Dr. Iftekharul Malik

Dr. Iftekharul Malik "In the healing embrace, Allah's name I bear,
A doctor's path, guided by His care.

20/08/2025

আমার, অনেকের সাথেই আর দেখা হবে না কোনোদিন, এটা আমি মেনে নিয়েছি!
মেনে নিয়েছি যেই দরজাটা বন্ধ হয়েছে খুলনার বাসা টার সেটা আর খুলবেনা কোনদিন।
একটা সানফ্লাওয়ার দুপুর, একটা শ্যাওলা রং সন্ধ্যা
শালিকের ডানায় ভেসে গেছে!
আজীবনের জন্য ফুরিয়েছে ইকবাল নগর রোড, করোনেশন গার্লস হাই স্কুল , রোমি দের বাড়ি , বিস্বাদ চা, কলিজার সিঙ্গাড়ার ঘ্রাণ, গা শিউরে উঠা জমাট অন্ধকার !
জানি, ডাইনিং রুম ভর্তি আপন মানুষ ফুরিয়েছে!
আব্বার হাসি, গ্রামের সংবাদ, নতুন আচার, সমাজ বিজ্ঞান বই, ফুরিয়েছে পরীক্ষার বেলা!
শুনশান স্কুলের মাঠ!
আমাদের মৃত্যু আসলে একটা ধীর প্রক্রিয়া!
সারাজীবন ধরে মৃত্যু আসে।
সন্তর্পণে!
একটা ধীর বিচ্ছিন্নতার ছদ্মবেশে !
আমরা সরে সরে যাই।
বিচ্যুত নক্ষত্রের মতন সমস্ত কিছু থেকে, মানুষ থেকে, গল্প থেকে, সম্পর্ক থেকে!

------- আহারে জীবন !!!!
এই ছোট্ট শালিকের ডানার জীবন -------

collected

23/07/2025

চলুন,, বড় দুর্ঘটনায় Burn Management নিয়ে জানি!
গতকাল উত্তরা মাইলস্টোনের ভয়াবহ প্লেন ক্র্যাশ আমাদের মনে করিয়ে দিল, বড় অগ্নিকাণ্ডে শরীর পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান কতটা জরুরি।
বিশেষ করে, দগ্ধ রোগীর শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে – এটা জানা চিকিৎসকের জন্য জীবন বাঁচানোর প্রথম ধাপ।
তাই আজ একটু stable হয়ে মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়ে বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লিখা।।

শরীরের পুড়ার হিসাব করার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ পদ্ধতি হলো - Rule of 9
শরীরকে ভাগ ভাগ করে ধরা হয়ঃ
• মাথা ও ঘাড় ➡️ ৯% (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৮% )
• একেকটা হাত ➡️ ৯%
• বুকের সামনের দিক (chest+abdomen) ➡️ ১৮%
• পিঠের দিক (Back of the trunk) ➡️ ১৮%
• একেকটা পা ➡️ ১৮% (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৩.৫% করে)
• গোপনাঙ্গ (Perineum) ➡️ ১%

👉 ধরুন, যদি দুই হাত, বুকের সামনের দিক আর মুখ পুড়ে যায়, তাহলে = ৯% + ৯% + ১৮% + ৯% = ৪৫% দগ্ধ। ( শিশু হলে ৫৪% দগ্ধ)

এই হিসাবের উপর নির্ভর করে রোগী ICU দরকার কি না, fluid কত দিতে হবে ইত্যাদি সিদ্ধান্ত হয়।

Hospital Admit (বা ICU ) মূল শর্ত -
☑️ Partial thickness বার্ণ (2nd degree burn) যদি ১৫% এর উপর হয় (Adult ) অথবা ১০% এর উপর ( Children )
☑️ Full thickness (3rd degree burn) বার্ন হলে ৫% এর উপর হইলেই হাসপাতালে এডমিট করতে হয়।
এছাড়াও শর্ত আছে , যা প্রাসঙ্গিক আজকের জন্য শুধু সেগুলো বললাম।
গতকালকের ভিডিও তে দেখা প্রায় বেশিরভাগেরই ছিল 2nd degree & 3rd degree burn. 🙂🙂🙂

