S.Porikroma.com

S.Porikroma.com It is the Official page of The Weekly Sreemangal Porikroma.On this page share exclusive news contents For news as it happens

01/06/2025
01/06/2025
স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানবহু মত, বহু দল, বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির বাংলাদেশকে একক ...
29/05/2025

স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান

বহু মত, বহু দল, বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির বাংলাদেশকে একক জাতীয়তাবাদের ছাতায় নিয়ে এসেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ।

আধিপত্যবাদের রক্তচক্ষুকে চ্যালেঞ্জ করে শীর উঁচু করে, চোখে চোখ রেখে, জাতিকে নিজের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে শিখিয়েছেন।

গোলামীর শিকলকে গুড়িয়ে দিয়ে সার্ক গঠনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয়ার আঞ্চলিক উদীয়মান নতুন এক নেতৃত্ব উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।

এক দলীয় শাসনের পরিবর্তে জিয়াউর রহমান হলেন বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক। উদারনৈতিক মধ‍্যপন্থি বহুদলীয় গণতন্ত্রের দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশী ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের মহানায়ক।

সেকারণেই জিয়াউর রহমানকে দলীয়করণ বা বানিজ‍্যিকরণ করার প্রয়োজন হয়নি।
হাজারো মূর্তি তৈরি করে অমর করার প্রয়োজন হয়নি। আইন পাশ করে বাধ্যতামূলক শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজন হয়নি।
সেকারণেই উনি সকল দল মতের উর্ধ্বে সবারই শহীদ জিয়া। স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক।

আজ ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। -ডক্টর তুহিন মালিক

 # ওসি কাজ না করলে থানায় থাকার দরকার নেই  # সেবাপ্রার্থীরা প্রয়োজনে থানায় বসেই সরাসরি পুলিশ সুপারের সাথে ভিডিও কলে কথা ব...
26/05/2025

# ওসি কাজ না করলে থানায় থাকার দরকার নেই

# সেবাপ্রার্থীরা প্রয়োজনে থানায় বসেই সরাসরি পুলিশ সুপারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন

# শীঘ্রই জেলায় চালু হতে যাচ্ছে অনলাইন জিডি

শ্রীমঙ্গলে ওপেন হাউস ডে-তে পুলিশ সুপার

জেলা প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার :
থানায় ওসি কাজ না করলে থানায় থাকার দরকার নেই বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন ‘অভিযোগ বক্সটা যেন থানার বাহিরে গেইটের পাশে রাখা হয়। অনেকেরই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তারা ভেতরে ঢুকতে চায় না। তারা যেন অভিযোগ বক্সে তাদের বিষয়বস্তু রেখে যেতে পারেন।’
তিনি জানান,প্রয়োজনে থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে সেবাপ্রার্থীরা এখন থেকে সরাসরি পুলিশ সুপারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন। এছাড়া খুব শীঘ্রই জেলায় অনলাইন জিডি চালু হতে যাচ্ছে। ঘরে বসেই যে কেউ জিডি করতে পারবেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, 'মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ জেলার নাগরিকদের সেবা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আমাদের সেবা আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন কিছু কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন,থানার ওসি যদি মানুষের জন্য কাজ না করে, সঠিক নাগরিক সেবা দিতে না পারে তাহলে থানায় থাকার দরকার নেই। এসি রুমে বসে থাকার জন্য আমাদেরকে সরকার পাঠায়নি। এত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে শুধু শুধু এসি রুমে বসে থাকার জন্য নয়। মানুষের সঠিক সেবা প্রদান করতে হবে।’

সোমবার (২৬ মে) রাতে শ্রীমঙ্গল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওপেন হাউস ডে- তে শ্রীমঙ্গল শহরের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ নেন।
তারা পর্যটন কেন্দ্রিক এই শহরে মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, যানজট এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেন। একই সাথে থানায় সেবা পেতে যাতে কোন রকম হয়রানি না হয় সেদিকে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘এর আগে অনেক ‘ওপেন হাউজ ডে’ করা হয়েছে প্যান্ডেল বেঁধে, অনেক সাজসজ্জা করে, এগুলো সাজসজ্জার মধ্যেই থাকে। কিন্তু ‘ওপেন হাউজ ডে’র উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সেটা বাস্তবায়ন খুবই কম হয়।’

