Voice of Tonmoy

Voice of Tonmoy [ Voice artist ]
( ক্ষুদ্র লেখক )

বাস্তব জীবন তুলে ধরার চেষ্টা. You Tube channel - Voice of Tonmoy

24/01/2024

মানুষ বদলে যায়। কেউ আয়োজন করে বদলে যায় আর কেউ হুট করেই বদলে যায়....

লেখা- Rasel Uddin - রাসেল উদ্দিন

20/01/2024

প্রতিটি মেয়ের মা বাবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা। টাকা সব সুখ কখনো এনে দিতে পারে না....

13/01/2024

এই পৃথিবীর মইধ্যে সবচাইতে বড় ডাহা মিচা কথা কোনটা জানেন? টেহা দিয়া সুখ কিনন যায় না....

লেখা - আরিফ হুসাইন, ( বৃহস্পতিবার)

12/01/2024

" আমি শব্দের অসহ্যনীয় ভার থেকে মুক্তি চাই "

আমি এই শহরের এক আগন্তুক বলছি, আমার জন্ম হয়েছিলো বর্ষারত কোনো এক ভোর রাতে। ভোর টি ছিলো খুবই মনোমুগ্ধকর। গাছের পাতার ধুলোগুলো মুছে পরিষ্কার করে সজীবতার প্রাণবন্ত ছোয়া দিয়েছলো বর্ষার জলে। বর্ষা শেষ হবার পর মুহুর্তে গাছের সজীব প্রাণবন্ত পাতাদের কোনো এক ফাকা থেকে সূর্যের লাল আভা ঘরের ভেতর আলোকিত করলো। তখন নানান পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে সুন্দর একটি মুহুর্তের সূচনা হলো। তার সাথে হলো আমার সুন্দর শিশু জীবনের সূচনা। সবাই তখন ভেবে নিয়ে নিয়েছিলো, আমি বোধ হয় সব অন্ধকারকে মুছে আলোকিত করতে আর সকল ধুলোকে মুছে সজীবতা নিয়ে এসেছি এই অন্ধকারময়,ধূলোময় ভূবনের মাঝে।

জীবনের সূচনা সুন্দর এক নিদারুণ মুহুর্ত দিয়েই শুরু হলো, ভালোই গেলো শিশুজীবন। মা-বাবা, পরিবারের স্নেহ, ভালোবাসার মধ্যে, মাঠে-ঘাটে খেলে, লাটিম ঘুরিয়ে, গুলি খেলে শেষ হলো শিশুজীবন।
শিশুজীবন ত্যাগ করলো আমাকে, আঠারো বছর বয়স আমাকে সাদরে আলিজ্ঞন করলো। ভেবেছিলাম হয়তো, শিশুজীবন এর মতই এই জীবন। কিন্তু, দেখতে পেলাম এখানে বাস্তবতা, কর্তব্য, দায়িত্ববোধ নামক কিছু কঠিন শব্দরা বসবাস করে। আমি তখন বুঝতে পারলাম না,
এই শব্দগুলো কি আসলে?
এই শব্দগুলোর ভার আসলে কত?
আমি আস্তে আস্তে বুঝার চেষ্টা করলাম কিন্তু, দেখি যে প্রতি পদক্ষেপেই আমার শুধু ভুল।
আমি কি করবো? এই শব্দগুলোকে আমি কিভাবে গ্রহন করবো বুঝতেই পারছি না আমি। কেউ আমাকে বুঝাতেও অক্ষম হচ্ছে। পরে আমি আমার ভুল পদক্ষেপগুলোর ব্যাখা জানতে শুরু করলাম কোথায়, কিভাবে, কেন, কি কারনে আমার প্রতিটি পদক্ষেপ ভুল হচ্ছে। তারপর যখন এর উত্তর পেলাম, তখন এইসব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পথ চলতে লাগলাম।
জীবনে আমি হাজার, লক্ষ্যবার ভুল করেছি। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তবতা, কর্তব্য, দায়িত্ববোধ সম্পর্কে কিছুটা জেনেছি। যখন আমি কিছুটা এই শব্দগুলোকে উপলব্ধি করেছি, তখন মতো নে হয়েছে এই শব্দগুলোর ভার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পাহাড় থেকেও লক্ষ্যগুণ ভারী। আমি এই এক ক্ষুদ্র মানব কিভাবে বইবো এত ভার??