✅ এখন আসি, কীভাবে স্যালাইন দেওয়া হয় দগ্ধ রোগীকে?
পুড়ে যাওয়ার পর দেহ প্রচুর পানি হারায়। বাঁচাতে হলে সেই পানি দ্রুত দিতে হয়।
এই জন্য বিশ্বব্যাপী চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ঃ
👉 Parkland Formula:
Fluid (ml) = 4 ml × Body weight (kg) × % Burn area

কীভাবে দেবেন?
⏳ প্রথম ৮ ঘণ্টায় অর্ধেক
⏳ পরের ১৬ ঘণ্টায় বাকি অর্ধেক

⚠️ উদাহরণঃ
৬০ কেজি রোগী, ৪৫% পুড়েছে।
= 4 × 60 × 45 = 10,800 ml স্যালাইন

প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৫,৪০০ ml
পরের ১৬ ঘণ্টায় ৫,৪০০ ml

🔍 শেষ কিছু জরুরী কথা:
✅Burn Injury মানেই শুধু চামড়া পুড়েনি, পুরো শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।
✅সঠিক হিসাব আর দ্রুত স্যালাইনই জীবন বাঁচায়।এই স্যালাইন সময়মত পাচ্ছে কিনা এটার উপরও রোগীর জীবনমরণ নির্ভর করতেসে (prognosis). হাসপাতালে নিতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেলেও কিন্তু এই পানিশুন্যতা থেকে রোগী hypovolemic shock এ চলে যায় , যেটা সময়মত রিভার্স করা না গেলে আস্তে আস্তে একটার পর একটা Organ fail করতে শুরু করে , ফলশ্রুতিতে মৃত্যু অনেকটা অবধারিত।
✅এছাড়াও রোগীর আশেপাশে বেশি মানুষ এসময় এলাউ করা মোটেও medically রাইট না, sepsis ডেভেলাপ করে Septic shock এ চলে যেতে পারে , যেটাও অর্গান ফেইল করে মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যায়।
✅একটা burn patient এর prognosis (ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ) আরও অনেক ফ্যাক্টরের উপর ডিপেন্ড করলেও লাস্ট আরেকটি জিনিস জানিয়ে আজকের পোস্ট শেষ করব যেটা হলো আগুনের বদ্ধ রুমে Inhalation burn(শ্বাসনালিতে পোড়া) হলে সেক্ষেত্রে শুধু ৩০% বার্ণ নিয়েও রোগীর অবস্থা ভালো থাকেনা , বাঁচানো কঠিন হয়ে যায় । তাই সব সময় বার্নের পার্সেন্টেজ দেখেই রোগী মারা গেলে ডাক্তারকে গালি দিতে আসবেন না না বুঝে । এরকম ভাবে Electric burn , Chemical burn এও আপাত ভাবে বার্ন বাইরে কম বুঝা গেলেও রোগীর ভিতরে কন্ডিশন থাকে যায় যায় অবস্থা।

একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে মনে করি, এই জ্ঞান আজকের বাংলাদেশে সবাইকে জানা উচিত।

- A K M Samiul Haque
Sir Salimullah Medical College (MBBS)

পি আর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন, বিশ্বের কোথায় আছে এই ব্যবস্থা?গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের মতামতের যথাযথ প্রতিফলন। তবে...
30/06/2025

পি আর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন, বিশ্বের কোথায় আছে এই ব্যবস্থা?

গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের মতামতের যথাযথ প্রতিফলন। তবে অনেক সময় প্রচলিত ভোট পদ্ধতিতে দেখা যায়, একটি দল সীমিত ভোট পেয়েও অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়ে যায়, আর অধিক ভোট পাওয়া দলের কোনো আসনই থাকে না।
এমন বৈষম্য থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে বিশ্বের বহু দেশ গ্রহণ করেছে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা।
এই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দল বা জোট যে পরিমাণ ভোট পায়, তার আনুপাতিক হারে সংসদে আসন পায়। ফলে গড়ে ওঠে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ।

কী এই পিআর পদ্ধতি?

আনুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা হলো এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে ভোটারদের রায় প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট প্রাপ্তির হার অনুযায়ী। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দল যদি ১০% ভোট পায়, তাহলে সংসদে তাদের আসনও হবে প্রায় ১০% হারে।

কেন প্রয়োজন?

