আমাদের খামারবাড়ি

আমাদের খামারবাড়ি agriculture

ফ্রিসিয়ান (Holstein Friesian) গরু পালনের ৫টি সুবিধা ও ৫টি অসুবিধা সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম:---✅ ফ্রিজিয়ান গরুর...
02/12/2025

ফ্রিসিয়ান (Holstein Friesian) গরু পালনের ৫টি সুবিধা ও ৫টি অসুবিধা সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম:

---

✅ ফ্রিজিয়ান গরুর সুবিধা (৫ লাইন)

1. দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি, তাই বাণিজ্যিক খামারের জন্য লাভজনক।

2. ভালো খাবার পেলে দুধে ফ্যাট ও প্রোটিনের মানও বেশ উন্নত থাকে।

3. বাচ্চা দেওয়ার সক্ষমতা ভালো, তাই খামারে দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয়।

4. সঠিক পরিচর্যা পেলে বাংলাদেশে মাঝারি আবহাওয়াতেও মানিয়ে নিতে পারে।

5. বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় দুধ ও বাচ্চা—উভয় ক্ষেত্রেই লাভ নিশ্চিত।

---

❗ ফ্রিজিয়ান গরুর অসুবিধা (৫ লাইন)

1. গরমে দ্রুত স্ট্রেস হয়, বিশেষত ৩০°C এর উপরে তাপমাত্রায় উৎপাদন কমে যায়।

2. খাবারের চাহিদা বেশি—গরুকে প্রতিদিন ভালো মানের ঘাস, খড় ও কনসেন্ট্রেট লাগে।

3. রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দেশীয় গরুর তুলনায় বেশি।

4. শেডে ফ্যান, ছায়া, পানি—সবসময় আরামদায়ক পরিবেশ না থাকলে দুধ কমে যায়।

5. শুরুতে গরুর দাম বেশি হওয়ায় ছোট খামারিদের জন্য কষ্টকর হতে পারে।

#শাহীওয়াল

দুধের গাভী অসুস্থ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণগুলো হলো?১.খাদ্যের অভাব বা অনুপযুক্ত খাদ্য:গাভী...
02/12/2025

দুধের গাভী অসুস্থ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণগুলো হলো?

১.খাদ্যের অভাব বা অনুপযুক্ত খাদ্য:

গাভী পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য না পেলে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অসুস্থ হতে পারে।

খাদ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, ও খনিজ লবণের ঘাটতি হলে দুধ উৎপাদনে সমস্যা হয়।

২.সংক্রমণ বা রোগ:

মাস্টাইটিস (স্তনের প্রদাহ): দুধ উৎপাদনকারী গ্রন্থির সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা।

ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD): এই ভাইরাসজনিত রোগ গাভীর মুখ ও পায়ে সমস্যা সৃষ্টি করে।

পরজীবী আক্রমণ: অন্ত্রীয় পরজীবী বা বাহ্যিক পরজীবী গাভীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

৩.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব:

গাভীর থাকার জায়গায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪.দুর্ঘটনা বা আঘাত:

পায়ে আঘাত পেলে বা পড়ে গিয়ে শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

৫.হরমোনের অসামঞ্জস্য:

গাভীর হরমোনের সমস্যা হলে প্রজনন বা দুধ উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬.অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস:

পরিবেশগত পরিবর্তন, অপর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ গাভীর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

প্রাথমিক লক্ষণ দেখলেই গাভীকে একটি পশুচিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিত। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিলে অনেক রোগ সহজেই প্রতিকার করা সম্ভব।

গবাদিপশুর মিল্ক ফিভার রোগ:অধিক দুধ উৎপাদন এবং একই সাথে একের অধিক বাচ্চা প্রসবকারী গাভীর গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস, প্রসবকা...
02/12/2025

গবাদিপশুর মিল্ক ফিভার রোগ:
অধিক দুধ উৎপাদন এবং একই সাথে একের অধিক বাচ্চা প্রসবকারী গাভীর গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস, প্রসবকালীন সময় এবং প্রসব পরর্বতী ১-৪ দিনের মধ্যে ক্যালসিয়ামের অভাবে শারীরিক স্বাভাবিক তাপবৃদ্ধি ব্যাতিরেকে পেশির অবসাদগ্রস্থতার লক্ষণ প্রকাশ হওয়াকে দুগ্ধ জ্বর বলে।

রোগের কারণ:
প্রধানত রক্তে আয়নাইজড ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে দুগ্ধ জ্বর হয়। দুধ দেয় (milking cow) এবং দুধ দেয় না কিন্তু গর্ভবতী এরূপ গাভীর (dry pregnant cow) ক্যালসিয়ামের পরিমাণে তারতম্য হয়ে থাকে। শুষ্ক পিরিয়ডে (dry period) প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে ৪২ গ্রাম। পক্ষান্তরে দুগ্ধবতী গাভীতে প্রতিদিন এর পরিমাণ থাকা চায় ৮২ গ্রাম। শুধু তাই নয় dry pregnant cow G ক্যালসিয়াম শোষণের হার ৩৩% হলেও দুগ্ধ জ্বর প্রতিরোধের জন্য হদুগ্ধবতী গাভীতে এটি ৫২% থাকতে হবে।

