টুনটুনি

টুনটুনি Online Media টুনটুনির গল্প

একজন পুরুষ যখন সারাদিনের ধকল সামলে ঘরে ফেরে, তার মনে শুধু একটাই ইচ্ছা কাজ করে—একটুখানি শান্তি। রাস্তাঘাটের কোলাহল, অফিসে...
18/07/2025

একজন পুরুষ যখন সারাদিনের ধকল সামলে ঘরে ফেরে, তার মনে শুধু একটাই ইচ্ছা কাজ করে—একটুখানি শান্তি। রাস্তাঘাটের কোলাহল, অফিসের টেনশন, মানুষের নানা রকম ব্যবহার—সবকিছু মিলিয়ে তার মন তখন ক্লান্ত। আর তখন সে চায়, নিজের বাড়িটুকুই হোক তার আশ্রয়, একটু প্রশান্তির জায়গা।

একটা মেয়ে সারাদিন ঘরের কাজ করে, সন্তান সামলায়, রান্নাবান্না করে, নিজের শরীর-মন নিংড়ে দেয় পরিবারের জন্য। সেই শ্রমের কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু একজন স্ত্রী যদি এই বাস্তবতা বোঝেন—যে তার স্বামীও একইভাবে সারাদিনের চাপ আর ক্লান্তি নিয়ে ফিরছে—তাহলে হয়তো সংসারটা হয়ে উঠতে পারে একটু বেশি নির্ভার।

যখন স্বামী দরজায় পা রাখে, প্রথম ১ ঘণ্টা তার জন্য রেখে দিন। কোনো অভিযোগ নয়, কোনো তাগাদা নয়, শুধু একটু আন্তরিকতা। তাকে একটা গ্লাস পানি বা শরবত দিন, জিজ্ঞেস করুন, “কেমন কাটল দিনটা?” তার ক্লান্ত মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন। এ সময় তাকে বলে ফেলবেন না—প্লেট ভেঙে গেছে, বাজার শেষ, কারেন্ট বিল দিতে হবে, কিংবা আপনি কেন ফোন দিলেন না আজ!

ধরা যাক, আপনার সন্তান কাঁদছে, আপনিও ক্লান্ত, কিন্তু স্বামী দরজায় পা রাখার সেই প্রথম ঘণ্টা যেন শুধু ওর হয়। ওর চোখে যেন আপনি হন শান্তির ঠিকানা। আপনার ভালোবাসা, যত্ন, সম্মান—এসবই তাকে মনে করিয়ে দিক, সে তার ঘরে ফিরে এসেছে।

পুরুষদের অনেকেই ভেতরে ভেতরে খুব আবেগী হয়, কিন্তু প্রকাশ করতে জানে না। আপনি যদি এমন করে তার মনের জায়গাটা বুঝে নিতে পারেন, তাহলে সে নিজেই বলবে—আজ অফিসে কী হলো, কেন সে ফোন দেয়নি, কেন তার মন খারাপ ছিল। আপনাকে বিশ্বাস করে নিজে থেকেই সব বলবে। তখন আপনি চাইলেও হয়তো তার উপর রাগ করতে পারবেন না।

বলা হয়, নারীর কাছে সংসারটা নির্ভর করে। পুরুষ টাকা এনে দিতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার বাতাসে ভরিয়ে দিতে পারে একজন নারীই। আপনি যদি চুপ থেকে, নিজের ইগো একটু সরিয়ে রেখে ওকে জায়গা দেন—তাহলে হয়তো রাতের খাবার শেষে সে নিজেই বলবে, “আজ চা আমি বানিয়ে দিই তোমায়।” এই একটা মুহূর্তের জন্যই তো বাঁচা, এই ভালোবাসার ছায়াটুকুর জন্যই তো এত আয়োজন।

এক ঘণ্টার এই নিরব, ভালোবাসাময় প্রস্তুতির জন্য আপনি কিছু হারাবেন না। বরং দিনের বাকি সময়টা আপনারই হয়ে উঠবে। আবদার, হাসি, এমনকি যদি ঝগড়াও হয়—তাও ভালোবাসার কাঠামোতেই হবে।

সব দাম্পত্যেই চাপ থাকে, ক্লান্তি থাকে। কিন্তু সেটা ঘুচে যেতে পারে একজন স্ত্রীর ছোট্ট একটু চেষ্টায়। ভালোবাসার বাড়ি বানানো কঠিন নয়, দরকার শুধু বোঝার মানসিকতা।

ভালো থাকুক সব দম্পতি। ভালোবাসা থাকুক সবার সংসারে।

🛑TATA হসপিটালে আপনি যখন যাবেন তখন প্রথমেই একটা রেজিস্ট্রেশন ফরম ফিলাপ করতে হবে।ফিলাপ করার জন্য হসপিটালের কতৃপক্ষ আপনাকে ...
17/07/2025

🛑TATA হসপিটালে আপনি যখন যাবেন তখন প্রথমেই একটা রেজিস্ট্রেশন ফরম ফিলাপ করতে হবে।ফিলাপ করার জন্য হসপিটালের কতৃপক্ষ আপনাকে সাহায্য করবে।।

🛑হসপিটালের চারটি বিল্ডিং আছে।ফরম পাওয়া যায় গোল্ডেন জুবিলী বিল্ডিং এ।

এখানে পাওয়া যাবে দু ধরনের ফরম।

👉🏾প্রাইভেট

👉🏾GENERL

আপনি general ফরম চুস করবেন।

🛑আপনি BPL কার্ড ফর্মের সঙ্গে যুক্ত করে দেবেন যদি আপনার কোনো হেলথ স্কিম না থাকে তাহলে।খুব খুব স্বল্প মূল্যে বা বিনামূল্যে আপনি ক্যান্সার চিকিৎসা পেয়ে যাবেন।

🛑General এবং প্রাইভেট পেসেন্ট এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।সেই একই ডক্টর এবং একই চিকিৎসা হবে।তবে general এ চিকিৎসা প্রাইভেট এর থেকে ২ ঘণ্টা পরেই শুরু হয়ে যাবে।

🛑আপনি টাটা হসপিটালে যাওয়া র আগে ফোন করে ১০০ টাকা দিয়ে ফ্রী লকার রুম এবং থাকা র জন্য রুম বুক করে যেতে পারেন।তাতে আপনার অনেক সুবিধা হবে।

🛑আপনি যদি হসপিটালের দূরে কোনো জায়গায় থাকেন তাহলে সেখান থেকে টাটা হসপিটাল যাওয়ার জন্য ডিলাক্স বাস পাবেন বিনামূল্যে হসপিটাল কতৃপক্ষের তরফ থেকে।

