17/09/2025
হাসান এর বন্ধু সিফাত বিশ্বাস এর আইডি থেকে নেয়া।
৩ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও আমাদের প্রিয় বন্ধু ও ভাই হাসানের ট্র্যাজেডির কোনো সুরাহা হয়নি।
ঘটনার বিস্তারিতটা আজও বুক কাঁপিয়ে তোলে।
১১ই জুন, ক্রিসতং-রুংরাং সামিট শেষ করে টিম নিয়ে শামুক ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শামুক ঝিরিতে ঠিক কী ঘটেছিলো সেই আলোচনায় না যাই, তবে সেই দিন টিমের হোস্ট খোদ হাসানসহ আরও দুইজন নিখোঁজ হয়ে যায়। ২২ জনের টিম থেকে হঠাৎ করেই তিনজন হারিয়ে যাওয়া এ যেন এক দুঃস্বপ্নের মতো মুহূর্ত।
পরদিন, ১২ই জুন, শেখ জুবাইরুল ইসলামের নিথর দেহ ভেসে ওঠে মাতামুহুরি নদীতে। আর ১৩ই জুন, আলীকদমের আমতলী ঘাটে উদ্ধার হয় স্মৃতি আক্তারের লাশ। কিন্তু এর পর থেকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত শুধু একটাই প্রশ্ন হাসান কোথায়?
ঘটনার পর প্রশাসন, আমাদের ট্রাভেল সেক্টরের ভাইরা, স্থানীয় গাইডসহ অনেকে টানা কয়েকদিন চেষ্টা চালিয়েছেন। একাধিকবার অনুসন্ধান, প্রেট্রোলিং হয়েছে দুর্ঘটনা-সংলগ্ন স্থানগুলোতে। এর মধ্যে হাসানের ব্যাগ, কিছু কাপড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিলো। কিন্তু হাসানের কোনো খুঁজ পাওয়া যায়নি।
সময়ের পর সময় গড়িয়েছে। দিন পেরিয়েছে, সপ্তাহ পেরিয়েছে, মাস পেরিয়ে আজ তিন মাস। কিন্তু হাসানের জীবনের পাতা এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে। জানি না আমাদের ভাই, আমাদের বন্ধুর গল্পের সমাপ্তি কবে হবে।
আমাদের মনে হাজারো প্রশ্ন জাগে
হাসান কি আদৌ বেঁচে আছে?
নাকি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে অচেনা অন্ধকারে নিখোঁজ হয়ে গেছে?
নাকি সত্যিই তার জীবনের পাতায় এমনই লেখা ছিলো যে, একদিন সে মৃত্যুবরণ করবে কিন্তু কেউ তার লাশটাও দাফনের জন্য খুঁজে পাবে না?
হয়তো এসবের উত্তর কেবল খোদ সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
আজও হাসানের ট্র্যাজেডি এক রহস্য হয়ে আছে। আমাদের মনে শুধু দোলা দিয়ে যায় এক অশেষ ব্যথা আর এক অনন্ত অপেক্ষা যদি কোনোদিন ফিরে আসে, যদি কোনোদিন মিল খুঁজে পাওয়া যায় আমাদের প্রিয় হাসানের।
#সিফাত_বিশ্বাস