প্রধানত তিন কারণে গাভীর হেদহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে দুগ্ধজ্বর হতে পারে।
১) গাভীর পাকান্ত্র থেকে শোষিত ও অস্থি থেকে রক্তে আগত ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ভ্রূণ ও শালদুধের (colostrum) চাহিদার চেয়ে অধিক হলে এ রোগ দেখা দেয়।
২) গর্ভাবস্থা ও কলস্ট্রাম পিরিয়ডে পাকান্ত্রে সুষ্ঠুভাবে ক্যালসিয়াম শোষিত না হলে এ রোগ দেখা দেয়। গাভীর গর্ভকালীন সময়ে গর্ভস্থ বাচ্চার শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধির প্রয়োজনে বিশেষ করে হাড়ের গঠন প্রক্রিয়ায় ক্যালসিয়ামের গুরত্ব অধিক। এ জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ গ্রাম করে ক্যালসিয়াম দরকার হয় এবং গর্ভস্থ বাচ্চা তার মার কাছ থেকে এ পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে।
নিম্নোক্ত কারণে পাকান্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণে ব্যাঘাত ঘটে থাকে-
ক) খাদ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব
খ) ক্ষুদ্রান্তে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট লবণ সৃষ্টি
গ) অন্ত্রপ্রহদাহ (Enteritis)
ঘ) ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাতের তারতম্য (স্বাভাবিক হার ২.৩:১)
ঙ) ভিটামিন ডি এর অভাব ইত্যাদি।
৩) অস্থির সঞ্চিত ক্যালসিয়াম দ্রুত ও পযার্প্ত হারে নিষ্ক্রান্ত না হওয়ার কারণে রক্তে ক্যালসিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকে না। ফলে এ রোগ দেখা দেয়।

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি হতে নিঃসৃত প্যারাথরমোন শরীরের হাড় হতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস নিঃসরণের জন্য উদ্দীপনা জোগায়। এ হরমোন ক্যালসিয়াম শোষণে ভূমিকা পালন করে। গর্ভকালের শেষ সময়ে খাদ্যে ম্যাগনেসিয়াসের ঘাটতি হলে এ রোগ দেখা দেয় এবং এ সময়ে গর্ভবতী গাভীর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বাড়তে থাকে বিধায় এ হরমোন ক্যালসিয়াম নিঃসরণে বাধা দেয়। এ অবস্থা ছাড়াও অধিকহারে দানাদার খাদ্য গ্রহণ (grain engorgement), রুমেন নড়াচড়ায় আড়ষ্ঠতা (rumen stasis) বিশেষ করে ট্রমাটিক রেটিকুলোপেরিটোনাইটিস, উদরাময় জনিত না খাওয়া (starvation), জোর করে শারীরিক ব্যায়াম করানো (forced exercise) এবং অন্যান্য পরিবেশজনিত কারণ বিশেষ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও বাতাসের আর্দ্রতার কারণে গাভীর শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।

রোগ লক্ষণ:
গরুর রক্তের সিরামে স্বাভাবিক ক্যালসিয়াম এর মাত্রা হল ৯-১২ মিগ্রা/মিলি। এর মধ্যে অর্ধেক থাকে প্রোটিনের সাহেথ বন্ধনযুক্ত অবস্থায় (Protein bound) যা অকার্যকর। বাকী অর্ধেক থাকে আয়নিক অবস্থায়, যা ক্যালসিয়ামের সক্রিয় অংশ। সিরামের ক্যালসিয়াম লেভেল প্রতি ১০০ মিলিতে ৯ মিগ্রা এর নীচে আসলে সাবক্লিনিক্যাল লক্ষণ প্রকাশ পায়। গাভীর রক্তরসে ক্যালসিয়ামের পরিমাণের উপর র্নিভর করে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

এপিডেমিওলজি:
দুগ্ধ জ্বর হওয়ার পিছনে বেশ কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে। এগুলো হলঃ

বয়স:
গাভীর বয়স বৃদ্ধির সাথে এ রোগের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পায়। অধিক বয়স্ক গাভীতে (৪-৫ বাচ্চা প্রসবের পর) এ রোগ অধিক হয়। কারণ বৃদ্ধ বয়সে একদিকে অস্থি থেকে ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশন হ্রাস পায়, অন্যদিকে পাকান্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ হ্রাস পায়।

জাত:
জার্সি জাতের গাভী (৩৩%) এ রোগ অধিক আক্রান্ত হয়। এছাড়া ব্রাউন সুইস s(Brown Swiss), আইশায়ার (Ayrshere), হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান (Holstein frizian) জাতের গাভীও এ রোগে আক্রান্ত হয়।

হরমোন:
বাচ্চা প্রসবের কিছুদিন পুর্ব থেকেই এবং ইস্ট্রাস পিরিয়ডে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। পরিণামে আন্ত্রিক গতিশীলতা হ্রাস পায় বলে অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে গিয়ে হাইপোক্যালসেমিয়া বা দুগ্ধ জ্বর দেখা যায়। এছাড়া ইস্ট্রোজেন হরমোন অস্থি থেকে ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশনেও বাধা দেয়।

অর্থর্নৈতিক গুরুত্ব:
স্নায়বিক কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে গাভীর স্বাভাবিক আচরণে অসামঞ্জস্যতা দেখা হেদয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে গাভী দাঁড়াতে পারে না। আক্রান্ত গাভীতে প্রসব জটিলতা, গর্ভফুল আটকে পড়া (কারণ এ সময়ে জরায়ুর মাংসপেশী শিথিল থাকায় জরায়ুর সংকোচন ক্ষমতা কমে যায় এবং গর্ভফুল বিচ্ছিন্ন ও পৃথক হওয়ার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হয়) ইত্যাদি জটিল সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া জরায়ুর পেশীর শিথিলতা বা দুর্বল হওয়ার কারণে জরায়ু থলথলে (flabby) হয় এবং জরায়ুর র্নিগমনের (uterine prolapse) সম্ভবনা বেড়ে যায়। যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে গাভী মারা যায়। মিল্ক ফিভার এর কারণে গাভীর উর্বরতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। আক্রান্ত গাভীতে ওলান প্রদাহের সম্ভবনা বেড়ে যায়। কারণ, এ সময়ে বাঁটের স্ফিংটার পেশী শিথিল থাকার ফলে বাঁটের ছিদ্র (teat canal) দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে গাভী মারা যায়।

