02/06/2024
#গল্প_Biplob
তাহলে আম্মা কিভাবে বলছে,
আমার মামাতো বোন এখানে বসে আছে।
আমি নতুন মেয়েটির সামনে দাড়িয়ে আছি।
সিটে বসে থাকা মেয়েটি মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে সরল হাসি হাসছে.....
আম্মার ওপর রাগ হলো আমার।
আমি একটু ভয় পাচ্ছি এবার। কেমন যেন শরীর কাঁপছে। মামাতো বোন আফ্রোদিতির আচারণ বাসায় আসার পর থেকেই অদ্ভুত লেগেছিলো। আমি ঠান্ডা মাথায় সব কিছু বুঝার জন্যে ভাবছিলাম। আসলেই কি আমার ভ্রম হচ্ছে,নাকি সত্যি আফ্রোদিতি বদল হয়েছে।
আফ্রোদিতি আমাকে দেখে হাসছিলো।
হঠাৎ করে বাসের কন্ট্রাক্টর আমার দিকে এসে বললেন,আপনার গন্তব্যে বাস এসে গিয়েছে।
বুঝলাম না,ভাই আমি তো এখানে নামবো না,
আমার স্টপেজে যেতে আরো ঘন্টা খানেক লাগবে। কন্ট্রাক্টর আমার টিকিটের অর্ধেক তার কাছে ছিলো,অংশটুকু আমাকে দেখিয়ে বললো,
এইযে দেখুন আপনি এই স্টপেজের টিকিট কেটে ছিলেন।
হ্যা,সত্যিই তো আমি এই স্টপেজের টিকিট কেটেছি।কিন্তু এখানের টিকিট আমি কেন কাটবো,
সেটির ব্যাখা-ই তো নিজের কাছে দিতে পারছি না।
যেন কোনো মায়া আমার ওপর ভর করেছে।
আম্মা ও নতুন মেয়েটিকে নিয়ে আমি বাস থেকে নামলাম। আম্মা নতুন মেয়েটির ব্যাপারে আমাকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। আমার মামাতো বোন কোথায় গিয়েছে,এটি যেন আরো রহস্যময়।
এমন এক জায়গায় বাস থেমেছে,
পরবর্তী ১ ঘন্টায় আর কোনো বাস, রিক্সা কিছুই দেখিনি। কোনো মানুষও দেখছি না।
রাস্তার দুপাশেই ধান ক্ষেত,পিচ ঢালাই রাস্তা,
বাস স্টপেজের ছোট একটা সাইন বোর্ড আমার দিকে নির্দেশনা দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে।
কি জানি আমার এমনই মনে হচ্ছে।
বহুক্ষণ পর হঠাৎ একটা ছোট রিক্সার মত যানবাহন এদিকেই আসছিলো,রাস্তার সামনে বিশাল
দৈত্যাকার বাধের মতো নিজের উপস্থিতি দর্শন করিয়ে লোকটিকে বললাম,আমাদের সাথে নিয়েই সামনে যেতে হবে। টাকা নিয়ে সমস্যা নেই।
অনেক জোরাজুরির পর বৃদ্ধ লোকটি যেতে রাজি হলো,আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম।
লোকটি শর্ত বসিয়ে দিয়ে বললো যে সে মাত্র দুজনকে নিয়ে এগোতে পারবে।
তিন জনকে নেয়া সম্ভব না।
তার গাড়িতে এত জায়গাও নেই।
স্বস্তির মধ্যে অসাড় বিরক্তি,যেন চাঁদ রাতে বিশ্রী ঝড়। কি আর করার! আম্মা ও মেয়েটিকে রিক্সায় তুলে দিলাম। প্রথমে আমিই যেতে চেয়েছিলাম,
পরে আম্মার জোর করায় মেয়েটিই যাচ্ছে।
তারপর তারা যেতে লাগলো,
আমি পেছনে পেছনে হেটে এগোচ্ছি।
জানি এই পথ হেটে শেষ করা যাবে না।
তবে থেমে থাকার চেয়ে হেটে আগানো সুন্দর। সম্ভাব্য সামনে অন্য রাস্তার বাস এখানে পাওয়া যাবে। তবে কত দূর এটা জানি না।
মনে হয় দু ঘন্টার মতো হাটতে হবে।
আমার মামাতো বোনের কথা মাথায় এলো,
বাসে পরিচয় হওয়া মেয়েটির এমন অদ্ভুত আচারণ কেন হতে পারে।আমি বুঝতে পারছিলাম না।
মনে হচ্ছিলো,আমার আম্মা যেন সব কিছুই জানে।
আম্মা ইচ্ছে করে দুটো মেয়েকে সাথে নিয়ে আমার সাথে কোনো ফান করছে।
কিন্তু আম্মার এই মজা করা কোনো ভাবেই সম্ভব না।
******
আমার প্রাক্তনের ভাই সড়ক দূর্ঘটনায় মা'রা যায়,তার দাফন সম্পন্ন করেছি বিশ খানেক দিন আগে। আমার প্রাক্তন রিয়া পরিবারের ছোট মেয়ে।রিয়ার বড় ভাই রাহাদ আমার বয়সী।
পাশের আরেকটি সিটিতে চাকরী করতো।
