16/08/2025
১.
বাইরে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব, বাতাসের গতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে বাড়ছে। খোলা কাঠের জানালার কপাট ধুড়ুমধাড়ুম শব্দ করে বাড়ি খাচ্ছে। হঠাৎ লোডশেডিং এ পুরো ঘর অন্ধকার ভর করতেই তড়াগ করে স্টাডি টেবিল ছেড়ে উঠলো মেহের। অন্ধকার হাতড়ে ফোনটা খোঁজার বৃথা চেষ্টা। কোথায় রেখেছে সঠিক মনে করতে পারছেনা। পুরো ঘর জুড়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন, বিন্দু পরিমাণ আলোর ছটা নেই। আকস্মিক পা বাড়িয়ে সামনে ফেলতেই হকচকিয়ে উঠলো। ভীতসন্ত্রস্ত ডাগর চোখের দৃষ্টি ফেলে চেচিয়ে উঠলো "কে'? ' কে ঐখানে "?
আগন্তুকের কোনো সাড়াশব্দ নেই। তবে মেহের নিশ্চিত, এ ঘরে কেউ এসেছে, তার সম্মুখ বরাবর কেউ একজন দাড়িয়ে আছে। কিন্তু কে সে? মেহের দু'কদম পিছিয়ে গিয়ে ধাক্কা খেলো টেবিলে। ভয়ে গলা শুকিয়ে বারবার কন্ঠ আঁটকে আসছে। আগন্তুকের কোনো সাড়াশব্দ না পেতেই পুনরায় বললো "কথা বলছেন না কেনো? কে আপনি "?
পুরো ঘর জুড়ে অন্ধকার। মেহের কিছু ঠাহর করতে পারছেনা। এঁটে সেটে টেবিলের কোণায় ঠেসে আছে। আচমকা তার খুব নিকট থেকে চেয়ার টেনে নেওয়ার শব্দ কানে যেতেই চেচিয়ে উঠলো " কে আপনি? কথা বলুন প্লিজ "।
আগন্তুক চেয়ার টেনে আয়েশ করে বসলো বোধহয়, হয়তো মেহেরে'র খুব নিকটে। কিন্তু লোকটা কথা বলছেনা কেনো? ভয়ে ভীত মেয়েটা আর নিজেকে সামলে উঠতে পারলোনা। ডুকরে কেঁদে উঠতেই এক জোড়া শক্ত মসৃণ হাত তার মুখ আলগোছ চেপে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল " ভয় পাবেনা, আমি উচ্ছ্বাস "। মুখ থেকে হাতটা ধীরে ধীরে সরে যেতেই মেহের অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো" আপনি? কিন্তু এখানে...? "
" হুঁশশ, চুপ। একটা কথাও না"
মেহের এক প্রকার হাফ ছেড়ে বাঁচলো । এটা তাহলে উনি। অর্ক ভাইয়ার বন্ধু লোকটা। পর মুহূর্তে মেহেরে'র মনে প্রশ্ন জাগে। এতো রাতে এই লোকটা তাদের বাড়িতে কেনো? তাও আবার তারই ঘরে? মনের মাঝে জেগে ওঠা প্রশ্নগুলো মনেই রইলো। জিজ্ঞেস করার জন্য টু, টা শব্দ অব্ধি মুখ থেকে বের করলোনা।
ব্যথায় দাঁত, মুখ শক্ত করে সটান হয়ে চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে উচ্ছ্বাস। এক্সিডেন্ট টা গুরুতর ভাবেই হয়েছে তার। ব্যথায় পুরো শরীর টনটন করছে। খানিক সময় পর ফোনের ফ্লাশ ধরতেই চোখ মুখ বুঝে নিলো মেহের। উচ্ছ্বাস সেদিকে তাকিয়ে শুধালো " এই মেহু, তুমি না ডাক্তারি পড়ছো?"
"হ্যা, তো? প্লিজ ঐ আলো আমার চোখের উপর থেকে সরান"
উচ্ছ্বাসে'র দৃষ্টি স্থির। আজ! আজ বহুদিন পর কাঙ্খিত রমনীর মুখটা দেখতে পেল সে। তীব্র আলোর ঝলকানিতে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে। ওর দিকে তাকিয়ে উচ্ছ্বাস শক্ত গলায় বললো " তাকাও আমার দিকে"!
