The Mrityukhudha Society

The Mrityukhudha Society Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from The Mrityukhudha Society, Video Creator, Eastern Housing, Mirpur.

22/09/2025

কিচ্ছু চাইনি আমি, আজীবন ভালোবাসা ছাড়া!

16/09/2025

সেদিন বৃষ্টি হয়েছিল আমাদের শহরে। সেই বৃষ্টি ভিজিয়েছে শহর, শহরের কোন এক কোনে ছাউনি না পাওয়া, হেমন্তের নিঃসঙ্গ কাকটাও ভিজেছিল সারারাত!

12/09/2025

মানুষের প্রধান কাজ, মায়া তৈরী করা এবং মায়া কাটানো!

11/09/2025

জনতার মধ্যেই আছে নির্জনতা!

10/09/2025

কথা হবে না জেনেও আমি কথা জমিয়ে রাখি,
দেখা হবে না কখনো তবুও আকাঙ্ক্ষায় চেয়ে থাকি
কেউ আসবে না জানি, তবুও অপেক্ষায় বাঁচি!

01/09/2025

চিঠি দিবসের শুভেচ্ছা

26/08/2025

১৯৩১ সালে মুম্বাই ও কলকাতায় সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়। মুম্বাইয়ে নির্মিত হয় উপমহাদেশের প্রথম সবাক কাহিনীচিত্র ‘আলম আরা’ ও কলকাতায় ম্যাডান থিয়েটার্স কোম্পানির উদ্যোগে নির্মিত হয় প্রথম সবাক বাংলা কাহিনীচিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’। ম্যাডান থিয়েটার্স কোম্পানির উদ্যোগে কলকাতায় প্রথম নির্বাক বাংলা ছবি ‘বিল্বমঙ্গল’ নির্মিত হয় ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে। ম্যাডান থিয়েটারসই ১৯৩০-৩১ সালে প্রথম সবাক বাংলা সিনেমা নির্মানের উদ্যোগ নেয় বাণিজ্যিক কারণে। তখন সুর ভান্ডারীর কাজ করেন নজরুল। ১৯৩১ সালে বাংলা সবাক চিত্র ‘জলসা’য় নজরুল নিজের একটি গান গেয়েছিলেন এবং ‘নারী’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন। ১৯৩৩ সালে নির্মিত ‘কপাল কুণ্ডলা’র যুক্ত ছিলেন গীতিকার হিসেবে।

ম্যাডান থিয়েটার্সের অন্যতম অংশীদার ছিলেন মিসেস পিরোজ ম্যাডান। তিনি পায়োনিয়ার ফিল্মস প্রযোজনা সংস্থা স্থাপন করেন ১৯৩৩ সালে। এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে ১৯৩৪ সালে ‘ধ্রুব’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি নিয়ে গিরিশচন্দ্র ঘোষের লেখা ‘ধ্রুব চরিত’ অবলম্বনে নির্মাণ করা হয় ‘ধ্রুব’ সিনেমাটি। সঙ্গীতবহুল মেলোড্রামা ‘ধ্রুব’ সিনেমাটিতে ১৮টি গানের মধ্যে ১৭টি গান ছিল নজরুলের লেখা এবং তিনি এর সঙ্গীত পরিচালনাও করেন। তিনি দেবর্ষি নারদের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং একটি গানে কণ্ঠও দেন। এই ছবিটি সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনাও করেন নজরুল।

স্বর্গের সংবাদবাহক এবং দেবর্ষি নারদের কথা ভাবলে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে জটাধারী, লম্বা দাড়ি বিশিষ্ট বৃদ্ধ একজনের চেহারা। আমরা বিভিন্ন সিনেমা বা নাটকে দেবর্ষি নারদকে এই চেহরাতে দেখেই অভ্যস্ত। সেই ইমেজ সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়ে দেখা গেল এক সুদর্শন যুবককে। চুড়ো করে বাঁধা ঝাকড়া চুল, তাতে ফুলের মালা, ক্লিন শেভড, পরনে সিল্কের লম্বা কুর্তা, গলায় মালা, হাসি হাসি মুখ। চলচ্চিত্রের পর্দায় এভাবেই নারদরূপে আবির্ভূত হলেন নজরুল। সেখানে অনবদ্য অভিনয় করেন কাজী নজরুল। একজন পোড় খাওয়া অভিনেতার থেকে কোন অংশে কম যাননি তিনি। অসাধরণ চোখ মুখের অভিব্যক্তি (এক্সপ্রেশন) দিয়ে অভিনয় করেন নজরুল। ‘ধ্রুব’ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি মাসে।
নারদ চরিত্রের পৌরাণিক ইমেজ ভেঙে নতুন রূপ দিয়েছিলেন নজরুল। ফলে নজরুলের সাজসজ্জা নিয়ে পত্রিকায় সমালোচনা হয়।

