টুনটুনি

টুনটুনি Online Media টুনটুনির গল্প

রায়হানের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব আছে! ছোটোবেলা থেকেই সে মেয়েদের সাথে মিশে!  ওর কোনো ছেলে বন্ধু নেই!এইচএসসি পাশ করার পর রায়হা...
29/01/2024

রায়হানের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব আছে! ছোটোবেলা থেকেই সে মেয়েদের সাথে মিশে! ওর কোনো ছেলে বন্ধু নেই!

এইচএসসি পাশ করার পর রায়হান একটা মহিলা কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিলো। পরীক্ষায় পাশ করে ভর্তি হয়ে গেল!

প্রথমদিন ক্লাস করার সময় ম্যাডাম রায়হানকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "এই ছেলে তুমি এখানে কেন!"

রায়হনা বলল," আমি দেখতে ছেলে হলেও একজন মেয়ে!"

ম্যাডাম প্রিন্সিপাল ম্যাডামের কাছে অভিযোগ করলেন। অধ্যক্ষ ম্যাডাম রায়হানকে ডেকে পাঠালেন।

রায়হান অধ্যক্ষ ম্যাডাক কে বলল, "ম্যাডাম আমি একজন মেয়ে!"

ম্যাডাম ভাবলেন দেশে এ সব নিয়ে খুব মাতামাতি হচ্ছে! এখন নিজের কলেজকে এ সবের মধ্যে ফেলা ঠিক হবে না! এই ছেলেটা মনে হয় হিজড়া!

তিনি রায়হান কে বললেন, " শোন ছেলে! স্যরি মেয়ে তোমাকে দেখতে অনেকটা ছেলে মনে হয়! তাই আমার কলেজে পরতে হলে একটু মেয়ে সেজে আসতে হবে! বুঝতে পারছ আমার কথা?"

রায়হান মাথা নেড়ে সায় দিলো। এবং ম্যাডামের রুম থেকে বের হয়ে আসল।

রায়হান মেয়েদের পোশাক পরে ক্লাসে যায়। এ নিয়ে এখন খুব একটা সমস্যা হয় না!

আবার সমস্যা হলো রায়হান হলে সিটের জন্য আবেদন করেছে! অধ্যক্ষ ম্যাডাম বললেন, "তোমকে সিট দেয়া হবে না!"

রায়হান বলল," কেন ম্যাডাম! আমি এই কলেজে ছাত্রী! আমার সিট পাওয়ার অধিকার নাই?"

ম্যাডাম ভেবে দেখলেন হিজড়াটাকে সিট না দিলে আবার না জানি কী হাঙ্গামা শুরু হয় কে জানে! তাই শেষমেশ সিট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন!

রায়হান হলে উঠে আসল। প্রথম প্রথম মেয়েরা ওর সাথে খুব একটা মিশে না। কিন্তু রায়হান ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের সাথে মিশে অভ্যাস। কাজেই কিছুদিনের মধ্যে মেয়েরা ওর সাথে মিশতে শুরু করল।

এখন রায়হান হলের সবার ভালো বান্ধবী!

বছরখানেক পরে হলের দায়িত্ব থাকা ম্যাডাম অধ্যক্ষ ম্যাডের রুমে এসে বললেন," ম্যাডাম সর্বনাশ হয়ে গেছে!"

অধ্যক্ষ বললেন, "এই সকাল বেলা কে আপনার সর্বনাশ করল!"

একটু হাসলেন!

হলের ম্যাডাম বললেন, "আমার না হলের মেয়েদের করেছে! "

"হোয়াট! কী বলছেন আপনি?"

হলের ম্যাডাম একটু বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন, " জী ম্যাডাম! হলের সব মেয়ে প্রেগন্যান্ট! "

ম্যাডামের চেহেরাটা কালো হয়ে গেল! "কী বলেন এ সব!"

"জি ম্যাডাম!"

"ডাকুন সব গাধীদের! "

সব কয়টা মেয়ে ম্যাডামের রুমে দাঁড়িয়ে আছে! ম্যাডাম কঠিন স্বরে বললেন, "কী করে হলো এ সব?"