চিকিৎসা:
দুধ জ্বরের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা হল ক্যালসিয়াম বোরোগ্লুকোনেট (৪৫০ থেকে ৫৪০ মিলির ২০% সলিউশন)। এ মাত্রার সলিউশনে ৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে যা সরাসরি শিরায় বা চামড়ার নিচে দিতে হয়। বাজারে এ ধরনের বিভিন্ন ক্যালসিয়াম সলিউশন এর যে কোনটি প্রস্তুতকারক কোমপানীর নির্দেশমত প্রয়োগ করতে হবে। চিকিৎসার ফলে প্রতিক্রিয়া দ্রুত হ্রাস পায় এবং ইনজেকশন দেয়ার সাথে সাথেই শতকরা ৬০ ভাগ এবং ২ ঘন্টার মধ্যে ১৫ ভাগ গাভী আরোগ্য লাভ করে। অপযার্প্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম সলিউশন দিয়ে চিকিৎসা করলে গাভী সম্পূর্ণ রোগমুক্ত হয় না এবং পশু উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হয় না। অপরদিকে ক্যালসিয়াম সলিউশন অতিরিক্ত মাত্রায় এবং দ্রুত শিরায় ইনজেকশন দিলে পশুর মৃতু্যর আশঙ্কা থাকে । উল্লেখ্য, এ রোগে প্রতি লিটার দুধ হতে ১.২ গ্রাম ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়। হিসাব করে দেখা গেছে ১৮ লিটার দুধ দিতে সক্ষম একটি গাভীর প্রতি দিন ২২ গ্রাম ক্যালসিয়াম ব্যয়িত হয়। কাজেই উপরোক্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টার ঘাটতি পূরণে সক্ষম নয়। এ কারণে পূর্বের অবস্থার প্রত্যার্বতন প্রতিরোধে (Follow-up therapy) সরাসরি মুখে ক্যালসিয়াম দেয়া যেতে পারে। এ ধরনের ক্যালসিয়াম সলিউশন প্রদান করলে সিরামের স্বাভাবিক ক্যালসিয়াম লেভেল বজায় থাকে এবং পশুর Homeostatic পদ্ধতি কার্যকর হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে শিরায় ক্যালসিয়াম দেয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে সিরামে (serum) ক্যালসিয়াম মাত্রা বজায় রাখার জন্য মুখে আয়নিক ক্যালসিয়াম (Ionic oral calcium) জেল form এ দেয়া হয়। আক্রান্ত গাভী যদি শক্ত বা পিচ্ছিল মেঝেতে শায়িত থাকে তবে খড় দিয়ে বিছানার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

প্রতিরোধ:
প্রধানত দুটো নীতি অনুসরণ করে গাভীর দুগ্ধ জ্বর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যথাঃ
১) খাদ্য সংশোধন (Correction of diet) এবং
২) প্রি -ডিসপোজিং ফ্যাক্টর সংশোধন (Correction of pre-disposing factors)

খাদ্য সংশোধন:
গাভীর শুষ্ক অবস্থায় ক্যালসিয়াম সরবরাহ পরিহার করতে হবে কারণ উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকলে হাড়ের ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। ফলে বাচ্চা প্রসব ও কলস্ট্রামের জন্য প্রচুর ক্যালসিয়াম এর প্রয়োজনে অস্থি থেকে দ্রুত মবিলাইজেশন হতে পারে না। পাকান্ত্রে হঠাৎ গোলযোগ হলে ক্যালসিয়াম শোষণ হয় না। অপরদিকে অস্থি থেকে ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশন হয় না। এর ফলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের গাভীদের কমপক্ষে ৩-৪ মাসের মত ২ চা চামচ করে ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট (DCP) পাউডার দৈনিক একবার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ডি পাকান্ত্রের ক্যালসিয়াম শোষণ এবং অস্থি থেকে রক্তে ক্যালসিয়াম প্রবাহিত করতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন ডি প্রয়োগের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

প্রি-ডিসপোজিং ফ্যাক্টর সংশোধন:
বয়স, জাত ও হরমোন লেভেলকে বিবেচনায় রেখে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে যাতে ধকল না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য বাচ্চা প্রসবের ৪৮ ঘন্টা পূর্ব ও পরে গাভীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

মন্তব্য : যে কোন রোগের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করুন। চিকিৎসকে পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার চিকিৎসা প্রদান করা একেবারেই উচিৎ নয়।

বিশেষ মন্তব্য : পোস্ট টি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট শেয়ার করে গরু প্রেমী সকল ভাই দের সচেতন হওয়ার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ।

আপনি কি খামার করবেন ভাবছেন???কিংবা খামার করেছেন কিন্তু লাভ পাচ্ছেন না 🤔  তাহলে আপনার সমস্যা সমাধানের জন‍্য এই লেখাটা পড়ে...
03/11/2025