🛑খাওয়ার জন্য হসপিটালের পাশেই ট্রাস্ট করা আছে ।যদি আপনি ওখানকার ডক্টর দের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে হসপিটালের পাশেই আপনার বিনামূল্যে খাওয়ার দেওয়া হবে।

🛑১৪ বছরের নিচের শিশু দের সম্পুর্ন বিনামূল্যে ক্যান্সার চিকিৎসা হবে।

🛑মহিলা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে যদি B.D.O অফিস থেকে ইনকাম সার্টিফিকেট ৬০০০০ এর তলায় লিখে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে হসপিটালে গিয়ে m.c ফাইল তৈরি করতে হবে।সেটা আপনাকে সাহায্য করে দেবে হসপিটালের ডক্টর রাই।এর ফলে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আপনার খুব খুব স্বল্প মূল্যে বা বিনামূল্যে হয়ে যেতে পারে।

🛑ট্রিটমেন্ট চলাকালীন রুগীদের খাবারের জন্য কোনো টাকা আপনার কাছ থেকে নেওয়া হবে না সেটা প্রাইভেট বা general হোক।

👉🏾👉🏾👉🏾সবাইকে জানানোর অনুরোধ রাখলাম।হয়তো আপনার জানানো এই তথ্য একটা মানুষের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।

এরপর শেষে একটাই কথা বলবো, এত কিছু সুবিধা থাকার পরেও কিছু মানুষ এখনও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন দেখে খুবই খারাপ লাগে, পৃথিবীতে এসেছেন, একদিন সবাইকে যেতে হবে, তবু শেষ চেষ্টা টুকু করবেন না কেন???

এই পোস্টটি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে করা, এখনো ক্যানসার রুগীর বাড়ির লোকেদের আতঙ্ক টা সবাই বোঝেনা, আর অন্যান্য জায়গায় খরচ এতটাই যে আপনার জমি বাড়ি সব এক নিমিষে বিক্রি করে দিতে হতে পারে, ভারতবর্ষের মধ্যে এতটা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও পৌঁছতে পারেনা অনেকেই, হারিয়ে ফেলেন তাদের স্বজন কে, দয়াকরে টাকার জন্য আপনার স্বজন কে হারিয়ে ফেলবেন না,

ভালো থাকুন, ভালো রাখুন, একজন ক্যানসার রুগীকে আরো কিছুদিন পৃথিবীর আলো দেখতে সাহায্য করুন, মানুষকে জানিয়ে আরো দুটো বন্ধুকে অবগত করুন,

🛑হসপিটাল অ্যাড্রেস

Homi Babha Building Dr Ernest Borges Rd, Parel East, Parel Mumbai, Maharashtra 400012

হসপিটাল কন্টাক্ট নম্বর

022 2417 7000

🛑🛑এই সুবিধা শুধু ভারতীয়দের জন্য নয় বিশ্বের যেকোন দেশের যেকোনো পেশেন্টের জন্যই এই সুবিধার ব্যাবস্থা করলো টাটা মেমোরিলাল ক্যান্সার হসপিটাল::মুম্বাই

অনুগ্রহ করে এই বার্তাটি সবাইকে পাঠানোর অনুরোধ রাখলাম কারণ এটা সাধারণ মানুষের কাছে জানা খুব দরকারী ।

#

যারা অশান্তিতে আছেন লেখাটি তাদের জন্য।▪️সম্পর্কের প্রথমে হলো বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটাই একটা সম্পর্কের মূল, যে সম্পর্কে বিশ্...
11/07/2025

যারা অশান্তিতে আছেন লেখাটি তাদের জন্য।

▪️সম্পর্কের প্রথমে হলো বিশ্বাস।
এই বিশ্বাসটাই একটা সম্পর্কের মূল, যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।

▪️সম্পর্কের দ্বিতীয় হলো সন্মান।
যে সম্পর্কে সন্মান নেই একজন একজনকে সন্মান দেয় না, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।

▪️সম্পর্কের তৃতীয় হলো সেক্রিফাইস।
এই সেক্রিফাইস টা যদি দু'জন দু'জনকে সেক্রিফাইস করতে না পারে, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।

▪️সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি।
সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে সুযোগ দিবেন না।
তাহলে ওই সম্পর্ক টিকে থাকবে না।

এবার আসি মূল কথায়⬇️

▪️একটা সম্পর্কের মধ্যে উপরের ৪টি কথাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিবাহিত জীবন শুরু করা খুবই কষ্টকর,যদি আপনি উপরের তিনটি কথা মানতে না পারেন।

▪️বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা হবে সবকিছুকে দোষ ভেবে আলাদা হয়ে যাবেন না। দোষ কোথায় সেটা খোঁজার চেষ্টা করুন। দেখবেন নিজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

▪️আপনি জানেন আপনার দোষ তারপর ও আপনি চুপ থাকেন, দেখবেন অনেক সহজ হয়ে গেছে সবকিছু।

▪️এক/দুই কথায় সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে আসতে দিবেন না।নিজেরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করুন।

▪️কখনো ডিভোর্সের কথা কখনো মাথায় ও আনবেন না।ডিভোর্সে কখনো শান্তি আনতে পারে না।আপনি মনে করেন যে, ডিভোর্স দিলে হয়তো আমি মুক্তি পেয়ে যাবো,আসলে তা কখনো হয় না,সমাজের এক/দুইটা ডিভোর্সী ভাই/বোন দেরকে প্রশ্ন করে দেখুন যে তারা কেমন আছেন? তাদের নিজ পরিবার এবং সমাজের মানুষের সাথে কেমন সম্পর্ক এবং সমাজ তাদেরকে কোন চোখে দেখে সেটা একবার কল্পনা করুন,নিজেই তার প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

▪️আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে কি সমস্যা? কি কারণে বিছিন্ন হতে চাচ্ছেন এগুলোর সমাধান খুঁজুন। ওই বিষয় গুলো ত্যাগ করতে চেষ্টা করুন, দেখবেন সমাধান আপনার হাতেই।
রাগ / অহংকার / জেদ এগুলো ত্যাগ করে প্রিয় মানুষের সাথে সংসার করতে শিখুন। দেখবেন পৃথিবীতে আপনার মতো সুখী মানুষ আর কেউ হবে না, ইনশাআল্লাহ।

▪️এসব কথা গুলো যদি আপনি মানতে না পারেন,তাহলে আপনার জন্য সংসার নয়।আপনি কখনোই কোথাও সুখী হবেন না।

▪️ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল সম্পর্কের মানুষ গুলো।ভালো থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো।

সংগৃহীত

স্বামী স্ত্রী হচ্ছে একে অপরের পরিপূরক।একজনকে ছাড়া অন্য জন অসম্পূর্ণ।মনের চার্জ হচ্ছে ভালোবাসা।এর অভাবেই মানুষ থেকে মানসি...
06/07/2025

স্বামী স্ত্রী হচ্ছে একে অপরের পরিপূরক।একজনকে ছাড়া অন্য জন অসম্পূর্ণ।মনের চার্জ হচ্ছে ভালোবাসা।এর অভাবেই মানুষ থেকে মানসিক রোগী হতে সময় লাগে না।আবার ভালোবাসাই পারে একজন মানুষের মানসিক শক্তি বাড়াতে।

মান অভিমানে কথা না হলে, দুজনেই দুই দিক থেকে চার্জ শূন্য হয়ে যায়।কোনো কাজে মন বসে না।
সব মন খারাপ, দুশ্চিন্তা এসে মনে বাসা বাঁধে। মনে হয় জীবন টা তুচ্ছ, বেঁচে থেকে কি লাভ!