বাংলাদেশসহ অনেক দেশে বর্তমানে প্রচলিত ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (FPTP) পদ্ধতিতে যে দল বেশি আসনে জয় পায়, তারা সরকার গঠন করে, ভোটের মোট শতাংশ নয়।
যেমন:
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৪০.৮৬% ভোট পেয়ে পেয়েছিল ১৯৩টি আসন, আর আওয়ামী লীগ ৪০.২২% ভোট পেয়ে মাত্র ৬২টি। (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৮.০৪% ভোট পেয়ে ২৩০টি আসন পেয়েছিল, আর বিএনপি ৩২.৫০% ভোট পেয়ে পেয়েছিল মাত্র ৩০টি। (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

এমন পরিস্থিতিতে পিআর পদ্ধতি চালু থাকলে দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব আরও ভারসাম্যপূর্ণ হতো।

বাস্তব উদাহরণ:
ধরা যাক, চারটি দল একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একজন প্রার্থী ২৫% ভোট পেলেও বাকিরা মিলে ৭৫% ভোট পেলেও, প্রচলিত পদ্ধতিতে সেই ২৫% প্রার্থীই জয়ী হবে। অর্থাৎ ৭৫% ভোটের কোনো কার্যকর প্রতিনিধিত্ব থাকবে না।

পিআর পদ্ধতির প্রবর্তন ও বিস্তার:

প্রথমবার ১৮৯৯ সালে বেলজিয়ামে চালু হয় পিআর পদ্ধতি।

বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টি গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে ৯১টি, অর্থাৎ ৫৪% দেশে, পিআর ভিত্তিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

উন্নত দেশের সংগঠন ওইসিডি’র ৩৬টি দেশের মধ্যে ২৫টি, অর্থাৎ প্রায় ৭০% দেশ এই পদ্ধতি অনুসরণ করে।

পিআর পদ্ধতির ধরন:

১. মুক্ত তালিকা পদ্ধতি: দলগুলো ভোটের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আসন পায়।
২. বদ্ধ তালিকা পদ্ধতি: দল ঠিক করে দেয় কে হবেন সংসদ সদস্য।
৩. মিশ্র পদ্ধতি: কিছু আসনে প্রতীকভিত্তিক, কিছু আসনে পিআর ভিত্তিতে নির্বাচন হয়।

Made in Bangladesh.Location: Access Road Chittagong
29/06/2025

Made in Bangladesh.
Location: Access Road Chittagong

28/06/2025

ইরান বনাম Isসরায়েল নিয়ে ভাবনায় ডুবে গেলাম। যুদ্ধকে সমর্থন করি না, কিন্তু পুরো ভূরাজনৈতিক খেলা এতটাই জটিল আর রোমাঞ্চকর যে না ভেবে পারি না!"

23/06/2025
27/04/2025

আমি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি এক পোস্ট দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিলাম, ভুলেও বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগি কিনে তা' সেখানে জবাই করে ড্রামে প্রসেস করে নেবেন না। একই ড্রামে সব মুরগি ফেলে প্রসেস করাতে কোনো মুরগির রোগ জীবাণু, অন্য সব মুরগিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তৈরি হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এত বাজে মন্তব্য শুনতে হয়েছিল যে, মনে হয়েছিল এরা সবাই মুরগি বিক্রেতা ও জবাই করে মুরগির প্রসেসকারী।

অতি সম্প্রতি গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. জায়েদুল হাসান এঁর নেতৃত্বে এক গবেষক দল বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলের এই জবাই করা প্রসেস মুরগির নমুনা পরীক্ষা করে এসব নমুনায় ভয়াবহ ক্ষতিকর ‘ই আল্বার্টি’ ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানান (লিংক কমেন্টে)।

গবেষক দল নানান পরীক্ষা করে দেখতে পান, মুরগির জবাই করে প্রসেস করার সময় মুরগির বিষ্ঠা থেকে তা' বিভিন্ন মুরগির মাংসে সংক্রামিত হয়। তারমানে মুরগির বিষ্ঠায় এই ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় এবং তা মাংসের মাধ্যমে রান্নাঘরে প্রসেস করার সময় নানাভাবে মানুষের মাঝে সংক্রামিত হতে পারে।

