারে।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে, টবে বা ড্রামে গাছ লাগালে তাকে খাবার দিতে হবে। প্রকৃতিতে বিদ্যমান গাছের মতো সে খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। রোগ-বালাই হলো কিনা সেটাও বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।

১. টবের মাটির তৈরির সময় অবশ্যই কিছু কোকোপিট ও জৈবসার( লতা পাতা পচা, পচা গোবর, সবজি পচা সার ইত্যাদি) মেশাবেন। গাছের গোড়া স্যাতস্যাতে হতে দিবেন না। স্যাতস্যাতে হলে অসংখ্য রোগ হবে। মাটি ভেজা থাকবে তবে স্যাতস্যাতে না। কেকোপিট মেশালে পানি কম দিলেও হবে। কোকোপিট (নারকেলের ছোবলার গুড়া) পানি ধরে রাখে। অতি বৃষ্টি হলে গোড়ায় পানি জমতে দেয় না। হালকা হওয়ায় ছাদে ওজনের চাপ পড়ে না। এছাড়া কোকোপিটে কিছু পুষ্টি উপাদান আছে। যা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোকোপিটে চারা দ্রুত গজায়, বড় হয়। মাটির চেয়ে কোকোপিটে চারা ভালো হয়।

২. গাছের হরলিক্স হলো সরিষার খৈল-পচা পানি। প্লাস্টিক পাত্রে বা মাটির হাড়িতে খৈল পচাতে হবে। কমপক্ষে ৫ দিন। ৭ দিন কিংবা বা ১০ দিন হলে উত্তম। যে পরিমান পানিতে পচানো হবে তার সাথে আরো নয় গুন পানি মিশিয়ে দিতে হবে। এটি গাছের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একটু গন্ধ হয়, তাই অল্প একটু গুড় দিতে পারেন। ছাদে হাড়িতে পচালে বাসায় গন্ধ আসবে না। বৃষ্টির সময় বা ভেজা মাটিতে খৈল-পচা পানি দেবেন না। পুকুরের নিচে থাকা পাক কাদা গাছের জন্য খুব উপকারী।

৩. আমরা জানি, মাটিতে অসংখ্য ক্ষতিকর ছত্রাক থাকে। যা গাছকে মেরে ফেলার জন্য যথেস্ট। তাই মাটি তৈরি করার সময় কিছুটা বায়োডার্মা সলিট দিবেন। এটি উপকারী ছত্রাক। মাটিতে ক্ষতিকারক উপাদানগুলো মেরে ফেলে।
আবার জৈব সারের কাজও করে। এটা না পারলে নিম খৈল দিন। গাছের জন্য মাটি হবে ঝুরঝুরে, হালকা।

৪. যাই লাগান না কেন, ভালো জাতের বীজ কিনা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। ভালো বীজে ভালো ফসল হবে। নতুবা যতই যত্ন নেন না কেন, সব পরিশ্রম বেলাশেষে জলে যাবে। বীজ থেকে নিজে চারা করা উত্তম। কারণ বাজার থেকে যে চারা কিনবেন সেটার জাত ভালো হবে সে নিশ্চয়তা কোথায়? ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নেয়া উত্তম। পদ্ধতি হলো- ছত্রাকনাশক দেয়া পানিতে কিছুটা সময় বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ম্যানসার, মেটারিল দুটি ছত্রাকনাশক।

৫. গাছ বেশি তো ফলন বেশি- এটি ভুল ধারণা। অল্প জায়গায় বেশি গাছ লাগানো যাবে না। গাছ পাতলা করে লাগাতে হবে। বেশি লাগালে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না। একটি ফলের ক্রেটে মাত্র দুটি গাছ। একটি টবে একটি গাছ। ক্রেট বা টবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৬. ছাদে মাচা দেয়া সমস্যা। কারণ ঘুঁটি থাকে না। এ জন্য ফলের ক্রেটের চারপাশে লাঠি বেঁধে সহজে মাচা দেয়া যায়। লতাপাতা জাতীয় গাছ লাগানোর পাত্র একটু গভীর হলে উত্তম। গাছের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো জৈব সার হলো পাতা-পচা সার, তারপর ভার্মি কম্পোস্ট, তারপর গোবর সার। পাতা-পচা সার সহজলভ্য নয়। দাম বেশি। কিন্তু ভার্মি কম্পোস্ট সহজলভ্য। মাটির সঙ্গে মিনিমাম ৪০% জৈব সার দেয়া উত্তম।

