25/07/2025
সন্তান হারানোর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে চির বিদায় নিলেন মা। আজ মিরসাদের কবরের
পাশে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
হয়তো আপনি-আমি আজও ভাবছি, “আহা, দুঃখজনক ঘটনা…” বলে স্ক্রল করে চলে যাব।
কিন্তু একজন মা তার সন্তানকে হারিয়ে কি করে বাঁচে?
মিরসাদ – মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন উজ্জ্বল ছাত্র।
যার মা-বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন—"আমার ছেলেটা বড় হয়ে পরিবারটার হাল ধরবে, ভালো মানুষ হবে…"
সেই স্বপ্নের ছেলেটিই আজ কবরে।
একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ তার ক্লাসরুমে বিধ্বস্ত হয়ে যখন তার ছোট শরীরটাকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়, তখন সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত যেন মৃত্যুর চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।
মায়ের চোখের সামনে শেষ নিঃশ্বাস নেয় মিরসাদ।
সেই চোখ, যেগুলো প্রতিদিন অপেক্ষা করত মিরসাদের স্কুল শেষে বাসায় ফেরার।
💔 আর পারেননি মিরসাদের মা।
নিজের নাড়িছেঁড়া ধনের মৃত্যু দেখে স্ট্রোক করেন। হাসপাতালের বিছানায় নিথর হয়ে যান।
আজ তিনি নেই।
এই কি আমরা চেয়েছিলাম? এই কি উন্নয়ন? এই কি নিরাপত্তা?
এই মৃত্যু কার দায়িত্বে?
➡️ কার অনুমতিতে একটি স্কুল বিল্ডিংয়ের পাশেই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ বিমান পরিচালনা?
➡️ কে দেবে এই পরিবারের উত্তর?
আমরা সবাই আজ মিরসাদের মা-বাবা।
আজ যদি আমরা চুপ থাকি, কাল আমাদের সন্তানের নামেও হয়তো এমন পোস্ট লিখতে হবে।
🙏 আসুন প্রশ্ন করি, প্রতিবাদ করি। দোষীদের বিচার চাই। যেন আর কোনো মা তার সন্তানকে কফিনে না দেখে।
🕯️ মিরসাদ ও তার মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
📢 শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন — যেন এই অবিচারের ধুলো চাপা না পড়ে যায়।
#আমার_সন্তান_নিরাপদ_তো?