আপনি কি খামার করবেন ভাবছেন???
কিংবা খামার করেছেন কিন্তু লাভ পাচ্ছেন না 🤔
তাহলে আপনার সমস্যা সমাধানের জন‍্য এই লেখাটা পড়ে যাবেন....
ইনশাআল্লাহ সফলতা পাবেন...
#খামার_উন্নয়নে_আমরাই_সাথী
🏠🏠🏠🏠
🐄💡 খামার করে কীভাবে স্বল্প খরচে লাভবান হওয়া যায়? 💸💸💸💸💸💸💸 বাস্তব ও সহজ কিছু উপায়
বর্তমানে বেকার সমস্যা আর শহরের ব্যয়বহুল জীবনের কারণে অনেকেই গ্রামে ফিরে খামার ব্যবসায় মনোযোগী হচ্ছেন।
খামার মানেই শুধু গরু পালা নয়🐄🐄🐄🐄এটা হতে পারে একটি পরিপূর্ণ উৎপাদন ও আয়ের উৎস, যদি আপনি সঠিকভাবে চালাতে পারেন।
তবে একটি বড় প্রশ্ন এখানেই—
👉 “খামার করলেও অনেকেই লাভবান হতে পারছেন না, কেন?”🤔🤔
এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো – খরচ বেশি, আয় কম।💸💸
🎯 কেন খামারে লাভ আসে না? – বাস্তব ৫টি কারণ
১. খোরাকির খরচ বেশি – গরুর খাবার (খোল, ভূষি, দানা) বাজার থেকে কিনে খরচ হয় অনেক
২. রোগব্যাধি বেশি – গরু অসুস্থ হলে চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যায়
৩. বাজার ব্যবস্থাপনা দুর্বল – বিক্রির সময় ঠিক দাম পাওয়া যায় না
৪. পরিকল্পনার অভাব – কত খরচ, কত লাভ—হিসাব রাখা হয় না
৫. নির্ভরতা বাইরের উৎসে – নিজস্ব কিছু না থাকলে লাভ কঠিন
✅ তাহলে সমাধান কী?
আপনি যদি সত্যিকারের লাভবান হতে চান,💸💸 তাহলে আপনাকে শুরু করতে হবে স্বল্প খরচে খামার গড়ে তোলা এবং নিজস্ব উৎপাদনে মনোযোগী হওয়া থেকে।
🧠 খামার থেকে স্বল্প খরচে লাভবান হওয়ার ৫টি বাস্তব কৌশল
১. 🔍 ছোট পরিসরে শুরু করুন
শুরুতেই বড় খামার না করে, ২–৩টি গরু বা ১০–২০টি হাঁস-মুরগি দিয়ে শুরু করুন।
এই পর্যায়ে আপনি শিখতে পারবেন: রোগব্যাধি, খাবারের ম্যানেজমেন্ট, বাজার চিনতে পারবেন।
২. 📘 খরচের হিসাব রাখুন
প্রতিদিন বা অন্তত সপ্তাহে একবার খরচ ও আয়ের হিসাব লিখে রাখুন।
যেমন: খাবার খরচ, ওষুধ, সেবা, বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় অপচয় হচ্ছে।
৩. 🐄 রোগ প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নিন
নিয়মিত ভ্যাকসিন দিন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখুন
ভালো জাতের গরু বাছাই করুন
৪. 🏪 বাজারের সাথে সংযোগ রাখুন
আপনার খামারের গরু বা পণ্য আগে থেকেই বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখুন।
কোরবানি মৌসুম, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অথবা অনলাইন পেইজ ব্যবহার করে বাজার তৈরি করুন।
৫. 🌿 গরুর খাবার নিজের খামারেই চাষ করুন
এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক সিদ্ধান্ত হতে পারে আপনার জন্য।
বাইরের খোল, ভূষি, দানার উপর নির্ভর করলে খরচ কখনোই কমবে না।
এবার এখানেই আসছে আমাদের মূল ফোকাস —👇
🌱 সর্বশেষ এবং সবচেয়ে কার্যকর সমাধান: সরগম সুদান🌿🌿🌿 ঘাসের বীজ দিয়ে নিজস্ব ঘাস চাষ করুন🌿🌿🌿
গরুর খাবারের খরচ কমাতে হলে, 💸💸আপনাকে নিজের খামারে উন্নত ঘাস চাষ করতে হবে।🌿🌿
আর সেই ঘাসের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো 👉 সরগম সুদান ঘাস (Sorghum Sudan Grass)।🌱🌱🌱🌱
🌾 সরগম সুদান ঘাস কেন গরুর খামারের জন্য আদর্শ?
✅ এটি উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ — প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও শক্তিতে ভরপুর
✅ সহজে হজম হয় — গরু সুস্থ থাকে, দুধ ও ওজন দুটোই বাড়ে
✅ পানিতে বেড়ে ওঠে — খরার মধ্যে টিকে থাকতে পারে
✅ মাত্র ৩০–৩৫ দিনে কাটার উপযোগী হয়ে যায়
✅ একবার বপনে ৪–৫ বছর পর্যন্ত কাটা যায়
✅ বীজের দাম তুলনামূলক কম, কিন্তু ফলন অনেক বেশি🌿🌿🌿🌿
🔄 খরচ কমানোর বাস্তব চিত্র (সরগম সুদান ঘাস ব্যবহারে):🌱🌱🌱
খরচের খাত বাইরের খাবারে সরগম সুদান ঘাসে🌱🌱🌱
দৈনিক খাবার ৭০–১০০ টাকা/গরু ৩০–৪০ টাকা/গরু
ওষুধ বেশি (পুষ্টি কমে রোগ বেশি) কম (হজম ভালো)
ওজন বৃদ্ধি ধীর গতি দ্রুত বৃদ্ধি
মাসিক সাশ্রয় — প্রতি গরুতে ১২০০+ টাকা
যদি আপনার খামারে ১০টি গরু থাকে, তাহলে শুধু ঘাস চাষ করেই আপনি বছরে ১,৫০,০০০ টাকার বেশি সাশ্রয় করতে পারেন!
🛠️ সরগম সুদান ঘাসের🌱🌱🌱 বীজ দিয়ে চাষ শুরু করবেন যেভাবে
জমি প্রস্তুত করুন (হালকা উঁচু ও রোদে ভরা জমি)
প্রতি বিঘায় ৮–১০ কেজি বীজ বপন করুন
প্রথম কাটা ৩০ দিনে, পরবর্তী কাটাগুলো 15/20 দিন পর পর🌱🌱🌱🌱
🔚 শেষ কথা
আপনার খামারকে লাভের মুখে আনতে চাইলে আপনাকেই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সেই সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো — নিজস্ব ঘাস চাষ করা।🌱🌱🌱
আর ঘাসের মধ্যে সবচেয়ে উপযোগী হলো 👉 সরগম সুদান ঘাস।🌱🌱
এটা চাষ করলে:
খরচ কমবে🌱🌱🌱
গরু সুস্থ থাকবে🐄🐄
দুধ ও ওজন বাড়বে🐄🐄
বিক্রির সময় দাম বেশি পাবেন💸💸💸
👉 আপনি চাইলে আজ থেকেই শুরু করতে পারেন—একটি ছোট পরিসরে, নিজস্ব ঘাস চাষ দিয়ে।🌱🌱🌱
আপনার খামার, আপনার পরিকল্পনা, আপনার লাভ—এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য। 🐄🌿🌱🌱🌱🌱
🎁 চাইলে আমি আপনাকে আলাদাভাবে দিতে পারি:
সরগম সুদান ঘাসের চাষ গাইড (PDF)
খামারের খরচ/লাভ হিসাব শিট (Excel)
আপনার খামারের নামে কাস্টম ফেসবুক কনটেন্ট/পোস্ট ডিজাইন
বললেই তৈরি করে দিচ্ছি।
তুমি শুধু বলো—তোমার খামারের নাম কী, কত গরু আছে, আর কোথা থেকে শুরু করতে চাও। আমি আছি পাশে। 😊
🌱🌱আসুন জেনে নেই সরগম সুদান ঘাস সম্পর্কে বিস্তারিত🌱🌱
এই ঘাস চাষে খরচ খুবই কম..….
🌱 মাত্র ৩৫-৪০ দিনেই খাওয়ানোর উপযুক্ত হয়।
🌱 ৭ - ৮ ফুট লম্বা হয়।
🌱 একবার বীজ ছিটালে ৪-৫ বছর কাটা যায়।
🌱 সারা বছর চাষ করা যায়।
🌱 নরম ও সুস্বাদু হওয়ায়, এই ঘাস গরু এবং ছাগলে খুব ভাল খায়।
🌱দীর্ঘদিন পর্যন্ত নরম থাকে।
🌱অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল ঘাস।
🌱এই ঘাসে প্রোটিন: ১৮-২০%।
উচ্চ ফলন: কম সময়ে বেশি উৎপাদন
🔸 পুষ্টিকর: প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ
🔸 সহজ চাষাবাদ: কম পানি ও যত্নে ভালো ফলন
🔸 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা
🌱আমাদের সরগম সুদান ঘাসের বীজ সম্পর্কে আরও জানতে এবং অর্ডার করতে আজই যোগাযোগ করুন!🌱
📞 যোগাযোগ: 01334-642219 ( what's app+imo)
💥 ফ্রি ডেলিভারি: 5 কেজি অর্ডারে ফ্রি হোম ডেলিভারি।🌱
#সবুজখামার #গরুরঘাস #অরিজিনালবীজ #খামারি_সফলতা

