23/10/2025
বাংলাদেশের মাটিতে বারবার ধর্মীয় সহনশীলতার মুখোশ ছিঁড়ে ফেলছে তথাকথিত “ভক্তি” আর “আধ্যাত্মিকতা”-র মুখোশধারী এক গোষ্ঠী। সম্প্রতি ইসকন সংশ্লিষ্ট একাধিক ঘটনার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে—ভক্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনই কি আসল মুখ?
দেশজুড়ে এই প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রে। সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষিত তরুণরাও বলছেন, “যারা রাধাকৃষ্ণের প্রেমের গান গায়, তারাই আবার ভিন্ন ধর্মের নারী-পুরুষকে অবমাননার সাহস পায় কীভাবে?”
বছরের পর বছর ধরে ইসকন তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যে সৌহার্দ্যের বার্তা প্রচার করার দাবি করে এসেছে, বাস্তবে সেখানে দেখা যাচ্ছে এক বিপরীত চিত্র—হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সাক্ষ্যগুলোতে সেই মুখোশ ক্রমে উন্মোচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের জনগণ চায়—যে কোনো ধর্মীয় সংগঠন যদি এই দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই হবে। ধর্মের নামে কুসংস্কার নয়, এই মাটি ন্যায়, শালীনতা আর মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে জানে।