Ahasan’s Dairy

Ahasan’s Dairy আমি আমিই� Oskhali,Hatiya,Noakhali

17/11/2024
😍🥰
17/12/2023

😍🥰

25/10/2023

কাপল ভ্লগিং:

ভ্লগ জগতের বড় নির্লজ্জ আর আত্মমর্যাদাহীন একটি প্রকার হলো কাপল ভ্লগিং। কাপল ভ্লগিংয়ের মানে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে নিজেদের পারিবারিক জীবনযাত্রা, ভ্রমণ, ঘুরে বেড়ানোসহ সকল কিছু নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করা। কিছুদিন আগেও এই টাইপের ভ্লগিংয়ের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কয়েকজন কাপল এই ধরনের ভ্লগিং করে মিডিয়া জগতে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসার পর থেকে এর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাপকভাবে বিবাহিত তরুণ-তরুণী এই ধরনের ভ্লগিংয়ের দিকে ঝুঁকছে।

কোনো আত্মমর্যাদাবান পুরুষ ও নারীর পক্ষে কাপল ভ্লগিং করা সম্ভব না। কিন্তু ভ্লগের এই ট্রেন্ড আমাদের অনেকের হায়া, লজ্জা আর আত্মমর্যাদাবোধকে বিকিয়ে দিয়েছে।
দাম্পত্যজীবন একান্তই ব্যক্তিগতভাবে উপভোগ করার একটা জীবন। পারিবারিক এই সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্তই খুবই দামি ও অমূল্য সময়। এই জীবনের চিত্র মানুষকে দেখিয়ে বেড়ানোর নয়। টাকা আর ভাইরাল হওয়ার নেশায় আমরা নিজেদের সিক্রেট লাইফটাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখের বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছি।নিজেদের ভেতরকার খুনশুটি, রান্নাবান্না, আলিঙ্গন, বিছানায় শয়ন, বাইরে ঘুরে বেড়ানো সকল মুহূর্তকেই আমরা টাকা আর ভিউয়ের বিনিময়ে সস্তা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছি।

নববি যুগ থেকে মুসলিমদের গায়রাত তো এমন ছিল যে, তাদের স্ত্রীকে কোনো পরপুরুষ ঘটনাক্রমে দেখে ফেলবে এটাই তারা কল্পনা করতে পারতেন না। ইচ্ছা করে দেখিয়ে বেড়ানো তো দূরের বিষয়। কয়েক যুগ আগেও মুসলিম সমাজে এই রীতি ছিল না। বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন আমাদের সমাজের দীনি রক্ষণশীলতাকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে।

এটা কীভাবে সম্ভব যে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে নেটের বাজারে ছেড়ে দিয়ে ইনকামের চিন্তা করবে। এটা কি নিজের স্ত্রীর সৌন্দর্য, দেহ, জীবনাচার ইত্যাদি অনলাইনে বিক্রি করে দেওয়া নয়? আমি আমার স্ত্রীকে স্পর্শ করছি, আলিঙ্গন করছি, চোখে চোখ রেখে ভাব বিনিময় করছি, অন্দরমহলে দৈনন্দিন খুনশুটি করছি, একসাথে দুজন খাবার খাচ্ছি—এই মূল্যবান মুহূর্তগুলো কি বিক্রি করে দেওয়ার মতো, বাজারে ছেড়ে দেওয়ার মতো? কীভাবে একজন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নিজের স্ত্রীকে তাবাররুজের মতো ভয়াবহ ও অভিশপ্ত একটি চর্চার দিকে ঠেলে দেওয়া?