‘ই আল্বার্টি’ ব্যাকটেরিয়া' মানব দেহে ডায়রিয়া এবং অনেক ক্ষেত্রে কিডনি বিকল করে দিতে পারে। এটাই হচ্ছে এলার্মিং ব্যাপার।

এই ব্যাকটেরিয়া রান্নার তাপে মরে গেলেও তার আগে রান্নাঘরে কাটাকুটি এবং ধোয়ার সময় মানবদেহসহ বাসনপত্রে সংক্রামিত হয়ে সেটা বাসার যে কারো শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

আমি জাপানে উচ্চশিক্ষারত ড. জায়েদুল হাসান স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি সবাইকে আতংকিত না হয়ে সচেতন থাকতে বলেছেন। তারমানে বাজারে মুরগি কিনে তা জবাই করে গণভাবে ড্রামে ফেলে প্রসেস করা যাবে না।

তাহলে এবার আসি আর এক আতংকের খবর নিয়ে। আমরা জানি নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপকভাবে মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। এজন্যই কয়েক ঘন্টা আগে এক পোস্ট দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, পুকুরের উপরে মুরগির খামার করে, মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে কোথায় কোথায় মাছ চাষ হচ্ছে, তা জানাতে। পড়ে দেখুন কী ভয়াবহ পরিস্থিতি!!

তাহলে যদি মুরগির বিষ্ঠায় মারাত্মক ক্ষতিকর ‘ই আল্বার্টি’ ব্যাকটেরিয়া থাকে, তবে সেই বিষ্ঠা মাছকে খাওয়ালে তো একইভাবে মাছের মাধ্যমেও তা আমাদের শরীরে সংক্রামিত হতে পারে। যা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়।

মাছের এই পরীক্ষা তো কেউ করেনি এখনো। আমি যতটুকু জানি মৎস্য বিভাগ এখন পর্যন্ত চাষ করা মাছের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল কোনো পরীক্ষা করেনি, যে মাছ আমরা দেশের অভ্যন্তরে খেয়ে থাকি।

বি/ষাক্ত খাদ্য নিয়ে আমরা কতটা বিপর্যয়ের মধ্যে আছি, তা কল্পনাও করা যায় না। এরকম বিপর্যয় অন্য কোনো দেশে তো দূরের কথা, আমাজনের গভীর জঙ্গলে কোন উলঙ্গ উপজাতির মধ্যেও দেখবেন না।

কারো মাথা ব্যাথা নেই এই নিয়ে। মাথা ব্যাথা নেই, হাজার মানুষের জীবন দেয়া রক্ত আর হাজার হাজার অঙ্গ হারানো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে আসা বর্তমান সরকারেরও। ছিল না বিগত সরকারের সময়েও। থাকবে না, সামনে আসা সরকারের সময়ও।

আমাদের সন্তানেরা বেঁচে থাকবে অসুস্থ আর বিকলাঙ্গ জাতি হিসেবে।

** পোস্ট বেশি করে শেয়ার করুন প্লিজ৷ যাতে এই ফার্মের মুরগি জবাই ও প্রসেস নিয়ে সবাই সচেতন থাকতে পারে।

-মাহবুব কবির মিলন স্যার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব।

Supernumerary nostril
26/04/2025

Supernumerary nostril

ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়া সেই বৃদ্ধ মানুষটিকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কত কিছুই না বলা হলো—কে যেন বললো স্ত্রী মারা গেছে, সন্তান না...
18/04/2025

ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়া সেই বৃদ্ধ মানুষটিকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কত কিছুই না বলা হলো—কে যেন বললো স্ত্রী মারা গেছে, সন্তান নাই, নিঃসঙ্গ জীবন। কিন্তু এখন জানা গেল, সেসব অনেকটাই ভুল।