গরুর খামার ঘর (সেড) তৈরিঃ (বিস্তারিত বর্ণনা)♦️---------------------------------------------‌----‐-------♦️গরুর খামারে মু...
07/10/2025

গরুর খামার ঘর (সেড) তৈরিঃ (বিস্তারিত বর্ণনা)
♦️---------------------------------------------‌----‐-------♦️
গরুর খামারে মুনাফার ৪টি শর্তের একটি হল গরুর জন্য আরামদায়ক ঘরের ব্যবস্থা করা।

গরুর খামার ঘর তৈরি করতে জানা অর্থ কিভাবে আপনি নিজের নির্দিষ্ট টাকা ও জায়গা দিয়ে গরুর জন্য সর্বোচ্চ আরামদায়ক সেডের ব্যবস্থা করবেন। এর জন্য আপনাকে গরুর ঘরের বিভিন্ন অংশের মাপ এবং এই মাপগুলো কম-বেশি করলে কি সুবিধা-অসুবিধা তা জানতে হবে।

গরুর ঘর তৈরির নিয়ম
প্রথমে আমরা ঠিক করব খামারে দুই সারিতে নাকি এক সারিতে গরু পালব। দুই সারির নিয়ম বুঝলে এক সারি সহজেই বোঝা যাবে। দুই সারি করে হিসাব করলে ১০ টি গরুর জন্য প্রতি সারিতে ৫ টি করে গরু থাকে। আর মাঝে হাটার জন্য একটি রাস্তা। সুতরাং এক সারি গরু ও মাঝের রাস্তার জায়গার হিসাব করলেই ঘরের জায়গার হিসাব বেড়িয়ে যাবে ইংশাল্লাহ।

গরুর খামার তৈরির নকশা
প্রথমে ঘরের চওরা। একটি গরুর জন্য মাথা থেকে পেছন পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত জায়গা দিতে হবে। আমরা ধরে নিলাম এটি ৭ ফুট(জায়গা বেশি থাকলে ৮ ফুট করা ভাল) । গরুর সামনে খাবার পাত্রের জন্য ২.৫ ফুট জায়গা আর পেছনে ড্রেনের জন্য 0.৫ ফুট জায়গা রাখা হল। গবাদিপশু পালন ও কৃষি ।
সুতরাং এক সারি গরুর জন্য টোটাল ৭ + ২.৫ + 0.৫ = ১০ ফুট জায়গা দরকার। এবং দুই সারির জন্যে চওরায় ২০ ফুট।

গরুর খামার তৈরির নকশা
মাঝের রাস্তা মিনিমাম ৪ থেকে ১০ ফুট রাখতে হয়। আমরা এখানে ৪ ফুট ধরলাম। সুতরাং ঘরের চওড়া টোটাল ২০ + ৪ = ২৪ ফুট।