‘ধ্রুব’ সিনেমাটির নজরুলের মেকআপ ও কস্টিউমের ব্যাপারে বর্ণনা করেছেন সেই সিনেমার সহকারী সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা নিত্যানন্দ ঘটক ওরফে নিতাই ঘটক। তিনি বলেছেন,
“বিদ্রোহী কবি এই চিরাচরিত প্রথার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করলেন। তিনি এই অশীতিপর নারদকে আটাশে নামিয়ে আনলেন। এতোদিনের বার্ধক্যপীড়িত নারদ এবার হলেন তরুন যুবক। পরনে তার সিল্কের পাড়ওয়ালা গুটানো ধুতি, গায়ে সিল্কের পাঞ্জাবী, মাথায় সুদৃশ্য চুড়া, তাতে ফুলের মালা জড়ানো, হাতে একতারা, পায়ে খড়ম – এ এক অপূর্ব নয়ন মনোহারী নারদ; দেখলে আর চোখ ফেরানো যায়না। বইখানি মুক্তি পাবার পর কাগজে আলোচনার ধুম পড়ে গেল।… এ কীরকম নারদ! এ যে দেখি ফিটফাট জামাইবাবু।” (নিতাই ঘটক, চলচ্চিত্রে নজরুলঃ স্মৃতির আলোয়, নজরুল একাডেমি পত্রিকা, হেমন্ত সংখ্যা, ১৯৯৩ ঢাকা)

একজন মুসলমান যুবক নারদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলে সেসময় বেশ বিতর্কও হয়েছিল। তার উপর বৃদ্ধ নারদের চিরাচরিত বেশ ভুষা পরিবর্তন করে দেওয়া। অনেকটা আগুনে ঘি ঢেকে দেওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। তবে নজরুল এইসব উটকো সমালোচনাকে পাত্তা দেননি। নজরুল জবাবে বলেন,
“আমার নতুন সাজে অনেকেই আতঙ্কিত হয়েছেন কিন্তু নারদের বয়সের উল্লেখ কোথাও কি আছে? তাঁকে বৃদ্ধ বৈরাগী বেশে দেখানো হয়েছে কোন প্রমাণের উপর নির্ভর করে? বরং তাঁকে চিরতরুণ রূপেই সকলের জানা আছে। আমি চিরতরুণ ও চির সুন্দর সকলের প্রিয় নারদেরই রূপ দেবার চেষ্টা করেছি।”

‘ধ্রুব’ সিনেমাটির চিত্রনাট্য যাত্রা বা থিয়েটারের ভঙ্গিতে লেখা হয়েছিল। এবং সেই ভঙ্গিমাতেই অভিনয় করা হয়। নজরুল নারদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সেটাই ছিল সিনেমাটির মূল আকর্ষণ। সিনেমাটি বহুদিন হাউস ফুল ছিল। আর সারওয়ার হোসেন লিখেছেন,
“১৯৩৩ সাল। কলকাতার বড় দিনের আসর মাতিয়ে তুলেছে দেবকী বাবুর ‘চণ্ডীদাস’। দেখতে ছুটে গেলাম দেশ থেকে, পথে দেখলাম বড় একটা প্রচারপত্র তাতে সে যুগের বাংলা ছবি পায়োনিয়ার ফিল্মস-এর ‘ধ্রুব’এর বিজ্ঞাপন দেওয়া। ভুমিকায় কারা ছিলেন ঠিক মনে নেই, যুগ্ম পরিচালক ও নারদের ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলামের নাম কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে। সে যুগে ফিল্মে-রেডিওতে দুরের কথা রেকর্ডেও বাঙ্গালী মুসলমান বলতে করোর নাম ছিল না। দু-একজন যারা ছিলেন তারাও আত্মগোপন করেছিলেন ছদ্মনামে। সুতরাং মুসলমানের সঠিক নাম দেখেই আমার কৌতূহল হল। ‘ধ্রুব’ দেখলাম এবং কাজী সাহেবকেও দেখলাম চিরকুমার নারদ রূপে, মানে ‘ক্লীন সেভড’ নারদ। সে যুগে এ কথাই শুধু মনে হত বাঙ্গালী মুসলমান হয়ে কাজী সাহেব কি করে এতটা সাহস পেলেন।” (চিত্র শিল্পে নজরুল, সিনেমা, মে, ১৯৫৩, ঢাকা।)