মেহের প্রথমবার, ফের দ্বিতীয় বার চোখ মেলে তাকাতেই হকচকিয়ে উঠলো। গোল গোল চোখ করে দেখছে লোকটাকে। পরপর আঁতকে উঠল " এ্যাই, আপনার কপালে রক্ত কেনো? হায় আল্লাহ! কি হয়েছে আপনার? এক্সিডেন্ট? "
উচ্ছ্বাস ফিসলে হাসলো। নিভু কন্ঠস্বরের নিরুত্তাপ আওয়াজে বললো " তুমি কি ভেবেছিলে, মীর উচ্ছ্বাস ফাউ ফাউ টাইম ওয়েস্ট করে তোমাদের বাড়িতে এসেছে"?
উচ্ছ্বাসের কথায় মেহেরের হুশ নেই। সে এগিয়ে এসে মৃদু আলোয় লোকটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। কপালের দিকটা কেটেছে বেশ। মেহের সর্ব শরীরে চোখ বুলিয়ে বার্তালো "আর কোথায় কোথায় লেগেছে"?
উচ্ছ্বাস, মেহেরে'র একটা হাত শক্ত করে টেনে নিয়ে বুকে রাখলো, মেহের কিছু বুঝে ওঠার আগেই বললো "এখানে, ঠিক এখানে, ঠিক বুকের মধ্যেখানে লেগেছে, দেখতে চাও তুমি "?
মেহের পারলোনা নিজেকে সামলে উঠতে, গলা আটকে কান্না আসছে। এই যে এই লোকটা! এটা ঠিক মেহেরে'র কি তা মেহের জানেনা। শুধু জানে এই লোকটা পুরোটাই একটা মায়া। এটা সেই মায়া, যে মায়াতে সে আটকেছে অষ্টাদশীর চৌকাঠে। মেহের নিজেকে ধাতস্থ করে বললো " সত্যি করে বলুন, কোথায় কোথায় লেগেছে? দেখতে দিন আমাকে"?
উচ্ছ্বাস ওর হাতটা সরিয়ে দিলো, " দেখতে হবেনা তোমাকে, এক গ্লাস পানি আনো, খেয়েই চলে যাবো"।
" আম্মু কে ডাকি, বলি আপনি এসেছেন। আপনি অসুস্থ, একটু দাঁড়ান "। মেহের পা বাড়াতেই খপ করে ওর হাতটা ধরে ফেললো উচ্ছ্বাস। " এতো পাকনামি করতে কে বলেছে ? চুপচাপ পানি চেয়েছি পানি নিয়ে এসো"
মেহের স্থির দৃষ্টি ফেলে দেখছে লোকটাকে। শরীর আহত তবে মেজাজ নয়। কপাল থেকে বিন্দু বিন্দু রক্ত গড়িয়ে গাল বেয়ে পড়ছে। অথচ মেজাজ দেখো? আকাশ ছোঁয়া। মেহের থেমে গেলো। বললো " তাহলে পানিটাও বাড়িতে গিয়ে খান, এখানে যখন সামান্য চিকিৎসা নিতে পারবেন না, তখন এখানের পানিও আপনার খেতে হবেনা"। বলেই মুখটা বা পাশে ঘুরিয়ে দাড়িয়ে রইলো মেহের। সবসময় কেনো এই লোকটা তাকে রাগ দেখাবে? লোকটারও বুঝতে হবে, রাগ শুধু একার তার নয়, মেহেরে'র ও রাগ আছে, খুব রাগ আছে।
উচ্ছ্বাস একহাতে মেয়েটাকে হ্যাচকা টানে বুকের উপর এনে ফেললো। আকস্মিক ঘটনায় হকচকিয়ে উঠলো মেহের। বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে আছে উচ্ছ্বাসে'র মুখের দিকে। উচ্ছ্বাস একহাতে ওকে সামলে, অন্যহাতে মেহেরে'র কাঁধ থেকে ওড়না টেনে নিলো। মেহের হতবাক চোখে লোকটার কর্ম কান্ড দেখছে। একটানে কাঁধ থেকে ওড়না খসিয়ে নিয়ে নিজের কপালের রক্তটুকু মুছে ফেলে। মেহেরে'র মুখে টু টা কোনো শব্দ নেই। আলো বলতে সারা ঘরে ফোনের ফ্লাশ অন রয়েছে টেবিলের উপর। লোকটার পাগলামি দেখে অস্ফুটস্বরে একবার বললো মেহের "ওড়নাটা হয়তো নোংরা, জীবাণু রয়েছে, এভাবে ক্ষত জায়গায় লাগাবেন না, আমি ড্রেসিং করে দিতে পারি? দেব কি"?
