08/07/2024
অনেকসময় আমাদের শারীরিকভাবে নিজেদের ক্লান্ত যতটা না লাগে, তার থেকে বেশী ক্লান্ত লাগে মানসিকভাবে। ভিতরে যত রাজ্যের কথারা ভিড় বাড়াতে থাকে, তারা হদিশ খুঁজে পায়না কোন গলি দিয়ে ফাঁকা রাস্তাতে উঠবে। সামনে অনেক চেনা লোক, প্রিয়জনদের ভিড়। তবুও ইচ্ছে করেনা তাদেরকে ডাকতে, কথা বলতে। তাদের আনন্দ করতে দেখে, হাসি খুশি দেখে মনের মধ্যে একটা বৈপরীত্য তৈরী হয় । আমি যে সহানুভূতির কাঙ্গাল নই ! তখন মনে হয় দূরে সব ছেড়ে চলে যাই যেখানে আমার মতো কিংবা আমার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় মগ্ন মানুষের কাছে। আমিও কর্মপ্রিয়। তারাও কর্মপ্রিয়। তাদের সাথে থেকে নিজেকে যুজে নেওয়ার রসদ খোঁজার তীব্র ক্ষুধা জন্মায় ।
যেখানে না মেলে চ্যাটবক্সে সুখ, না পাই সহমর্মিতার উর্দ্ধে কোনো কিছু, শুধু গাদাগুচ্ছের স্যাড ইমোজি আর কেয়ার ইমোজি দেখিয়ে আজকের সমাজ ছদ্মরূপে এই বোঝাতে চেষ্টা করে যে, আমি তোমার পাশে আছি। এটা চরম আপেক্ষিক। আদতে কেউ সেইঅর্থে খোঁজ রাখেনা। কেন রাখবে ? আসল কথা হল প্রায় কেউই কারোর দুঃখে নিজেকে জড়াতে চায়না। যদিও কেউ রাখে তা হল ওই হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে হালকা করে একটু ইমোজি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া কিংবা দু এক কথা বলে খালাস হওয়া। এর বেশি কিছু না। আর জানতে চেষ্টা করিনা।
আসলে একটা জিনিস আমার বারবার করে মনে হয়েছে, কারোর জীবনই গোলাপের পাঁপড়ি নয়, কিন্তু সবার জীবনে বেলকাঁটার সংখ্যাটাও সমান নয়। কারোর কম , কারোর বেশি। তাই কথায় কথায় অনেকে সবটা না জেনে বলে ফেলি : ..."আমারও তোর মতো একই অবস্থা ভাই .." এবং বলে একে অপরকে নিউট্রালাইজ করার চেষ্টা করি। কিন্তু আদতে কারোর অবস্থা কারোর মতো হয়না।
প্রত্যেকের জীবনের অধ্যায় আলাদা। তাই শুধু সূচীপত্র দেখেই সব বোঝা যায়না কে কি অবস্থায় আছে না আছে।।
অন্যরকম ক্লান্ত আমি…
দেখছো কি হে অন্তর্যামী…??