নুসরাত নামের মেয়েটা বলল, "ওই শয়তান রায়হানটার জন্য ম্যাডাম! আমরা ওকে মেয়ে মনে করেছিলাম! ও যে একটা ছেলে বুঝতে পারিনি!"

"দেখে না হয় বুঝতে পারোনি! কিন্তু সেই সময়ই কী বুঝতে পারোনি?"

"স্বপ্ন ভেবেছিলাম ম্যাডাম! সুইটি বলল, ওর সাথে ঘুমালে সুন্দর স্বপ্ন দেখা যায়! তাই আমরা সবাই ওর ঘুমিয়েছিলাম! আপনি স্বপ্ন দেখেন না ম্যাডাম?"

ম্যাডাম বিরক্ত হয়ে বললেন," বের হও আমার রুম থেকে বলদ কোথাকার! "

এবার রায়হান কে ডেকে আনলেন। রায়হান ম্যাডামের সামনে দাঁড়িয়ে আছে!

ম্যাডাম বললেন, "এই ছেলে তুমি না মেয়ে?"

জি ম্যাডাম আমি তো নিজেকে মেয়েই মনে করি! কিন্তু ওরা আমাকে ছেলে মনে করলে আমার কী করার আছে বলেন!

বের হয় আমার কলেজ থেকে! বেয়াদব কোথাকার!



যারা আইডি ফলো না দিয়ে গল্প পড়ছেন,পেজটা ফলো করুন

(সংগৃহীত)

বিলাসিতার কি শেষ আছে!!!!!সিংগাপুরের  সাত চল্লিশ বছর বয়ষ্ক মিলিয়নিয়ার একজন একটি বইতে লিখেছেন, 'আমাকে প্রায়ই বিদেশ যেতে হয়...
07/06/2023

বিলাসিতার কি শেষ আছে!!!!!

সিংগাপুরের সাত চল্লিশ বছর বয়ষ্ক মিলিয়নিয়ার একজন একটি বইতে লিখেছেন, 'আমাকে প্রায়ই বিদেশ যেতে হয় এবং আমি ফ্লাই করি ইকোনমি ক্লাশে। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, এত ধনী হওয়ার পরও আপনি কেন ইকোনমি ক্লাশে ভ্রমন করেন? আমি উত্তর দেই, এ জন্যই তো আমি সিংগাপুরের সেরা ধনী।'

আরেকটি অতি মূল্যবান কথা তিনি বলেছেন, তাহলো, 'বিলাসিতার আসলে শেষ নেই। কোনো বিলাসিতাই আপনার তৃপ্তি শেষ করতে পারবে না।যেমন, একটি 'গুচি' ব্যাগ কিনলেন, কেনা অব্দি আপনার আনন্দ। এরপর কিন্তু আপনার আরেকটি দামি ব্যাগ পছন্দ হবে, আপনি তাও কিনবেন, তারপর আরেকটা-- এটা আসলে নেভার এন্ডিং প্রসেস।'

আমি এ লেখা লিখছি, নিজের জন্য। আমরা মধ্যবিত্তরা যখন একটু বিত্তের মুখ দেখি, তখন সেটা দিয়ে জীবনের অনেক অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণ করে ফেলতে চাই। আমার মধ্যেও এ সমস্যা আছে।

আমাদের অনেকের আছে।

আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হই। তারপর কষ্ট করে মোটামুটি দাঁড়াই। তখন মনে হয়, জীবন তো একটাই; অতএব, মধ্যবিত্তের সীমাবদ্ধতায় যা কিনতে পারিনি, সেগুলো এবার কেনা যাক। এটা শুধু আমার নয়, অনেকের সমস্যা।

এখন মনে হচ্ছে, এটা হচ্ছে জীবনের বড় ভুলের একটি। কারণ কোনো 'কেনাই' আসলে কারো চূড়ান্ত তৃপ্তি আনতে পারবে না। 'গুচি' জুতোর পর আমাদের 'আরমানি' কিনতে ইচ্ছে করবে। আরমানির পর 'বারবারি'। আই ফোন ১২ কিনলে পরের বছর আই ফোন ১৩ কিনতে চাইব।