অথচ দুজনে একসাথে হলেই যেন সব মন খারাপ, দুশ্চিন্তা উধাও হয়ে যায়।শূন্য চার্জ থেকে ফুল চার্জ!অভিমানে দূরে গিয়ে কষ্ট বাড়াতে নেই, একসাথে হয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করলেই তো জীবন সুন্দর। তখন মনে হবে দুজনে একসাথে কত সুখী,অনেকটা বছর দুজনে বাচঁতে ইচ্ছে হবে! ❤️

স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হলে মনে হয় তার সাথে থাকা অসম্ভব আর মিল হলে মনে হয় তাকে ছাড়া বেচে থাকা অসম্ভব। হ্যা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এমনি হয়। কিছু মানুষ আছে তৃতীয় পক্ষ স্বামী স্ত্রীর মাঝে একটু ঝগড়া হলে সেই ঝগড়া সুযোগ নিতে চায়।

সেই তৃতীয় পক্ষের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই যে তারা যতোই ঝগড়া করুক দিন শেষে স্বামী স্ত্রী একে অপরের বুকে মাথা রেখে ঘুমাই। বাইরে তারা দেখাবে একে অপরের প্রতি রাগ কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা দুজন একই আত্মা। এটাই হলো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আল্লাহ প্রদত্ত। এই সম্পর্ক এক মাত্র আল্লাহ না চাইলে কেউ ভাঙ্গতে পারে না।

পুরুষ মানুষ যত যাই করুক না কেনো দিন শেষে সে তার স্ত্রীকেই ভালোবাসে। ❤️ স্বামী -স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের দাম্পত্য জীবনে বরকত দান করুক আল্লাহুম্মা আমীন ❤️

02/07/2025

অসাধারণ একটি লেখা🥰
একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্তা নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।

আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্তা নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,
وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ
অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২)
এই আয়াতটি একটি আধুনিক বিজ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের শুক্রাণুতে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে।
আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে।
অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
একজন গণিকা অনেক পুরুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয়ে সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন।
এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ
অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)

এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে।
দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ ​​পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে।

ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সতী।
والله ورسوله اعلم عزوجل وصل الله عليه وسلم
ইসলামে একজন মহিলার জন্য এক‌ই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন!
অবশেষে বিজ্ঞানও আল কুরআনের বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো।
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ

28/06/2025

তুমি যখন তোমার স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক কথা আরেকজন নারীর সঙ্গে বলো—ঠিক সেই মুহূর্তেই তুমি একটা সম্পর্ক ভাঙার দরজা খুলে দাও।

তুমি তখন তোমার বৈবাহিক জীবনের ফাঁকটা দেখিয়ে দাও, আর সেই নারী চুপিচুপি সেই জায়গা পূরণ করতে শুরু করে।

তুমি যদি বলো, “আমার স্ত্রী আমাকে আর আগের মতো গুরুত্ব দেয় না”—সেই নারী তখন তোমাকে প্রতিনিয়ত প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়।

তুমি যদি বলো, “আমার স্ত্রী সারাক্ষণ অভিযোগ করে”—সে তখন হয়ে ওঠে তোমার প্রশান্তির উৎস, সবসময় তোমার দিকে কোমল চোখে তাকায়।

তুমি যদি বলো, “আমার ঘরে শান্তি নেই”—তাহলে সে নারী হয়ে ওঠে তোমার নতুন শান্তির আশ্রয়।

তুমি ভাবো, “আমি তো শুধু একটু কাঁধ খুঁজছিলাম ভরসা করার”—কিন্তু তুমি নিজের অজান্তেই নেমে পড়ো এক ভয়ংকর গভীর অন্ধকারে।

একটা পরকীয়া শুরু করা হয়তো খুব সহজ। কিন্তু সেটা থামানো হয় খুব কঠিন। কারণ যাকে তুমি হালকা করে ভাবো, সে হয়তো তোমাকে নিজের জীবনের অবলম্বন ভাবতে শুরু করেছে।

বেশিরভাগ মানুষ ইচ্ছে করে তাদের সংসার নষ্ট করে না। তারা শুধু একটুখানি দরজা খুলে দেয়—জানেই না, সেই দরজা দিয়ে কত অশান্তি ঢুকে আসবে।

তাই সবসময় চেষ্টা করো, তোমার দাম্পত্য জীবনের সমস্যা তোমার জীবনসঙ্গীর সঙ্গেই মিটিয়ে নিতে। প্রয়োজনে কাউন্সেলরের কাছে যাও।

কিন্তু সহকর্মী বা বন্ধুর কাছে মন খারাপের গল্প বলতে গিয়ে নিজের জীবনের ভীতটাই নাড়িয়ে দিও না। এটা শুধু বিপদ ডেকে আনে।

27/06/2025

দুজনে মিলে পড়ুন হয়তো কিছু সমস্যার সমাধান পেয়েও যেতে পারেন।
যদি ভাবেন আপনার দাম্পত্যে সমস্যা একমাত্র আপনার জীবনে—তাহলে আপনি ভুল করছেন। এমন হাজারো পরিবারে প্রতিদিন অসংখ্য ছোটখাটো কথা থেকে বড় বড় কলহ জন্ম নিচ্ছে। শুধু পার্থক্য হলো—কেউ সেটাকে লুকিয়ে রাখছে, কেউ লড়ছে, আর কেউ হাল ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখুন—সম্পর্ক ভাঙার আগে, একবার বোঝার চেষ্টা করা জরুরি, সমস্যাটা কোথা থেকে শুরু হলো?

✴️"একটা গল্প, একটা যুদ্ধ, দুইটা জীবন"
একদিন সকালে ঘুম ভাঙল, পাশে তাকিয়ে দেখলেন একজন ঘুমিয়ে আছে—আপনার গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। সে শুধু একজন সঙ্গী নয়, বরং আপনার প্রতিদিনের অসমাপ্ত বাক্যের পরিপূর্ণতা।

✴️✴️ বিয়ে কি শুধু একটা অনুষ্ঠান? নাকি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত?