সিনেমাটির সহকারী সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা নিতাই ঘটক বলেছেন,
“দুটি চুক্তি পত্রই (ধ্রুব ছবির) পড়ে দেখলাম, কবির পত্রে লেখা আছে, যতদিন ছবির মিউজিক গ্রহণের কাজ চলবে তিনি মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবেন, আর আমার মাত্র চুক্তি মাসিক ৫০ টাকা মাত্র একই সময়ের জন্য। এরপর এক অদ্ভুত অনুরোধ এল ম্যাডান কোম্পনীর প্রোপাইটার ফ্রামজী ম্যাডান সাহেবের কাছ থেকে; তিনি কবিকে এই ছবিতে ‘নারদ’ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বললেন, তার ধারণা এতে বক্স অফিসের আকর্ষণ বাড়বে।”
ম্যাডান থিয়েটার্স প্রযোজনা সংস্থা বিভিন্নভাবে নজরুলের সাথে প্রাপ্য পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতারণা করে। ফলে নজরুল ১৯৩৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন। এরপর নজরুল আর নির্দিষ্ট প্রযোজনা সংস্থায় আবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা ও গান লেখার কাজে জড়িত হয়ে পড়েন।

বিস্তারিত পড়ুন কমেন্টে:

অনেকদিন দেখা হবে নাতারপর একদিন দেখা হবে।দুজনেই দুজনকে বলবো,‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।এইভাবে যাবে দিনের পর দিনবত্সরের পর বত্স...
25/08/2025

অনেকদিন দেখা হবে না
তারপর একদিন দেখা হবে।
দুজনেই দুজনকে বলবো,
‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।
এইভাবে যাবে দিনের পর দিন
বত্সরের পর বত্সর।
তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে
বা হয়ত জানা যাবে না,
যে তোমার সঙ্গে আমার
অথবা আমার সঙ্গে তোমার
আর দেখা হবে না।
একজন্ম - তারাপদ রায়

লেখাই ছিল যার ধ্যান যার জ্ঞান তার নাম তারাপদ রায়, তিনি লেখায় এত উৎসাহী ছিলেন যে, তিনি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে শুয়েও জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লিখে গেছেন।
আজ ২৫ আগস্ট তারাপদ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সুধীর রায়, মা রেনুকা রায়। বাবা এবং দাদু লগনচাঁদ রায় ছিলেন টাঙ্গাইল আদালতের প্রখ্যাত আইনজীবী। শহরের বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন তারাপদ রায়। তারপর পাড়ি জমান কলকাতায়। ভর্তি হন মাওলানা আজাদ কলেজে। সেখান থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে লেখাপড়া করেন। প্রথমে শিক্ষকতা করলেও পরে যোগ দেন সরকারি চাকরিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। কলকাতায় গিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি কবি হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। একপর্যায়ে বাংলার প্রসিদ্ধ কবি, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক হিসেবে জায়গা করে নেন। তাঁর রচিত অনেক গ্রন্থ রয়েছে। তিনি ‘গ্রন্থকীট’ ও ‘নক্ষত্র রায়’ ছদ্মনামেও লিখতেন। পেয়েছেন শিরোমণি পুরস্কার ও কথাসাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৫)।

“আমার নাম তারাপদ রায়,
পদ আছে, তারা নাই।”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর মধ্যরাত্রিতে পুরান ঢাকার ১০৯ আগা সাদেক রোডের পৈত্রিক বাড়ি “মো...
20/08/2025