এভাবেই আসলে ধ্বংস হয় নিজের আর্থিক সংগতি। ধ্বংস হয় আত্মার শুদ্ধতা। এগুলো কেনার টাকা জোগাড় করার জন্য অশুদ্ধ দৌড় শুরু হয়, যার কোন ফিনিশিং পয়েন্ট নেই। অথচ একটি বিলাসের খরচ যদি আমি একজন বিপন্ন শিক্ষার্থীর পেছনে খরচ করতাম- সেটা হয়তো শত বছর অবদান রাখত। একজন রোগীর পেছনে খরচ করতাম, তিনি হয় তো তাঁর বাচ্চাগুলোকে গুছিয়ে যাওয়ার জন্য আর ক'দিন সময় পেতেন। অথচ, আমি ফালতু জামা, জুতো, কলম, ঘড়ি, চশমা এগুলোর পেছনে ছুটেছি।

মানুষের পেছনে ছুটিনি।

আসলে কোনো টাকাই নিজের নয়, তা সমাজের টাকা। তাই পাই-পয়সা খরচের সময়ও আমাদের ভাবা উচিত, এ পয়সাটি কীভাবে খরচ করলে শুধু আমি না, আমরা সবাই উপকৃত হবো।

তিনি আমাকে নিজের কাছে নিজেকে 'ভিলেন' বানিয়ে দিলেন!

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন,হারানো এবং নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংযুক্তি সমূহ ।
04/05/2023

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন,হারানো এবং নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংযুক্তি সমূহ ।

12/03/2023

তিনটি জীবন সংশ্লিষ্ট উপলব্ধিঃ

১.
আপনাকে ১০ জনের মধ্যে ৫ জন পছন্দ করবে,৫ জন অপছন্দ করবে।এইটা স্বাভাবিক।

যদি ১০ জনেই আপনাকে অপছন্দ করে তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটা আপনার। নিজেকে পরিবর্তন করুন।

যদি ১০ জনেই আপনাকে পছন্দ করে তাহলে আপনি হয়ত ক্ষমতাবান কেও, সবাই আপনাকে তেল মারতেছে।অথবা আপনি বোকা,বুঝতেই পারেন না কে আপনাকে অপছন্দ করে।

২.
কোন কিছু পাওয়ার জন্য আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন,সর্বোচ্চ পরিশ্রম করুন। আপনি সেটা পাবেন নাকি পাবেন না সেটা অনেকাংশে সৃষ্টিকর্তার উপরে নির্ভর করে,কিন্তু আপনার চেষ্টায় যেন কমতি না থাকে।

পরবর্তীতে আফসোস রাখবেন না যে ইশশ, যদি আরেকটু চেষ্টা করতাম, হয়ত আমিও পেতে পারতাম।

৩.
জীবনে অনেক ভুল হবে। বেশীরভাগ ভুল এর কারণ হল মানুষ চিনতে ভুল করা।

যাকে বিশ্বাস করবেন সে অবিশ্বাসের কাজ করবে।যার কাছে আস্থা নিয়ে আশা করবেন, সে হতাশ করবে। যাকে ভালবেসে কাছে টানবেন, সে দূরে গিয়ে ছোবল মারবে।

বিশ্বাস করার আগে সময় নেন, যে কারো কাছেই প্রত্যাশা কমিয়ে দেন। কেও সাহায্য চাইলে নিজের পক্ষে যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন।ভাল থাকবেন।

01/08/2022

ছেলেদের মন আসলেই অনেক কঠিন, কি এক অজানা কারনে আমরা কখনো বাবাকে বলতে পারিনা যে বাবাকে আমরাও ভালবাসি,মনে প্রানে চাই বাবার সপ্ন পূরণ করতে,বাবাকে খুশি রাখতে।আর বাবারা ও কেমন জানি নিজ থেকে কিছু বলেনা...