উচ্ছ্বাসে'র কঠিন জবাব " তুমি কি আমার ঘরের বৌ? আমি কেনো তোমার থেকে ফ্রীতে সেবা যত্ন নিতে যাবো"?
মেহের বিড়বিড় করে বললো " বৌ নই তাই পরমেয়ের ওড়না টানাটানি করছেন, বৌ হলে কি করতেন কে জানে "?
উচ্ছ্বাস ও মেহেরে'র ন্যায় বিড়বিড় করে বললো"চব্বিশ ঘণ্টা বৌয়ের আঁচল ধরে ঝুলে থাকতাম"
মেহের ফিচলে হাসলো, বললো" পাইলট মীর উচ্ছ্বাস বৌয়ের এতো ন্যাওটা হতো বুঝি? একথা দিবাস্বপ্নতেও দেখিনা আমি"
হাতের বাঁধন আরেকটু শক্ত করে নিজের সঙ্গে একদম মিশিয়ে নিলো মেহের কে। লোকটার উত্তপ্ত শ্বাস আঁচড়ে পড়ছে মেহের চোখ মুখে। মেহের ডাগর চোখের দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছে ঐ গোল মুখপানে। কন্ঠে খাদ নামিয়ে শুধালো " পাইলট মীর উচ্ছ্বাস কে নিয়ে যতোটানা ভাবো,আমি ঠিক ততটাই বৌ পাগল হবো। মিলিয়ে নিও"
"একথা আমি মরে গেলেও বিশ্বাস করি না "
উচ্ছ্বাস হাত ছেড়ে দূরত্ব বাড়িয়ে দাঁড়ালো " তোমার ওতো ভেবে কাজ নেই, পানি খেতে চেয়েছি দিবে কি না? নাকি চলে যাবো"?
মেহের শান্ত চোখে শুধু দেখছে লোকটার রাগ, জেদ। যার সামনে মেহেরে'র রাগ, অভিমান অতি নগন্য। মেহের ছোট করে জবাব দিলো " আনছি, অপেক্ষা করুন"।
সময়ের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন ঝড়ের গতি শীতল। তবে লোডশেডিং হয়েছে তো হয়েছে, ফেরার নাম নেই। মেহের ঘর ছেড়ে পানি আনতে বেরিয়ে যেতেই উচ্ছ্বাস গিয়ে দাঁড়ালো খোলা জানালার নিকট। একে তো মাথা ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, তারউপর তীব্র মাথা ধরেছে। জঘন্য পরিস্থিতি। উচ্ছ্বাস সটান হয়ে দাড়িয়ে দৃষ্টি ফেলেছে দূর, দূর বহুদূর ঐ অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশের বুকে। বিশালতার ঐ আকাশের বুকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে অজস্র তারাদের। " তোরা কি বলে দিতে পারিস তাকে? আমার না বলা অপ্রকাশিত অনুভূতি গুলো, আমি আর পারছিনা, নিজের মধ্যে পুষে রাখতে, ইচ্ছে করে ঐ মেয়েটাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে বুঝিয়ে দিতে, এই মীর উচ্ছ্বাস কারো পরোয়া করে না। কিন্তু আফসোস! ভালোবাসা জোর জবরদস্তি করে হয়না। নিজের বুকে থাবা বসিয়ে আওড়ালো ❝ভালোবাসার সবটুকু এখান থেকে হয়, ঠিক এখান থেকে ❞।
