
16/07/2025
যেভাবে ইংরেজি জানা একজন মেয়ে ঘরে বসেই হয়ে উঠতে পারে গ্লোবাল বস
তার দরকার নেই কোনো ভিসা। তার দরকার নেই নিউইয়র্কের কোনো বিলাসবহুল অফিস। তার দরকার নেই বড়ো কোনো ইনভেস্টমেন্ট। তার দরকার শুধু ৩টা জিনিস, একটা ল্যাপটপ, ভালো ইন্টারনেট, আর বিশ্বাসের সঙ্গে বলা একটি লাইন:
"Hello, how may I help you today?"
কারণ যখন তুমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারো, আর মানুষের মন বুঝে তাদের কথা শুনতে পারো, তখন তুমি শুধু কল ধরো না,
তুমি একটা কোম্পানির জন্ম দাও।
সে কীভাবে গ্লোবাল কোম্পানি গড়ে?
সে প্রথমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, বা লিংকডইনে পেজ খোলে
বলে: “আমি কাস্টমার সাপোর্ট বা কল সেন্টার সার্ভিস দিই, ঘরে বসে, বিশ্বমানের”। প্রথমে কেউ তাকে নক দেয় না। সে তখন সেখানে এপ্লাই করে মেকাপ বাজেট মার্কেটিং এক্সপেরিমেন্ট। সে তার মেকাপের বাজেট দিয়ে দেয় ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিকে। এই এজেন্সি তার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডিন সব জায়গায় পার্সোনাল ব্র্যান্ড আইডেনটিটি ডেভেলপ করে তাকে অর্ডার এনে দেয়।
আমেরিকার ছোট ব্যবসা, দুবাইয়ের মেডিকেল ক্লিনিক, লন্ডনের রেস্টুরেন্ট, সবাই তার সাথে যোগাযোগ করে সে শুধু কল ধরে না ব্র্যান্ডের হয়ে কথা বলে।
এরপর?
সে একা কাজ না করে আফ্রিকার, ফিলিপাইনের, বাংলাদেশের আরও মেয়েদের নিয়োগ দেয়, শেখায় কিভাবে কথা বলতে হয়, কীভাবে কাস্টমার সামলাতে হয়, সে একটা গ্লোবাল টিম তৈরি করে
সবাই ঘরে বসে, কিন্তু কোম্পানি চলে ৫টা দেশের জন্য।
তার ইনকাম?
প্রতি ক্লায়েন্ট মাসে দেয় $300 – $1000, ১০টা ক্লায়েন্ট মানে মাসে $5000 – $8000, ১০টা মেয়ে কাজ করে তার কোম্পানিতে তারাই গ্লোবাল কল সেন্টারের কল হার্ট।
এই গল্প শুধু একজন মেয়ের না, এই গল্প আগামী প্রজন্মের বিজনেস স্টাইলের। তুমি ইংরেজি জানো? তুমি কাস্টমার বুঝতে পারো?
তাহলে তুমি শুধু কল ধরবে না, তুমি নিজের গ্লোবাল কোম্পানি গড়বে ঘরে বসেই।
Step-by-step গাইড চাই?
কিভাবে শুরু করবে,
কোথা থেকে ক্লায়েন্ট পাবে,
কীভাবে টিম বানাবে, সব হাতে-কলমে লিখে দেব।
তবে একটাই শর্ত,
দুই চারশস উদ্যোক্তা কমেন্ট না করলে এই সিরিজ এগোবে না। আমি অন্যদিকে চলে যাবো।
তুমি জানোই তো, আমি হুট করে হারিয়ে যেতে ভালোবাসি।