সন্তানের জন্য বৃদ্ধ বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি।প্রিয় সন্তান,আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি ️১। জীবন, ভাগ্য এবং দ...
14/06/2022

সন্তানের জন্য বৃদ্ধ বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি।

প্রিয় সন্তান,
আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি ️

১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।

২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।

৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা করঃ

১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারন তোমার মা এবং আমি ছাড়া তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে, তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা।

২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে, বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা।

৩। জীবন সংক্ষিপ্ত। আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে।

৪। ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।

৫। অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা -এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

৬। আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে।

৭। তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে।

৮। আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে, যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না।

৯। তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি।

ইতি
ভালোবাসা সহ,️
তোমার বাবা।

17/04/2022

একবার ঘর ছাড়লে সেই ঘরে আর কখনো ফেরা হয় না - জানেন তো?

জীবনে প্রথম ঘর ছেড়েছিলাম ২০১৮ এর এপ্রিল মাসে।

জীবনের পরবর্তী ধাপে আরো কিছু ব্যাপার শিখেছি। এই মানা না মানার ব্যাপারটা এডাপ্ট করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমার মাঝে এই মেনে নাওয়ার ব্যাপারটা একটু অন্যরকমভাবে কাজ করে। আমি যেকোন পরিস্হিতিতে মেনে নিতে পারি। ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও আমি পারি। আমি চুপ থাকি, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হ‌ওয়ার জন্য আন্তরিকতার চরম ঘাটতি থাকে আমার ভেতরে। তবে আমার কথা বাড়াতে ভাল লাগে না। যেখানে আমার কথার মূল্য নেই সেখানে আমার শব্দ অপচয় করার আমি প্রয়োজন মনে করি না। আমাকে কনভিন্স করা খুব কঠিন কিছু না কিন্তু আমার ভেতরে তার জন্য ওই সম্মানের জায়গাটুকু একটু নড়বড়ে হয়ে যায়। এত বছরে এই বাড়তি চাপটুকু মেনে নিতে আমি নারাজ। আমি পারি না। আমার কথা খুব সহজ আমার সাথে খোলাখুলি কথা বলতে হবে, আমার কথাও বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

বাসা ছেড়েছি আজকে ৫ বছর। মাঝে এক বছরের জন্য বাড়ি ফিরেছিলাম বাচ্চার জন্যে তারপর একবারে অতিথি হয়ে গেলাম। এখন আমার সেই পরিচিত খাটে আমার জন্য জায়গা বরাদ্দ নেই। আমার চেয়ার অন্য কারো অধীনে , আমার আলমারির সেলফটার জায়গাও ইতিমধ্যে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তার বদলে এখন আমার জীবনে নতুন নতুন জায়গা যোগ হয়েছে।

জামাইর বাসা থেকে প্রথম যখন বাড়ি ফিরলাম প্রথম পরিবর্তনগুলো খেয়াল করলাম। এই পরিবর্তন রুমের ফার্ণিচারের পরিবর্তন না, ডাইনিং টেবিলের বসার স্থানের পরিবর্তন না । এই পরিবর্তন কারো অগোচরে তার অস্তিত্বের পরিবর্তন। পরিবর্তনগুলো খুব কিঞ্চিত, দেখা যাবে না শুধু অনুভব করা যায়।

আম্মুর বাসায় গেলে কিছুদিন পর অস্থির লাগে বাসায় ফেরার জন্য। বাসায় আসলে কয়েকদিন পর অস্থির লাগে আম্মুর কাছে যাওয়ার জন্য কিন্তু মাঝে দিয়ে আমার ঘরে ফেরাই কেন জানি আর হচ্ছে না। ওই যে একবার ঘর ছাড়লে সেই ঘরে আর ফেরা হয় না। আমার‌ও হচ্ছে না।