আর মেয়ের পক্ষেও বা কীভাবে সম্ভব নিজেকে এভাবে হাজার হাজার মানুষের সামনে প্রদর্শন করে বেড়ানো, নিজের স্বামীর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো নেটের জগতে দেখিয়ে বেড়ানো? তাবাররুজের এর চেয়ে ভয়াবহ আর নিকৃষ্ট চিত্র আর কী হতে পারে! নিজেকে দেখিয়ে বেড়ানো, হাজার হাজার পুরুষের দৃষ্টির বাজারে নিজেকে উন্মুক্ত করে দেওয়া, অ্যাটেনশন পাওয়া, নির্লজ্জ বিনয়বিহীন অ্যাক্টিভিটিসহ তাবাররুজের প্রতিটি বৈশিষ্ট্যই এখানে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান।

কোনো মুসলিম নারী-পুরুষ তো দূরের কথা, কোনো আত্মমর্যাদাশীল ও ব্যক্তিত্ববান নারী-পুরুষের পক্ষেও এটা করা সম্ভব না। কিন্তু নৈতিকতা বিবর্জিত আধুনিক ভোগ, পুঁজি আর বিনোদন ভিত্তিক কালচার আমাদের হায়া, গায়রাত, ব্যক্তিত্ব, সুস্থ বোধশক্তি সবকিছুকেই মিটিয়ে দিয়েছে।

বই: সৌন্দর্য প্রদর্শন, ৮১-৮২ পৃষ্ঠা

27/08/2023

এই প্রথমবারের মত বিশ্ব দেখবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অভিযান। যা এতদিন মানুষের জ্ঞানের আড়ালে ছিল।

এই অভিযানের সফল নায়ক হচ্ছে ইসরো। অভিনন্দন ভারতকে।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো ভারত মহাসাগরের মৎস্য সম্পদ আহরণে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে বহু বছর আগে। ইসরো স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সমুদ্রে মৎস্য বিচরণ ক্ষেত্রের ইমেজ সরবরাহ করে তাদের ফিশারি ডিপার্টমেন্টকে। ফিশারি ডিপার্টমেন্ট তা সরবরাহ করে জেলে বা মৎস্য সংগ্রহকারীরা সেই ইমেজ দেখে ছুটে যায় ঐ এলাকায়। জেলেদের এখন অন্ধের মত ঘুরতে হয়না, সমুদ্রে।

আমাদের নিয়ে অনেক কথা বলার ছিল। ৩০ বছর অনেক কিছু দেখেছি। এখনো দেখছি। শুধু টাকা কামাবার জন্য কাকে কোথায় বসানো হয়, সেটাও দেখেছি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে বৃহৎ কল্যাণ কিভাবে ধ্বংস করা হয়, সেটাও দেখেছি।

চরম দুর্নীতিবাজদের কিভাবে উন্নতি ঘটেছে, সেটাও দেখেছি। তাদের কত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে, সেটাও দেখেছি।

আমারাও একদিন চাঁদে যাব, তখন পৃথিবী নামক গ্রহ থাকবে না।

07/08/2023

শ্রী কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও যীশু নয়
সব অপরাধ শুধু নবী মুহাম্মদের (সাঃ) !

কেন ?

বিশ্বাসী -অবিশ্বাসী , মুসলিম -অমুসলিম, সবার মনেই এই প্রশ্ন,
কেন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর এত বদনাম ?
কেন তাকে অপমান করার চেষ্টা করতে হবে?

যখন উগ্রবাদী শিবসেনা, ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে, কিংবা কেউ অন্যায়ভাবে কাশ্মীরিদের হত্যা করে, তখন কেউ কিন্তু শ্রী কৃষ্ণকে এইজন্য দায়ী করেনা I
যখন বার্মায় রোহিজ্ঞাদের উপর এমন পাশবিক
গণহত্যা হলো তখন কেউ এই গন হত্যার জন্য বুদ্ধকে অপমান করার চেষ্টা করেনি I
একইভাবে, ১.৫ মিলিয়ন ইরাকিদের হত্যার দায় যীশুর নেই I

প্রশ্ন হলো, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর এত বদনাম কেন ?

তাঁর কি অপরাধ?