নিজের ঘরের বাইরে পা বাড়িয়ে উঁকি দিলো বসার ঘরে। বাবা বাড়িতে নেই, গ্রামে গিয়েছেন আজ। মায়ের শরীর টা খুব একটা ভালোনা। প্রেশারের ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছে সেই রাত নটার পরপর। ভাইয়া ফিল্ডে। ভাবি বাপের বাড়ি। আপাতত বাড়িতে শুধু দু'জন মেয়ে মানুষ। তারউপর এই ভারি রাতে লোকটার আগমন। মেহের চাইছে নিজেকে শক্ত রাখতে। তবুও দূর্বল পয়েন্ট ধারেকাছে থাকলে নিজের উপর জড়োতা ভর করে। মোমবাতি জ্বালিয়ে, রাতের ভাতগুলো গ্যাসের চুলায় হালকা গরম করলো, সাথে দুটো ডিম পোছ। ফ্রীজে রাখা ঠান্ডা তরকারি আর বের করেনা। লোকটা ওসব খাবেওনা। মেহের জানে, লোকটা ডিম খেলে একসঙ্গে দুটো করে খায়, এর কম হলে ডিমই সে খাবেনা। আচমকা কথাটা মনে পড়তেই আনমনে হাসলো মেহের। যতোসব বাচ্চামো। ভাত গরম হতেই মেহের প্লেট গুছিয়ে, এক গ্লাস পানি হাতে তুলে পা বাড়ালো ঘরের দিকে।
ততক্ষণে উচ্ছ্বাস ফোনের ফ্লাশ ধরে মেহেরে'র ঘরে খুঁজে খুঁজে ঔষুধের বক্স থেকে সেভলন, তুলা, মলম, এগুলো দিয়ে কপালের কাটা জায়গা পরিষ্কার করছে। দরজার কাছে আসতেই মেহের পা থামিয়ে লোকটার কর্ম কান্ড দেখছে। স্যাভলনে তুলা ভিজিয়ে কপালে ধরতেই চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নিচ্ছে। পুনরায় আবার নিজের ক্ষত ঠিক করছে। সর্বশেষ, মলম লাগিয়ে পেছন ফিরতেই দেখলো মেহের তার দিকে তাকিয়ে আছে। মলমের খোলা মুকটা আটকে রাখতে রাখতে বললো " এক গ্লাস পানি আনতে রাত পার হয়ে গেলো যে"?
মেহের সে কথার কোনো জবাব দিলো না। হেঁটে গিয়ে খাবারের প্লেটটা টেবিলে রাখলো সামান্য শব্দ করে। উচ্ছ্বাস তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে। " নিন, খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন, তারপর বাড়ি যান"।
" তোমার কাছে আমি ভাত খেতে চেয়েছি"?
" না"
" তবে, আনলে কেনো"?
মেহের কোনোরকম ভণিতা ছাড়াই উত্তর দিলো " আপনি আমাদের বাড়ির কুটুম, ভাবির ভাই হন, আপনাকে এতটুকু খাতির না করলে বিষয়টা দৃষ্টিকটূ লাগবে"
উচ্ছ্বাস এগিয়ে গিয়ে পানির গ্লাসটা তুলে, পানিটুকু খেলো, পরপর বলল "তোমার ভাত তুমি খেয়ো, আমার খিদে নেই "।
" এমন বললে তো হবেনা উচ্ছ্বাস ভাই, আমি কষ্ট করে গুছিয়ে এনেছি, আপনাকে খেতে হবে, বসুন"
" না খেলে কি করবে তুমি? জোর করে বেঁধে খাওয়াবে"?
মেহের ঘরে আরেকটা মোমবাতিতে আগুন ধরিয়ে দিতে দিতে বললো " আপনাকে জোর করার ওতোটা সাহস আমার নেই, খেলে খান, আপনার বিবেক যা বিচার করে তাই করুন"
উচ্ছ্বাস শীতল দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছে মেয়েটার মুখপানে, বললো "আমার ওতোশত বিবেক নেই, আমি বিবেকের ধার ধারিনা, যদি ধারতাম তবে রাত বেরাত পাঁচিল টপকে পরনারীর ঘরে ঢুকতাম না"
"কেনো ঢুকেছেন তবে"?