রুহুল আমিনের স্ত্রী জীবিত, মেয়ের বিয়ে হয়েছে, একমাত্র ছেলে ঢাকায় অল্প বেতনে চাকরি করে।
তিনি বেঁচে ছিলেন ঋণের চাপে—পেঁয়াজ চাষের জন্য এনজিও থেকে নিয়েছিলেন মোট ১.৯৪ লাখ টাকা ঋণ, এখনো বাকি ৯৯ হাজারের মতো। প্রতি সপ্তাহে দিতে হতো ৪,৪৫০ টাকা করে কিস্তি।

জমিও ছিল না নিজের—বর্গা জমিতে ১ বিঘা ৫ কাঠা চাষ করেছিলেন, যেখানে পেঁয়াজের দাম পড়েছে এতটাই কম যে উৎপাদন খরচই ওঠেনি। বাধ্য হয়ে সুদে আরও টাকা নিয়েছিলেন মহাজনের কাছ থেকে।

এখানেই গল্প শেষ। আর ফেরার পথ ছিল না।

আমরা শহরে বসে বিষণ্ণতা নিয়ে কবিতা লিখি, পোস্ট দিই, কিন্তু গ্রাম বাংলার কৃষকের বেঁচে থাকার লড়াই অনেক বেশি নীরব, কষ্টের এবং নির্মম।

ফসলের দাম কমে গেলে আমরা খুশি হই—"সস্তায় পেয়াজ কিনতে পারছি!" কিন্তু সেই সস্তা পেঁয়াজ হয়তো একজন কৃষকের শেষ নিঃশ্বাস হয়ে দাঁড়ায়।

রাষ্ট্রের সব কিছুতে বাজেট বাড়ে, ভর্তুকি বাড়ে, সুযোগ সুবিধা বাড়ে— কিন্তু কৃষকের কি সুবিধা বেড়েছে! কৃষক কি ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

17/04/2025

ডলারকে টপকে বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা রুশ রুবল

অস্ট্রেলিয়ায় সফল উদ্যোক্তা শামীম এবার দেশে বিনিয়োগ করতে চান  প্রায় আঠারো বছর আগে নারায়ণগঞ্জের এক যুবক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ...
15/04/2025

অস্ট্রেলিয়ায় সফল উদ্যোক্তা শামীম এবার দেশে বিনিয়োগ করতে চান

প্রায় আঠারো বছর আগে নারায়ণগঞ্জের এক যুবক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর কয়েক শ ডলার নিয়ে মেলবোর্নে গিয়েছিলেন। আজ, তিনি অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ১০৮টি 'সাবওয়ে' আউটলেটের মালিক। তিনি মোহাম্মদ শামীম।

এখন তিনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজ প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক পরিচালকদের তালিকায়।

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ফাস্টফুড চেইনগুলোর একটি সাবওয়ে। দেশটিতে এক হাজার ২০০-রও বেশি স্টোর আছে। এটি মেইড-টু-অর্ডার স্যান্ডউইচ, সালাদ ও মোড়কের জন্য পরিচিত।

বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ: বিনিয়োগকারীদের প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে যোগ দিতে সম্প্রতি মোহাম্মদ শামীম বাংলাদেশে আসেন। সফরকালে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। প্রথম কাজ করেছিলাম ফাস্টফুডের দোকানে। থালাবাসন ও টেবিল পরিষ্কার করতাম। যতটা সম্ভব টাকা বাঁচিয়েছি।'

শুরুতে তিনি মেলবোর্নের এক শান্ত শহরতলিতে তার প্রথম সাবওয়ে আউটলেট খোলেন। এরপর শুরু হয় দ্রুত উত্থান। তার ব্যবসায় এখন দুই হাজারেরও বেশি কর্মী আছেন। বার্ষিক লেনদেন ১২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

ব্যবসায় সাফল্যের পরও তার কর্মস্থলে বাংলাদেশির সংখ্যা কম বলে তিনি কষ্ট পান।

বলেন, 'মোট কর্মীর মাত্র তিন শতাংশ বাংলাদেশি। অর্থাৎ, ৬০ জন। আমি দেশ থেকে কর্মী নিতে চাই। কিন্তু ভিসা সমস্যা আছে। আবার প্রশিক্ষণের অভাব অনেককে পিছিয়ে দিয়েছে।'

এখন তিনি তার সরবরাহ ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে যুক্ত করার উপায় খুঁজছেন।