কারন হলো, নবী মুহাম্মদ (সাঃ), অন্যদের মত, শ্রী কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও যীশুর মত শুধুমাত্র একজন ধর্মপ্রচারক ছিলেন না I
তিনি এই পৃথিবীতে এক ধরণের বিপ্লব নিয়ে এসেছিলেন I
এই কথাটি কেন বলেছি, সেই বিষয়ে কিছু তথ্য দেই, তারপর আমরা আবার মূল প্রশ্নে চলে আসবো I

আপনি কি জানেন, নবী হওয়ার পর এই মানুষটি, সর্বপ্রথম সমাজে কি পরিবর্তন চেয়েছিলেন ?

তিনি চেয়েছিলেন, নারীর অধিকার I

সমাজ পরিবর্তনের জন্য কোরআনের আয়াতগুলিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাজালে
প্রথম আয়াতটির মূল বিষয় ও আদেশ ছিল, "নারী শিশুদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া যাবে না"

এর পর কিছুদিন পরই তিনি বললেন, একজন নারী তার পিতার, স্বামীর ও সন্তানের সম্পদের অংশীদার হবে I

রাসূল (সাঃ) যখন এই ঘোষনা দিলেন, তখনই তিনি সমাজপতিদের রোষানলে পড়ে গেলেন I
এত দিনের মেনে চলা এই সংস্কৃতি ও আইনের বিরুদ্ধে, এই মত তারা মেনে নিতে পারেনি I

(নারী শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়ার মত অপরাধ এই পৃথিবীতে এখনো আছে, আধুনিক ভারতে প্রতিদিন দুই হাজার নারী শিশুর এবরশন হয় কিন্তু কত জন নারীবাদী এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন ?)

তারপর আসলো ক্রীতদাসের কথা I

তিনি জানালেন, মানুষ আর মানুষের ক্রীতদাস হতে পারে না I
মৃত পিতার রেখে যাওয়া ইথিওপিয়ান ক্রীতদাসী উম্মে আইমানকে নিজের মা, আর উপহার হিসাবে পাওয়া জায়েদকে নিজের ছেলে, হিসাবে যখন সমাজে পরিচয় করিয়ে দিলেন, তখন সারা পৃথিবীতে আলোচনা শুরু হয়ে গেলো,

মুহাম্মদ আসলে কি চায় ?

ক্রীতদাস ছাড়া সমাজ ব্যবস্থা কেমন করে চলবে? অর্থনীতি কি করে আগাবে? ক্রীতদাসের দল মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করলে কি অবস্থা হবে ?

ব্যাস, তিনি হয়ে গেলেন সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু I

(আজকের আধুনিক ইউরোপীয়ানদের হাজার বছরের ক্রীতদাস প্রথা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে I ব্ল্যাক লাইভস ষ্টীল ডাজ নট মেটার )

ম্যালকম এক্সের মত বিপ্লবীরা, মুহাম্মদ আলীর মত শক্তিমান পুরুষরা যখন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালোবাসতে শুরু করলো, তখনই তাদের মনে হলো, সব অপরাধ ঐ আরব লোকটিরই I

তিনি বললেন,
ধনীদের সম্পদের সুষম বন্টন হতে হবে I তাদের সম্পদের উপর গরিবের অধিকার আছে I
তিনি ঘোষণা দিলেন, সবাইকে জাকাত দিতে হবে I
সমাজের ধনী ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাবানরা ভাবলো,
মুহাম্মদ একজন সমাজ বিপ্লবী, তাকে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে I

শেক্সপিয়ারের শাইলকের মত লোভী সব ইহুদি মুদ্রা ব্যবসায়ীদেরকে সুদ বন্ধ করতে আদেশ দিলেন I
ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্যকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করলেন I
সবাই ভাবলো, মুহাম্মদ একজন সোসালিস্ট, তাকে মেরে ফেলতে হবে I

নিজের অনুসারীদেরকে বললেন,
তোমরা আর মদ পান করবে না I সমাজে অন্যায় অবিচার কমে গেলো I চুরি ডাকাতি কমে গেলো I
মাতাল স্বামীর সংখ্যা কমে যাওয়ায়, নারী নির্যাতন প্রায় বন্ধ হয়ে গেলো I
অসভ্য পুরুষের মনে হিংসা শুরু হলো, এ লোক পাগল নাকি? মদ খাবে না, নারীকে নিয়ে ফুর্তি করবে না
সে কোন ধরণের সমাজ চায়?
মাদক ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে মুহাম্মদকে ঠেকানোর জন্য নতুন পরিকল্পনা শুরু করলো I