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর মধ্যরাত্রিতে পুরান ঢাকার ১০৯ আগা সাদেক রোডের পৈত্রিক বাড়ি “মোবারক লজ”-এ জন্মগ্রহণ করেন মতিউর রহমান। তাঁর পিতা মৌলভী আব্দুস সামাদ ছিলেন সরকারী চাকুরে এবং মা মোবারকুন্নেসা ছিলেন গৃহিণী। মৌলভী আব্দুস সালাম পেশায় ছিলেন ঢাকা কালেক্টর অফিসের সুপার। নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রামে ছিল তাঁদের পৈত্রিক নিবাস। নয় ছেলে দুই মেয়ের পরিবারে জন্ম নেয়া মতিউর ছিলেন অষ্টম। ছেলেবেলা থেকেই তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, দুরন্ত, ডানপিটে। ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর মাঝে ছিল প্রতিভার দ্যুতি। মতিউরের বাবা মৌলবি আব্দুস সামাদ ছিলেন ছেলের উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সচেতন। তিনি তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানের সারগোদা পি. এ. এফ স্কুলে ভর্তি করাতে চাইলেন। পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যের কারণে বাঙালীদের সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীতে ভর্তি হওয়া ছিল খুবই কঠিন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বাছাই করা স্কুলের বাছাই করা ছাত্রদের মাঝে পরীক্ষা হলো ইংরেজি মাধ্যমে। ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে মেধাবী মতিউর ১৯৫৬ সালে সারগোদা পি. এ. এফ একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। দিনটি ছিল ৫ই এপ্রিল। মতিউর থাকতে শুরু করলেন টেমপেস্ট হলে। নতুন জায়গায়, অচেনা পরিবেশে পাকিস্তানী সহপাঠীদের অসহযোগিতার মাঝে মতিউরের সময় কাটতে লাগল। তিনি কখনোই উর্দু ব্যবহার করতেন না। ডাইনিং হলে খাবার খাওয়া নিয়েও অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রূপ সহ্য করতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি তাঁর মেধা দিয়ে, সীমাহীন সহ্যশক্তি আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার দুর্বার আকাঙ্ক্ষা দিয়ে সকল প্রতিকূলতা জয় করার চেষ্টা করেন। প্রথম পরীক্ষাতেই সবার জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। খেলাধুলায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন। ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল ও সাঁতারে সবাইকে অবাক করে দিলেন তাঁর ক্রীড়ানৈপুণ্যে। ১৯৬০ সালের মে মাসে মতিউর কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে মেট্রিক পাস করলেন ডিস্টিংশনসহ। এরপর দিলেন ISSB exam. এরপর ১৯৬১ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে তিনি রিসালপুরে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একাডেমিতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন জিডি পাইলট কোর্সে। পাকিস্তানীরা সবসময়ই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে। বিমান নিয়ে পাকিস্তানী পাইলটের সাথে ডগ ফাইট করতে গিয়ে সাজাও ভোগ করেছেন মতিউর। কিন্তু তবুও মতিউর ছিলেন একজন চৌকস ক্যাডেট। তাঁর একাগ্রতা, ইচ্ছা আর মেধার কাছে প্রতিহত হলো সকল বিপত্তি। এগিয়ে গেলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়ে পদোন্নতি হয় মতিউর রহমানের।

