18/05/2025
🔰আজ ১৭ ই মে ২০২৫ বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস।
সারা বিশ্বে নানান পরিকল্পনা নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়।
🔰ঔষধ ছাড়া অথবা ওষুধের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কমানোর সহজ উপায় :
✅উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) এমন একটি সমস্যা, যা অনেক সময় বোঝা যায় না, কিন্তু এটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির রোগসহ নানা জটিলতার কারণ হতে পারে।
আশার কথা হলো—ওষুধ ছাড়াও অথবা প্রেসারের ওষুধের পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা হলে রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিচে এই সহজ অভ্যাসগুলো ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো:
🔰 স্বাস্থ্যকর খাবার খান
🔷উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণ। এমন খাবার খেতে হবে যা হার্ট এবং রক্তনালির জন্য উপকারী।
🔷প্রতিদিন ফল, সবজি, শস্যজাতীয় খাবার (যেমন ভাত, রুটি, ডাল), এবং কম চর্বিযুক্ত দুধ বা দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
🔷খাবারে লবণ কম ব্যবহার করুন। দিনে এক চামচের কম লবণ খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
🔷পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (যেমন কলা, আলু, টমেটো, পালং শাক) রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
🔰 ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
🔷যাদের ওজন বেশি, তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ওজন একটু কমালেই রক্তচাপও কমে যেতে পারে।
নিজের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
🔷প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলে ওজন কমানো সহজ হয়।
🔰 নিয়মিত ব্যায়াম করুন
🔷ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
🔷সপ্তাহে ৫ দিন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো খুব উপকারী।
🔷কেউ চাইলে হালকা শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম (যেমন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ) করতেও পারেন।
🔰 ধূমপান ছেড়ে দিন
🔷ধূমপান করলে রক্তনালির ক্ষতি হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ধূমপান ছাড়লে শুধু রক্তচাপ নয়, পুরো শরীরই উপকৃত হয়।
🔰মানসিক চাপ কমান
🔷অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা টেনশন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
🔷প্রতিদিন কিছুটা সময় ধ্যান, নামাজ, প্রার্থনা, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম বা মন শান্ত রাখার কাজ করুন।
🔷ঘুম ও বিশ্রামও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
🔰চা-কফি কম খান
🔷চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে, যা কারও কারও ক্ষেত্রে রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
দিনে ১–২ কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো।
🔰ভালো ও পর্যাপ্ত ঘুম দিন
🔷প্রতিরাতে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
ঘুম ভালো না হলে শরীর ক্লান্ত থাকে এবং রক্তচাপ বাড়ে।
🔷যদি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে ডাক্তার দেখানো উচিত—এটা 'স্লিপ অ্যাপনিয়া' হতে পারে।