রিয়ার সাথে সম্পর্ক না থাকলেও রাহাদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। হঠাৎ একদিন জানতে পারলাম রাহাদ আর বেচে নেই। তবে শেষ যোগাযোগ হয়েছিলো রাহাদের মৃ'ত্যুর দুদিন আগে।
অসম্ভব চিন্তিত মুখ শুকনো কাঠের মতো ছিলো।
রাহাতকে প্রায় রাতে কল দিলে সে বলতো ব্যস্ত আছি। কিন্তু রাতে ঠিক কি কাজ করতো আমি জানতাম না।
মৃ'ত্যুর খবর পেয়ে আমি দৌড়ে রাহাদের বাসায় যাই। রিয়া কাঁদছে।
রাহাদ বিছানার এক কোণায় -
ফ্লোরে বসে খাটে হেলান দিয়ে বসে -
হাটু ভাজ করা অবস্থায় তারওপর দু হাতের তালু দিয়ে বালিশ বানিয়ে -
মাথা ঠেকিয়ে ঘাড় ডান দিকে হেলিয়ে দিয়ে
ঘুমানোর মতো ম'রে পড়ে ছিলো।
যেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক দু:খের ভার নিয়ে অসহায়ের মতো চিন্তিত অবস্থায় রাহাদ বসে আছে।
রাহাদের রুমে অসম্ভব সুন্দর ঘ্রাণ আসছিলো। একবার নাকে আসলে বছরেও ভুলবে না কেউ।
তবে রুমে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলো।
রাহাদের লা'শের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত লাশ রুমেই রাখা হবে।তাই দ্রুত রাহাদের রুমের এসি ছেড়েছি। রাহাদ সব সময় বলতো,ওর এসিতে সমস্যা,শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
কিন্তু রাহাত এত বড় এসি কিনেছে,
আমার কাছে কেমন যেন লাগতো।
এম্বুলেন্স কল করতে ফোন বের করলে রাহাদের একটি আনসিন মেসেজ চোখে পড়লো।
গতকাল রাতে পাঠিয়েছে।
মেসেজটি অসম্পূর্ণ মনে হলো " আফ্রোদিতি ঠাণ্ডা স্পেস পছন্দ... "
অদ্ভুত কিছুই বুঝিনি,রাহাদ কি বলতে চেয়েছিলো,পুরোটুকুই ঘোলা ছিলো।
মেসেজের কথা না ভেবে আমি রাহাদের লা'শ নিয়ে ব্যস্ত। এসি ছেড়ে দিতেই ঘ্রাণের মাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছে।কেন যেন মনে হলো রুম প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
আমি এই বিষয় নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করে,রাহাদকে এম্বুলেন্সে তোলার সব ব্যবস্থা শেষ করে ফেললাম। রিয়া,আমি আর রাহাদ তিন জন সহ ড্রাইভার নির্বিঘ্নে দিনের আলোয় দুপুরের মধ্যে তাদের বাড়িতে পৌছালাম।
রাহাদের বাবা ও তার দাদা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় রাহাদের দাফনের সময়ে তেমন বেশি মানুষের ভিড় হয়নি।
রাহাদের লা'শ উঠোনে রাখা,
হঠাৎ আমার নাকে সেউ রুমের অদ্ভুত ঘ্রাণ নাকে ভাসতে লাগলো।
কেউ যেন আসছে,দূর থেকে হেটে বা বাতাসের সাথে মিশে আসছে।
খেয়াল করলাম,সবাই যেন চমকে গিয়ে ষষ্ঠ ইন্দ্র সজাগ করে দূর পথের দিকে তাকিয়ে আছে।
সবার চোখ- সামনের খোলা রাস্তার দিকে।
ঘ্রাণ ওই দিক থেকেই আসছে।
অনেক লম্বা সময় ধরেই সবাই তাকিয়ে ছিলো,
কে এমন -সুবাস গায়ে মেখে আসছে।
হঠাৎ বিকেলের রোদ ঠপাস করে পড়ে গেলো,
যেন চোখের পলকে দিনের সূর্য -
পা পিছলে পড়ে গিয়ে সন্ধ্যার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।
গোধুলির এই সন্ধ্যায় যেন আজকে সেজে উঠেছে, পাখি গুলো ডাকা শুরু করেছে।
গাছে গাছে বাতাসের কি অদ্ভুত ঢং।
কেউ বলবেই না এটা মৃত বাড়ি।
এবার সবার চোখ ছানাবড়া,
একজন আসছে,মেঘের সাদার রঙের মতো এক লম্বা সিল্ক সুতোর পোশাক শরীরে,
কোমড় পর্যন্ত চুল লেলিয়ে দিতে,
মোটা ভ্রু-তে আক্ষরিক চোখে আমাদের দিকে লক্ষ করে কেউ একজন আসছে।