অসহায় মানুষের কষ্টার্জিত সম্পদ নিয়ে জুয়ার আসরের নিষেধাজ্ঞা আসলো I
মুহাম্মদের আর কোন রক্ষা নেই I সে বড় বেশি বাড়া বাড়ি করছে I
জুয়ার ব্যবসা ছাড়া সমাজে বিনোদনের আর কি রইলো ?
মুহাম্মদকে ঘর ছাড়া করতে হবে I তার সব আয়-রোজগার বন্ধ করতে হবে I

এখন কি বুঝতে পারছেন,
কেন মুহাম্মদের এত অপরাধ ?

এই যে এখন, নবী মুহাম্মদকে (সাঃ) কে এত বছর পর অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে
তার কি কারন?
শুধু "ফ্রীডম অফ স্পিচ" ?

নো I

যে মানুষটির অনুসারীরা শুধু ভালোবাসা দিয়ে একসময় আফ্রিকা বিজয় করেছিল
সেই আফ্রিকার ২৪ টি দেশের, শত বছরের কলোনিয়াল নির্যাতন নিপীড়ন ও শোষণ থেকে যখন আলজেরিয়া ও তিউনেশিয়ার মত দেশগুলি অর্থনৈতিক ও রাজনৌতিক মুক্তি চেয়েছে
তখনই নবী মুহাম্মদ হয়ে গেলেন বড় অপরাধী I
লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে, অসহায় ও নিরপরাধ মানুষকে নিজের ক্রীতদাস করে রেখে যে সম্পদের পাহাড় তারা একসময় গড়েছেন, সেটি যখন হুমকির মুখে তখনই সব রাগ ও ক্ষোভ এসে জমা হয়েছে I
এখন তাদের নবীকে অপমান করতে হবে, তাঁর ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শন করতে হবে I
তারপর আফ্রিকাতে আবার জঙ্গি দমানোর জন্য ন্যাটো বাহিনীকে পাঠাতে হবে I

কিন্তু তারা পারবে না I

পিউ রিসার্চের গবেষণা অনুযায়ী, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে I
আপনি দেখবেন কিছু দিন পর এই সংখ্যা হবে, দশ হাজার I
কারন হলো, এই ঘটনার পর, মানুষ জানতে চাইবে ,

কে এই মুহাম্মদ ?

প্রথমেই সে জানবে I
মানুষটি শুধু আমাদেরকে মনে প্রাণে একজন মাত্র সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসতে বলেছেন I
মানুষরূপী কোন খোদার কাছে মাথানত করতে নিষেধ করেছেন I

একজন মানুষের জন্য শুধু এতটুকু জানাই যথেষ্ট I

এখন কেউ যদি চোখ বন্ধ করে সূর্যের আলোকে দেখতে না চায়, তাহলে কি সূর্য আলো দেয়া বন্ধ করে দিবে নাকি সূর্যের আলো হারিয়ে যাবে ?

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন এই পৃথিবীতে সেই আলো I
এই আলোকে কেউ লুকিয়ে রাখতে পারবে না I

"Truth is Truth"
ইউ ডিনাই অর ইউ একসেপ্ট



-ডা.শামছুল আলম

ঝুলছে তালা, ঝুলবে তালা!!শিক্ষক নাকি জাতির বিবেকরাস্তায় কেন তারা আজ?শিক্ষামন্ত্রী ভেবেছেন কি,আছে কি জবাব?স্মার্ট নাকি হবে...
30/07/2023

ঝুলছে তালা, ঝুলবে তালা!!