বিয়েতে সত্যিকারের সৌন্দর্য তখনই আসে, যখন সম্পর্ক বর্ষার মতো ধৈর্যশীল হয়, শীতের মতো উষ্ণতা দেয়, বসন্তের মতো সৌরভ ছড়ায়, আর শরতের মতো প্রশান্তি আনে। এভাবে একসঙ্গে গড়ে ওঠে এক অনন্য বন্ধন।
"সুখী দাম্পত্য মানে ঝামেলা নেই, এমনও নয়—বরং ঝামেলার পরও একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাটাই প্রধান।"
বিয়ে নিখুঁত নয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার চেয়েও বেশি কিছু লাগে—ধৈর্য, বোঝাপড়া, দায়িত্ববোধ।

✡️✡️✡️বিয়ে মানে ঝামেলা? নাকি মুক্তি?
বিয়ে সেই স্বাধীনতা, যেখানে আপনি নিজের আসল রূপ খুঁজে পাবেন। সেই সম্পর্ক, যেখানে আপনার দুর্বলতা নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, কারণ একজন হয়তো আপনাকে বলবে—"তোমার” অপূর্ণতাগুলো এখন “আমাদের”।
জীবন একটা গল্প, যেখানে কিছু পথ একা চলা যায়, আর কিছু পথে সঙ্গী দরকার। বিয়ে মানে সেই সঙ্গীকে খুঁজে পাওয়া, যার সঙ্গে পাহাড়ে চড়বেন, সমুদ্র দেখবেন, হেরে যাবেন, জিতবেন—কিন্তু কখনো একা থাকবেন না।

🎇দাম্পত্য কলহ কী?

দাম্পত্য কলহ মানে শুধু ঝগড়া বা উচ্চস্বরে তর্ক নয়। এটি একধরনের মানসিক সংঘাত, যেখানে দম্পতিরা একে অপরের আবেগ, চাহিদা ও প্রত্যাশা বুঝতে ব্যর্থ হন, অথবা বুঝেও তা পূরণ করতে অনিচ্ছুক থাকেন। এটি কখনও সরাসরি প্রকাশিত হয়, আবার কখনও '𝙨𝙞𝙡𝙚𝙣𝙩 𝙬𝙖𝙧' এর মতো ভিতরে ভিতরে পুড়ে যেতে থাকে।

🎇গবেষণালব্ধ তথ্য (𝙍𝙚𝙨𝙚𝙖𝙧𝙘𝙝 𝙃𝙞𝙜𝙝𝙡𝙞𝙜𝙝𝙩𝙨):

✡️১. 𝙃𝙖𝙧𝙫𝙖𝙧𝙙 𝙎𝙩𝙪𝙙𝙮 (2020): ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই গবেষণায় দেখা যায়, একটি ভালো দাম্পত্য সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্যের প্রধান রক্ষাকবচ। অথচ, বিষাক্ত দাম্পত্য সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে শারীরিকভাবেও অসুস্থ করে তোলে।

✡️২. 𝙄𝙣𝙙𝙞𝙖𝙣 𝙅𝙤𝙪𝙧𝙣𝙖𝙡 𝙤𝙛 𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙞𝙖𝙩𝙧𝙮 (2019): গবেষণায় প্রকাশ, দীর্ঘমেয়াদি দাম্পত্য কলহে থাকা নারীদের মধ্যে বিষণ্ণতা (𝘿𝙚𝙥𝙧𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣) এবং আত্মসম্মান হ্রাস (𝙡𝙤𝙬 𝙨𝙚𝙡𝙛-𝙚𝙨𝙩𝙚𝙚𝙢) প্রায় ৬৫% বেশি।

✡️৩. 𝙉𝘾𝙀𝙍𝙏 এবং 𝙉𝙄𝙈𝙃𝘼𝙉𝙎-এর যৌথ সমীক্ষা (2021): দাম্পত্য কলহের কারণে সন্তানদের মধ্যে ৪৫% ক্ষেত্রে আচরণগত সমস্যা (𝙘𝙤𝙣𝙙𝙪𝙘𝙩 𝙙𝙞𝙨𝙤𝙧𝙙𝙚𝙧), ৩৫% ক্ষেত্রে ঘুম বা খাওয়ার সমস্যা এবং ২৮% ক্ষেত্রে স্কুল ফোবিয়া দেখা যায়।

✡️৪. 𝘼𝙋𝘼 (𝘼𝙢𝙚𝙧𝙞𝙘𝙖𝙣 𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙤𝙡𝙤𝙜𝙞𝙘𝙖𝙡 𝘼𝙨𝙨𝙤𝙘𝙞𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣): দাম্পত্য দ্বন্দ্বে জড়িত পুরুষদের মধ্যে ৪০% এর বেশি ক্ষেত্রে “𝙚𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡𝙡𝙮 𝙪𝙣𝙖𝙫𝙖𝙞𝙡𝙖𝙗𝙡𝙚” থাকার প্রবণতা দেখা যায়, যা সম্পর্কের বন্ধন নষ্ট করে।

🎇দাম্পত্য কলহের প্রধান কারণসমূহ

✴️✴️স্বামীর দিক থেকে:

✴️১. আবেগ চেপে রাখা (𝙀𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣 𝙎𝙪𝙥𝙥𝙧𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣):
নিজের কষ্ট, হতাশা প্রকাশ করতে না পারা, যা স্ত্রীকে ভুল বুঝতে বাধ্য করে।

✴️২. বিষাক্ত পুরুষত্ববোধ (𝙏𝙤𝙭𝙞𝙘 𝙈𝙖𝙨𝙘𝙪𝙡𝙞𝙣𝙞𝙩𝙮):
স্বামী নিজেকে কর্তৃত্বশালী মনে করে, স্ত্রীর মতামতকে অবহেলা করে।

✴️️৩. অর্থনৈতিক চাপ বা ব্যর্থতা:
আয় কম বা চাকরিহীনতা থেকে জন্ম নেওয়া হীনমন্যতা কলহ সৃষ্টি করে।

✴️️৪. আত্মকেন্দ্রিকতা:
শুধু নিজের সুবিধা দেখার অভ্যাস, স্ত্রীর আবেগিক প্রয়োজনকে অগ্রাহ্য করা।

✴️️৫. ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেখানো:
সংসারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং স্ত্রীকে অমান্য করা।

✴️️৬. আর্থিক দায়িত্ব এড়ানো:
সংসারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব না নেওয়া বা খরচের স্বচ্ছতা না রাখা।

✴️️৭. স্ত্রীর ইচ্ছা অবহেলা করা:
স্ত্রীর অনুভব, ইচ্ছা বা চাওয়া গুরুত্ব না পাওয়ায় সে অভিমানী হয়ে পড়ে।