একটি গরুর জন্য তার সামনে ৪ ফুট( জায়গা বেশি থাকলে সাড়ে ৪ ফুট) জায়গা দিতে হবে, অর্থাৎ গরু থেকে গরুর দুরত্ব হবে ৪ ফুট। তাহলে ৫ টি গরুর জন্য ২০ ফুট। সাথে গেটের জন্য ৪ ফুট লাগবে।
সুতরাং মোট লম্বা ২৪ ফুট, গেট মাঝ রাস্তা দিয়ে হলে ২০ ফুট।

আমাদের দেশের শেডের উচ্চতা নরমালি ১০/১৩ বা ১২ / ১৫ ফিট বা ১২ / ১৪ ইত্যাদি হয়ে থাকে। শেড যত উচু হবে তত ভালো। আধুনিক বড় খামারগুলোতে ৪০-৫০ ফিট শেড উচু করতে হয়।

হেড টু হেড / টেল টু টেল
হেড টু হেডঅর্থ হল গরু গুলো ভেতরে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে গোবর বাইরে পড়বে।
টেল টু টেল অর্থ গরুগুলো পরস্পরের বিপরীতে দাঁড়াবে, গোবর ভেতরে পড়বে।

দুটো সিস্টেমেরই সুবিধা – অসুবিধা আছে। নিচে তুলে ধরা হল-

হেড টু হেডের সুবিধাঃ
১। খাবার দিতে সুবিধাঃ হেড টু হেডের ক্ষেত্রে গরুগুলো মুখোমুখি দাড়াবার কারনে দ্রুত ও ভালোভাবে খাবার দেওয়া যায়।
২। গ্যাসের সমস্যা কমঃ গোবর – প্রসাব বাইরের দিকে পড়ার কারনে ভেতরে গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
৩। গরুর গুতোর বিপদ নেইঃ গরু গুলো খাবার পাত্রের অপর পাশে থাকার কারনে গুতো খাবার বিপদ কম।
৪। ছেড়ে গরু পালনের জন্য সুবিধাঃ গরুর পেছনে খালি মাঠ বা জায়গা থাকে। ফলে এক্ষেত্রে হেড টু হেড সিস্টেম একমাত্র উপায়।

টেল টু টেলের সুবিধাঃ
১। পর্যাপ্ত আলো বাতাসঃ গরুর মুখ বাহিরের দিকে থাকার কারনে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায়।
২। দ্রুত গোবর-মূত্র পরিস্কার করা যায়ঃ দুই সারির গোবর এক দিকে পরার কারনে সহজে ও দ্রুত পরিস্কার করা যায়।
৩। দুধ দোয়ানোতে সুবিধাঃ ভেতরের দিকে থাকার কারনে দুই সারি গাভি থেকে সহজে দুধ নেওয়া যায়।
৪। শ্বাসজনিত রোগ সহ অন্যান্য রোগ ছড়াবার সম্ভাবনা কমঃ প্রায় সব রোগ মুখের শ্বাস, লালা, নাকের মিউকাস ইত্যাদি দিয়ে ছড়ায়। গরুগুলো একে অপরের বিপরীত দিকে থাকার কারনে এটির সম্ভাবনা কম।
৫। একটি ড্রেনই যথেস্টঃ পাশে একটু বেশি জায়গা দিয়ে মাঝে একটি ড্রেন দিয়েই সমস্ত ময়লা দূর করা যায়।
৬। গোসলে সুবিধাঃ দ্রুত ও সহজে গোসল দেওয়া যায়।

এবার আলোচনা করা যাক কোনটি ভালো। দেখা যাচ্ছে টেল টু টেলের সুবিধা অনেক বেশি। কিন্তু হেড টু হেডের সুবিধাগুলো কি আসলেই সুবিধা কিনা, কিংবা সেগুলোর গুরুত্ব কতটুকু সেটা একটু দেখা যাক।

প্রথমত, খাবার দেবার সুবিধার কথা যদি ভাবা হয় তাহলে অন্য দিকে গোবর পরিস্কার, গোসল, দুধ দোয়ানো সহ অনেক কাজে অসুবিধা বেশি। কাজেই এ পয়েন্টটি টিকছে না। দ্বিতীয়ত, গোবরের গ্যাসের কথা ভাবতে গিয়ে গরু যদি আলো বাতাস কম পায় তাহলে সেটা তেমন কাজে দিবে না।
এদিকে গাভির ক্ষেত্রে গুতোর তেমন সম্ভাবনা নেই। ফ্যাটেনিং এর ক্ষেত্রে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। তবে টেল টু টেলে যদি খাবার বাইরে থেকে দেওয়া যায় তাহলে এ সমস্যাটা থাকছে না।
তবে ছেড়ে গরু পালার ক্ষেত্রে হেড টু হেডের বিকল্প নেই। আমাদের দেশে এখন অনেক আধুনিক খামার গড়ে উঠছে যেগুলোতে গরু ছেড়ে পালার সিস্টেম থাকে। এসব ক্ষেত্রে হেড টু হেড সবচেয়ে ভালো। অন্যথায় টেল টু টেল সিস্টেম হেড টু হেডের চেয়ে অনেক গুনে ভালো।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যে শেড বানাবার সময় বেশিরভাগ খামারি নিজের সুবিধার কথা ভাবে, গরুর সুবিধা না (অবশ্য বর্তমানে অনেক শিক্ষিত খামারির সংখ্যা বাড়ছে) । হেড টু হেড হলে সে সহজেই খাবার পানি দিতে পারবে। অথচ খামারে লাভ করার সূত্রের ৪ নাম্বার শর্ত ছিল গরুকে আরামদায়ক পরিবেশ দেওয়া।