তিনি বলেন, ‘ যে কোন পুলিশি সেবা পেতে এবং সেবা দিতে পুলিশ বাধ্য। যদি সেটা থানা পুলিশ না দিয়ে থাকে তাহলে আপনাদের করণীয় কি ?
শ্রীমঙ্গল থানা এলাকায় নাগরিকদের পুলিশের সেবা আরও বেশি গতিশীল এবং জবাবদিহিতা কিভাবে করা যায় সেটা জানাবেন।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘এখানে এমন না যে, কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তিকে বেশি সেবা প্রদান এবং যারা সব সময় থানায় আসে, তারাই বেশি সুবিধা পাবে বা
যাদের গায়ে ভালো কাপড় নেই, পায়ে স্যান্ডেল নেই এমন ব্যাক্তি সেবা পাবে না বিষয়টা কিন্তু এমন নয়।
‘ওপেন হাউজ ডে’তে আপনারা আপনাদের কথা বলবেন, কমিউনিটির কথা বলবেন এবং পুলিশকে আরো বেশি জবাবদিহিতামূলক কিভাবে করা যায় সে
পরামর্শ দিবেন।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে সেটা বলবেন, সব কথা উন্মুক্তভাবে বলবেন।
এখানে এমন না যে কথা বললে থানার ওসি পরে কি বলবে এমন বিষয় মনে করার সুযোগ নেই।
শুধু ওসি নয় পুলিশ সুপারও জবাবদিহিতার
বাহিরে নয়।’

ওসি কে উদ্দেশ্য করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘অভিযোগ বক্সটা যেন থানার বাহিরে গেইটের পাশে রাখা হয়। অনেকের’ই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তারা ভিতরে ঢুকতে চায় না। তারা যেন অভিযোগ
বক্সে তাদের বিষয়বস্তু রেখে যেতে পারেন।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও একটা অভিযোগ বক্স রয়েছে। সেখানেও অভিযোগ দিতে পারবেন। আপনারা যেখানে খুশি সেখানেই যে কোন অভিযোগ থাকলে দিতে পারেন।
আপনাদের সেবাটা ঠিক মতো হচ্ছে কি না সেটা জানাবেন। এখানে প্রশাসক হিসেবে আমি আসিনি।
আপনাদের কাজ করতে, নাগরিক সেবা দিতে এসেছি। আপনারা অভিযোগ না করলে আমি মনে করতে পারি খুব ভালো সেবা দিচ্ছি, আসলে সেটা নাও তো হতে পারে। আপনাদের সাথে যদি আমরা মতবিনিময় না করি, আপনাদের মনের কথা না জানি, তাহলে আমি বুঝব কিভাবে আমি সঠিক কাজ করছি কি না।

ওপেন হাউজ ডে-তে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আসিফ মহিউদ্দীন,পিপিএম সহকারী পুলিশ সুপার শাকিলসহ থানার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। #

"বিগতদিনে আওয়ামী লীগের সাথে যারা দুস্তি করেছে,তাদের বিএনপির কোন কমিটিতে স্থান দেয়া হবে না"- শ্রীমঙ্গলে বিএনপির কর্মীসভায়...
25/05/2025

"বিগতদিনে আওয়ামী লীগের সাথে যারা দুস্তি করেছে,তাদের বিএনপির কোন কমিটিতে স্থান
দেয়া হবে না"

- শ্রীমঙ্গলে বিএনপির কর্মীসভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন

জেলা প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন বলেছেন,"বিএনপিতে কোন গ্রপিং থাকবে না। গ্রুপ আমাদের একটাই আমরা সবাই তারেক রহমানের গ্রুপ,ধান ছড়ার গ্রুপ। ওয়ার্ড,ইউনিয়ন কমিটিতে তারাই আসবে যারা বিগতদিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত ছিলেন, যারা মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছেন,জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তাদেরকেই কমিটিতে স্থান অগ্রাধিকার দিতে হবে"।
মূয়ুন বলেন,'আমরা চাই না, যারা বিগতদিনে এই নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাথে দুস্তি করেছেন, যাদের সম্পর্ক ছিল তাদেরকে আমরা বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটিতে দেখতে চাই না। কমিটি হবে, যারা ত্যাগি,সক্রিয় তাদের মাধ্যমেই'।
তিনি বলেন, 'আমরা যারা বিএনপি করি, তারা সবাই এক ছাতার তলে আছি। এছাতা হলো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছাতা। এই ছাতার বাইরে আমাদের কারও যাবার সুযোগ নেই। গেলে বিএনপি থেকে আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব'।
ময়ুন বলেন,'এই বিএনপির বিরুদ্ধে বিগত সতের বছর যাবত অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারেক রহমান এখনো দেশের বাইরে। ম্যাডাম বেগম জিয়াকে তারা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয় নাই। এখনও বিএনপির বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কোনও বিকল্প নাই। বিএনপির মতো বড় দলে মতের অমিল হবে কিন্তু দলের সমস্যা সকলে এক সাথে বসে সমাধান করবো। এই মতের অমিলের কারণে যাতে কোন ত্যাগীরা কমিটি থেকে বাদ না পড়েন'।
শনিবার (২৪মে) স্থানীয় ১নং মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইউনিয়ন অফিস প্রাঙ্গনে অনুস্টিত
কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী'র সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান,
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অন্যতম সদস্য ফখরুল ইসলাম।
এতে বক্তব্য দেন - শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান জরিফ, যুগ্ন আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন তাজু,খন্দকার আবুল মঈন গোফরান তারেক, হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিন,শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.ছুফি মিয়া,মো.মছদ্দর আলী, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. নিলু মিয়া।

উক্ত কর্মী সভায় উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সভাটি বিকেল চারটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যায় সমাপ্তি হয়। #

‘অতিদ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন’মৌলভীবাজারে জেলা বিএনপির বিশেষ সাংগঠনিক সভ...
14/05/2025