শিক্ষক নাকি জাতির বিবেক
রাস্তায় কেন তারা আজ?
শিক্ষামন্ত্রী ভেবেছেন কি,আছে কি জবাব?
স্মার্ট নাকি হবে বাংলা, ৪১ সালে!
১২৫০০ টাকা বেতন নিয়ে শিক্ষক কেমনে চলে?
শিক্ষা গুরুর পায়ে হাতের বদলে,
লাঠি চালান যারা সজোরে,
তাদের আড়াল করেন বুদ্ধিজীবী সকলে!
গণমাধ্যামে টকশো চলে, নিউজ কতশত,
বাদ যায় শুধু লাখো শিক্ষকের কষ্ট আছে যতো!
ডিভোর্স কিংবা হিরোর কথা প্রচারে নেই বাঁধা,
লাখো শিক্ষক প্রেসক্লাবে কে দেখেছে সদা?
নেই রিপোর্টে, সংবাদে, সবখানেই বাঁধা।
বাজেট হয় লাখ টাকার, শিক্ষাতেই ধাঁধা !
দাবির কথা তুললে বলে, মহামানব একি?
মুখে শুধু নীতিবাক্য ভরায় নাতো পেট,
অসুস্থতায় আটকে থাকে ডাক্তারেরই ভিজিট।
দরিদ্ররাই ঝরে পরে শিক্ষা থেকে দূরে,
বেতন-ফিসের জ্বালায় তারা হাপিত্যেশে মরে!
আছেন যারা ধনীর দুলাল ২০ টাকা দেন বেতন,
এক দেশে দুই নীতি এ আবার কেমন!
সংবিধানে শিক্ষা যদি মৌলিক অধিকার হয়,
প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন জাতি তা শুধায়?
ঝুলছে তালা, ঝুলবে তালা বিদ্যালয়ের গেটে,
যতক্ষন না শিক্ষকদের দাবি না মেটে!
শিক্ষক আমি জাতির বিবেক,
মাথা নোয়াই না তাই।
এসো সবে শিক্ষাখাতে বৈষম্য মিটাই।
ধনী আর গরীবে ভেদাভেদ তো নাই,
একই টাকায় শিক্ষা নিবে, অধিকার বলে তাই!
বৈষম্যের আগুন জ্বলে, নিভে না স্বদাই।
সরকার আজ নিষ্ক্রিয় কেন, জবাব চাই?
চান যদি খুলতে বিদ্যালয়ের তালা,
আসুন তবে প্রেসক্লাবে, শুনুন মোদের জ্বালা।
সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি, এইতো মোদের চাওয়া।
তাইতো হাল ধরেছি, এই তরী বাওয়া!
এক নীতিতে চলবে শিক্ষা, হবে জাতীয় করন!
এই জন্যই লাখো শিক্ষকের কষ্ট করা বরণ!!

ফারজানা ইয়াসমিন
প্রভাষক(ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান)
উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজ,
আমতলী, বরগুনা।

16/06/2023

ইসলাম ধর্ম কি আসলেই একসাথে একাধিক স্ত্রী রাখার ব্যাপারটা উৎসাহিত করে?

ইদানিং একটা গ্রুপ বের হয়েছে যারা দেখি একজন স্ত্রী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় একাধিক বিবাহ করার পক্ষে অ্যাডভোকেসি করে বেড়ায়। তাদের কথাবার্তা শুনলে মনে
হয় এই একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা বোধহয় খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা এবং ইসলাম ধর্মই বোধহয় এই ব্যাপারটা প্যাট্রোনাইজ করে।

কিন্তু আসলেই কি ব্যাপারটা এমন?