মাঝে মাঝে মেয়ের বাবা অভিযোগ করে আমি মেয়েকে বিছানায় রাখি, ক্রিবে দাওয়ার অভ্যাস করি না পরে আমার কষ্ট হবে। আমি মেয়েকে তখন আরো শক্ত করে নিজের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলি, "থাকুক আমার কাছে" । কারণ আমি জানি, যেদিন আমার মেয়ে আমার ঘর ছেড়ে নিজের ঘরে চলে যাবে আর কখনো এভাবে ফিরবে না। মাঝরাতে ভয়ে ঘুম ভাঙলেও আমাকে আর খুঁজবে না, আমার জায়গাটুকু
নির্দ্বিধায় ওর কোলবালিশের দখলে চলে যাবে। ততদিন আমার কাছেই থাকুক। আমার ভেতরেই থাকুক।

@ফাইজা আরুশা

25/03/2022

"ক" ব্যবহার করে এতো দীর্ঘ লেখা আমি প্রথম পেলাম। অসাধারন😃😃

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল, "কাকা, কড়ি কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত। কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে- কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন।

কিন্তু কাকা, কষ্মীনকালে কেউ কী কখনো কহিয়াছেন? কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্খিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল"?

কাজে-কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতুহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিত কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন। কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কিচ্ছা কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল,

_"কাবেরী কোলের কেয়া-কুঞ্জে কোয়েলের কলকাকলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল
কা-কা করে"?

কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন, _"কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো"।_

সংগৃহীত

13/03/2022

শহরের খুব নামী কলেজের একটা মেয়েকে কেমিস্ট্রি পড়াতাম । অনেক বড় ফ্ল্যাট বাসা । সপ্তাহের ৩ দিন সেই বাসার ১০ তলায় আমি যাতায়াত করতাম । ওর মা খুব বড় একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন । আর বাবা বিজনেসম্যান । ওর বাবাকে আমি কোন দিন সামনা সামনি দেখিনি ।
আমি চিন্তা করলাম ছাত্রীর পড়াশুনার ব্যাপারে তার বাবার সাথে একটু কথা বলার দরকার । ছাত্রীকে বেশ কয়েকবার বললাম , তোমার বাবাকে আমার সাথে একটু কথা বলতে বলিও ।
ছাত্রী কি বুঝলো কে জানে !!
সে হ্যা , না টাইপের কোন উত্তর দেয় না । প্রসঙ্গটা এলেই সে কেন জানি এড়িয়ে যায় ।
মাঝে মাঝেই একটা লোককে সেই বাসায় আমি দেখি । ভাবলাম ইনিই হয়তো ছাত্রীর বাবা । লোকটা সিগারেট খায় ।
একদিন আমি বললাম , তোমার বাবা তো বাসায় আছেন । উনাকে একটু ডেকে বলো , স্যার কথা বলতে চায় ।
ছাত্রী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে জানালো , উনি আমার বাবা নন ।
আমি বললাম , উনি তাহলে কে ?
আমার মায়ের বন্ধু । ছাত্রী উত্তর দিলো ।
আমার বাবা আমাদের সাথে থাকেন না । বাপ মায়ের সেপারেশন হয়ে গেছে ৩ বছর আগেই ।
খানিকটা বিস্মিত হয়ে বললাম , এই ভদ্রলোক তোমাদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করেন ? আর এইভাবে সিগারেট নিয়ে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে ?
মেয়েটা একই উত্তর দিলো ।
উনি আমার মায়ের বন্ধু । মাঝে মাঝেই বাসায় আসে । আমার সাথে খুব একটা কথা হয় না ।
এরপরের দিন থেকে কিছুটা যৌক্তিক কারনে আমি টিউশনটা বাদ দিলাম ।
ভদ্রমহিলা কয়েকদিন পর আমাকে ফোন দিলেন ।
-- স্যার , আপনি আসছেন না কেন ?
-- ব্যাক্তিগত কিছু সমস্যার কারনে আমি টিউশনিটা করাতে চাচ্ছি না ম্যাডাম । ব্যাপারটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । এই মাসের বেতনটা আপনাকে দিতে হবে না ।
ভদ্রমহিলা হয়তো বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছেন । কিন্তু বুঝতে দেন নি । আর বেশি কথাও বাড়ান নি ।
মনে মনে ভাবছি এই মেয়েটা কি ভয়ঙ্কর একটা শৈশবই না কাটাচ্ছে । বাপ মায়ের সেপারেশন । মায়ের ছেলে বন্ধু । বাপটাও নিশ্চয়ই বসে নেই । সব মিলিয়ে বিভীষিকা বললেও কম হবে ।
প্রয়োজনের তাগিদে চাকুরী করাটা অবশ্যই খারাপ কিছু না । বরং অনেক মেয়েই চাকুরী করে নিজের পরিবারের সাপোর্ট দিচ্ছে ।
কিন্তু সত্যি কথা হলো প্রাইভেট জবগুলোতে একটা মেয়ের অবস্থান কেমন , কিভাবে তার প্রমোশন হয় সেটা কি কেউ যাচাই করে দেখেছেন ?
রিসিপশনিস্ট সব সময় কেন একটা মেয়েকেই হতে হবে ?
বিমানের ক্রু হিসাবে কেন একজন অবিবাহিত নারীকেই প্রাধান্য দেয়া হবে ?
কল সেন্টার গুলোতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের এতো প্রাধান্য কিসের ভিত্তিতে ?
ঠিক কি কারনে উর্ধতন একজন কর্মকর্তার সফর সঙ্গী হিসাবে মিনিমাম ২/৪ জন সুন্দরী নারী থাকতেই হবে ?
সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো ইস্যুগুলোতে একটা নারী শরীরের সব কিছু বিবেচনা করে তাকে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য তৈরি করা হয় । সেই নারীকে দেখা যায় হোন্ডা বা সুজুকি ব্র্যান্ডের গাড়িতে মডেল হিসাবে ।
বলিউডের দিপীকা আর দিয়া মির্জা একদিক দিয়ে নারী অধিকারের কথা বলছেন । নারীকে পন্য হিসাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলছেন । অন্যদিকে এরাই চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে কাপড় খুলে ক্যামেরার সামনে আসছেন ।
এঞ্জেলিনা জোলি রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে নারী সচেতনতা বাড়াচ্ছেন । অন্যদিকে বিভিন্ন মুভিগুলোতে তার ন্যুড সিনের কোন অভাব নাই ।
যে মেয়েটাকে দেখবেন বাসে পাবলিকের হাতের ছোয়া পেয়ে চিৎকার করছে সেই মেয়েটাকেই দেখবেন বসের পিএস হয়ে লং ট্যুরে যেতে দ্বিধা করছে না ।
চোখের সামনেই প্রমান আছে । মিলিয়ে নিন