‘অতিদ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন’
মৌলভীবাজারে জেলা বিএনপির বিশেষ সাংগঠনিক সভায় ডা: জাহিদ
# ‘আজকে অনেকে সংস্কারের কথা বলে কিন্তু অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখেন সংস্কারের দলই হচ্ছে বিএনপি’
# ‘বিএনপি কোন অবস্থাতেই নিজের দলের কথা স্বার্থের কথা চিন্তা করে নাই, বিএনপি সব সময় চিন্তা করেছে,দেশের কথা,দেশের মানুষের কথা,জনগনের কথা, সংস্কারের কথা’
#‘জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিবে দেশ কোন দিকে এগোবে’
জেলা প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার:
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আজকে অনেকে সংস্কারের কথা বলে কিন্তু অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখেন সংস্কারের দলই হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)। সংস্কার দিয়েই যার যাত্রা শুরু। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গনতন্ত্র এই দেশে প্রথম যিনি দিয়েছিলেন শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অর্থনীতির শৃঙ্খলা ও সংস্কার শুরু করেছিলেন শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এবং জনগণের অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে পার্লামেন্ট্রি ফর্ম অব গর্ভমেন্ট এটি অত্যন্ত বড় সংস্কার ছিল। সেটিও কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কৃতিত’¡।
ডা:জাহিদ বলেন,‘আজকে নারী শিক্ষায় অগ্রগতি বলেন,নারীদের ক্ষমতায়ন বলেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই সংস্কারে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আর জনগনের ভোটাধিকারের বিশ্বাস করে দেখেই সংসদে প্রস্তাব পাশ করে সংবিধানে ইন কর্পোরেট করা হয়েছিল যার কারণে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী পরবর্তীতে ৯৬ এ আরেকটি নির্বাচন হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকার প্রথা সংবিধানে সন্নিবেশিত করে। অর্থাৎ বিএনপি কোন অবস্থাতেই নিজের দলের কথা স্বার্থের কথা চিন্তা করে নাই। বিএনপি সব সময় চিন্তা করেছে,দেশের কথা,দেশের মানুষের কথা,জনগনের কথা। সংস্কারের কথা। সেজন্যই মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করা যে দল সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। যে দল মানুষের পাশে থাকে। যে দল দেশের মানুষকে ফেলে পালিয়ে যায় না। যে দলের নেত্রী অনেক প্রলোভন অনেক সুযোগ সুবিধার প্রস্তাবনা আসার পরেও শত বাধাবিপত্তির মুখেও বাংলাদেশে থেকেছেন। নিজের অসুস্থতাকে গ্রহণ করেছেন। স্বীকার করেছেন। কিন্তু কোন ধরনের নতি স্বীকার করেন নাই। আপোষ করেন নাই। সেই দল হচ্ছে,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’।
তিনি আরও বলেন,‘সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা যেটি এটিও বিএনপি’র সংস্কারের ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর একটি অংশ। তাই যতো দ্রুততার সঙ্গে আগামীদিনে জনগনের অধিকার প্রয়োগে সুযোগ সৃষ্টি হবে,জনগন তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এবং আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে পারে সেই জন্যই অন্ত:বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে,তাদের নামই হচ্ছে,অন্ত:বর্তীকালীন। অর্থাৎ তাদের মেয়াদ খুবই ক্ষণস্থায়ী র্দীঘস্থায়ী নয়। তাদেরকে বুঝতে হবে জনগনের অধিকার জনগণকে ফেরত দেয়ার জন্য অতিদ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ গ্রহণ করবে। জনগন যাকে খুশি তাদের ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিবে দেশ কোন দিকে এগোবে’।
আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের অভিজাত বেঙ্গল কনভেনশন হলে আয়োজিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন,মিফতাহ সিদ্দিকী,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী,জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
ডা: জাহিদ হোসেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আরও বলেন,‘আগামীর বাংলাদেশ কিভাবে সুন্দর করা যায় সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর করার জন্য,সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্যদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এবং সূখী সমৃদ্ধশালী সার্বভৈৗম একটি বাংলাদেশ যেখানে সুশাসন থাকবে। আইনের শাসন থাকবে। মানবাধিকার থাকবে। জনগণের অধিকার থাকবে। সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে এবং সকল শ্রেণী পেশোর মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে সামনেরদিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ৩১ দফা কর্মসূচী প্রণয়ন করে তারেক রহমান সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শুধু নয়,বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামি অন্যান্য রাজনৈতিকদল ৩১ দফাকে জনগণের দফায় এবং জনগণের দাবিতে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন,‘এ ৩১ দফাকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য মৌলভীবাজারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একটি দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে অতীতেও কাজ করেছেন এখনও কাজ করছেন। এবং সংগঠনকে আরও কিভাবে সুসংগঠিত করা যায়,সংগঠনকে কিভাবে আরও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায় এবং আগামীদিনের জনগনের অধিকার আদায়ের যে সুযোগ আসবে সেই সময় ৩১ দফার পক্ষে জনগনকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগনের সমর্থন আদায় করা যায় সেই লক্ষেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ডা: জাহিদ আরও বলেন,জনগনের দাবী আদায়ের জন্য ঐক্যের বিকল্প কিছু নেই। ঐক্যবদ্ধ যদি থাকি তাহলে আমরা বিশ্বাস করি তারেক রহমানের ৩১ দফাকে দেশের দেশের জনগণ যেভাবে গ্রহণ করেছে একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া টু জিরো ত্রি জিরো ভিশনের মাধ্যমে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন,এর পূর্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসুচীর মাধ্যমে দিয়েছিলেন। যেটি আজ জনগনের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
মনে রাখতে হবে আমাদের দলের সবার মধ্যে কিভাবে ঐক্যকে ধারণ করা যায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারলেই ৫ ই আগষ্ট ২০২৪-এ যেরকম স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে ঐক্যের কারণে একইভাবে ৩১ দফার পেছনেও জনগনের সমর্থন আদায় করা যাবে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জনগনের সামনে যেয়ে দাঁড়াতে পারি’। #
এম ইদ্রিস আলী
মৌলভীবাজার
১৪ মে ২০২৫
০১৭১৮৬০১৪৪৭

ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির বিকল্প নেই-  ময়ুনমৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন,ফ্যাসিবাদদের...
04/05/2025

ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির বিকল্প নেই- ময়ুন

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন,ফ্যাসিবাদদের রুখে দিতে হলে ঐক্য বদ্ধ বিএনপি'র কোন বিকল্প নেই। একমাত্র সুদৃঢ় এক্যই সকল যড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে। আজকে যেভাবে মৌলভীবাজারে ঐক্য বদ্ধ শ্রমিক দল দেখছি , তেমনিভাবে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকতে হবে। প্রত্যেকটি সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি এ জেলায় যেখানেই দলীয় কোন কর্মসূচিতে যাই সেখানেই দলের ঐক্যর কথা বলি। সেখানে ইউনিটির কথা বলি। আমাদের দলের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিয়েছেন,আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। তাই আমি কোন মিটিং এ গেলে যখন দেখি সেক্রেটারি আছেন প্রেসিডেন্ট নাই, প্রেসিডেন্ট আছেন সেক্রেটারি নাই এর মানেই গ্রুপিং। কিন্তু জেলা শ্রমিক দলে আজ যেটা দেখতে পেলাম দীর্ঘ দিনধরে বর্তমান নেতৃত্ব জেলায় শ্রমিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগলে রেখেছেন৷ এবং এখানে কোন গ্রুপিং আমি দেখি নাই। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন এই শ্রমিকদল হচ্ছে শ্রমিক বন্ধু সংগঠন।
ময়ূন আরও বলেন,বিএনপি এখনো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ভোটাধিকার ও অবাধ নিরেপক্ষ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে আছে। আমাদের দলের উদ্দেশ্য একটাই সেটা হল নির্বাচন।দেশের জনগণ তার ভোট দিয়ে পছন্দের সরকার গঠন করবে।
ময়ূন বলেন,যারা শ্রমিক তারা যেন মাস শেষেই বেতন টা পান। মালিকরা যেন বেতনটা দিয়ে দেন। অনেক মালিক আছেন বেতন যথাযথ ভাবে দেন না। যখন বেতন কয়েক মাসের আটকে বেড়ে যায়, বকেয়া থাকে তখন তারা রাস্তায় নেমে এসে আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাই আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, মহান মে দিবসে জেলা শ্রমিকদল বিশাল শোভা যাত্রা করেছে, এমনিতেই এ জেলায় শ্রমিক দল সুসংগঠিত আছে সামনে আরও সংঘটিত হতে হবে। আগামীতে আমরা আরও ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তেমনিভাবে বিএনপির সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আরও ঐক্য বদ্ধ হতে হবে। যেভাবে জেলা শ্রমিকদল ঐক্য বদ্ধ সেভাবে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব ঐক্য বদ্ধ হতে হবে।
ময়ূন বলেন,আজকে জেলা শ্রমিকদলকে অনুকরণীয় অনুসরনীয় করে বিএনপির প্রত্যেকটি সংগঠনকে চলতে হবে। দুই দিকে বিভক্ত দুই মেরু রেখে নেতৃত্ব চলবে না। আমি নিজেও সকল গ্রুপিংয়ের উর্দ্ধে । আমি দলের আহবায়ক। কোনো অংশের নয়। তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা আমরা জেলা বিএনপি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। এই অঙ্গীকার আজ আবারও পুন:ব্যক্ত করছি।
২ মে (শুক্রবার) বিকেল মৌলভীবাজার পৌরসভা কনফারেন্সে রুমে আয়োজিত শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন ও জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল। এতে বক্তব্য দেন , জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএম এ মুক্তাদির রাজু,শ্রম আদালতের সদস্য আমিনুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল ইসলাম,সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো.সিরাজ মিয়া প্রমূখ।
এর আগে বিকাল তিনটায় জেলা শহরের এস আর প্লাজার সামন থেকে এক বিশাল শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভায় গিয়ে শেষ হয়। এ শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন। শোভা যাত্রায় জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার শ্রমিকদলের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকির ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে দলীয় সঙ্গীতের সাথে তাল মিলিয়ে নেচে গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেন। #

