14/07/2025
১. অশ্লীলতা ও জুলুমের ব্যাপকতা
হাদিস:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"কিয়ামতের পূর্বে ফিতনা-ফাসাদ, হত্যা ও অশ্লীলতা বেড়ে যাবে।"
(সহিহ বুখারি: ৭০৬৪)
২. ডাকাতি ও চোরির ব্যাপকতা
হাদিস:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"কিয়ামতের আগে এমন সময় আসবে, যখন একজন মানুষ রাতে মুসলিম থাকবে, আর সকালে কাফির হয়ে যাবে। সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তা থাকবে না।"
(সুনান ইবনে মাজাহ: ৪০৩৪)
৩. ব্যভিচার ও ধর্ষণ বৃদ্ধি
হাদিস:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"যখন ব্যভিচার (জিনা) ও সুদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, তখন আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর আজাব পাঠাবেন।"
(মুসনাদ আহমাদ: ১৯৬২২)
"কিয়ামতের আগে ব্যভিচার এত বেশি হবে যে, মানুষ প্রকাশ্যেই তা করবে, যেমন গাধা প্রকাশ্যে জৈবিক চাহিদা মেটায়।"
(সহিহ বুখারি: ৮০৯)
৪. নিরাপত্তাহীনতা ও বিশৃঙ্খলা
হাদিস:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"কিয়ামতের আগে এমন ফিতনা আসবে যে, একজন মানুষ সকালে মুসলিম থাকবে, কিন্তু সন্ধ্যায় কাফির হয়ে যাবে।"
(সুনান আবু দাউদ: ৪২৫৯)
এসব হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কেয়ামতের পূর্বে সমাজে ধর্ষণ, ব্যভিচার, ডাকাতি, চুরি, ফিতনা-ফাসাদ, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি ব্যাপক আকার ধারণ করবে। তাই আমাদের উচিত এসব ফিতনা থেকে বাঁচতে ইসলামি বিধান মেনে চলা এবং আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা ও হেফাজতের দোয়া করা।