তবে অনেক খামারির পক্ষে আসলে হেড টু হেড ছাড়া উপায় থাকে না। আলাদা ঘর না থাকার কারনে চোরের উপদ্রপের ভয়ে বাহিরের দেয়াল উচা বা টিন দিয়ে ঘেরাও করে ফেলতে হয়। ফলে গরুকে হেড টূ হেড রাখতে হয়। আবার জায়গার স্বল্পতার কারনে অনেকের বাহিরে গিয়ে খাবার দেবার উপায় থাকে না।
কিন্তু একটু বুদ্ধি করে টিনের মাঝে জানালার মত করে ফাকা করে রাখলে বাহির থেকে খাবার দেওয়া যায়। আবার রাতে বন্ধ করে রাখা যায়। কিন্তু ওই যে বললাম, বেশিরভাগ খামারি এই কস্ট টুকু করতে চায় না।

ঘরের মেঝে কেমন হবে
উদ্দেশ্য হল যাতে সহজের পরিস্কার করা যায় এবং গরুর জন্য কোন সমস্যার না হয়।
ফ্লোর বা মেঝে দুই ভাবে বানানো যায় –
১। ইট দিয়ে সলিং
২। ঢালাই

১। ইট দিয়ে সলিংঃ বালু দিয়ে তার উপর ইটের সলিং পেতে সিমেন্ট বালুর মশলা তৈরি করে দুইটি ইটের সংযোগ স্থলে মশলা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।
এটি খুব ভালো ভাবে করতে হবে। অন্যথায় কদিন পর পর ইট উঠানোর ঝামেলা আছে। এমনকি এখন না হলেও ৪/৫ বছর পর ইট উঠে যায় এবং উচু নিচু হয়ে যায়। ফাকা জায়গা দিয়ে গরুর প্রসাব ও গাসলের পানি কাদা তৈরি হয়।

২। ঢালাইঃ সিমেন্ট মশলা দিয়ে একেবারে ঢালাই দেওয়া হয়। ভালভাবে না দিলে এখানেও কদিন পর পর ঢালাই উঠে যায়।
ঢালাইতে পিছলে গরু পরে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধান থাকতে হবে।

খামারে ঘরের মেঝে ঢালু দিতে হবে যাতে গোবর ময়লা সহজেই ড্রেনে চলে যায়। মাঝের রাস্তার স্লোপ বা ঢালু মাঝখান থেকে দুই দিকে যাবে। এতে পানি দু দিকে চলে যাবে। মেঝের ঢাল সামনে থেকে ড্রেনের দিকে গাভীর ক্ষেত্রে প্রতি ফিট এর জন্য ০.২৫ ইঞ্চি এবং ষাড় গরুর জন্য ০.৫০ ইঞ্চি করে দিতে হবে। ফলে ৮ ইঞ্চির জন্য গাভির ক্ষেত্রে ২-৩ ইঞ্চি এবং ষাড় গরুর ক্ষেত্রে ৪-৫ ইঞ্চি ঢাল দিতে হবে।
গাভির চেয়ে ষাড় গরুতে ঢাল বেশি দেবার যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে পেছনে বেশি ঢালু থাকলে পেছনে মাংস তারাতারি বাড়ে। কিন্তু এটি সাইন্টিফিক কিনা জানি না।

গরুর খাবার ও পানির হাউস ( চারি )
অনেকে ভাবেন খাবার হাউস যত উচু হবে তত ভালো, গরু সহজে খেতে পারবে। ব্যাপারটাকে তারা অনেকটা ডাইনিং টেবিলের মত বানিয়ে ফেলেছেন। মানুষের যেমন ডাইনিং টেবিলে খেতে সুবিধা হয়, গরুর ক্ষেত্রেও তেমনটা ভাবা হচ্ছে।

কেন ডাইনিং টেবিল নয় ?

গরু স্বাভাবিক ভাবে মাঠে নিচে থেকে ঘাস খায়। এটাই তার স্বভাব। তাই খাবার জায়গা উচা করে দেওয়া অর্থ তার স্বভাবের বিরুদ্ধে কাজ করা।
এছাড়া মুখ নিচের দিকে থাকার কারনে মুখ দিয়ে যথেস্ট লালা আসে যা খাবারের হজমে সহায়ক। অথচ খাবার স্থান উচা করে দিলে যথেস্ট পরিমান লালা আসে না।
আলাদা খাবার ও পানির পাত্র করতে ব্যাপক পরিমান খরচ হয়, অথচ এই খরচের কোন প্রয়োজন ছিল না।

তাই গরুর সামনে সামান্য উচু দেওয়াল করে লোহার পাইপ বা বাশ টেনে দিতে হবে (নিচের ছবির মত)। এর সামনে ফ্লোরেই খাবার রাখতে হবে। পানি আলাদা একটি পাত্র বা কাটা ড্রামে দেওয়া যেতে পারে কিংবা জায়গা থাকলে পানির জন্য আলাদা লাইন করতে হবে।

কিন্তু কিছু পুরোনো গরুর খামার ভিসিট করলে অনেকের মনে নিচের প্রশ্নগুলো আসবে ?

পুরোনো খামারে তো খাবার হাউজ উচু করে দেওয়া আছে। তাদের তো লস হচ্ছে না।
পাত্র উচু করে দেওয়ার জন্য গরু খাচ্ছে না বা অসুস্থ হয়েছে এমন তো কোন প্রমান নেই।
এভাবে ফ্লোরে খাবার দিলে খাবার নস্ট হয়।
হ্যা, পুরোনো পদ্ধতিতে খাবার দিলে আপনার লস হবে তা নয়, কারন গরু তো এর জন্য খাওয়া বন্ধ রাখবে না। তবে