03/05/2025

হাসিনার অবৈধ নির্দেশে চৌদ্দশ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছে। এ চৌদ্দশ মানুষ হত্যার দায়ে তার চৌদ্দশবার ফাঁসি হতে হবে- এম নাসের রহমান

 #  # কোনো দেশপ্রেমিক ভালো মানুষ আওয়ামী লীগ করতে পারে না, দুষ্কর্ম্মের কারণে এরা বিলীন,  এরা গণদুশমনের দলে পরিণতি হয়েছে-...
03/05/2025

# # কোনো দেশপ্রেমিক ভালো মানুষ আওয়ামী লীগ করতে পারে না, দুষ্কর্ম্মের কারণে এরা বিলীন, এরা গণদুশমনের দলে পরিণতি হয়েছে- এম নাসের রহমান

# হাসিনার অবৈধ নির্দেশে চৌদ্দশ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছে। এ চৌদ্দশ মানুষ হত্যার দায়ে তার চৌদ্দশবার ফাঁসি হতে হবে

# ৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম আর ২০২৪ সালে ভারতের প্রচ্ছন্ন কব্জা থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি

# হাসিনাকে ইন্ডিয়া থেকে এনে জেল খানার ফাঁসির দঁড়িতে নয়, বায়তুল মোকাররমের সামনে শোলের দঁড়িতে ঝোলাতে হবে

# ভারতের আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে

# বেগম জিয়া দেশে আসার পরপরই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে যাবে।

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার :
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র এম নাসের রহসান বলেন,'প্রায় নয় মাস আগে দেশে একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। যার মাধ্যমে সাড়ে পনেরো বছরের ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক ডাইনি খুনী হাসিনার পতন হয়েছে। আজকে আমরা ভারতের কব্জা হতে স্বাধীন ও মুক্তি প্রাপ্ত। স্বাধীন বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছি আমরা। ৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম আর ২০২৪ সালে ভারতের প্রচ্ছন্ন কব্জা থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি। হাসিনার শেষ দিন পর্যন্ত ভারতের সম্পূর্ণ আধিপত্য ছিলো। ভারতের এই আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে। সেই সাথে রেজিম হাসিনার পতনের মাধ্যমে আরেকটি পতন হয়েছে একটা যে ফ্যাসিস্ট দল ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দলেরও পতন হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আছে কী এখন দেশে? আওয়ামী লীগ কী আবার ফেরত আসতে চান ? দলীয় নেতাকর্মী ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য বলেন,গুন্ডা পার্টি,বাটপার পার্টি,দেশের সম্পদ লুটেরর পার্টির নাম কী? সেটার নাম হলো আওয়ামী লীগ। যতো গুন্ডা বাটপার জনগণের সম্পদ লুটপাটকারির দল হল আওয়ামী লীগ। কোনো দেশপ্রেমিক ভালো মানুষ আওয়ামী লীগ করতে পারে না। এরা নাই । দুষ্কর্ম্মের কারণে এরা বিলীন। এরা গণদুশমনের দলে পরিণতি হয়েছে। কোন ভদ্রলোক, ভালো মানুষ আওয়ামী লীগ করার প্রশ্নই উঠে না।
মি: রহমান বলেন,যে দলের নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে,সে দল বাংলাদেশের দল নয়। যে দলের নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে পুরো গোষ্ঠী সাথে নিয়ে পালিয়ে গেছে এটা কোন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক দল হতে পারে না । ওই দলের নেত্রী বলতেন তারা হলো স্বাধীনতার চেতনার কান্ডারী। নেতা ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তার দুই মেয়ে নাতীপুতি সব কোথায়? একজনও দেশের ভেতরে নাই। এমনকি তাদের কেউ বাংলাদেশের নাগরিকও নয়।
অথচ এরাই এদেশের মানুষকে নিয়ে দুই নম্বরি রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে পলায়ন করেছে । তা ই এখন সময় এসেছে দেশের মানুষের আত্মোপলব্ধি করার। যে আমরা আগামীতে কি করবো। কোন পথে হাঁটবো। তবে এটা ঠিক একটা দেশে দুইটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল না থাকলে রাজনীতি হয় না। হাসিনার দুঃশাসনের কারনেই এখন আওয়ামী লীগ তো গর্তের তলে পড়ে গেছে। তাদের আগামী নির্বাচনে আর অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই। আর আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ আসেও কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কোনো স্বৈরাচারী গণহত্যাকারী দলকে ভোট দিবে না।