দেশে থাকাকালীন সময় ২৫ মার্চের কালরাতে তিনি ছিলেন রায়পুরের রামনগর গ্রামে। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সাথে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খোলেন। যুদ্ধ করতে আসা বাঙালি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র দিয়ে গড়ে তোলেন প্রতিরোধবাহিনী। পাক-সৈন্যরা ভৈরব আক্রমণ করলে বেঙ্গল রেজিমেন্টে ইপিআর-এর সঙ্গে থেকে প্রতিরোধ বুহ্য তৈরি করেন। ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি বিমানবাহিনী এফ-৮৬ স্যাবর জেট থেকে তাদের ঘাঁটির উপর বোমাবর্ষণ করে। মতিউর রহমান পূর্বেই এটি আশঙ্কা করেছিলেন। তাই ঘাঁটি পরিবর্তন করেন এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পান তিনি ও তার বাহিনী।
এরপর ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা আসেন এবং ৯ মে সপরিবারে করাচি ফিরে যান। কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে জঙ্গি বিমান দখল এবং সেটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি বিমান দখলের জন্য ২১ বছর বয়সি রাশেদ মিনহাজ নামে একজন শিক্ষানবীশ পাইলটের উড্ডয়নের দিন (২০ আগস্ট, ১৯৭১) টার্গেট করেন।
পরিকল্পনা অনুসারে কন্ট্রোল টাওয়ার ক্লিয়ারেন্সের পর মিনহাজ বিমানটি নিয়ে রানওয়েতে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিলে মতিউর রহমান সেফটি অফিসারের ক্ষমতাবলে বিমানটি থামাতে বলেন। মিনহাজ বিমানটি থামান এবং ক্যানোপি (জঙ্গি বিমানের বৈমানিকদের বসার স্থানের উপরের স্বচ্ছ আবরণ) খুলে বিমান থামানোর কারণ জানতে চান। এ সময় মতিউর রহমান বিমানের ককপিটে চড়ে বসেন এবং রাশেদ মিনহাজকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে ফেলেন। জ্ঞান হারানোর আগে রাশেদ মিনহাজ কন্ট্রোল রুমে জানাতে সক্ষম হন তিনিসহ বিমানটি হাইজ্যাক হয়েছে। কন্ট্রোল টাওয়ার মিনহাজের বার্তা শুনতে পায় এবং রাডারে বিমানের অবস্থান বুঝে অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। মৃত্যু আসন্ন জেনেও মতিউর রহমান বিমানটি নির্ধারিত সীমার নীচে চালিয়ে রাডারকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসার চেষ্টা করেন।
প্রায় ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় রাশেদ মিনহাজ জ্ঞান ফিরে পান এবং বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন। এ সময় রাশেদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রাশেদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন। বিমানটি কম উচ্চতায় উড্ডয়ন করার ফলে একসময় রাশেদসহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। মতিউর রহমানের সাথে প্যারাসুট না থাকাতে তিনি নিহত হন।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৫ জুন মসরুর বিমান ঘাঁটি থেকে তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে আনা হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর অবহেলায় থাকলেও মতিউর ফিরে আসেন তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন দেশে। ২৬ জুন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঠাঁই পান এদেশের মাটিতে। কোটি মানুষের মতো তাঁর চোখেও ছিল স্বপ্নের স্বাধীন দেশ স্থাপনের প্রত্যাশা৷ কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেননি৷ তাঁর ছোট্ট ব্লু বার্ড ১৬৬ বিমান ভূপতিত হলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাঁর স্বপ্ন। আর মৃত্যুর পূর্বে বাঙালিদের স্বাধীনতা লাভের স্পৃহার সর্বোচ্চ পরিমাণটি দেখিয়ে; কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানিদের মনে। তিনি আমাদের দৃঢ়তা, বীরত্ব ও স্বাধীন চেতনার প্রতীক হয়ে থাকবেন, বাংলাদেশের সমান্তরালে। এই মহান বীরের আজ ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মদিনে স্বাধীন এদেশের মানুষ তাঁকে ধারণ করে হৃদয়ের উচ্চাসনে, স্মরণ করে শ্রদ্ধায়৷

১৯৬৮ সালে জহির রায়হান পরিচালনা করেন  তৎকালীন পূর্ব  ও পশ্চিম পাকিস্থানের একমাত্র ও প্রথম রঙিন চলচিত্র ‘সঙ্গম’। ২১ ফেব্রু...
19/08/2025

১৯৬৮ সালে জহির রায়হান পরিচালনা করেন তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানের একমাত্র ও প্রথম রঙিন চলচিত্র ‘সঙ্গম’।

২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে ১০ জন প্রথম ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গ্রেপ্তার হন, জহির রায়হান ছিলেন তাদের অন্যতম। সেটিই তার জীবনের প্রথম কারাবরণ। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের উভয় সময়েই জহির রায়হান ছিলেন প্রথম সারিতে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাঙলা সাহিত্যে অনার্স করে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। এর পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা ও চলচ্চিত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৫৬ সালের শেষদিকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত বিখ্যাত চিত্রপরিচালক এ. জে. কারদার (আখতার জং কারদার) তখন পূর্ব পাকিস্তানের পটভূমিকায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের উর্দু সংস্করণ জাগো হুয়া সাভেরা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। জহির রায়হান এই চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক রূপে যোগ দিলেন। মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রের প্রধান পাত্র-পাত্রী ছিলেন আনিস (খান আতাউর রহমান) ও ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র।