✴️️৮. অতিরিক্ত পরিবার নির্ভরতা:
স্বামীর সিদ্ধান্তে সবসময় মা বা পরিবারের প্রভাব থাকা।

✴️৯. নিরবতা বা রাগের অভ্যাস:
ঝগড়া না করেও কথা বন্ধ রাখা, যা মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।

✴️️১০. পরকীয়া বা গোপন সম্পর্ক:
বিশ্বাসভঙ্গ থেকে গভীর আঘাত ও সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়।

🔯🔯স্ত্রীর দিক থেকে:

✴️️১১. অতিরিক্ত প্রত্যাশা ও তুলনা:
স্বামীকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা এবং অবাস্তব চাহিদা রাখা।

✴️️১২. সন্দেহ বা দোষারোপের প্রবণতা:
বিষয়-বস্তু যাচাই না করে সন্দেহ করা ও নেতিবাচক মনোভাব।

✴️১৩. আত্মনির্ভরতার অভাব:
অল্প কিছুতেই অসহায় বোধ করে স্বামীর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা।

✴️️১৪. আবেগিক চাপ ও অভিমান:
নিজের কষ্ট, অভিযোগ প্রকাশ না করে মন খুলে কথা না বলা।

✴️️১৫. প্রশংসার অভাব থেকে অসন্তোষ:
নিজের কাজের বা ভূমিকার স্বীকৃতি না পেয়ে রাগ ও বিরক্তি জন্ম নেওয়া।

✴️১৬. দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমি অনুভব:
সম্পর্কে রোমান্স বা সংযোগের অভাবে বিষণ্ণতা তৈরি হওয়া।

✴️️১৭. অতিরিক্ত পারিবারিক চাপ (শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রিক):
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে মানসিক অস্থিরতা।

✴️️১৮. যোগাযোগের অভাব:
মনের কথা না বলা বা ভুলভাবে বোঝানো থেকে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়া।

✴️১৯. আত্মসম্মান সংক্রান্ত স্পর্শকাতরতা:
স্বামী হালকা করে কিছু বললেই অপমান অনুভব করা এবং প্রতিক্রিয়াশীল হওয়া।

✴️️২০. যৌন ও আবেগিক চাহিদা পূরণ না হওয়া:
সততার সঙ্গে যৌনতা ও ভালোবাসা নিয়ে কথা না বলায় মানসিক দূরত্ব বেড়ে যাওয়া।

🎇দাম্পত্য কলহের পরিণতি (𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙤𝙡𝙤𝙜𝙞𝙘𝙖𝙡 & 𝙎𝙤𝙘𝙞𝙖𝙡 𝙊𝙪𝙩𝙘𝙤𝙢𝙚𝙨):

✡️১. 𝙀𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡𝙡𝙮 𝘼𝙗𝙨𝙚𝙣𝙩 𝙍𝙚𝙡𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣𝙨𝙝𝙞𝙥: পাশাপাশি থেকেও একে অপরের জীবন থেকে দূরে থাকা।
✡️২. 𝘾𝙝𝙧𝙤𝙣𝙞𝙘 𝘼𝙣𝙭𝙞𝙚𝙩𝙮 & 𝘿𝙚𝙥𝙧𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣: দীর্ঘদিন ধরে চলা মানসিক টানাপোড়েন উদ্বেগজনিত রোগ সৃষ্টি করে।
✡️৩. 𝘼𝙩𝙩𝙖𝙘𝙝𝙢𝙚𝙣𝙩 𝘿𝙞𝙨𝙤𝙧𝙙𝙚𝙧 𝙞𝙣 𝘾𝙝𝙞𝙡𝙙𝙧𝙚𝙣: সন্তানদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা, কম আত্মবিশ্বাস ও সম্পর্কভীতি তৈরি হয়।
✡️৪. 𝘿𝙞𝙨𝙧𝙪𝙥𝙩𝙚𝙙 𝘾𝙤𝙢𝙢𝙪𝙣𝙞𝙘𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣 𝙋𝙖𝙩𝙩𝙚𝙧𝙣: একসময় কথাই হয় না, বা কথা হলেই ঝগড়া হয়।
✡️৫. শারীরিক অসুস্থতা: স্ট্রেস থেকে হরমোনাল সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা হয়।
✡️৬. বিচ্ছেদ নয়, কিন্তু “𝙀𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡 𝘿𝙞𝙫𝙤𝙧𝙘𝙚” ঘটে: যে দাম্পত্যে ভালোবাসা নেই, কেবল টিকে থাকার চেষ্টাই বাকি।
✡️৭. সামাজিক সম্মান ক্ষয় ও পারিবারিক জটিলতা: বিশেষ করে সন্তান ও সমাজের কাছে মানসিক ভার বহন।

🎇দাম্পত্য কলহ প্রতিরোধে ১৫টি প্রয়োজনীয় পরামর্শ (𝘿𝙚𝙚𝙥 𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙤𝙡𝙤𝙜𝙞𝙘𝙖𝙡 𝙍𝙚𝙢𝙚𝙙𝙞𝙚𝙨):

1⃣ নিজেদের ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বাড়ান।
শুধু 𝙄𝙌 না, বরং একে অপরের আবেগ, ভাষা, দুঃখ বুঝতে শিখুন।

2⃣ “𝙍𝙚𝙖𝙘𝙩” নয়, “𝙍𝙚𝙨𝙥𝙤𝙣𝙙” করুন।
ঝগড়ার সময় উত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ থেমে নিজের প্রতিক্রিয়া ভেবে নিন।

3⃣ স্মৃতি নয়, মুহূর্ত গড়ুন।
সপ্তাহে অন্তত একদিন একসঙ্গে সময় কাটান – বিনা অভিযোগে।

4⃣ কথার মধ্যে ‘সমালোচনার বিষ’ ঢুকাবেন না।
যেমন: “তুমি কিছুতেই ঠিক করো না” – এই ধরনের বাক্য সম্পর্ক নষ্ট করে।

5⃣ আত্মসম্মান ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখুন।
রাগ বা হতাশায় কাউকে অপমান করা সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ক্ষতি।

6⃣ ভুল মেনে নেওয়ার সাহস রাখুন।
ক্ষমা চাওয়া মানেই ছোট হওয়া নয়; বরং শক্ত সম্পর্কের ভিত।

7⃣ আপনার পার্টনারকে ‘শুনুন’, ‘বুঝুন’ ও ‘বলার সুযোগ দিন’।

8⃣ যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলাপ করুন।
মৌন চাহিদা বা অসন্তুষ্টি দাম্পত্যে অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি করে।

9⃣ সামাজিক মিডিয়ার সঙ্গে নিজস্ব জীবনের তুলনা করবেন না।

1⃣0⃣ নিজেকে প্রতিদিন আপডেট করুন।
আর্থিক, মানসিক, সামাজিকভাবে নিজের উন্নয়নে মন দিন।