প্রতি বছর তিনি মশলা ও মোড়কের জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচ করেন। বেশিরভাগই আসে চীন থেকে।

'যদি এই সরবরাহ ব্যবস্থার একটি ছোট অংশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়, তবে কাজের সুযোগ হতে পারে। রপ্তানি বাড়াতে পারে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরিতেও সহায়তা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ১২ হাজারের বেশি সাবওয়ে আউটলেট আছে। একই রকমের আরও কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান আছে।'

তিনি মনে করেন—খাবারের মান বজায় রাখার মতো মোড়ক, সস, ইউনিফর্ম ও রেস্তোরাঁর অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশ থেকে আনা যেতে পারে।

বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে আমরা পাঁচ থেকে ছয় মার্কিন ডলারে টি-শার্ট তৈরি করি। অস্ট্রেলিয়ায় তা বিক্রি হয় ৩০ মার্কিন ডলারে। এটি কেবল বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফার বিষয় নয়, এটি আমাদের উত্পাদন ক্ষমতাকে কতটা অবমূল্যায়ন করা হয় তা উপলব্ধি করার বিষয়ও।'

তবে শুধু কম খরচ দেখেই বিদেশিরা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আসেন না।

'আমাদের যা নেই তা হলো—দ্রুত, স্বচ্ছ ও দক্ষ ব্যবস্থা। বিশেষ করে, ব্যাংকিং ও লজিস্টিক খাতে এসবের অনেক অভাব।' শামীমের মতে, টাকা পাঠানোর ঝামেলা বড় সমস্যা।

তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ১০ হাজার ডলার পাঠাই, গাড়ি থেকে নামার আগেই তা আমার অ্যাকাউন্টে চলে আসে। কিন্তু যদি বাংলাদেশের ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাই, তাহলে দুই দিন লেগে যায় শুধু ট্রান্সফার ঠিক মতো হয়েছে কিনা তা বুঝতে।'

এটা অনেকের কাছে ছোট বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু উদ্যোক্তাদের কাছে এটা চুক্তি ভাঙার সামিল।

বিডা, ওএসএস, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাণ, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস, সিকম গ্রুপ, পিএইচপি ফ্যামিলি, 'একজন ব্যবসায়ীর কাছে সময়ই সবকিছু। এক ঘণ্টা দেরি মানে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার মতো। বাংলাদেশকে আমাদের মতো প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জীবনযাত্রা সহজ করতে হবে।'

শামীমের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের তুলনায় বেশি কিছু। এটি ব্যক্তিগত মিশন। তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সময় বাবা-মাকে ফেলে এসেছিলাম। ভাই-বোনেরা এখনো দেশে। আমার হৃদয় এখনো সেখানেই আছে।'

তিনি প্রায়ই বাংলাদেশে তার স্বপ্ন কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন করতে চান। যেমন—প্যাকেজিং সুবিধা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বা কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়া।

'কিন্তু যখনই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিই, তখনই লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দেখি। অনিশ্চয়তার কারণে আমি আটকে যাই। ভর্তুকি চাই না, চাই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে। সুস্পষ্ট নীতি, দক্ষ ব্যাংকিং, উন্নত লজিস্টিক। এটুকুই।'

দেশে প্যাকেজিং উপকরণ সরবরাহের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কয়েকজন সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হওয়ায় শামীম আশাবাদী। তিনি স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে যৌথ উদ্যোগও খুঁজছেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতি

'যদি সঠিক পরিবেশ পাই তবে দেশে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। এতে শুধু আমিই লাভবান হবো না, আরও অনেকের জন্য সুযোগ হবে।'

তার বিশ্বাস, এ ধরনের উদ্যোগ শত শত মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারে। খাবারের ব্যবসায় বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত বৈশ্বিক সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করতে পারে।

'বাংলাদেশি হিসেবে গর্বিত। আমি এখন যাই হই না কেন, শিকড় সেখানেই। এখন সময় এসেছে দেশকে কিছু দেওয়ার। শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে দিতে চাই।'

সোর্স: ডেইলি স্টার

Address

Muradpur

Telephone

+8801858740894

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Iftekharul Malik posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dr. Iftekharul Malik:

Share