৭. নিম কীটনাশককে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খুব অপছন্দ করে। এটি দিলে তারা বিরক্ত বোধ করে। গাছে বাসা বাঁধতে পারে না। প্রতি সাত দিনে একবার সব গাছের পাতায় নিম কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। মাসে একবার ইপসম সল্ট স্প্রে করে দেয়া উত্তম। একইভাবে মাসে একবার পানির সঙ্গে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মিশিয়ে স্প্রে করা ভালো।

৮. ডাটা, পুইশাক, লালশাক, ধনেপাতা এসব লাগাতে পারেন। মাত্র ২৫ দিনে খেতে পারবেন। লালশাক লাগালে নেট দিয়ে ঘিরে দেবেন। শাকপাতা লাগালে দ্রুত আউটপুট পাবেন। যা আপনাকে প্রেরণা দেবে। পুইশাক গাছের পাতায় দাগ হলে পাতা কেটে দিন। অথবা ছত্রাকনাশক স্প্রে করেন। অথবা গাছ উঠিয়ে আবার লাগান। ইউরিয়া সার দিলে পুইশাক দ্রুত বাড়বে। শশা গাছের বৃদ্বির জন্য ডিএপি সার দিলে ভালো হবে। শশা গাছে ছাড়া ছাড়া ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। খুব রোদ, গাছের গোড়ায় মালচিং করে দিয়ে উত্তম ফল মিলবে। মালচিং হলো গাছের গোড়ায় বিশেষ পলিথিন কিংবা শুকনো পাতা, খড় দিয়ে ঢেকে দেয়া।

৯. ফুল আসার পরে প্রানোফিক্স অথবা মিরাকুরান গাছের পাতায় শেষ বিকালে স্প্রে করবেন। বাসায় দুইটি গ্রুপের ছত্রাকনাশক রাখা ভালো। যেমন- ম্যানসার, মেটারিল। ১৫ দিনে একবার স্প্রে করবেন। এগরোমিন্ড গোল্ড অনুখাদ্য বা অন্য কোনো অনুখাদ্য বাসায় রাখতে হবে। মাসে কমপক্ষে একবার স্প্রে করবেন। অতিরিক্ত গরম, বৃষ্টি, খাদ্যের অভাব, গাছ রোগাক্রান্ত, আবহাওয়া দ্রুত আপডাউন করা ইত্যাদি কারণে ফুল ঝরে পড়তে পারে। আবার পরাগায়ন না হলে ঝরে পড়তে পারে। এ জন্য হাতের মাধ্যমে পরাগায়ন করতে হবে। পুরুষ ফুলের পরাগদণ্ড নারী ফুলে গর্ভে ঘষে দিতে হবে।

১০. ছাদ বাগানে গাছ মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ পানি বেশি বা কম দেয়া। যতটুকু লাগে ঠিক ততটুকু পানি দিতে হবে। কোন গাছের কি চাহিদা, রোগ একটু স্টাডি করলে সহজে সফল হতে পারবেন।

১১. গাছের পাতার নিচে খেয়াল করবেন। বেগুন গাছের পোকা মারার জন্য সেক্স ফোরেমান ফাঁদ লাগাবেন। ডগা ছিদ্র বা ফল ছিদ্র হলে সাইপারমেত্রিন গ্রুপের কীটনাশক দিতে হবে। একটি বেগুন গাছ অনেক দিন ফল দেয়। ঢেড়স গাছ বেশি রোদ পড়ে এমন জায়গায় লাগাবেন। বেগুন, ঢেড়স, লালশাক, পুইশাক, ধনেপাতা, ডাটা শাক- এসব গাছের খুব যত্ন করতে হয় না।

১২. রসুন আর লবঙ্গ বেটে সেই পানি গাছে স্প্রে করলে পোকা কম আসবে। গাছে নেপথলিন বেঁধে দিন, পোকাও পিপড়া কম আসবে। পাতা কোকড়ালে ভার্মিটেক কিংবা এবোম কীটনাশক দিন। কোকড়ানো পাতা ফেলে দিন। মরিচ গাছে দশ দিন পর পর ডায়মেথট গ্রুপের (যেমন টাফগর) কীটনাশক দিলে উপকার হবে। সবকিছু করছেন, তারপরও কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে গাছের জায়গা বদল করেন, উঠিয়ে অন্যত্র লাগান।

♦️*ছাদ বাগান টিপস ও কৃষি পরামর্শ পেতে পেইজটি লাইক ফলো দিয়ে যুক্ত হন আমাদের সাথে।
Md Biplob Hossai

এডেনিয়াম
18/10/2023

এডেনিয়াম

চকলেট কেন্ডি
06/10/2023

চকলেট কেন্ডি

ব্রোমেলিয়া
06/10/2023

ব্রোমেলিয়া

Address

Mirpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সবুজ পৃৃথিবী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share