1⃣1⃣ সন্তানদের সামনে কলহ করবেন না।
তারা বোবা দর্শক হলেও, মনের গভীরে ক্ষত তৈরি হয়।

1⃣2⃣“𝘾𝙤𝙪𝙥𝙡𝙚 𝙏𝙝𝙚𝙧𝙖𝙥𝙮” বা “𝙈𝙖𝙧𝙧𝙞𝙖𝙜𝙚 𝘾𝙤𝙪𝙣𝙨𝙚𝙡𝙡𝙞𝙣𝙜” নিতে দ্বিধা করবেন না।
থেরাপি মানেই পাগল না, বরং সচেতনতার পরিচয়।

1⃣3⃣বাবা-মা বা আত্মীয়দের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলুন।
নিজেদের দ্বন্দ্ব নিজেরাই মেটান।

1⃣4⃣ একসঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ুন।
দাম্পত্য শুধু বর্তমান নয়, বরং ভবিষ্যতের একসাথে হাঁটা।

1⃣5⃣ ভালোবাসার ছোট ছোট অভিব্যক্তি বজায় রাখুন।
‘ধন্যবাদ’, ‘আমি পাশে আছি’, ‘তুমি ছাড়া চলে না’ – এসব বলুন।

একটি সম্পর্ক ভেঙে পড়ার আগে ধ্বংসের সংকেত দেয়—শুধু আমরা সেটা দেখতে পাই না বা গুরুত্ব দিই না। দাম্পত্য কলহ তখনই ভয়ংকর হয়ে ওঠে, যখন দুইজনের কেউ “শুনতে” চায় না, বুঝতে চায় না।

আপনার জীবনসঙ্গীকে প্রতিপক্ষ নয়, “সহযোদ্ধা” ভাবুন। জীবনের প্রতিটি ধাপে হাতে হাত রেখে হাঁটার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একটি সুন্দর দাম্পত্যের চাবিকাঠি।

#সংগৃহীত

এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় গল্প, যা শিশুকে সঠিক মূল্যবোধ শেখানোর গুরুত্ব তুলে ধরে।ধরুন, দুপুরে ...
23/06/2025

এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় গল্প, যা শিশুকে সঠিক মূল্যবোধ শেখানোর গুরুত্ব তুলে ধরে।

ধরুন, দুপুরে খাওয়া শেষে একটাই মাছ ভাজা রয়ে গেছে।

রাতে খাওয়ার সময় মাছটা কাকে দেবেন? পরিবারে শুধু আপনারা দুজন আর ফুটফুটে এক সন্তান।

কমন যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই:

রাতে খাওয়ার সময় বাচ্চাকে পুরো মাছটা দিয়ে দেয়। আর বাবা মা দুজন ড্যাব ড্যাব চোখে শুধু তাকিয়ে থাকবে আর তার খাওয়া দেখে মনটা ভরে যাবে।

আহ কি শান্তি!

আসলে যা করা দরকার ছিলো:

রাতে ৩ জনই একসাথে খেতে বসব। তার সামনেইমাছটা সমান ৩ ভাগে ভাগ করব। আর ৩ জনেই ৩ টুকরা খেয়ে নিব।

বিশ্বাস করুন, এই ক্ষেত্রে বাচ্চার আস্ত মাছটা খাওয়ার কোনো ফায়দা নাই। বরং তার ব্রেইনে একটা ভুল মেসেজ আজীবনের জন্য সেট হয়ে যাবে।

অথচ, ৩ টুকরামাছ তাকে শেখাবে কীভাবে অল্প জিনিসও সবার সাথে ভাগ করে খেতে হয়। তার অপজিটে থাকা মানুষগুলো খেয়েছে কিনা সেই ব্যপারে খেয়াল রাখার মানসিকতা জাগ্রত হয়। আর এই মেসেজটি আজীবন তার ব্রেইনে ঢুকে থাকবে।

এটা একেবারে ছোটবেলা থেকেই করা উচিত। বাচ্চা তার বয়স অনুযায়ী যতটুকু বোঝার ঠিকই বুঝবে। বাচ্চারা তাদের মতো করে সবই বুঝে।

ট্রিক্সটা কাজে লাগালেই দেখবেন, তাকে কিছু খেতে দিলে আগে আপনার হাতে দেখবে তার মায়ের ভাগটা আছে কিনা! আবার, বাবার ভাগটাও রেখে দিবে।

বর্তমান সময়ে অনেক বাচ্চাদের দেখা যায় সবকিছুই নিজের করে পেতে চায়, তার-ই ভাই বা বোন সে পেলো কিনা সেদিকে খেয়ালই রাখে না। দাদু, কাকা, বাবা, যে যা-ই আনুক না কেন, সবই তার চাই!

এই গল্পটি আমাদের শিখিয়ে দেয় কীভাবে ছোট্ট ছোট্ট কাজের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ এবং ভাগাভাগির শিক্ষা গড়ে তোলা যায়। এটি তাদের পরবর্তীতে জীবনে সঠিক মানসিকতা এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করবে।

📌 বউকে ভালোবাসা ও মমতায় কন্ট্রোলে রাখার ৫টি পবিত্র টিপস।বউকে ‘বশে রাখা’ শুনলেই অনেকে ভাবেন যেন ওস্তাদের মত তাবিজ বানিয়ে ...
23/06/2025

📌 বউকে ভালোবাসা ও মমতায় কন্ট্রোলে রাখার ৫টি পবিত্র টিপস।

বউকে ‘বশে রাখা’ শুনলেই অনেকে ভাবেন যেন ওস্তাদের মত তাবিজ বানিয়ে দিতে হবে! আরে ভাই, তাবিজ-তন্ত্র নয়, কিছু ছোট ছোট মানবিক কৌশলেই বউকে আপনি এমন ‘বশে’ আনতে পারবেন, যে বউ নিজেই বলবে, "এই লোকটা আসলেই স্বর্গের দান!" চলুন দেখি সেই ৫টি 'গোপন রহস্য', যা বলে না কেউ, কিন্তু বোঝে সবাই!

