06/05/2025
অথচ একদিন খালেদা জিয়ার বাসার সামনের ট্রাক সরাতে কেউ যায়নি।
তখন অনেক ছোট ছিলাম, বাট এটুকু মনে আছে, খালেদা জিয়া গাড়িতেও চড়ে বসেছিলেন। ঐদিন ১০০০ কর্মী, বা ১০ টা নেতাও উনার বাসায় ছিলেন না।
আর আজ এয়ারপোর্ট থেকে উনার গাড়ি নড়তে পারছে না। এতো ভীড়।
আজ এয়ারপোর্টে কোন নেতাই দেখা করতে না যাওয়া করেন নাই।
অথচ এই নেতারাই খালেদা জিয়াকে জেলে দিয়ে চলে এসেছিলেন। স্বেচ্ছা কারবরণ করে একজনও বলেন নাই যে আমার নেত্রী জেলে। আমিও জেলে যাবো। বাসায় যাবো না।
দিনশেষে সবটাই আসলে আপনার দুঃসময় আর সুসময়ের উপর।
সুসময়ে আপনার গাড়ি মানুষের ভীড়ে নড়তে পারবে না।
আর দুঃসময়ে আপনি অনেক দূর তাকিয়েও একটা মানুষ খুঁজে পাবেন না।
শুধু খালেদা জিয়া না, পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই কথাটা সত্য। নেপোলিয়ানের মতো মানুষও ক্ষমতা হারানোর পর বৌ এর সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
উনার বৌ উনার সাথে দেখা করে নাই।
ক্ষমতাহীন আপনার আমার লাইফটাও কি এমন না? ভালো রেজাল্ট করলে মা বাবার মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত যে আপনি কার ছেলে। খারাপ করলে আবার মা বাবা অস্বীকার করে বসতো, যে না ও আমার ছেলে না, তোমার ছেলে।
সুসময় আপন মানুষ তৈরি করে।
আর দুঃসময় আপনাকে সবার কাছেই পর করে দেয়।।
এভাবেই আমাদের বেঁচে থাকতে হয়, বেঁচে থাকতে হবে।
এটাই সম্ভবত মানবজাতির নিয়তি 🙂