বিঃদ্রঃ এখানে কাউকেই হেয় করে লিখি নি,,,বাস্তব চিত্র তুলে ধরলাম,,,ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
#কালেক্টেড

09/03/2022

শিক্ষানীয় পোস্ট:

এক লোক একটা আস্ত বড় ছাগল গ্রীল করে তার মেয়েকে বললেন-
"আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভোজের জন্য ডাকো""

মেয়েটি রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করতে থাকলো-
"আমাদের বাসায় আগুন লেগেছে কে কোথায় আছো আমাদের সাহায্য করো!!

অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলো। বাকিরা এমন ভাব করলো, যেনো তারা কিছু শুন'তেই পায়নি !! যারা সাহায্যের জন্য আসলো তারা পেট পুরে মজাদার সেই খাবার খেলেন।।

বাবা আশ্চর্য্য হয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন-
"মা যারা এসেছেন তাদের কাউকেই আমি চিনি না !! আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সব কোথায়??"

মেয়েটি উত্তরে বললো-
"যারা এসেছে তারাই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী !!
তারা কিন্তু খাবার খেতে আসেনি। তারা এসেছে আমাদের বাড়ির আগুন নিভাতে। এরাই আমাদের আপনজন।।"

মুলত, যারা বিপদের সময় তোমার পাশে থাকেনি !! তারা তোমার আনন্দের অংশীদারী হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না !!

09/03/2022

Address

Muradpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when টুনটুনি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share