এই ব্যাপারে ঘাটাঘাটি করে দেখবার চেষ্টা করলাম খানিকটা। কোরআন এবং হাদিসের কিছু রেফারেন্স নিজে পড়ে দেখার চেষ্টা করলাম। সাথে এই ইস্যুতে কয়েকজন আলেমের ( কাঠমোল্লা টাইপ কেউ না, বরং যাদের বিস্তর পড়াশোনা আছে এবং যারা ধর্ম প্রচারের নামে ফাতরামি করে বেড়ায় না) এই ব্যাপারে মতামত কী, সেগুলোও দেখার চেষ্টা করলাম। সবকিছু মিলিয়ে আমার একটা মতামত লেখার চেষ্টা করছি এখানে।

ইসলামে পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ের পার্মিশন আছে,
সেটা বুঝাতে অনেকে রেফার করে কোরআন শরীফের
সূরা নিসার ৩ নং আয়াত।

কিন্তু কথাটা হল তারা আংশিক আয়াত রেফার করে পুরো
৩ নং আয়াত না পড়েই। ৩ নং আয়াত পুরোটা পড়লে বোঝা যায় যে ওই একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা হোলসেলভাবে বলা হয় নাই, বরং তা অত্যন্ত কঠোর শর্তযুক্ত।

এবং বিচ্ছিন্নভাবে শুধুমাত্র ৩ নং আয়াত পড়লে প্রেক্ষাপট পুরোপুরি বুঝা যায় না। ২ নাম্বার আয়াতের সাথে ৩ নাম্বার আয়াত পুরোপুরি সম্পর্কিত।

সবার আগে জানতে হবে সূরা নিসার ওই আয়াতগুলো নাজিলের প্রেক্ষাপট।

ওহুদ যু–দ্ধ শেষ হওয়ার পরবর্তী সময়ে ওই আয়াতগুলো নাজিল হয়। ওহুদ যু–দ্ধ সংঘটিত হয় ৩য় হিজরিতে, মানে আরবে ইসলাম বিকাশের একেবারেই প্রথমদিকে যখন মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো হাতেগোনা। আবার এই যু–দ্ধেই ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় মুসলমানরা। এমনিতেই তখন মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো অল্প, তার ওপর বহু সাহাবী মারা যান ওইসময়।

এখন যারা মারা যান, তাদের স্ত্রী ও এতিম সন্তানদের কী হবে, তাদের দেখভাল কীভাবে করা যাবে, না যাবে— সেই প্রেক্ষাপটেই সূরা নিসার ওই আয়াতগুলো নাজিল হয়।

এতিম যারা ছিলো তাদের দেখভাল করা ও তাদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে নাজিল হয়েছে ২ নং আয়াত।

“এতিমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের রদবদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সাথে সংমিশ্রণ করে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটা বড়ই মন্দ কাজ।" — আয়াত ২, সূরা নিসা।

আর ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে বর্ণিত ওই ২ নং আয়াতের এক্সটেনশন।

“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতিম মেয়েদের হক যথাথভাবে পূরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে, তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে একটিই..... এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।” — আয়াত ৩, সূরা নিসা।

খেয়াল করে দেখুন ওই বিশেষ প্রেক্ষাপটে একাধিক বিবাহের পার্মিশন দেওয়া হলেও স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজে বলে দিয়েছেন পরিপূর্ণ সমতা বিধান না করতে পারলে জাস্ট একটি বিয়ে করাটাই উত্তম।

এবং এই সূরা নিসারই ১২৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা
সরাসরি বলে দিয়েছেন—

“তোমরা যতই আগ্রহ রাখো না কেন, তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনও সক্ষম হবে না। তবে তোমরা একজনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ে অন্যকে দোদুল্যমান অবস্থায় রাখবে না। আর যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন কর ও সংযমী হও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" — আয়াত ১২৯, সুরা নিসা।

খেয়াল করে দেখুন, কোন স্বাভাবিক অবস্থায় একজন স্বামীর পক্ষে যে একাধিক স্ত্রীর ওপর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়, সেটা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা
নিজেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।

মানে এই আয়াত থেকে একটা জিনিস খুবই স্পষ্ট একজন পুরুষের এইসময়ে একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই নিরুৎসাহিত করে দিয়েছেন।

রাসূল (সাঃ) এর একটা হাদিসে উল্লেখ আছে— "যে ব্যক্তির দুই স্ত্রী রয়েছে, সে যদি এদের মধ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমতা ও ইনসাফ করতে না পারে, তবে কিয়ামতের ময়দানে সে এমনভাবে উঠবে যে, তার শরীরের এক পার্শ্ব অবশ হয়ে থাকবে।” (আবু দাউদ: ২১৩৩, তিরমিযী: ১১৪১, ইবনে মাজাহ: ১৯৬৯)

এখন কেউ কেউ এই প্রশ্ন তুলতে পারেন যে একই সময়ে পুরুষের একাধিক বিয়েকে পুরোপুরি হারাম কেন করে দেওয়া হলো না?