🔴 1 ) শ্রদ্ধা দিন, পায়ের উপর পা তুলে চা পাবেন।
বউকে "এই শুনছো" বলে ডাকলে সে যদি কানের পাশে এসে ফিসফিস করে “কী রে Bhombhola!” বলে, তাহলে বুঝে নিন, আপনি শ্রদ্ধার পথে নেই। তাই আগে তার মতামত, পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। তখন সে আপনাকে “বস” নয়, “বেস্ট” ভাববে।

উদাহরণস্বরূপ।
আপনি বললেন, “তোমার রাঁন্না দারুণ হয়েছে।”
সে হেসে বলল, “এই তো, আজ বুঝি খাবারের স্বাদ পেলে!”
তৎক্ষণাৎ আপনি দুইটা গোল্ডেন পয়েন্ট পেলেন।

🔴 ২ )খোলামেলা কথা বলুন, না হলে রিমোট খুঁজতে খুঁজতেই জীবন যাবে। স্ত্রী যদি জিজ্ঞেস করে, “তুমি কি আমাকে আগের মত ভালোবাসো?” আপনি যদি উত্তর দেন, “হুম, জানি না... খেলা চলছে তো” তাহলে খেলা শেষে আপনার জন্য শুরু হবে 'জীবন-মরনের খেলা’। তাই তার সাথে নিজের কথা বলুন, তার কথাও মন দিয়ে শুনুন নইলে সে একদিন গুগলকে আপন করে ফেলবে।

🔴 ৩) সময় দিন, ফেসবুক নয়।
ভাই, ফোনে স্ক্রল না করে একদিন যদি শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেন, “তুমি প্রতিদিন আরও সুন্দর হচ্ছো” তাহলে সে আপনাকে দেখে বলবে, “তোমারও IQ একটু একটু করে বাড়ছে!” এই যে আপনি তার প্রশংসাটা করলেন এরপর দেখবেন সে আপনাকে স্বর্গের সুখ এনে দিবে।

৪।ছোট ছোট সারপ্রাইজ দিন, না হলে বড় বড় ঝড় আসবে। বউয়ের মুখ গোমড়া?
সরাসরি বলবেন না, “এখন আবার কি হলো?”
বরং তার পছন্দের এক কাপ চা, একটা চিরকুটে লিখুন “আজ তোমার চোখ দুটো আলাদা রকম লাগছে, ঝড়ের আগের মেঘের মতো!” চিঠি লিখতে না পারলে অন্ততপক্ষে পিছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরুন।

৫। কাজে সহযোগিতা করুন, রাঁন্নাঘরে একবার ঢুকে দেখুন প্রেমের গন্ধ কেমন। মাঝে মধ্যে প্লেট ধুয়ে দেখুন, কাপড় ভাঁজ করে রাখুন। তারপর বউ আপনাকে ‘বুয়া’ না, ‘বন্ধু’ ভেবে নিজের সিক্রেটও বলে ফেলবে! সত্যি সত্যি সিক্রেট বলে দেওয়ার পর কোন রিয়েক্ট কইরেন না আবার নইলে কিন্তু ভবিষ্যতে আর কিছুই জানতে পারবেন না তার কাছে।

23/06/2025

পুরুষরা যেই জায়গাটাতে সবচেয়ে বেশি যত্নে থাকে, সেই জায়গাটাকেই আগে ধ্বংস করে। আর সেটা হচ্ছে তার নিজের স্ত্রীর মন।
একটা তীব্র, তীক্ষ্ণ সত্য। যে সত্যটা অজস্র সংসারের গোপন কান্না। সমাজ যেটা দেখে না, শুনে না, কিন্তু প্রতিদিন একটা একটা করে ভেঙে যায় অগণিত নারীর ভেতরটা।

সংসার চালানো আর মন বোঝা এক জিনিস না।

সংসার চালানো মানে শুধু বাজার করা, বিল দেয়া নয়।
একটা মেয়ের ভেতরের ক্লান্তি, অব্যক্ত কথা, মনের খাঁজে জমে থাকা হতাশাগুলো বুঝে ফেলা — সেটাই প্রকৃত যত্ন।

যুগ বদলেছে, মানুষ বদলেছে, চাওয়া-পাওয়াগুলোও বদলেছে।

একটা স্ত্রীকে শুধুই দায়িত্ব পালনের মেশিন মনে করলে, তার মন একদিন ধ্বংস হবেই।
শুধু বেঁচে থাকলেই তো বেঁচে থাকা হয় না।

স্ত্রীর মনটা হচ্ছে শিশুর মতো
একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে জীবন দেয়, তখন সে শুধু সংসার করতে চায় না — সে চায় পাশে থেকে বোঝা হোক, তার দুর্বলতাগুলো আলিঙ্গন করা হোক, আর তার কষ্টগুলো ভাগ করে নেওয়া হোক।

কিন্তু কষ্টের কথা বললেই যদি তাকে বলা হয় “তুমি ড্রামা করো”, “তুমি অতিসেন্সিটিভ”, “তুমি বোঝো না”— তখন ধীরে ধীরে সে নিঃশব্দ হয়ে যায়।

কি করা উচিত?
• শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন: স্ত্রী কাঁদছে মানে সে শুধু কাঁদছে না, তার একটা মন আছে যা হয়তো বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
• তুলনা বন্ধ করুন: নিজের মা, বোন, বা অন্য কারো সাথে স্ত্রীকে তুলনা করা মানে তাকে অপমান করা।
• সময় দিন: ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে নয়, তার চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করুন।
• স্বীকৃতি দিন: ছোট ছোট কৃতজ্ঞতাগুলো বলুন — “তুমি যা করো, তা আমি দেখি”, “তোমার জন্যই আমার দিনটা সহজ হয়”।

সবচেয়ে মজবুত সম্পর্কগুলো ধ্বংস হয় ‘নিরব অবহেলা’ দিয়ে।
পুরুষেরা সত্যিই যত্ন করে, কিন্তু সেই যত্ন যদি বোঝার অভাবে আঘাত হয়ে যায়, তবে স্ত্রী নামের নারীর মনটা সবচেয়ে বড় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

জানি না সবাই বুঝবে কিনা, কিন্তু একজন স্বামী যদি একটিবার স্ত্রীর চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে — সে বুঝবে, কতটা মনোযোগ আর মমতা চেয়েছিল সেই মনটা, যেটাকে সে নিজের ভাবত।

আপনাদের জীবনের এমন কোন ঘটনা কি আছে? আপনি কি সেই স্ত্রীর জায়গায় ছিলেন? নাকি স্বামী হিসেবে এখন কিছুটা অনুশোচনায় ভুগছেন?