বেকারত্ব আর মা-বাবার কঠোর কথা শেখালো আমাকে, আসলে বাস্তবতা কতটা ভয়ংকর। টাকার ভার শেখালো, বাস্তবতা কতটা যন্ত্রণাময়। প্রিয়তমা শেখালো, আবেগ দিয়ে জীবন চলে না বাস্তবতায় আসতে হয়।

মা- বাবার শরীর প্রচন্ড খারাপ, অনেক টাকার প্রয়োজন। তখন বুঝলাম কর্তব্য আসলে কি? একজন ছেলের কর্তব্য কতটা ভারী হয় আসলে বুঝতে পারলাম সেদিন।

বোনের ফর্ম ফিলাপের জন্য অনেক টাকা লাগবে, আজই লাস্ট ডেট জমা দেবার। আর এপাশে আমি সকালে টাকার অভাবে না খেয়ে ফোন টা অফ করে রেখে অজানায় বসে আছি, তখন বুঝতে পারলাম দায়িত্ববোধ কাকে বলে?বোনের বিয়ে কথা পাকা হয়েছিলো দুদিন আগে, কিন্তু বোন আজ ফ্যানের সিলিং এর সাথে নিথর হয়ে আছে। তখন বুঝতে পারলাম, দায়িত্ববোধ কতটা বিষের মতো ভয়ংকর।

যখন আমি এই শব্দগুলোর সাথে অতি পরিচিত হয়ে গেলাম তখন বুঝলাম, শিশুজীবন আর এই আঠারো বয়সের পর জীবন বালুকণা আর অসীম সাগরের মিয়ন এক বিশাল তফাৎ।
এসব শব্দের সাথে পরিচিত হতে যেয়ে আমার জীবনের অর্ধ সময় কেটে গেলো। আমি আর এই ভার সহ্য করতে পারছি না। এই ভার বইতে বইতে আমি খুবই আজ ক্লান্ত হয়ে পরেছি। এসব কঠিন শব্দগুলো আমার স্বপ্ন, আশা দব ছিনিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে।
আমাকে এসব শব্দের কঠিন অসহ্যনীয় ভার জীবন্ত থেকে মৃত করে দিয়েছে। সবাই ভেবেছিলো, আমি বোধহয় অন্ধকার দূর করে আলো এনে দিবো সব জায়গাতে। কিন্তু, এসব শব্দ আমাকেই অন্ধকারের মধ্যে বিমোহিত করে নিলো। আমি আলোর বদলে অন্ধকার এ আচ্ছন্ন করলাম সবকিছু। আমি এই ভার থেকে এখন মুক্তির আশাতে প্র‍তিদিন প্রার্থনা করি। কিন্তু, এই ভার এর বয়সসীমা বোধ হয় অশেষ।

আমাকে মুক্ত করো এই শব্দগুলোর অসহ্যনীয় ভার থেকে,
আমি মুক্তি চাই,
আমি শিশুজীবন ছাড়া আর কোনো জীবন চাই না।।।।

---- Tonmoy Paul ( জরাজীর্ণতার ক্ষুদ্র লেখক)

11/01/2024

জীবনে কি হারিয়েছি আর কি পেয়েছি এই ভাবতে ভাবতেই আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। যত এসব আমরা ভাবতে বসি, ততোই আমাদের দুঃখ বাড়ে।

লেখা - কাজল পারভেজ

11/01/2024

মৃত্যুর কারখানা

আমি মৃত্যুলোকে বসবাস করি। মৃত্যু আমার একমাত্র সাথী। মৃত মানব ছাড়া আমি আমার চারপাশে কোনো জীবন্ত মানব অনুভব করিনা। আমি যতদূর পর্যন্ত হেটে চলি না কেন সবই মৃত মানবে ছেয়ে গেছে। জীবন্ত মানবেরা প্রতিনিয়ত মৃত মানবে পরিণত হয়ে চলছে।
প্রতিটি মানুষ মুখোশের আড়ালে সদ্য একজন জীবন্ত মানুষ। কিন্তু যখন মুখোশ ছিন্ন করে দেওয়া হয় তাদের, তখন তারা সকলেই মৃত মানব। শুধুমাত্র শরীরটাই জীবিত।
প্রতিটি জীবন্ত মানব কোনো না কোনো কারণে মৃত মানব রুপে সৃষ্টি করছে নিজেকে। এই পৃথিবীতে জীবন্ত মানবের তুলনায় মৃত মানবের পরিমাণ হাজারগুণ বেশি। এই পৃথিবীর মাঝে শুধুমাত্র জীবন্ত মানব বলতে আছে মাতৃক্রোড়ে বসবাস করা অবুঝ শিশু, এছাড়া এই পৃথিবীর সকল মানব আজ মৃতের দখলে।
কিন্তু, এই মৃত মানবেরা আবারো জীবন্ত হবার স্বপ্ন দেখে। হয়তো কারো স্পর্শে বা কোনো কারনে জীবন্ত হয়েও যায়। কিন্তু সেই জীবন থাকে ক্ষনিকের জন্য। যার স্পর্শে মৃত মানব জীবিত মানবরুপে পরিণত হয়েছিলো, তারই স্পর্শে আবার জীবন্ত সেই মানব মৃত মানবে পরিণত হয়ে যায়।
এই পৃথিবীতে এখন আর জীবন্ত মানব বলে কিছুই নেই যা আছে তা মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা জীবন্ত মানব। মুখোশ সরাতেই তারা হয়ে যায় মৃত মানব।
এই পৃথিবী আজ ভরে গিয়েছে মৃত মানবের কারখানাতে। আমিও মৃত্যুর কারাখানা থেকে বলছি, আমি একজন মৃত মানব....