তার পায়ে ঝুমুরের শব্দ পাখিদের কন্ঠের শব্দ থেকেও সুন্দর।
মানুষের এমন অপরুপ স্বাজ,
অন্য সবার মগজের কার্যকলাপ ভুল পথে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি আসার পর সে রাহাদের পাশে বসলো।
রাহাদকে আলতো ভাবে ছুয়ে দেখলো।
রিয়াকে আশে পাশে দেখলাম না।
পরিবারের অন্য সদস্যরা এই অপ্সরাকে কেউই চিনে না।
আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম,
পরিচয় জানতে চাইলেই বললো, "আমি আফ্রোদিতি। "
তারপর আর কোনো জবাব না দিয়ে মেয়েটি সেখান থেকে চলে গেলো।
তারপরেই যেন মনে হলো,এটা মৃ'ত বাড়ি,শোকের পরিস্থিতি।
কয়েক মিনিট কি অদ্ভুত ভাবে বদলে গিয়েছিলো।
রাহাদের দাফন শেষে,আমি শহরে ফিরে আসি। সরাসরি রাহাদের রুমে।
এখনো শীতল অবস্থা রুম।
চোখ পড়ল একটি চাকচিক্য পারফিউমের ওপর। পারফিউমের কৌটার গায়ে স্বর্ণের গুড়ি কণা দিয়ে লেখা 'আফ্রোদিতি'।
পারফিউমটি আমি হাতে নিলাম,
মৃদু স্প্রে গলায় করতেই আমার শরীরে শক্তি বেড়ে যাচ্ছিলো,আমি যেন অদ্ভুত ভাবে আনন্দ অনুভুত করছি। রাত এগারটা বাজতেই দেয়াল ঘড়ির ঢং ঢং শব্দ।
রাহাদের রুমের আলোর পরিবর্তন।
বাইরে দরজায় ঠক-ঠক করছে কেউ।
দরজা খুলতেই একজন যুবক বয়সী ছেলে,
চুল গুলো সামনের দিকে,স্যুট পরিহিত ব্যক্তি।
তিনি আমাকে আরো একটি পারফিউম দিলেন,বললেন রেখে দিতে।
আমি আরো কিছু খুঁজছিলাম।
কানের দুল,ঝুমকা,পায়ের ঝুমুর।
সব কিছুই একটি বাক্সে রাখা।
প্রত্যেক অর্নামেন্টসে 'আফ্রোদিতি' লেখাটি খোদাই করা। সেখান থেকে বাক্সটি সহ পারফিউম এবং দেয়ালের ঢং ঢং করা ঘড়ি আমি খুলে নিয়ে আসি।
সব কিছুই আমার বাসায় একটি রুমে সাজিয়ে রাখি। এসেই পারফিউম স্প্রে করেছি।
এমন এক অদ্ভুত মায়াবি ঘ্রাণ নাকে সারাজীবনের জন্যে লেগে থাকলে এমন আহামরি কি ক্ষতি হয়।
হঠাৎ রাহাদের অসম্পূর্ণ বার্তাটির কথা মনে পড়ে,'আফ্রোদিতি ঠাণ্ডা স্পেস পছন্দ"।
তাই দেরি না করে গরমের কথা চিন্তা করেই দুই টন এসি বাসার জন্যে কিনে এনেছিলাম।
কি ভেবে কিনেছি, জানি না।
আফ্রোদিতির সাজ সজ্জার জিনিস পত্র গুলোর দিকে চোখ গেলেই আমার আফ্রোদিতিকে দেখার লোভ আরো বেড়ে যায়।
সোনালি রঙের ওপর গাঢ় সবুজ রঙের এক দামী পাথরের খচিত চমকপ্রদ নেকলেস ফর্সা রঙের দেহ হোক বা শ্যামা রঙের দেহ,সব শরীরেই যেন মানিয়ে যাবে এই নেকলেস। টিপের একটি বক্স।
যতদূর বুঝতে পারছি,সব গুলো টিপ ডায়মন্ডের পাতলা প্রলেপে বানানো।
চোখ সজ্জিত করার উপাদান গুলোর কৌটো স্বর্নের। রাহাদের কাছে এত মূল্যবান জিনিস ছিলো,আমরা কেউই তো জানতাম না।
এমনকি এখনো আমি ছাড়া কেউই জানে না।
রাহাদের সাথে আফ্রোদিতির সম্পর্ক কি,
তাও কেউ জানে না।
তারপরেই আমি ঢাকার বাইরে তিন দিনের জন্যে সিলেটে আসি।
পাহাড়ের উচুতে চা বাগানের ওপর
চাদের আলোয় সবুজ রঙ আর চাদের রঙের ভালো মিশ্রণ ঘটে, এমন ফুরুফুরা মেজাজের সময়টাতে-
যদি হঠাৎ এক সুন্দরী আমার পাশে
কোথায় থেকে যেন ঊড়ে এসে জুড়ে বসে,
আমার একদমই আপত্তি থাকবে না।
আর সেটিই হলো,চা বাগান ঘিরে একটি রিসোর্ট ছিলো,হতে পারে মেয়েটি রিসোর্টে উঠেছে।
আমার মতোই এখানে সুন্দর পরিবেশ দেখে বসতে এসেছে।
হঠাৎ মেয়েটি আমার দিকে তাকালো আমিও তাকালাম,দুজন দুজনের চোখে চোখে তাকিয়ে আছি। মেয়েটি হাসতে হাসতে বললো, "আফ্রোদিতিকে ভাবছেন বসে-বসে?"
