
14/05/2025
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩ নং কামালপুর
ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড খালিশপুর গ্রামের বাসিন্দা মন্নাফ মিয়া এবং তার চতুর্থ স্ত্রী-সন্তানদের লাগামহীন চলাফেরা, উপদ্রব এবং উগ্রতার কারণে দীর্ঘদিন যাবত অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। বর্তমানে মন্নাফ মিয়া বয়সের ভারে নুয়ে পরলেও তার স্ত্রী-সন্তানরা থেমে নেই।
শুধুমাত্র এই একটা পরিবারের জন্য গোটা গ্রামের শান্তি বিনষ্ট। শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দপূর্ণ গ্রামের প্রতিটা পরিবার একে অন্যে মিলেমিশে একসাথে বসবাস করলেও এই পরিবার সমাজের সকল অন্যায় অবৈধ কাজের সাথে জড়িত। বিভিন্ন জঞ্জাল, ঝগড়া-বিবাদে হরহামেশা লিপ্ত।
পেশীশক্তির জোরে এরা বছরের পর বছর যাবত সুদের ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, জুয়াসহ নানারকম অপকর্ম চালিয়ে আসছে। অত্র এলাকার নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন করে সুদের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
মানবিক দিক বিবেচনা করে বারবার শুধরানোর সুযোগ দেওয়ার পরেও তারা কেউই শুধরায়নি বরং এলাকার সকল গণ্যমান্য মুরব্বিবৃন্দ এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিব্যি তাদের ইয়াবা ব্যবসা, সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলো। সমাজ ধ্বংস করছিলো। কেউ কিছু বললে উল্টা হুমকিদামকি দিতো। এনিয়ে মুরব্বিরা সমাজের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সবাই মিলে উদ্যোগ নেন এবং তাদেরকে এসব অপকর্ম করতে নিষেধ দেন।
মুরব্বিদের অনুমতিক্রমে গ্রামের সকল সচেতন যুবক এবং তরুণরাও সোচ্চার হয়। গত কয়েকদিন আগে গ্রামের পরিচিত মুখ কুদ্দুস মিয়া এবং উনার ভাইয়ের উপর তারা হামলা করে। ফৌজদারির ঘটনা ঘটে। এতে কুদ্দুস মিয়া এবং উনার আরো তিন ভাই গুরুতর আহত হোন। আহতরা সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার পরে মন্নাফ মিয়ার চতুর্থ স্ত্রী রেবা বেগম এবং তার চার সন্তান উজ্জ্বল, রাজিব এবং রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গ্রামের পঞ্চায়েত বসে সকল অপকর্মের শাস্তি হিসাবে তাদেরকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রেবা বেগমও ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার মুরব্বিসহ পরিচিত মুখ অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছেন। নিজেরা এতো এতো বেআইনি কাজকর্ম করে আবার নিজেই ভিক্টিম সেজে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এ যেনো আইনের সাথে মশকরা আরকি।
রাজিব চক্রের কয়েকজন পঞ্চায়েতের সামনে তাদের স্টেটমেন্ট ক্লিয়ার করেছে যেটার ভিডিও গত দুইদিন যাবত মৌলভীবাজারের বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল পেইজ এবং আইডিতে পাবলিশ করা আছে।
উক্ত স্টেটমেন্ট থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে, রাজিব অনেকদিন যাবত ইয়াবা ব্যবসা করে এবং তার কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র(পিস্তল) রয়েছে। এতে তার মা রেবা বেগম এবং তার বড় ভাই উজ্জ্বল আর ছোট ভাই রাজ্জাকও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এককথায় সুদ আর মাদক ব্যবসাই তাদের পারিবারিক ব্যবসা।
জেনে রাখা ভালো, বাংলাদেশ আইনানুসারে সুদ বেআইনি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও সুদ নাজায়েজ। আর ইয়াবা বা মাদক তো সমাজ ধ্বংসকারী নেশা। ইয়াবায় আসক্ত হয়ে কতোশত পরিবার ধ্বংস হয়েছে তা আজকাল পত্রপত্রিকায় অহরহ দেখা যায়।
সমাজ ধ্বংসকারী কুখ্যাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবী। যে যার এলাকা বা ইউনিয়ন থেকে একত্রিত হয়ে সমাজের সকল সুদখোর, অন্যায়কারী, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। অনলাইন অফলাইন সবখানে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করুন।
# #