10/08/2025
বিএনপির ডাকা কোনো মিটিংয়ে গণঅধিকার পরিষদের অংশগ্রহণ কতটা যৌক্তিক?— অনেকেই এমন প্রশ্ন তোলে। কিন্তু আমি বলি, যদি গণঅধিকার পরিষদ এসব মিটিং সম্পূর্ণভাবে বর্জন করে, তাহলে তাদের সামনে বিকল্প পথ কী থাকবে?
আপনি বলতে পারেন, বিকল্প পথ না থাকলেও একা চলবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যদি দেখা যায়—সবাই কোনো না কোনোভাবে বিএনপির কাতারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন গণঅধিকার পরিষদ একা বসে আঙুল চোষা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। আমার মতে, রাজনীতিতে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় থাকা জরুরি। কাউকে একেবারে বর্জন করে চলা রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার নামান্তর। সময় ও প্রেক্ষাপট বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সুসম্পর্ক রক্ষা করাও কৌশলের অংশ।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যদি NCP এবং গণঅধিকার পরিষদ একসঙ্গে একটি নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তুলত এবং তাদের নেতৃত্ব নির্বাচনী জোট হতো তাহলে তারুণ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এনসিপির পক্ষ থেকে তেমন কোনো আন্তরিকতা এখনো দেখা যায়নি।
বরং তারা নানা সময় নুর ভাইয়ের নেতৃত্বকে অস্বীকার করেছে, তাঁর অবদানকে খাটো করে দেখিয়েছে। তারপরও, যদি ভবিষ্যতে তারা উদারতা দেখিয়ে এগিয়ে আসে—আমি সেটিকে ইতিবাচকভাবে নেবো এবং স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত আছি। কিন্তু সময় গেলে সাধন হবে না
সানাউল্লাহ হক
আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