শুনেই সারা শরীর কেঁপে উঠেছে আমার,
আমি ধুম করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম।
হাত-পা আকস্মিক ঘটনায় ঝাকুনি খেয়ে ঝিম ধরে আছে। নাম টা শুনেই ভয় পেয়ে গেলাম।
ভয়ে- ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম,"আপনি কিভাবে চেনেন আফ্রোদিতিকে?"
মেয়েটি অদ্ভুত ভাবে উত্তর দিলো," আফ্রোদিতিকে চেনে না এমন কে আছে আপনি ছাড়া?"
পুরো আকাশ,শহর,গাছের কাঠ বিড়ালি থেকে সুন্দরবনের হরিনরাও চিনে তাকে।
বলেই মেয়েটি চলে যাচ্ছিলো,আমার পিছু ডাক মেয়েটি আর কানে নেয়নি।
তারপর আর তার সাথে কথা হয়নি।
এরপর ঢাকায় ফিরে এসে দেখি আমার রুম প্রচণ্ড রকমের শীতলাবস্থায় আছে। সেই ঘ্রাণ।
আম্মা এবং আমার মামাতো বোন আমার বাসায়।আম্মা বললো মামাতো বোনের নাম আফ্রোদিতি,ঠিক ছোট বেলায় দেখা হওয়ায় নাম বা বোনকে আমার ঠিক মনে ছিলো না।
মামাতো বোন আমার আশে-পাশে থাকলে সেই একই ঘ্রাণ চারপাশ ঘিরে রাখে।
সবকিছুতেই আমি আফ্রোদিতিকে আন্দাজ করতে পারলেও বেলাশেষে আফ্রোদিতিকেই শুধু খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
এরপর আম্মা এবং মামাতো বোনকে নিয়ে বাসে চড়ে নিজেদের বাসায় আসা।
মাঝ রাস্তায় মামাতো বোন বদল হয়ে যাওয়া।
বাসে নতুন এক মেয়ে আফ্রোদিতির পরিচয়ে আমাদের সাথে চলা।
মাঝ পথ থেকে আম্মা ও মেয়েটি হারিয়ে যাওয়া, ফোন সুইচ অফ দেখানো।
উপায়ন্তর না পেয়ে আমি একাই নিজে বাসায় চলে এসেছি। আমাদের বাড়িতে তেমন লোক জন নেই। আম্মা এবং তার সেবাকারী দুজন মহিলা থাকতো।
পাশেই আমার এক চাচার বাড়ি।
আমি বাড়িতে এসে দেখলাম,বাড়ি নিশ্চুপ,বুঝতে পারলাম আম্মা আসেনি।
তাহলে আম্মা গেলো কোথায়?
তাহলে মেয়েটির ফাঁদে পড়েনি তো!
চিন্তা হচ্ছিলো,চাচার বাড়িতে গেলাম,
চাচা আমাকে দেখেই জডিয়ে ধরলেন,বাবা তুমি এত দেড়িতে কেন আসলে?
তোমাকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি,
কিন্তু যোগাযোগ করতে পারিনি।
কেন চাচা? কি হয়েছে?
বাবা,গত সাত দিন আগে তোমার মামা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা তোমার মামাতো দুজনে রোড এক্সিডেন্টে মা'রা গিয়েছে!
ওইতো তোমার মায়ের এবং মামাতো বোনের কবর।
শুনে আমি স্তব্ধ,আমার জবাব কি হবে বুঝতে পারছিলাম না।
আমি কি বলবো,কি করবো, ঘটনা গুলো আমার ব্রেইন গ্রহণ করতে পারছিলো না। আমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছি........Continuing