17/10/2025
টাকা ধার দেওয়ার পর সমস্যার সম্মুখীন হওয়া এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন:
১. **লিখিত চুক্তি প্রস্তুত করুন** – শুধু মৌখিক নয়, একটি স্ট্যাম্পেড লিখিত চুক্তি তৈরি করুন, যেখানে টাকা ফেরত দেয়ার সময়সীমা, শর্তাবলী এবং সুদের হার (যদি থাকে) স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
২. **সাক্ষী রাখুন** – টাকা ধার দেয়ার সময় কমপক্ষে দুইজন বিশ্বস্ত সাক্ষী উপস্থিত রাখুন এবং তাদের স্বাক্ষর চুক্তিপত্রে নিন।
৩. **চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবহার করুন** – নগদ অর্থ না দিয়ে চেক অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা প্রদান করলে, এতে ধার দেয়ার প্রমাণ থাকবে।
৪. **নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন** – চুক্তিপত্রে একটি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করুন, যখন টাকা ফেরত দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
৫. **ধারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করুন** – ঋণগ্রহীতা ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, অফিসের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করুন। প্রয়োজনে এই তথ্য চুক্তিপত্রে সংযুক্ত করুন।
৬. **ধারের উদ্দেশ্য লিখে রাখুন** – কেন টাকা ধার নেয়া হচ্ছে (যেমন ব্যবসা, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত প্রয়োজন) তা চুক্তিপত্রে উল্লেখ করুন। এতে পরবর্তীতে প্রতারণা প্রমাণ করতে সুবিধা হবে।
৭. **জরিমানা বা লাভের শর্ত যুক্ত করুন** – চুক্তিতে একটি শর্ত রাখুন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে অতিরিক্ত জরিমানা বা লাভ দিতে হবে। এতে ঋণগ্রহীতা সময়মতো টাকা ফেরত দেয়ার প্রতি আগ্রহী থাকবে।
৮. **প্রতি কিস্তির রসিদ সংগ্রহ করুন** – যদি কিস্তিতে টাকা ফেরত দেয়া হয়, তাহলে প্রতিটি কিস্তির জন্য রসিদ সংগ্রহ করুন এবং সেগুলোতে ঋণগ্রহীতার স্বাক্ষর নিন।
৯. **অডিও/ভিডিও প্রমাণ রাখুন** – সম্ভব হলে, টাকা ধার দেয়ার সময় একটি সংক্ষিপ্ত অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং করুন, যা ভবিষ্যতে সহায়ক হতে পারে।
১০. **যৌথ দায়ের শর্ত যুক্ত করুন** – চুক্তিতে এমন একটি শর্ত রাখুন যে, যদি ঋণগ্রহীতা টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে তার জামিনদারও দায়ী থাকবে। এতে আপনার টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়।
এভাবে কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনি ঝামেলা এড়াতে পারেন এবং আপনার টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে পারেন।