---- তন্ময় পাল

09/01/2024

আপনাকে যে মানুষটা ভালোবাসে, সময় দেয়, নানান ধরনের আবদার করে, আবার ঝগড়া করে, কিন্তু কিছু সময় পরেই আবার আপনি ছাড়া তার এক মুহুর্তও চলে না। সে সব মানুষকে খুব আগলে রাখুন, ভালোবাসুন, হারাতে দিয়েন না।

লেখা- মোঃ শিহাব আহম্মেদ নাফি.

08/01/2024

★ বিষন্নতাময় শহরের বুকে বিষাদচিহ্ন....

একদিন তুমি বুকের ঠিক বাম পাশটায় রাত্রি শেষে প্রভাতী সূর্যের মতো অসীম আলো হয়ে এসেছিলে, তখন এক নিমিষেই মুছে গিয়েছিলো আমার সব অশুভ ছায়া ঠিক যেমন করে সূর্যের আলো অন্ধকারকে গ্রাস করে ফেলে। আজন্ম অবহেলায় ঘুমিয়ে থাকা জীবনপথের সপ্নগুলো তোমাকে পেয়ে জেগে উঠেছিলো।

আবার, তোমার আচমকাই চলে যাওয়াতে বুকের বাম পাশে স্থান পেলো পাথরের ন্যায় গভীর বিষাদের এক ভার।

তুমি চলে যাওয়ার পরেও এই বিষাদভার বুকে নিয়ে খুব যত্ন করে অশ্রু দিয়ে নতুনের ন্যায় করে রাখি তোমার দেওয়া ধুলোজমা স্মৃতিময় চিঠিগুলো। আমি প্রতিনিয়ত করে চলি এই বিষন্নতাময় শহরে বিষাদচিহ্নগুলো মুছে ফেলার মিথ্যে প্রয়াস।

তোমার ভালোবাসা তো আমাকে কষ্টকে লালন করতে শেখায়নি, শিখিয়েছে কিভাবে কষ্টকে জয় করতে হয়।

কিন্তু, তুমি হারিয়ে যাবার পর এবং তোমার ভালোবাসা আমাকে ছিন্ন করার পর থেকে আমি নিজেকে এক বিষন্নতার চাদরে মুড়ে নিয়েছি।
এখন আমার এই বিষন্নতার শহরে রাত আসে যখন পাখিরা জেগে ওঠে,যখন সুখী মানুষেরা সুখ বিনিময় করা নিয়ে ব্যস্তমুখর নগরীতে ব্যাস্ত থাকে।

আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, তুমিই ছিলে আমার জীবনের প্রভাতী সূর্যের আলো,তুমিই ছিলে আমার জীবনের সকল সুখের মুল, তুমিই ছিলে আমার ছন্নছাড়া জীবনের গোছালো সেই মানুষটি।

তুমিই ছিলে আমার জীবনের বিষাদ ছিন্ন করে বয়ে চলা মায়ের পর প্রথম কোন নারী।।।

🖋️ জরাজীর্ণতার ক্ষুদ্র লেখক ( তন্ময়).

07/01/2024

বিশ্বাস একটা অদ্ভুদ শব্দ।কত কিছু নির্ভর করে এই একটা শব্দের উপর। মানুষ তার জীবনটা কাটিয়ে দেয় এই শব্দের উপর।
সবার কাছে একটাই অনুরোধ, এই শব্দটাকে কেউ নষ্ট করবেন না।

লেখা - Al Amin Sardar

Address

Fulbarigate, Kuet Road
Mongla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of Tonmoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Voice of Tonmoy:

Share

Category