নাসের রহমান বলেন,দেখবেন একটা দলের নেতা বিরাট বিরাট বয়ান করে বেড়ান। আজকে এই কথা তো কালকে ওই কথা। মনে হয় যেন মানুষরে এমন এমন নসিহত দিয়ে যাচ্ছেন যার শেষ নাই। এরা ক্ষমতায় এলে দেশটা ধবংস করে দেবে। সেজন্য জাতীয় নির্বাচন আগে না স্থানীয় নির্বাচন আগে এ নিয়ে নানান কথা বলছে।
একটা দেশে জনগণের সুখ দুঃখের চাওয়া পাওয়ার কথা শুনতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। এ দেশের মানুষ বিগত সাড়ে পনের বছর ভোট দিতে পারেনি। দিনের ভোট রাতে করে আমি তুমি ডামির নির্বাচন করে অবৈধ ভাবে হাসিনা দেশের জনগনকে ভোট থেকে বঞ্চিত করে রাস্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। তাই দেশ বাসী চান দ্রুত নির্বাচন। তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে।
বিএনপিও চায় আগামী ডিসেম্বরে পৌষ মাসের ভিতরে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হতে। এদেশের মানুষকে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই এতো প্রাণ দিতে হয়েছে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গুম হত্যার শিকার হয়েছে।
নাসের রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির সম্পদ নয়, গোটা দেশের সম্পদ। ধরুন আজ যদি দেশে রাস্ট্রপতির নির্বাচন হয়, আর তিনি যদি নির্বাচনে দাঁড়ান ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ বেগম জিয়াকে ভোট দিবে। খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় কেউ নেই। তিনি এতবড় একটা সম্পদ আমাদের দলের। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে আমাদের সকলে দোয়া করতে হবে।
নাসের বলেন- বেগম জিয়া দেশে আসার পরপরই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে যাবে। এখন নির্বাচনের কথা বললেই ফেইসবুক বুকে একটা শিক্ষিত সমাজ এরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে কথা বলে । একেবারে একাট্টা। আরও হাস্যকর কথা বলে ডক্টর ইউনুস কে ক্ষমতায় পাঁচ বছর থাকতে। আচ্ছা এটা কি হয়? একটা গনতন্ত্রের দেশের ভেতরে নির্বাচন ছাড়া কীভাবে পাঁচবছর থাকার দাবি তুলেন? তার মনে করেন , আ.লীগ চলে গেছে, বিএনপির আসলে মনে হয় দেশের একই চেহারা আবার ফিরে আসবে?। তিনি প্রশ্ন রাখেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কি হাসিনার মতো স্বৈরাচারী হবেন ? যে দলের নেতা ভোটের অধিকার ও গনতন্ত্রের জন্য বিনা দোষে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। সুস্ঠু চিকিৎসা টুকুও নিতে দেয়নি। নাসের বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ মেয়াদ এক থেকে দেড় বছর হতে পারে। আসলে এর বেশি না। মূলত: অন্তর্বতীকালীন সরকার তিন থেকে ছয়মাসের হয়ে থাকে। আর এখন ফেসবুকে একটি গোষ্ঠী ডক্টর ইউনুস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে ফেসবুকে ভোট নিচ্ছে। আচ্ছা, এখন দেশের ইলেকশন কি ফেসবুকে চলে গেছে? দেখে মনে হয়, আগামী ইলেকশনে দেশের মানুষ ভোট সেন্টারে যেতে হবে না। ফেসবুক খুলেই ভোট করে ফেলবে, যে আপনাদের ভোট হয়ে গেছে। এই শিক্ষিত একটা অংশ এসব করছে। তাদের জন্য দুঃখ হয়।তিনি বলেন,
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটি ভোটার। এই ১২ কোটি মানুষ কি ফেসবুক চালান? এর জন্য বলছি, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে হাসিনার দু: শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। নতুন প্রত্যয় ও বর্তমান প্রজন্মের প্রত্যাশা নিয়ে সর্বক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াবে প্রিয় বাংলাদেশ ।
