
04/05/2025
ভাবতে অবাক লাগে কয়েক মহূর্তের সুখের জন্য মানুষ কত জঘন্য হতে পারে।
বর্তমানের বেশীরভাগ বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত যায়। দেখা যায় এক, দুবার নয় নিয়মিত তাদের ফিজিক্যাল মেলামেশা চলতেই থাকে। এক, দুবার প্রোটেকশন নিতে সফল হলেও প্রায়ই বারবার মিলনে অনেকক্ষেত্রেই প্রোটেকশন অসফল হয়ে যায়, একটি নিষ্পাপ শিশু বেড়ে ওঠে মেয়েটির গর্ভে, অথচ এই নিষ্পাপ শিশুটি অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে দাড়ায় তাদের কাছে, এ যেন তাদের জীবনে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা!
শিশুটিকে মারার জন্য এবরশন করে শিশুটির মা! যদিও একজন সত্যিকারের মা কখনোই নিজের সন্তানকে মারতে পারেনা। অথচ গর্ভের শিশুকে গর্ভেই হত্যার পরও তাদের তেমন কোনো পাপবোধ থাকেনা!
একটা মানুষকে হত্যা করলে মানুষ ধিক্কার দেয়, বিচার হয়.. অথচ একটা অনাগত শিশুকে যখন মারা হয়, শিশুটির জেনেটিক্যাল মা - বাবা এটাকে খুব একটা সিরিয়াসলি হত্যা হিসেবে বিবেচনা করেনা, খুবই আশ্চর্যের বিষয়।
যেই ডক্টররা বাধ্য হয়ে বা টাকার জন্য দিনের পর দিন এসব এবরশন করেন তাদের মানসিক অবস্থা কি, আমার জানা নেই, তবে কারো নির্দেশে কাওকে হত্যা করার মতোই হয় সেটা!
আচ্ছা সেই পাষানদিল মা নামক প্রানীকে বলি.. আপনার কি একবার মনে হয়না, যে একটা এবরশন মানে একটা অনাগত শিশুকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা! যাকে ঝামেলা ভাবছেন সেও একটা মানুষ! সমাজে মুখ দেখাতে পারবেননা বলে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে হত্যা মহাপাপ মনে হয়না?
সমাজের চিন্তা থাকলেতো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মেলামেশাই করতেননা। বস্তুত পাশ্চাত্য এই অনিয়ন্ত্রিত সম্পর্কের হার বেশী হলেও ভ্রুণ হত্যার হার বেশী কনজারভেটিভ দেশগুলোয়। পাশ্চাত্যে একজন সিঙ্গেল মাদারের চোখে আঙুল তোলেনা সমাজ। কনজারভেটিভ দেশগুলো আসলে বাহ্যিক দিক থেকে কনজারভেটিভ বাট,ইনার দিক থেকে নয়! ইনার দিক থেকে রক্ষনশীল নয় বলেই তারা লুকিয়ে হোক আর যেভাবে হোক অনবরত দৈহিক সম্পর্ক বজায় রাখে অথচ যখন বাচ্চার ব্যাপারটি আসে তখন তারা বাচ্চাকে মেরে বড্ড সামাজিক হতে চেষ্টা করে! আর যেসব পুরুষ নিজের সন্তানকে এবরশন করাতে বলে, সেসব পুরুষ আসলে কুলাঙ্গার ছাড়া কিছুই নয়! এমন পুরুষদের ভবিষ্যতে বাবা হওয়ার কোনো অধিকার থাকা উচিৎ না!
বিয়ের আগে এমন সম্পর্কে জড়ানোটা আসলে জীবনে ব্লেজিং নয় অভিশাপ হয়েই ধরা দিবে। এটা বললে মানুষ বলবে, যার যা করার সে করবেই, পরামর্শে কান দেবেনা, কিন্তু তবুও যাদের মনে এখনো মনুষ্যত্ববোধ আছে তাদের বলছি.. যতই প্রটেকশন নিন আপনারা বিয়ের আগে অনিয়ন্ত্রিত মিলনে একদিন না একদিন আপনাদের সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখতে চাইবেই, আপনারা পাপী বলে তাকেও পাপ ভাববেন? তাকে স্বীকৃতি দিতে না পারার ভয়ে হত্যা করবেন? আরে আপনি যদি স্বীকৃতি দিতে না ই পারেন তবে এই মেলামেশা বাদ দিন,বিয়ে করুন, এরপর আপনার সন্তানকে একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিন, যেখানে কেউ আপনার সন্তানের ওপর আঙুল তুলতে পারবেনা জন্মের প্রশ্ন করে।
এবরশনের ফলে শুধু একটি শিশুর মৃত্যু হয়না, অনেকক্ষেত্রে ভবিষ্যতে মা হওয়া থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন! কেননা জরায়ুমুখের ভেতর থেকে একটা বাচ্চাকে যেভাবে খুঁচিয়ে বের করা হয়, অনেকক্ষেত্রে জরায়ুর ক্ষতি হয়ে যায়, যা ততক্ষনাৎ বোঝা যায়না, পরবর্তীতে যখন আর চাইলেও মা হওয়া যায় না তখন ভালোমতোই বোঝা যায় যে কি ভুল আর কি অপরাধ হয়েছে জীবনে!
আর যারা বিবাহিত হয়েও এবরশন করান তাদের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়, আর তাদের মতো অমানুষ পৃথিবীতে নাই জেনে রাখুন! মানুষের বাঁচার অধিকার আছে, নিজে বাঁচার মতো বাঁচুন, আগামী প্রজন্মকে বাঁচতে দিন।
©শুভ্র খান।।