এটি গরুর জন্য আরামদায়ক বা স্বাভাবিক হবে না।
হাউজ উচু করতে অতিরিক্ত খরচ হবে।
প্রযুক্তি সর্বদাই পরিবর্তন হয়। টিকে থাকে তারাই যারা প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
আর ফ্লোরে খাবার নস্ট দূর করার জন্য উপরের ব্যাপারটিকে ঠিক রেখেই আমরা একটি ব্যবস্থা নিতে পারি। সেটা হল খাবারের হাউস বানানো হবে কিন্ত তার গভীরতা হবে একেবারে ফ্লোরের কাছাকাছি, উচ্চতা গরুর সামনে ১২ ইঞ্চি এবং বাইরের দিকে ১৮ ইঞ্চি।

প্রাচীর থেকে নালা দিকে খাবার ও পানির হাউজের জন্য ২.৫ ফিট। প্রতি গরুর জন্য সামনে ৪ ফিট। সুতরাং দুই গরু তে ৮ ফিট। তাহলে মাঝে একটা ২ ফিট পানির হাউজ বানিয়ে বাকি ৬ ফিট অর্থাৎ ৩ ফিট করে প্রতি গরুতে একটা খাবার হাউজ হবে। পানির হাউজ একত্রে বানাবার কারনে জায়গা কম লাগবে, ওদিকে খাবার হাউজে বেশি জায়গা দেওয়া যাবে। এছাড়া আলাদা ভাবে বানালে ৪ ফিটের মধ্যে খাবার হাউজে ২.৫ ফিট এবং পানির হাউজে ১.৫ ফিট করে নিতে হবে। আলাদা রাখার সুবিধা হল এক গরুর রোগ হলে পাশের গরু সহজে সেই রোগে আক্রান্ত হবে না। এছাড়া বোঝা যাবে কোন গরুটি কেমন পানি খাচ্ছে।

ঘরের চাল কেমন হবে ?
কয়েক ধরনের আছে। যেমন –

১। ঢালাইঃ খরচ বেশি, কিন্তু গরমে তাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। গরুর প্রধান সমস্যা হয় গরমে, শীতে না।
২। টিনের চালঃ খরচ কম, কিন্তু গরম বেশি কিন্তু শীতে ঘর অনেক ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে গরম কমাতে চালের নিচে ইন্সুলেসন দেওয়া যেতে পারে।
৩। প্লাস্টিকের চাল = মরিচা ধরে না, রোদের তাপে গরম হয় না, দিনের বেলা আলো পৌছায়।

শেডের চারপাসে ওয়াল কিভাবে দিতে হবে ?
ওয়াল ২.৫ ফুট সবচেয়ে ভালো। তবে চোরের ভয় থাকলে ৩ ফুট পর্যন্ত করে এর উপরে জানালাসহ টিন দেওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় নেট দিয়ে ঘিরে দিলে। অনেকে ভাবেন শীতে ঠান্ডা লাগবে। কিন্তু আমাদের দেশে গরুর জন্য শীত নয়, প্রধান সমস্যা হয় গরমে।

গরুগুলোকে কি পাইপ /বাশ দিয়ে আলাদা করে দিতে হবে ?
সেডে গরুগুলোকে পাইপ বা বাশ দিয়ে আলাদা করে দিলে এক গরু অন্য গরুর দিকে পায়খানা করতে পারবে না, পেছনের দিকে করবে, ফলে পরিস্কারের সময় সুবিধা হবে। কিন্তু পায়খানা করবে সে গরু বসলে সেটির অপর বসবে, আর গাভি হলে টিট দিয়ে জীবাণু ঢুকে যাবে।

ড্রেনের মাপ কেমন হবে ?
প্রসাব ও গোবর যাবার ড্রেনের জন্য – ড্রেন ০.৫ থেকে ১.৫ ফিট লম্বা এবং ১ থেকে ২.৫ ফিট গভীর হতে হবে। তবে ড্রেনের ওপর খোলা থাকলে গভীরতা যাতে বেশি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। গরুর পা পড়ে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবন রয়েছে।

শেড কি পূর্ব পশ্চিম নাকি উত্তর দক্ষিন ?
পূর্ব – পশ্চিমে শেড করার ব্যাপারটি পোল্ট্রিতে যত গুরুত্বপূর্ণ, গরুর খামারের ক্ষেত্রে তত নয়। কারন পোল্ট্রিতে এমোনিয়া গ্যাস জমলে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়ে মুরগি মারা যায়, যেমন, ঠান্ডা বিশেষ করে মাইকোপ্লাসমা দ্বারা এবং পরবর্তীতে ঠান্ডার কারনে আরো অনেক রোগের আগমন। কিন্তু গরুর ক্ষেত্রে প্রোডাকসনে প্রবলেম নিয়ে আসে তা নয়। তবে চেস্টা করতে হবে পূর্ব পশ্চিমে করার।

শীতকালে আমাদের দেশে বায়ু সাধারণত উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে ভূ-পৃষ্ঠের প্রচন্ড উত্তাপে ভারতের পশ্চিম-কেন্দ্রভাগ জুড়ে একটি নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে বঙ্গোপসাগর থেকে একটি উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুস্রোত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উল্লিখিত নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়। কাজেই সেড পূর্ব পশ্চিম বরাবর লম্বা করলে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারবে।

আরো একটি সুবিধা হল যে সূর্যের আলো তখন গরুর পেছনে অর্থাৎ প্রসাব ও গোবরের ওপর পরে, ফলে ন্যাচারালি কিছুটা জীবানুমুক্ত হয়। কিন্তু সেড উত্তর দক্ষিনে লম্বা করলে সূর্যের আলো সরাসরি গরুর মুখে পড়বে।

শেয়ার করে রেখে দিন অনেকের উপকারে আসবে ।

03/06/2025
With KM Mohabbat Ali – I'm on a streak! I've been a top fan for 7 months in a row. 🎉
11/05/2025

With KM Mohabbat Ali – I'm on a streak! I've been a top fan for 7 months in a row. 🎉

Address

Monirampur

Telephone

+8801960129797

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমাদের খামারবাড়ি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share