" ঐযে, তোমার ভাষ্যমতে বিবেক, ঐ জিনিসটা আমার মধ্যে একটু কম"
মেহের চোখ নামিয়ে নিলো উচ্ছ্বাসের থেকে। " আপনি প্লিজ চলে যান এখান থেকে, আমার বদনাম করবেন না এভাবে, প্লিজ চলে যান, আর কখনো আসবেন না, যান বলছি"
" চলে যাচ্ছি, তবে আমি আবার আসবো, ভেবোনা এতো সহজে তো..."
উচ্ছ্বাস থেমে গেলো। পুরো বাক্য শেষ করলোনা। ঠিক যে পথে এসেছিলো, ওভাবেই বারান্দার ওয়াল টপকে চোখের আড়াল হলো। মেহের শুধু ভেজা চোখে তাকিয়ে দেখলো লোকটার চলে যাওয়া। চোখের আড়াল হতেই মেহের ছুটে বারান্দায় এলো। কিন্তু অন্ধকারে লোকটার ছায়াও মেহেরে'র দৃষ্টিতে আর ধরা দিলোনা। মানুষটা চোখের আড়াল হতেই মেহের আর নিজেকে সামলে উঠতে পারে না। ডুকরে কেঁদে উঠলো। ধীরে ধীরে পিঠ ঘেঁষে বসলো বারান্দার রেলিঙের কাছে। হাঁটুতে মাথা ঠেকিয়ে কাঁদছে মেয়েটা, ভীষণ কাঁদছে।
আজ থেকে ঠিক বছর দুই আগে.......
অষ্টাদশীর চোকাঠে পা রাখতেই মনের গোপন কুঠুরিতে আবেগে মোড়ানো একটি নামের জন্ম হয়, মীর উচ্ছ্বাস। অথচ এই নামের মালকিনকে একটু সহসা ছুঁয়ে দেখার অধিকার তার নেই। এ কেমন আবেগ? এমন আবেগ তো মেহের চায়নি কখনো। তবে কি ঐ শক্ত পোক্ত মনের অধিকারী পুরুষের কখনো বোধগম্য হবেনা, এই ছোট্ট মনে বাসা বেঁধে ছিলো অতীতের গল্প। তবে কি অতীত কখনো বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে গড়াবে?
আমার ই-বুক #সখী_তোমারে_বাধিবো_যতনে আগের মূল্য ছিলো ৩৫ টাকা সেটি ২৫ পারসেন্ট ছাড়ে পাবেন মাত্র ২৭ টাকায়। শুধু মাত্র প্রমোকোড ব্যবহার করে জলদি জলদি এই সুযোগ লুপে নিন।
প্রোমোকোড : ebookmela25
1.পড়ুন ই-বুক "সখী তোমারে বাঁধিবো যতনে"
https://link.boitoi.com.bd/i1JZ
2.যেভাবে বইটই থেকে ই-বুক ক্রয় করবেন:
https://youtube.com/shorts/6NjaAveyh6A?feature=share
3.অন্য দেশ থেকে কিভাবে বইটই অ্যাপে ই-বুক ক্রয় করবেন:
https://youtube.com/shorts/Jteh6XU50tw?feature=share
4.যেভাবে বইটই থেকে প্রিয়জনকে বই গিফট করবেন:
https://youtube.com/shorts/b0Se9TiCy0U?feature=share1.পড়ুন ই-বুক "সখী তোমারে বাঁধিবো যতনে"
https://link.boitoi.com.bd/i1JZ
2.যেভাবে বইটই থেকে ই-বুক ক্রয় করবেন:
https://youtube.com/shorts/6NjaAveyh6A?feature=share
3.অন্য দেশ থেকে কিভাবে বইটই অ্যাপে ই-বুক ক্রয় করবেন:
https://youtube.com/shorts/Jteh6XU50tw?feature=share
4.যেভাবে বইটই থেকে প্রিয়জনকে বই গিফট করবেন:
https://youtube.com/shorts/b0Se9TiCy0U?feature=share