জাগো হুয়া সাভেরা’র পরে তিনি এহতেশামের সহকারী রূপে এদেশ তোমার আমার ও সালাউদ্দিনের যে নদী মরু পথে চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এসময় তিনি সুমিতা দেবীকে বিয়ে করেন।

এরপর নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্রতী হন; ১৯৬১ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘কখনো আসেনি’। সেটি ব্যবসাসফল হয়ে উঠতে পারেনি, তবে সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়তে পেরেছিল। এরপর এক এক মুক্তিলাভ করে কাঁচের দেয়াল (পাঁচটি প্রেসিডেন্ট পুরস্কারপ্রাপ্ত), সোনার কাজল, সঙ্গম (পাকিস্তানের প্রথম রঙ্গীন চলচ্চিত্র), বাহানা (পাকিস্তানের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র), বেহুলা, আনোয়ারা, জীবন থেকে নেয়া (প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্র) প্রভৃতি। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় তিনি নির্মাণ করেছিলেন কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’। চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। পাশাপাশি প্রযোজনা করেন জুলেখা, দুইভাই, সংসার, সুয়োরাণী-দুয়োরাণী, কুচবরণ কন্যা, মনের মতো বউ, শেষপর্যন্ত প্রতিশোধ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে।

প্রায় সমাপ্ত করেছিলেন বহুভাষিক আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী চলচ্চিত্র “লেট দেয়ার বি লাইট”। উদ্যোগ নিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলন কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র একুশে ফেব্রুয়ারি নির্মাণের। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি ছোটগল্পকার ও ঔপন্যাসিক হিসেবে সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। সূর্য সংগ্রাম, তৃষ্ণা, বরফ গলা নদী, হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন, কতগুলো মৃত্যু প্রভৃতি তাঁর সৃষ্টিশীল সাহিত্যকর্ম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি সচেতনভাবে চলে যান ভারতে। যুদ্ধে তুলে নেন তাঁর প্রিয় অস্ত্র ক্যামেরা। দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগ করেন চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে প্রবাসী মুজিবনগর সরকার তথা আওয়ামী লীগের বিরাগভাজন হন। তাঁর কালজয়ী সৃষ্টিকর্ম স্টপ জেনোসাইড এর নির্মাণ ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়। অনেক সেক্টরে স্যুটিং এর জন্য প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও ইচ্ছায় প্রামাণ্যচিত্রটি সমাপ্ত হলেও সেন্সর বোর্ডে আটকে দেবার চেষ্টা করা হয়। এমনকি আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা এজন্য অনশন ধর্মঘট পর্যন্ত করেছিলেন। সব বাধাকে অতিক্রম করে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড মুক্তিলাভ করে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে স্টপ জেনোসাইড- ই সবচেয়ে শৈল্পিক ও মানবীয় আবেগ সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র হিসাবে স্বীকৃত।

এছাড়াও তিনি এসময়ে নির্মাণ করেন এ স্টেট ইজ বর্ন প্রামাণ্য চিত্রটি। মুজিবনগর সরকারের আদর্শ উদ্দেশ্যের সাথে বাংলাদেশের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা সংযুক্ত করে নির্মিত চলচ্চিত্রটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়েছিল। এসময় তিনি প্রযোজনা করেন আরো দুটি প্রামাণ্যচিত্র- লিবারেসন ফাইটার্স ও ইনোসেন্ট মিলিয়ন্স।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের মাটিতে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন বিলাস বহুল হোটেলে আমোদ-ফূর্তিময় জীবন যাপন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষ আওয়ামী আদর্শে বিশ্বাসহীন বাঙালিদের নির্মূল করার ষড়যন্ত্র- প্রভৃতির প্রামাণ্য দলিল জহির রায়হান সংগ্রহ করতে থাকেন। দেশ স্বাধীন হলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত অধিকার হতে বঞ্চিত হওয়া, যুদ্ধের কৃতিত্ব পুরোটই ভারতের অধিকারে চলে যাওয়া, ভারতীয় বাহিনীর স্বেচ্ছাচারিতা, এবং বেশ কয়েকদিন ভারতীয় বাহিনীর শাসন চলা প্রভৃতি ঘটনাবলী জহির রায়হানকে বেশ ক্ষুব্ধ করে তোলে। তাছাড়া আদর্শস্থানীয় বড়ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার দেশ স্বাধীন হবার ঠিক পূর্বে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তাকে বিচলিত করে তোলে। এসব ঘটনা তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দেয়।

