19/04/2025
এই সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা হচ্ছে; যে আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে তারা সরকার হয়েছে, উপদেষ্টা হয়েছে, বড় নেতা হয়েছে, পদায়ন পদোন্নতি পেয়েছে তারা সবাই মনে হয় সেই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটটাই ভুলে গিয়েছে। আপনারা জানেন বিসিএস জট, সংস্কার, গতিশীলতা নিয়ে পরিক্ষার্থীদের একটা আন্দোলন হচ্ছে, সেই আন্দোলনে যৌথবাহিনি আন্দোলনরত পরিক্ষার্থীদের উপর লাঠিপেটা করেছে। একজন লিখিত পরিক্ষার্থীর দুটো আঙুল ভেঙে গিয়েছে, লাঠির আঘাতে কারো পা, ঘাড়, হাত ছিলে গিয়েছে। যে ছেলের হাত ভাঙ্গা হলো সে কীভাবে সামনের পরিক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করবে? সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধান, আন্ডারস্ট্যান্ডিং, নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে কী এর সমাধান করা যেত না?
যারা জুলাই আন্দোলনের সূচনা করেছে তারা কীভাবে এখনো যৌথ বাহিনীর হামলার শিকার হয়? পিএসসি নিয়ে যে আন্দোলনটা হচ্ছে সেটা নিয়ে উপদেষ্টা বনে যাওয়া কেউ কি খুঁজ রেখেছেন? কেন ছেলেদের পিটানো হলো সেটার ব্যাপারে আহতদের খবর নিয়েছেন কেউ? নিবেন নাতো!
চাকরির নিয়োগগুলেতে এখনো কেন স্বচ্ছতা নিয়ে আসা হচ্ছে না? কেন প্রতি শুক্রবার অধিক সংখ্যক পদসম্বলিত চাকরির পরিক্ষাগুলো এখন হচ্ছে না? গণঅভ্যুত্থানের দীর্ঘ আটমাস পার হবার পরেও কেন নিয়োগ পরিক্ষা ইস্যুতে বড় কোন মৌলিক পরিবর্তন আসছে না? এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে যদি ইন্টেরিমকে তার টিনিউর শেষ করতে হয় তাহলে সেটা হবে জুলাইয়ের সাথে স্পষ্ট প্রতারণা। যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদেরকে আবারও মনে করায় দিতে চাই, পাঁচই জুন থেকে শুরু করে জুলাইয়ে ঢাবির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে শাহবাগে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সেটি ছিল চাকরির কোটা পদ্ধতি নিয়ে। সেই ঢাবির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকেই আপনাদেরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলছেন জব সিকাররা। উপদেষ্টা হয়ে আপনারা মেবি সেদিকটা একদম ভুলে গিয়েছেন। সময় হলে একবার এসে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করাদের থেকে আপনাদেরকে নিয়ে ধারণাগুলি শুনে যান।
জুলাইয়ের সূচনাকারী সেই চাকরি ইস্যুতে এবার একটু নজর দিন। আর লেট করিয়েন না। শিকর ভুলে যেয়েন না।
© Muhammad Miraz Mia