29/05/2022
বাংলাদেশে বর্তমানে শন্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া, সমাবেশে বাধা দেওয়া, সমাবেশস্থলে ক্ষমতাসীন দলের বা অঙ্গসংগঠনের একই দিনে সমাবেশ আহ্বান করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে সমাবেশে অংশ নেওয়া লোকজনকে ভয়-ভীতি দেখানোসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের চিত্র
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়নে তৈরি হয়েছে ‘২০২১: কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টে এ রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশের আইনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের বিধান রয়েছে, বর্তমান সরকার এই অধিকার সীমিত করেছে। বর্তমানে বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভের মতো সমাবেশের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অগ্রিম অনুমতি নিতে হয়।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির মতে, বিরোধী দলগুলির জমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য আইনী বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়। আবার মাঝে মাঝে পুলিশ বা ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাও বিরোধী দল বা সংগঠনের কর্মীদের বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে বলপ্রয়োগ করে।
উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পর গত বছরের ২৬-২৮ মার্চে হেফাজত-ই-ইসলামের সদস্যরা বিক্ষোভ করেছিল। তাতে বলা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা না আসা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কিন্তু পুলিশ আসার পরেই বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় পুলিশ ৩,২৭০ জন নামধারী এবং আরও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ১৫৪টি মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সদস্যসহ বিরোধীদলীয় ১ হাজার ২৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও আটক করা হয়। এছাড়াও একইসময়ে আন্দোলন করা বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ৫৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা প্রায় সারা বছর ধরেই অসংখ্য বিধিনিষেধের কথা জানিয়েছেন। বিশেষকরে, সংসদের বাইরের বিরোধী দল বিএনপিকে অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৯ মার্চ খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় ২০ জন আহত হয়। এছাড়া একই বছরের ৩১ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য ছোট ছোট রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা বিষয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ বেশ কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া জানতে ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তাদের কথায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
বিস্তারিত 👉
বাংলাদেশে বর্তমানে শন্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন অভিয.....