টুকটাক পড়াশোনা করে আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং যেটা,
সেটা হলো বিশেষ কোন ক্ষেত্র অ্যারাইজ করতেই পারে, যেমন, কোন এক্সিডেন্ট, বন্ধ্যাত্ব, কিংবা ওহুদের ওই যু–দ্ধে
র মতোই কোন ঘটনা, তখন ক্ষেত্রবিশেষে একাধিক বিয়ের প্রয়োজন হতে পারে সামগ্রিক কল্যাণের জন্য। এজন্যই এই কিছুটা স্কোপ রাখা হয়েছে বেশকিছু কঠোর শর্ত ইম্পোজ করে। কিন্তু এই সুযোগটা নিয়ে একইসাথে একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা কোনভাবেই নরমালাইজ করার কোন সুযোগ নাই।

এই ব্যাপারে আমার কনক্লুসিভ রিমার্ক হল, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রবিশেষে পুরুষের বহুবিবাহের ব্যাপারটা ইসলাম ধর্মে
পার্মিসিভ, তবে সেটাও আবার বেশ কঠোর শর্ত সাপেক্ষে।
এবং কুরআনের স্পষ্ট আয়াতের মাধ্যমে এই একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা বরং নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

কাজেই যারা যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে একইসাথে একাধিক বিয়ের বয়ান দিয়ে বেড়ান এবং এই ব্যাপারটাকে
প্রোমোট করার চেষ্টা করেন, তাদেরকে বলবো ধর্ম নিয়ে ভালোমতো পড়াশোনার চেষ্টা করেন কী কখনও? অন্তত কোরআন বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করেন। লজিক্যালি চিন্তা
না করে ধর্মটাকে শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিস্বার্থের ফায়দা হিসাবে ব্যবহার করা বন্ধ করেন দয়া করে।

-সাইয়েদ আব্দুল্লাহ

22/01/2023

আম্মা সবসময় বলে, কারো ভালো সময়ে তারে এড়িয়ে চলবি, তিনদিন দাওয়াত দিলে একদিন যাবি।

কিন্তু খারাপ সময়ে না ডাকলেও গিয়া হাজির হবি, টাকাপয়সা ক্ষমতা কোন কিছু দিয়া হেল্প না করতে পারলেও যাবি, অন্তত হাতটা ধরে বলবি ‘ভাই আমি আছি তোর সাথে’।

15/12/2022

°প্রেম হোক বা না হোক, জীবনে একজন পছন্দের মানুষ থাকা দরকার। হঠাৎ করে বিধ্বস্ত লাগলে তার কথা মনে করে একটু হেসে ফেলা যায়। শত ব্যস্ততায় তার প্রোফাইল চেক করে একটু শান্তি পাওয়া যায়। ক্লান্ত দুপুরে একটু জিরিয়ে নেয়ার অজুহাতে ফোনের ওপাশে বসে গল্প করা যায়। মাঝে মাঝে ব্যাস্ত শহরের কোলাহলে তার সাথে একটু হারিয়ে যাওয়া যায়। প্রেম হোক বা না হোক একটা পছন্দের মানুষ বোধহয় থাকা দরকার..!❤️🌸

22/11/2022

Again
Goal 🥅 Saudi 🇸🇦

22/11/2022

Goal 🥅 Saudi 🇸🇦

21/10/2022

তুমি বরং কোনো বিলাসবহুল ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করে নিও! এই সস্তা ভালোবাসা আমার-ই থাক!❤️

Address

Mohammadpur

Telephone

+8801754747620

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahasan’s Dairy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ahasan’s Dairy:

Share