তিনি বলেন, হাসিনার অবৈধ নির্দেশে চৌদ্দশ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছে। এ চৌদ্দশ মানুষ হত্যার দায়ে তার চৌদ্দশবার ফাঁসি হতে হবে। শুধু এই জুলাই অভ্যুত্থানে বিশ হাজার মানুষ আহত হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে,বিকলাঙ্গ হয়েছে । হাসিনাকে ইন্ডিয়া থেকে এনে জেল খানার ফাঁসির দঁড়িতে নয়, বায়তুল মোকাররমের সামনে শোলের দঁড়িতে ঝোলাতে হবে। এ গণহত্যাকারি ক্ষমতা লিপ্সু খুনি হাসিনার ফাঁসি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে দিতে হবে। আর এজন্য
দেশবাসী তার বিচার দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন।
শনিবার (৩ মে ) বিকেলে কাগাবালাবাজারে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৪ নং আপার কাগাবালা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাগাবালা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ডা: আব্দুল আছাদ এর সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক কবির উদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বকসি মিসবাউর রহমান, মো.ফখরুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান মজনু,সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আয়াছ আহমদ,সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমেদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান সোহান সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিগণকে সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. বদরুল আলম।
দীর্ঘ সতের বছর পর স্থানীয় বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। সরাসরি গোপন ভোটের মাধ্যমে সভাপতি- সস্পাদক পদে তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন। কাউন্সিলে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। কাস্ট হয় ৪৪১ টি। সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন,মোট চার জন। সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন। এদের মধ্যে সভাপতি পদে ২২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আকতার হোসেন দলা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আব্দুল মতিন প্রাপ্ত ভোট ১৪৩ টি, আবুল কালাম আজাদ পান ৬২ টি ভোট,মালিক মিয়া পান মাত্র ২ ভোট। বাতিল ভোট সাতটি। সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান ২৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শামসুল ইসলাম পান ১৮০ ভোট। বাতিল ভোট ১০ টি। দুটি বুথে বিকেল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোট গ্রহণ করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান মজনু ও বিএনপি নেতা আয়াছ আহমদ। তাদের সহযোগীতা করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান,কাজল মাহমুদ, শেরওয়ান আহমদ ও মিলাদ হোসেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির স্থায়ী যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমেদ জানান,কাগাবালা ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের মাধ্যমে সদর উপজেলার মোট ১২ টি ইউনিয়নের ১৩ টি ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্মেলন ও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়। #

এম ইদ্রিস আলী
মৌলভীবাজার
৩ মে ২০২৫
০১৭১৮৬০১৪৪৭

03/05/2025

কোনো দেশপ্রেমিক ভালো মানুষ আওয়ামী লীগ করতে পারে না, দুষ্কর্ম্মের কারণে এরা বিলীন, এরা গণদুশমনের দলে পরিণতি হয়েছে- এম নাসের রহমান

Address

Moulvi Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when S.Porikroma.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to S.Porikroma.com:

Share

Category