21/06/2025
সন্তানের 👶সামনে নিজেকে কন্ট্রোল করছেন তো?💁♀️
মা-বাবার আবেগ নিয়ন্ত্রণ কেন এত জরুরি?🤷♀️
১. শিশুর শেখার প্রথম মাধ্যম: আপনি!🙋♀️
শিশুরা কোনো কথা শুনে নয়, দেখে শেখে। আপনি যা করবেন, সেও সেটাই করবে।
আপনি যখন রেগে গিয়ে চিৎকার না করে ধৈর্য ধরেন, তখন সে শিখে—
“রাগ হলে শান্ত থাকতে হয়।”
এই শেখাটা মস্তিষ্কের স্নায়ুবিক গঠনের সময়ই শুরু হয়।
যেমন আপনি আচরণ করবেন, তেমনই সে নিজেকে গড়ে তুলবে। তাই নিজেকে মডেল তৈরি করুন। আপনাকে সে অনুকরন করবে, তাই বাবা মা হবার পর থেকে প্রতিটা আচরনে সজাগ থাকুন।
২. নিরাপদ আবেগের জায়গা তৈরি হয় আপনার ভেতর দিয়ে💁♀️
আপনি যদি নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন,
তাহলে আপনার আচরণ হবে শিশুর জন্য নিরাপদ ও সহানুভূতিশীল। আবেগ বা জেদ কন্ট্রোল না করতে পেরে অনেকেই, সন্তান কে এমন আঘাত করেছেন যা তার মৃ*ত্যুর কারন হয়েছে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। অতিরিক্ত জেদ হলে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন সবার আগে, "চিন্তা করুন আপনার বস এর উপর আপনার রাগ হয়না?, তাকে কি আপনি মারেন?, তাহলে নিজ সন্তানকে কেন?" আপনি তার বাবা বা মা এর স্থানে আছেন, সবচেয়ে পাওয়ারফুল পজিশন, সন্তানের জীবনের চাবিকাঠি আপনার হাতে, তাই বলে যা খুশি তাই করবেন?। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন, সন্তানেরর জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখুন।
এই নিরাপদ সম্পর্ক তাকে শেখায়:
“আমি ভালোবাসার যোগ্য। আমার আবেগের মূল্য আছে।”
এভাবে গড়ে ওঠে Secure Attachment,
যা তার মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাসের ভিত গড়ে দেয়।👶
৩. স্ট্রেস নয়, স্থিরতা দিন💁♀️
অতিরিক্ত রাগ, চিৎকার, শারীরিক শাস্তি(চ*র, থাপ্প*র, গাল ধরে চা*প দেয়া)—
এসব শিশুর ব্রেইনে স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) বাড়ায়,
যার ফলে তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ, মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
আপনি যদি নিজেকে স্থির রাখতে পারেন,
তাহলে শিশুর ব্রেইন শান্ত থাকে(ভালো হরমোন নিঃসরন হয়), এবং সে দ্রুত শেখে।👶
৪. শিশুর আবেগও তখন নিয়ন্ত্রণে আসে🙋♀️
আপনি যদি নিজে আবেগ সামলাতে পারেন,
তাহলে সন্তানের আবেগ বোঝাতে, সহানুভূতি দেখাতে পারবেন।
শিশু ধীরে ধীরে শেখে—
“আমার আবেগ আছে, কিন্তু আমি ওগুলো সামলাতে পারি।”
এভাবেই গড়ে ওঠে Self-regulation, যা তার পুরো জীবনের জন্য অপরিহার্য। ভবিষ্যৎ এ সে একজন ধৈর্য্যশীল ও মানবিক মানুষ হবে।👶
কীভাবে মা-বাবা ইমোশন রেগুলেশন প্র্যাকটিস করবেন?🤷♀️
💁♀️রাগ বা হতাশার সময় নিজেকে সময় দিন। শিশুকে বলুন,
“আমি একটু রাগান্বিত, আমি এখন একটু শান্ত হয়ে নিচ্ছি।আমাকে একটু সময় দাও প্লিজ🙏”।
💁♀️নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ, ধ্যান বা মেডিটেশন চর্চা করুন।(ভীষন উপকারি একটা ব্যায়াম)
💁♀️আবেগ চেপে রাখবেন না, বরং স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রকাশ করুন।
💁♀️আপনার সন্তান কষ্ট পাচ্ছে বা রেগে আছে—এমন সময় প্রতিক্রিয়া না দিয়ে, সংযোগ তৈরি করুন। তাকে আদর করে আবেগ বুঝে, বুকে জড়িয়ে নিন, বলুন "আমি আছি সোনা, সব ঠিক হয়ে যাবে, শান্ত হও"।
বিদ্র:
আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা শুধু আপনাকে নয়,
আপনার সন্তানের স্নায়বিক ও মানসিক বিকাশে অপরিমেয় ভূমিকা রাখে।
শিশুকে একটি নিরাপদ, আবেগবান ও সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে
আপনার ইমোশন রেগুলেশনই সবচেয়ে বড় শিক্ষা।
তাই বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব দিন।
Collectef