১৯৭৪ সালে তিনি অভিনয় করেন ‘দ্য গডফাদার: পার্ট টু’-তে। এ সিনেমায় মারিও পুজোর ১৯৬৯ সালের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য গডফাদার’-কে ...
17/08/2025

১৯৭৪ সালে তিনি অভিনয় করেন ‘দ্য গডফাদার: পার্ট টু’-তে। এ সিনেমায় মারিও পুজোর ১৯৬৯ সালের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য গডফাদার’-কে রুপালি পর্দায় তুলে ধরা হয়। এ সিনেমাটি ৪৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে ৯টি বিভাগে মনোনীত হয় এটি এবং ৬ বিভাগে জয় করে নেয় পুরস্কার। ওই বছর সেরা ছবির অস্কার পুরস্কারও জেতে সিনেমাটি। এ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো অস্কার পান রবার্ট ডি নিরো।

এরপর ১৯৭৬ সালে ‘মিন স্ট্রিটস’ সিনেমার কারণে প্রযোজক মাইকেল ফিলিপস আর চিত্রনাট্যকার পল শ্র্যাডার তাদের ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ সিনেমার জন্য ‘মিন স্ট্রিটস’ সিনেমার পরিচালক মার্টিন স্করসেসি আর অভিনেতা ডি নিরোকে পছন্দ করেন। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ সিনেমাটি।

ওই সময় অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী ও সেরা সুরায়োজনের মনোনয়ন পেয়েছিল এই সিনেমাটি। তবে শেষ পর্যন্ত অস্কার জয়ে ব্যর্থ হলেও কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ’৭৬-এর সেরা চলচ্চিত্রের পাম ডি’অর ঠিকই অর্জন করে নেয় ডি নিরো অভিনীত সিনেমাটি।

এরপর ১৯৭৮ সালে দ্য ডিয়ার হান্টার ১৯৮০ সালে দ্য কিং অব কমেডি, রেজিং বুল সিনেমায় অভিনয় করার পর একে একে অভিনয় করেন গুডফিলাশ, দ্য আনটাচেবলস, দ্য ইনটার্ন, দ্য আইরিশ ম্যান, অ্যাওকেনিং, ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন আমেরিকা, ক্যাপ ফিয়ারের মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ৯০টিরও অধিক সিনেমায় অভিনয় করা ডি নিরো মূলত দ্বিধান্বিত ও যন্ত্রনাগ্রস্ত মানুষের চরিত্রে বেশি অভিনয় করেছেন। অভিনয় ক্যারিয়ারে দুবার অস্কার পেলেও চারবার অভিনেতা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

৮০ বছরের জীবনে এত এত অর্জন আর পৃথিবীব্যাপী পরিচিতিতে হলিউডে এই অভিনেতাকে প্রজন্মের উৎকৃষ্টতম চলচ্চিত্রাভিনেতাদের একজন হিসাবে গণ্য করা হয়। অনেকে মার্লোন ব্রান্ডো'র যোগ্য উত্তরসূরি মনে করেন হলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি রবার্ট ডি নিরোকে।

১৯৪৩ সালে ১৭ আগস্ট জন্ম নেয়া এই অভিনেতা ক্যারিয়ারে প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৭৩ সালে ‘মিন স্ট্রিটস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। মার্টিন স্করসেসির পরিচালনায় এ সিনেমা দিয়ে পরিচালকের মতো ডি নিরোকেও আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

১৭ বছর বয়সে ডি নিরোর ইচ্ছা হয় অভিনেতা হবেন। ওই সময় অনেকেই ডি নিরোকে বলেছিলেন, জীবনের শেষ পেরেক ঠুকে দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে হলিউডের অভিনয়শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন রবার্ট ডি নিরো।

ব্যক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সফলতাকেই জীবনে চলার পথে সঙ্গী করে নিয়েছেন। স্কুলের গণ্ডি পেরোতে যে স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘ সময় নিয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিক থেকে হয়েছিলেন ড্রপ আউট। কে জানত একদিন তিনিই হয়ে উঠবেন পৃথিবীবিখ্যাত!

শুভ জন্মদিন নিরো 🌸

Address

Eastern Housing
Mirpur
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Mrityukhudha Society posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category