কমেন্টে জানাতে পারেন। কথা বললে বোঝা ভাগ হয়।
মনটাই তো শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রিয় থাকার জায়গা হওয়া উচিত।

এটা এমন একটি সম্পর্ক যেখানে স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কিন্তু সামাজিকভাবে বা আইনত তারা বিবাহিত থাকেন...
21/06/2025

এটা এমন একটি সম্পর্ক যেখানে স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কিন্তু সামাজিকভাবে বা আইনত তারা বিবাহিত থাকেন। এটি এমন এক পরিস্থিতি যখন দুটি মানুষ একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও তাদের মধ্যে কোনো মানসিক সংযোগ, আবেগিক আদান-প্রদান বা পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকে না। এটি প্রচলিত বিবাহবিচ্ছেদের মতো কোনো আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি সম্পর্কের একটি অদৃশ্য ভাঙন।

সাইলেন্ট ডিভোর্সের লক্ষণসমূহ:
সাইলেন্ট ডিভোর্সের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অর্থপূর্ণ কথোপকথন একেবারেই কমে যায়। তারা দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ে কথা বললেও আবেগিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো আলোচনা থাকে না।

একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি বা আগ্রহের অভাব দেখা যায়। কোনো পক্ষই অন্যজনের অনুভূতি বা প্রয়োজন নিয়ে মাথা ঘামায় না।

দম্পতিরা ইচ্ছাকৃতভাবে একে অপরের সাথে সময় কাটানো এড়িয়ে চলেন। তারা নিজেদের আলাদা রুটিন তৈরি করে নেন এবং যার যার নিজস্ব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন

শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি মানসিক দূরত্বের একটি বড় প্রতিফলন।

ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং কেউ ক্ষমা চাইতে বা বিষয়টি মিটমাট করতে আগ্রহী হয় না।

দম্পতিরা একসাথে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন না। প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও স্বপ্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

একে অপরের সফলতা বা ব্যর্থতায় কোনো রকম আগ্রহ বা অনুভূতি প্রকাশ পায় না।

অনেকগুলো কারণে সাইলেন্ট ডিভোর্স হতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধান না হয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকলে তা বড় ধরনের মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।

একবার বিশ্বাস ভঙ্গ হলে তা আবার ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়ে, যা নীরব বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেয়।

একজন বা উভয় সঙ্গী যদি মনে করেন তাদের আবেগিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না, তবে তারা মানসিকভাবে দূরে সরে যেতে পারেন।

সন্তান লালন-পালন বা আর্থিক বিষয় নিয়ে তীব্র মতবিরোধ থাকলে তা সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।


অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা বা সম্পর্কের জন্য সময় না দেওয়াও নীরব বিচ্ছেদের একটি কারণ হতে পারে।

অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারা বা একে অপরের কথা শুনতে না চাওয়া সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সাইলেন্ট ডিভোর্সের প্রভাব শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি পুরো পরিবার, বিশেষ করে সন্তানদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে একাকীত্ব এবং হতাশা অনুভব করেন।

বাবা-মায়ের এই নীরব বিচ্ছেদ দেখে সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং তাদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়। তারা ভুল ধারণা নিয়ে বড় হতে পারে যে, সম্পর্কে ভালোবাসা বা আবেগ প্রকাশ করা অপ্রয়োজনীয়।

অনেক সময় দম্পতিরা সামাজিকভাবে নিজেদের গুটিয়ে নেন এবং বাইরে স্বাভাবিক থাকার ভান করেন।

দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এমন নীরব বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

স্বামী-স্ত্রীকে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলতে হবে। নিজেদের অনুভূতি, চাহিদা এবং সমস্যাগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।


বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। একজন তৃতীয় পক্ষ নিরপেক্ষভাবে সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করতে পারেন।

পুরোনো স্মৃতিগুলো ফিরে দেখা এবং একসাথে নতুন কিছু করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা অত্যন্ত জরুরি।

মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
সাইলেন্ট ডিভোর্স একটি জটিল সমস্যা যা অনেক সময় অজান্তেই সম্পর্কের গভীরে শিকড় গেড়ে বসে। সঠিক সময়ে এর লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পর্ককে বাঁচানো সম্ভব। তবে যদি

কোনোভাবেই সম্পর্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তবে বিচ্ছেদকে একটি সুস্থ সমাধান হিসেবে মেনে নেওয়াও প্রয়োজন হতে পারে।

বাঙালি পিতা-পুত্রের দূরত্ব কমানোর সাত উপায়👇বাঙালি পরিবারে পিতা হলেন নীরব অভিভাবক। সন্তানের জন্য তার ভালোবাসা অনেক সময় মু...
21/06/2025

বাঙালি পিতা-পুত্রের দূরত্ব কমানোর সাত উপায়👇

বাঙালি পরিবারে পিতা হলেন নীরব অভিভাবক। সন্তানের জন্য তার ভালোবাসা অনেক সময় মুখে প্রকাশ পায় না। ফলে পিতা-পুত্রের মাঝে একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়। এই দূরত্ব কমিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক বোঝাপড়া, সময় দেওয়া ও কিছু সচেতন প্রয়াস।

১. কথা বলার পরিবেশ তৈরি করা
দুই প্রজন্মের মাঝে যোগাযোগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হলো খোলামেলা কথা বলা। প্রতিদিন কিছু সময় নির্দিষ্ট করে পুত্রের সঙ্গে গল্প করার অভ্যাস গড়ে তুললে পিতা-পুত্রের মাঝে বন্ধন তৈরি হয়।

২. আবেগ প্রকাশ করতে শেখা
অনেক পিতা মনে করেন ভালোবাসা প্রকাশ না করলেও সন্তানেরা তা বুঝে নেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে একটি আন্তরিক কথা সম্পর্ককে দৃঢ় করে তোলে। পুত্রকে ভালোবাসা প্রকাশ করা বা গর্বিত হওয়ার কথা জানানো সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়।

৩. একসঙ্গে সময় কাটানো
ছুটির দিনে একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, খেলা দেখা বা ঘরের কোনো কাজে সহযোগিতা করা পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করে। একসঙ্গে কাটানো সময় পিতা-পুত্রের মাঝে দূরত্ব কমাতে সাহায্য করে।

৪. মনোযোগ দিয়ে শোনা ও বোঝার চেষ্টা করা
শুধু উপদেশ দিলেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। সন্তানের কথা শোনা এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করলে সে নিজের মতো করে ভাবতে ও প্রকাশ করতে সাহস পায়।

৫. একে অপরের পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করা
পুত্রের স্বপ্ন, আগ্রহ ও চিন্তাধারাকে সম্মান জানানো গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে পিতার অভিজ্ঞতা ও মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। পারস্পরিক সম্মান সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।

৬. পারিবারিক স্মৃতি ভাগাভাগি করা
পিতা তার জীবনের গল্প, সংগ্রাম ও শেখার অভিজ্ঞতা পুত্রের সঙ্গে ভাগ করলে একটি আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এতে সন্তানও তার জীবন সম্পর্কে উন্মুক্ত হয়।

৭. ভুল হলে তা স্বীকার করা
ভুল করলে তা মেনে নেওয়া সম্পর্কের দৃঢ়তার পরিচায়ক। এতে সন্তানের মধ্যে পিতার প্রতি সম্মান আরও বাড়ে এবং পুত্রও শেখে দায়িত্বশীল আচরণ করতে।

Address

Muradpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when টুনটুনি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share